Site icon ৪ নম্বর প্ল্যাটফর্ম

সন্তোষ পাল — সাত

মৃণাল চক্রবর্তী

 

পূর্ব প্রকাশিতের পর

ঘণ্টাখানেক বাদে স্নান সেরে ঘর থেকে বেরলাম। ভাবলাম বাইরে একটু হেঁটে আসি। লাউঞ্জে কয়েকটা পরিবার বসে আছে। বাচ্চাগুলো এদিক-ওদিক ছুটছে। কেউ চেক-ইন করছে, কেউ বা বেরিয়ে যাচ্ছে। এমন সময় কেউ আমাকে ‘ইন্দ্র’ বলে ডাকল। পুরুষের গলা।

ভুতো। মোটা হয়েছে খুব কিন্তু চেনা যায়। চার-পাঁচটার মধ্যে একটা পরিবার ওর। সেখান থেকে বৌ আর একটা টিন-এজার মেয়েকে রেখে আমার দিকে আন্তরিক ভঙ্গিতে উঠে আসছে। প্যান্টটা হলহল করে নেমে যেতে চাইছে। কিন্তু এক হাতে সেই প্যান্ট চেপে ধরে দিগবিজয়ীর মত এগিয়ে আসছে আমার যৌবনের বিশ্বনাথ দাশ। আমি ওকে আরে ভুতো বলে ডাকলাম ঠিক অল্পবয়েসের সুরে। সুরটা বেরিয়ে এল পঁচিশ বছর বাদে। ভু আর তো-এর মধ্যে একটা ঢেউ খেলানো সুরে ডাকলাম যৌবনের ভুতোকে।

সবাই হেসে ফেলল। মায় ভুতোর বৌ-বাচ্চা, অন্য লোকেরা, সবাই বিভিন্ন হাসি হাসতে লাগল। রিসেপশনিস্ট মেয়েটা ফিক ফিক করে হাসছিল। বুঝতে পারলাম একটা আধবুড়ো লোকের অন্য একজনকে এভাবে ডাকা ঠিক নয়। কিন্তু ফল ভালো হল। ভুতোকে অপ্রস্তুত করা সহজ নয়। হলও না। একই গতিতে এগিয়ে এসে এক হাতে আমাকে জড়িয়ে ধরল, অন্যহাতে প্যান্ট ধরে ছিল। কী একটা স্মৃতি জেগে উঠল মাথায়। এই সময় যেন কী করার কথা?

মনে পড়ল। ভুতোকুতো। ভুতুকে কাতুকুতু। গুদগুদি সমাস নাম দিয়েছিল হাঙর। ও-ই প্রথম আবিষ্কার করে যে ভুতোকে কাতুকুতু দিলে ফল ভালো হয়। আমি রোবটের মত দুই আঙুল খুঁচিয়ে ওর কোমরে কাতুকুতু দিলাম। থলথল হাসতে হাসতে প্যান্ট প্রায় খুলে যায় আর কি। অপরিসীম মেদের মধ্যে বয়ে যাচ্ছে ক্ষীরের মত হাসি। ভুতো বলে চলেছে উফ কীঃ আরেঃ প্যান্ট সালা প্যান্ট বাঁড়া প্যান্ট সালা ছাড় বাঞ্চোত।

আমার মন সত্যিই ভালো হয়ে গেল। গুমোট কেটে গেল। আমাকে টানতে টানতে ভুতো নিয়ে গেল পরিবারের কাছে। হাত বাড়িয়ে কাকে বলল, কফি দাও কফি। ওর বৌকে দেখিয়ে বলল, দীপ্তি, আমার বৌ। বিয়ের দিন কেমন রোগা ছিল দেখেছিস তো। আর আজ দ্যাখ। সব আমার জন্য। আমার সঙ্গে কেউ থাকলেই সে মোটা হয়ে যায়। হবেই। বিধির বিধান। ওই জন্যই… অ্যাই মিতলি… এই যে ইন্দ্রকাকু… মিতলিকে পাহাড়ি স্কুলে দিয়েছি। দ্যাখ একদম মোটা হয়নি।

পনের-ষোল বছরের মিতলি বাবাকে একটা কড়া নজর ছুঁড়ে দিয়ে ওর হাতের বড় মোবাইলে মন দিল। দীপ্তি এসবে অভ্যস্ত। বলল, বসুন ইন্দ্রদা। বেড়াতে যাচ্ছেন নাকি?

