Site icon ৪ নম্বর প্ল্যাটফর্ম

এ মাসের কবি: মনোজ দে

এ মাসের কবি: মনোজ দে । আলোচনা: দেবব্রত কর বিশ্বাস

মনোজ দে-র কবিতা

 

প্রিয় ফেব্রুয়ারি

এপ্রিলে দাঁড়িয়ে তোমাকে ভাবতে ভাল্লাগে। সেসব পশমের দিন। শীতঘুম। স্নানের অজুহাত। রোদ পোহাতে পোহাতে যেসব দুপুর ছোট হয়ে আসে। বরফের ভিড়।

তারা কি আদর বোঝে না? বোঝে না, স্রেফ ভালবাসা বাবদ তোমার আয়ু থেকে দুদিন কেটে নেওয়া হল।

 

শিল্পদাগ

এ দেশে সেলাই         আজও শিল্প

দুকুচি বরফ
চাপ দিলে জোড়া লাগে

লীনতাপ নিয়ে সেমিনার

পাবলিকেশন। জার্নাল
শরীর জুড়ে ঘা ফুটে ওঠে

এ দেশে ক্ষতকে
কাঁথাস্টিচ বলা হয়

 

শাড়ি

জটিলতা রাখা এ সেলাই
তোমার যুবতী হওয়া
পরতে পরতে মিশে
নেশা হয়। রাস্তাবোধ বিচলিত করে

প্রিয়, এতদূর হাঁটা যায় না, কখনও!

 

মানত

তুমি জানো। এসবে বিশ্বাস নেই

অসুখ সারাতে পারে
এমন প্রার্থনা চাই না আমার

চাই এসো; এ শরীর ছুঁয়ে
সান্ত্বনা শেখাও

সুতো কি এতটা তরুণ, যে
আমাদের ভার নিতে পারে

 

বিবাহ পরবর্তী

যে কোনও বৃষ্টির পর
অসম্ভব নির্জনতা আসে

আলো নেই। দীর্ঘ গাছ
ঝরে যায় স্নান করা জল

ভেজা চুল স্পর্শ করলে
মনে পড়ে নীল শাড়িটির কথা

সম্মতির অভাবে যে গৃহপালিত হয়েছে

 

প্রফেসর এবং তাঁর ছাত্রজীবন

১।

“এ সমস্ত বোকা বোকা ভুল কেন করো?
যা বলব, সব লিখে রাখবে। এখন নয়,
সময় পেরিয়ে গেলে বুঝবে, এই তিক্ত
কথাগুলি কতখানি প্রয়োজনীয়!
আফসোস করবে তোমরা। সারাজীবন
আফসোস করবে।”

বাড়ি ফিরে স্যার, নিজেরই ক্লাসনোট
খুঁজতে খুঁজতে সন্ত্রস্ত চোখে দেখে,
হাজারও অশ্লীল সংকেত, চিরকুট
বাড়িময় ছড়িয়ে যাচ্ছে। তড়িঘড়ি বন্ধ
করে সমস্ত জানালা, দরজা। এভাবেই
ছাত্রজীবন ডাইরিতে চেপে পরবর্তী
ক্লাসের দিকে হাঁটা দেন একজন
বিষণ্ণ প্রফেসর।

 

২।

“তোমরা যে ভাষাতে বন্ধুর সাথে কথা
বলো, আমরাও সেই ভাষাতে বলি।”-
তখনও সম্পূর্ণ বিশ্বাস করে উঠতে
পারিনি। ওই ছ-সাত ফুটের দূরত্ব আর
ডেস্কের উচ্চতা এতটাই ভারী ছিল যে,
কোনো সন্দেহই তার থেকে বড় হয়ে
ওঠেনি। চকগুড়ো ভর্তি হাত, যেন ব্রহ্ম

আর আপনি তিনটে বছর ধরে
নিস্তব্ধতার দিকে বলে চলেছেন, প্রশ্ন
করো, প্রশ্ন করো। শিক্ষণ দ্বিমুখী
প্রক্রিয়া। স্যার, আপনার স্থূল
ছাত্রজীবন মনে পড়ে না?

