Site icon ৪ নম্বর প্ল্যাটফর্ম

পার্থজিৎ চন্দের কবিতা

হাইকু-সদৃশ কিছু লেখা

 

এত বদ্রিপাখি আমার খাঁচায়
জোড়ায় জোড়ায় তাদের খাঁচাভর্তি করে পাখির বাজারে যাই
শরণার্থী শিবিরের দিকে অন্ধকার নামে

 

আমি জানতাম তোমার কপালে কাটা দাগ
অথচ এ-প্রথম, কোটি কোটি বছরের পর দেখা হল
বিকেলের হাত ধরে কারা কারা পার্কে বেড়াতে এসেছে, দেখ

 

নীল আলোর দূরতম তারা
ঘুমন্ত মানুষের মাথাও উপরে ঘন অন্ধকার
অনাদি স্বপ্ন, ঘড়ি-পরা কাটা একটি হাত

 

ধান-খেতে শাদা বক
ফাঁদ পেতে বসে আছে ছেলেদের দল
হাঙরের দাঁতে হেঁটে চলেছেন জীবনানন্দ

 

জিগস হাতে শিশু
তছনছ করে ফেলে সাজানো জ্যামিতি
একটি মাটির কলসি, জলে ডোববার আগে শেষ আর্তনাদ

 

বারমুডা ট্র্যাঙ্গেলের গল্প
সি-বিচে ক্ল্যান্ডিফ্লস, ক্ষত থেকে শুষে নেওয়া রক্ত
মাঝরাত্তিরে উঠে আসছে প্রত্ন শিলাকান্থ

 

কমপিউটরে কুঁড়েঘর
এঁকে নির্ভার ঘুমাতে যাচ্ছে শিশু
মহাবিশ্বে হয়তো কোথাও ঘনিয়ে উঠছে বিশৃঙ্খলার আলতো ইশারা

 

গুহার বাইরে লকলকে গম
অন্ন-অনিশ্চয়তা বেই বীজ, সেই ধানচারা
গৃহপালিত মানুষের মুখে ফুটে উঠছে গম-রঙ হাসি

 

ঘুরে ঘুরে ঘাস খায় দড়ি-বাঁধা গরু
দড়ির বিস্তারে আঁকা তার ঘাসের অধিকার
সঙ্কেত-দেবতার হাসি ধীরে ফোটে শান্ত চরাচরে

 

১০

তাঁর মৃত্যুদৃশ্য তিনি লিখে রেখেছেন
এ ছাড়া এ-রহস্যগল্পে আর কোনও রহস্যও নেই
সারারাত তীব্র পাঠক গড়ে তোলে রহস্যকাহিনি