–একটু বেড়িয়েছি। এখন আবার ভাবছি কোচবিহারটা ঘুরে আসব।

–কোচবিহার কী করতে যাবি? শ্বশুরবাড়ি নাকি? –কফি এসে গিয়েছিল। সেগুলো আমাদের দিতে দিতে বলল ভুতো।

–না। আমি ওইখানে জন্মেছিলাম। তাছাড়া আমার কোনও শ্বশুর নেই।

–মারা গেছে? ভুতো সহানুভূতির সুরে বলল। মিতলি আবার রেগে তাকাল। ভুতো বলল— কফি খাবি নাকি? মিতলি এবার বলেই ফেলল, বাবা, তুমি চুপ করবে? আমি কি কফি খাই? ভুতো বলল, তাহলে ফ্রুট জুস খাবি? এই, ফ্রেশ ফ্রুট জুস কী আছে এখানে?

–মা, তুমি ওকে থামতে বলবে? –এবার দীপ্তিকে বলল মিতলি।

–হ্যাঁ, তোর শ্বশুর নেই কেন? মারা গেছে?

–না, হয়ইনি কখনও। আমি বিয়ে করিনি। –এই কথা বলার সময় আমার বেদনা আমি কখনওই চেপে রাখতে পারি না। দীপ্তি হেসে ফেলল। ওর চোখ ছিল একটা পত্রিকায়।

–আপনি কেমন ডুকরে বললেন কথাটা!

–কিন্তু ওয়াই ডিডন্ট ইউ গেট ম্যারেড, ড্যামিট! ম্যারেজ ইজ আ ডিভাইন থিং! আরে আমার জানা থাকলে এতদিনে তোর কতগুলো বিয়ে হয়ে যেত। এই দীপু, কী বলে, দ্যাট গার্ল, লিচুর সঙ্গে ওর পারফেক্ট ম্যাচ হত।

–লিচু কে?

–নীলিমা বলে এক মহিলা। বিশ্বর ওদিকে নজর ছিল। এত মোটা বলে মেয়েটা পাত্তা দেয়নি। –দীপ্তি বলল। হিহি করে হেসে উঠল মিতলি। এইবার প্রথম বোঝা গেল এ একটা ছোট্ট মিষ্টি মেয়ে। মায়ের কাছে ঘেঁষে গেল।

–বিশ্ব কে?

–আপনার ভুতো।

–অল ননসেন্স! লিচু আমার টাইপ নয়। –দীপ্তির দিকে তাকিয়ে বলল— নিদার আর ইউ মাই টাইপ। আমি ঝড়ের মত অ্যাডভেঞ্চারাস মেয়ে চেয়েছিলাম। আয়লার মত। দশ তলা হোটেলের ব্যালকনিতে উঠে আসা ঝড়। ভুতো হাঁফাচ্ছিল। –এনিওয়ে, এখন আমাদের রুমে চল। উইল হ্যাভ আ কাপল অব ড্রিঙ্কস। চলো দীপু, মিতলি, আমার বেবি।

মিতলিকে আদর করতে হাত বাড়ালেই মিতলি সরে গেল মায়ের দিকে। –বাবা, নো। নট ইন আ পাবলিক প্লেস! –দীপ্তি বলল, কফিটা খেয়ে নিই। ভুতো তাকে পালকের মত তুলে নিচ্ছিল কফির কাপ হাতে। দীপ্তি চিৎকার করতে যাচ্ছিল। আমি বললাম, ভুতো, তোর প্যান্ট… ভুতোর মনে পড়ল। দীপ্তিকে ছেড়ে দিল সে। কফি চলকে পড়ল টেবিলে। এবার দীপ্তি দস্তুরমত খচে গিয়ে উঠে দাঁড়াল। ভুতো তাকে তোয়াজ করতে করতে এগিয়ে গেল। মিতলি আমাকে বলল, আচ্ছা আঙ্কল, তোমাদের কলেজ ডেজ-এ ওয়জ হি দিস ম্যাড?

–না। তবে পোটেনশিয়াল ছিল। তোকে আমি ওর গল্পগুলো শোনাব।

আমি আর মিতলি এগিয়ে চললাম। ওদের রুমে যাব। বেশ অদ্ভুত লাগল হঠাৎ। মনে হল আমি আমার মেয়েকে নিয়ে রুমে ফিরছি বৌয়ের কাছে। আমি এক বৌ কই বৌ নেই বিষণ্নতায় তলিয়ে যাওয়ার আগেই মিতলি বলল—

–তুমি কী করো? কলকাতায় থাকো?

–আমি একটা কলেজে পড়াই। কলকাতায়। তুই কোথায় পড়িস? নাইন না টেন?