 

৩।

আরও নমনীয় হতে হবে। ফুরফুরে,
মেদহীন। যেন সহজেই বলে উঠতে
পারো, যাবতীয় সমস্যা। মাঝে মাঝে
বলব, সিলেবাসের বাইরে জানো।
তোমাদের দেখাগুলো আরও প্রসারিত
করো। মানুষের সাথে মেশো। দেখো,
আরও দেখো। এসব শেষে
অ্যাটেনডেন্স খাতা খুললেই, মেজাজ
সামলে শান্তভাবে বলি, “ক্লাসে আসোনি কেন?”

দমবন্ধ হয়ে আসে। সহজ হতে পারি না
আর। সাবলীলভাবে বলতে পারি না,
মাঝে মাঝে ক্লাস বাঙ্ক করো, বন্ধুদের
প্রক্সি দিও

 

৪।

প্রায়শই বলে থাকেন, ডানা গজিয়েছে।
ক্লাস অফ করে জামাকাপড় কাচা।
দশটার ক্লাস আধঘণ্টা লেট। চোখ
পড়তেই বাহানা রেডি। আদতে
নিজেকেই ফাঁকি দিচ্ছ

গলাভর্তি পাপবোধে ডুবে আছি
আজকাল। শোনো, সমস্ত অশ্লীল
চিৎকারের রাত, ডানায় নিয়ে উড়ে
যাও। পাখির কৌশল আয়ত্ত করো।
দিনান্তে বাঁচো। বাঁচো। আর ঈর্ষান্বিত
করে তুলো আমাদের। প্রিয় ছাত্রজীবন,
প্রতিষ্ঠান রাষ্ট্রভর্তি নখ নিয়ে তোমাদের
দশটা-পাঁচটা ছিঁড়ে নেবে। তোমরা ওড়ো

 

৫।

স্যার, লিখেছি সব। নাম্বার দেয়নি।
–বাঁদর, নাম্বার পাসনি বল

এভাবেই কোনও কোনও দিন আঁতকে
উঠি। সন্ত্রস্ত চোখে দেখি, মাঝরাত। জল
খাই। শান্ত হয়ে শুয়ে পড়ি আবার।
দেখি, অজস্র সংখ্যায় ডুবে যাচ্ছে
কলেজ মাঠ। হোস্টেলের সামনে
দাঁড়িয়ে থাকা ছেলেটি, সংখ্যাতত্ত্বের
ভিড়ে হারিয়ে ফেলেছে বান্ধবীকে


মনোজ দে-র কবিতা: ভিন্ন কবিতার বিভিন্ন স্বর

 

দেবব্রত কর বিশ্বাস

মনোজ দে। বাংলা কবিতায় প্রথম দশকের খুব উল্লেখযোগ্য একটি নাম। খুব বেশিদিন কবিতা লিখছে না মনোজ। কিন্তু অল্প সময়ের মধ্যেই সে তার দক্ষতার ছাপ রেখেছে কবিতায়। মনোজের সঙ্গে আমার পরিচয় উত্তরপাড়ায়। ২০১৭ সালে। আঙ্গিক এবং মাস্তুল পত্রিকার যৌথ আয়োজনে একটি বইপ্রকাশ অনুষ্ঠানে। বেশ কয়েকজন তরুণ কবির প্রথম বই প্রকাশ করেছিল আঙ্গিক-মাস্তুল। তাদের মধ্যে একজন ছিল মনোজ দে। সত্যি বলতে আমি সেই প্রথমবার মনোজকে দেখি। কিন্ত আমি ওর লেখা পড়িনি তখনও। সেদিন অনুষ্ঠানে নিজেই এসে আলাপ করেছিল মনোজ। খুবই বিনয়ী একটি ছেলে। আমার ওকে ভারী ভালো লেগে যায় প্রথম দেখাতেই। কিন্তু ওর বইটা তখনও দেখিনি আমি। সেদিন প্রকাশিত হওয়া সবকটা নতুন বই ব্যাগে নিয়ে বাড়ি ফিরে আসি আমি। ঘটনাচক্রে প্রথম পড়তে শুরু করি ওর বইটাই। বইটির নাম— আমিও ঈশ্বর ছুঁইনি। ১৬ পাতার একটা রোগাসোগা বই। তরুণ কবির প্রথম বই এরকম হওয়াই মানায় বোধহয়। পাতা উল্টে দেখলাম উৎসর্গপত্রে লেখা— আঁধারমানিক-কে। এই উৎসর্গ কাকে করেছিল মনোজ? আঁধারমানিক তো স্বয়ং জীবন। অন্ধকার ছেয়ে ফেলে যখন, তখন তা খুঁড়ে বেরিয়ে আসে আলোর রত্ন। জীবন তো সেই-ই। তাকেই তো প্রথম বই লিখে দেবে তরুণ কবি। কিন্তু এই যে অন্ধকার খুঁড়ে আলো বের করার স্বভাব, তা কি পাব কবিতাগুলোতে? পাতা ওল্টালাম। প্রথম কবিতাটা পড়েই চমকে উঠলাম। মনোজ লিখেছে— “সাজিয়ে রেখেছ ছুরি/ নিকটস্থ কেক। খুন হবে বলে/ প্রতিটি হত্যার মুহূর্তেই/ আলো নিভে যাওয়া আবশ্যক।” পড়েই চমকে উঠলাম আমি। কী লিখেছে! আর লেখাটার নাম কী জানেন? জন্মদিন। জন্মদিন নাম দিয়ে একটি কবিতায় লেখা হল হত্যার কথা। মৃত্যুর কথা। আমি ভাবতে লাগলাম। তারপর মনে হল এর চেয়ে ভালো আর নাম কিছু হতে পারে না। হত্যার প্রসঙ্গ এখানে এসেছে বিশ্বাসঘাতকতার প্রসঙ্গে, সেই কারণেই ‘নিকটস্থ’ শব্দের ব্যবহার। আর বিশ্বাসঘাতকতা যতই পীড়াদায়ক হোক না কেন, তা আসলে নিজের ভিতরের চোখ খুলে দেয়। মায়ার আবরণ থেকে মানুষকে বের করে নতুন জন্ম দেয় যেন। আবার কবিতাটিকে এইভাবে না দেখে শুধু একটি বার্থ-ডের দৃশ্য হিসেবে দেখলেও স্বাদগ্রহণ করতে এতটুকু অসুবিধে হয় না। এই যে দ্ব্যর্থতার ব্যবহার, এই যে তীক্ষ্ণ করে ভাবতে বাধ্য করা পাঠককে, এটা কে করছে? কোথায় করছে? করছে একজন তরুণ কবি, তার নিজের প্রথম কাব্যগ্রন্থের প্রথম কবিতায়! এমন কবির দিকে তাকিয়ে যে কোনও সচেতন পাঠক নড়েচড়ে উঠবেই। আমিও তাই নড়েচড়ে উঠেছিলাম। সেই থেকে আমি কবি মনোজ দে-র দিকে তীক্ষ্ণ নজর রাখি। কী লিখছে সে, কেমনভাবে লিখছে… এমনকি ফেসবুকে কী স্টেটাস দিচ্ছে, সেই দিকেও আমি খেয়াল রাখি। আমি বিশ্বাস করি, একজন কবিকে তার কবিতায় যেমন পাওয়া যায়, তেমনই তার অন্যান্য ভাবনাচিন্তাতেও টের পাওয়া যায়। আজ যখন আবার ওর প্রথম বইটা হাতে নিলাম, অন্যরকম একটা অনুভূতি হল। খুব ছোট্ট একটি বই। আমি যখনই হাতে তুলে নিই আমার মন ভালো হয়ে যায়। একদম টাটকা একটা বাতাস আছে মনোজ দে-র এই ‘আমিও ঈশ্বর ছুঁইনি’ বইটিতে। তো যেটি বলছিলাম, ফেসবুক। সেখানে একদিন মনোজ একটি লিঙ্ক শেয়ার করল। একটি পত্রিকায় বেরোনো কয়েকটি কবিতার লিঙ্ক। আমি আগ্রহ নিয়ে লিঙ্ক খুললাম। কবিতার সিরিজ, নাম— সঙ্গীত মিডিয়াম। প্রথম কবিতাটা পড়ে আবার চমকে গেলাম। মনোজ লিখেছে— “স্কুলে যায়নি/ ভাষাজ্ঞান স্পষ্ট নয়/ শুধু তুমি রেওয়াজে বসলেই/ বাকি পৃথিবী বধির মনে হয়” পড়ার সঙ্গে সঙ্গেই আমার চোখের সামনে ভেসে উঠল একটি দৃশ্য। গ্রামের গরিব ঘরের একটি ছোট মেয়ে, সে প্রায় নিজের আকারের হারমোনিয়াম নিয়ে রেওয়াজ করতে বসেছে। উচ্চারণে অনেক ভুল ধরা পড়ছে তার। কিন্তু তার কণ্ঠ সব ছাপিয়ে গিয়ে সুর ছুঁড়ে দিচ্ছে মহাকাশে, আর সেখান থেকে নেমে আসছে অনাবিল এক আনন্দের স্রোত। সেই স্রোতে ভেসে স্তব্ধ হয়ে আছে পৃথিবী। স্তব্ধ হয়ে আছে সমস্ত জাগতিক জ্বালা-যন্ত্রণা। এমন এক দৃশ্য আমি এখনও দেখতে পাচ্ছি। মানে এই লেখাটা লিখতে গিয়েও একই অনুভূতি হচ্ছে আমার। চোখের সামনে যেন দরজা খুলে দিচ্ছে এই দৃশ্য। কবির তো এটাই কাজ, দরজা খুলে দেওয়া। সেই দরজা দিয়ে পাঠক ঢুকে পড়বে। কোথায় ঢুকবে সেটা পাঠকভেদে বদলে বদলে যায়। কিন্তু ওই দরজা খুলে দেওয়ার কাজটা সার্থকভাবে করতে পারাটাই একজন কবির কার্যসিদ্ধি। মনোজ যে একজন অত্যন্ত বড় কবি, তা ওর এইসব দরজা খুলে দেওয়া দেখেই বোঝা যায়। এই একই সিরিজের চার নম্বর কবিতায় মনোজ লিখেছে— “স্বপ্ন। স্বীকার করেছি।/ সপ্তাহে একদিন দেখা/ তীব্র ব্যর্থতায় স্নান করা কোনও ছেলে/ তোমায় প্রত্যহ/ দু-বেলা রেওয়াজ করতে বলত”— এখানেই দুরকম অর্থ। একটি মেয়ে, যে একটি ছেলের কাছে স্বপ্ন। মেয়েটির সঙ্গে ছেলেটির দেখা হয় সপ্তাহে মাত্র একদিন। কিন্তু ছেলেটি মেয়েটিকে কিছুই বলতে পারেনি কোনওদিন তার ভালোবাসার কথা। পারেনি সে। সে ব্যর্থ। শুধু সে মুখ ফুটে মেয়েটিকে বলত, সে যেন দুবেলা নিয়ম করে রেওয়াজ করে। এভাবে দেখা যেতে পারে এই কবিতাকে। এবার একটু অন্যভাবে দেখা যাক। ধরা যাক, স্বপ্ন এখানে কোনও মেয়ে নয়। স্বপ্ন এখানে ব্যক্তিগত উত্তরণের। কবি সেই ব্যক্তিগত উত্তরণের স্বপ্নকে বলছে— দুবেলা রেওয়াজ করো। কবি আরও বলছে— আমি নাহয় ব্যর্থ, আমি নাহয় তোমাকে স্পর্শ করার কথা মুখ ফুটে বলতে পারিনি, তবু তুমি আমাকে ছেড়ে যেও না। তুমি রেওয়াজ করো, রোজ দুবেলা। অর্থাৎ তুমি রোজ দুবেলা সুর করে আমাকে মনে করিয়ে দাও, তুমিই আমার স্বপ্ন। আমি ছুঁতে পারি আর না পারি, তোমাকে ভুলে যাওয়ার দিকে যেন না যাই কখনও। এভাবেও ভাবা যেতে পারে, তাই না? আমাদের ভারতবর্ষের প্রাচীন সাহিত্যের একটা মস্ত বড় গুণ হল— দ্ব্যর্থতা। একটি লেখার দুরকম মানে। কখনও সেই অর্থের ভিন্নতা দুরকম না হয় আরও অনেক বেশি হতে পারে। সময়ভেদে, বয়সভেদে, অভিজ্ঞতাভেদে, শিক্ষাভেদে এই অর্থ বদলে বদলে যায়। এটা আমাদের ঐতিহ্য। মনোজ এত কম বয়সে এমন সব কবিতা লিখছে, যার একাধিক অর্থ বের করে নিতে পারে পাঠক। আমি আবার মুগ্ধ হয়ে যাই মনোজে। ২০১৮ সালে ওর দ্বিতীয় কাব্যগ্রন্থ ‘শরীরে সঙ্গীত রেখো’ প্রকাশিত হয়। সেখানে এই সঙ্গীত মিডিয়াম সিরিজটি রয়েছে। এই বইটি বড়। ৬৪ পাতার। অসংখ্য অসাধারণ সব লেখায় ভরে রয়েছে এই বই। আমি আরও কয়েকটি কবিতা তুলে এনে আলোচনা বাড়াতেই পারতাম, কিন্তু সেটা করব না। এখানে আমি আলোচক নই, আমি সূত্রধর মাত্র। আমার কাজ শুধু মনোজের পরিচয়টা বৃহত্তর পৃথিবীর সঙ্গে করিয়ে দেওয়া। আমি চাই, পাঠক আমার কথায় প্রভাবিত না হয়ে নিজেদের মতো করে মনোজ দে-র কবিতাকে ডি-কোড করুক। চার নম্বর প্ল্যাটফর্মের পক্ষ থেকে আমাকে যখন বলা হয় কোনও এক তরুণ কবিকে নিয়ে লিখতে, প্রথম ওর কথাই মনে এসেছিল আমার। বর্তমানে কবিদের পাঠক হয় কবিরাই। একজন কবি আরেকজন কবির বই কেনে, পড়ে, মতামত জানায়। কবিতা লেখে না, এমন পাঠক যেন ক্রমে দূরে সরে যাচ্ছে বাংলা কবিতা থেকে। অনেকেরই অভিযোগ, এখনকার কবিতা নাকি দুর্বোধ্য হয়ে গেছে। তাই তাঁরা পড়ার আগ্রহ পান না। আমি চাই কবিদের সঙ্গে সঙ্গে মনোজ দে-র এমনি পাঠক বাড়ুক। কবি নয় এমন সচেতন পাঠক ওর কবিতা পড়ুক। কারণ পাঠককে বুঁদ করে রাখার সমস্ত গুণ রয়েছে মনোজের মধ্যে। প্রথম দশকের এই অত্যন্ত উজ্জ্বল কবি মনোজ দে আমার থেকে অনেকটা জুনিয়র। কিন্তু ওর লেখা থেকে, দেখা থেকে অনেক কিছু শিখি আমি। এই সহজ সত্য কথাটা স্বীকার করতে আমার কোনও দ্বিধা নেই।

মনোজ দে-র প্রকাশিত কবিতাগ্রন্থ:

  1. বই ১— আমিও ঈশ্বর ছুঁইনি/ প্রকাশনা: আঙ্গিক মাস্তুল/ দাম: ২৫ টাকা
  2. বই ২— শরীরে সঙ্গীত রেখো/ প্রকাশনা: তবুও প্রয়াস/ দাম: ১১০ টাকা