–ইল্লেভেন! —এমন একটা মুখ করে মিতলি বলল যেন আমি এরকম একটা বোকার মত কথা কী করে বললাম। তারপর কারশিয়ঙ্গের একটা ডাকসাইটে স্কুলের নাম বলল। ওখানে আমাদের বন্ধু অণুব্রত পড়াত কোন কালে। আমি বললাম। মিতলি বলল সে এখন প্রিন্সিপাল হয়েছে। ভুতো অণুব্রত আছে বলেই মিতলিকে ওখানে পড়তে পাঠিয়েছে।

–বাবা ইজ ভেরি পোজেসিভ, ইউ নো।

আলতো গলায় বলল মিতলি। আমরা তখন লিফটে উঠছিলাম। বাবার অধিকারবোধের নরম চাদরে যেন গা জড়িয়ে নিল বাচ্চাটা। তারপরেই কড়া মুখ করে বলল, বাট হি ক্রিয়েটস পাবলিক নিউসেন্স। আমি সেটা পছন্দ করি না।

ওদের রুমে বেল দিতেই দীপ্তি এসে দরজা খুলে দিল।

–ভুতো কোথায়?

–এতক্ষণ নানা নাটক করে অ্যাপলজি জানিয়ে এই টয়লেটে ঢুকল। যেখানে ইচ্ছে বসুন।

একটা বড় সুইট নিয়েছে ওরা। বড় খাট। পাশে সোফা। সোফায় একটা চাদর পাতা। মিতলি সেটাকে তুলে খাটে রেখে বলল, সকালে এখানে ঘুমোচ্ছিল। চাদরটাও তোলেনি। –একদম দীপ্তির মত করে বলল। আমি সোফায় বসলাম। বাথরুমে ভুতো একটা হিন্দি গান গাইছিল। কিশোরের। খুব সুরেলা গলা ওর।

মিতলি চাদর পাট করছে। দীপ্তি ঘরটা গোছাচ্ছে। বাথরুম থেকে শোনা যাচ্ছিল ভুতোর গলা। আমার খুব ভালো লাগছিল।

 

সেই আড্ডা গড়াল রাত পর্যন্ত। এক সময় ভুতো বলল কাল সকালে ওদের সঙ্গে সিকিম যেতে। আমি পুরনো হাটে যাওয়ার ব্যর্থ গল্পটা বললাম না। তবে আমার মূল নস্টালজিয়ার কথা বললাম। কোচবিহার যেতে হবে।

ভুতো আমার কোচবিহার নস্টালজিয়াকে গুরুত্ব দিল না।

–বালের নস্টালজিয়া! –বলে কঁৎ করে গ্লাসের মদ শেষ করল। মিতলির কড়া চোখ গ্রাহ্য করল না। –ওখানে যাবার থাকলে তুই আগেও যেতে পারতি। দার্জিলিং ঘুরে এলি আর এখন এসব সেন্টু দিচ্ছিস আমাকে! সিকিম যাবি আমাদের সঙ্গে। কাল সকালে বেরোব। আমরা বেরোব না দীপু?

দীপ্তি নিজের ফোন নিয়ে ছিল। তাছাড়া ভুতোর সঙ্গে থাকতে হলে মানুষকে এক ধরনের নিস্পৃহতা গজাতেই হয়। ভুতোর আদুরে গলা শুনেও একটা অন্যমনস্ক উঁ শব্দ করল সে।

–তিনজনের প্ল্যান করা আছে। আমি এক্ষুনি ওদের সঙ্গে কথা বলে সব ফিক্স করে নিচ্ছি। দুটো ঘর নেব। একটাই তুই আর আমি শোব। কত কিছু তোকে বলার আছে বন্ধু! –আবেগে গলা একটু ভারী হলেও ওকে এখনও মাতাল বলার কোনও জায়গা নেই।

–কিন্তু তোর খুব নাক ডাকে মনে হয়। –মিতলি হেসে উঠল। –ট্রাম্পেট বাজে আঙ্কল, দেখবে?

কোথা থেকে দু-জোড়া ছিপি বের করে আনল মিতলি। –মা আর আমি এগুলো কানে দিয়ে ঘুমোই।

–তুই কী করে জানলি আমার নাক ডাকে? –রীতিমত সন্দেহের সুরে আমার কাছে জানতে চাইল ভুতো।

–দেখলেই মনে হয়। সব মোটা লোকেদের নাক বেশি ডাকে।

–সেটা ঠিক। –অন্যমনস্ক হয়ে কান খোঁচাল ভুতো— তোর নাক ডাকে না?

–খুব সরু ডাকে। কেউ কেউ বলেছে।

–কেউ কেউ মানে? তুই তো একা থাকিস বললি। বিয়ে করিসনি বললি না? তাছাড়া কেউ-কেউ খুব গন্ডগোলের কথা!

আমি বিয়ে করিনি বলে কোন মেয়ের সঙ্গে শুইনি এটা ভাবার কোন স্কোপ আমি ওকে দিইনি। কিন্তু ওর মুখের আগল না থাকলেও আমি তো মিতলির সামনে সে-কথা বলতে পারব না। দীপ্তিকে নিয়ে চিন্তা নেই। ও এখন মোবাইলে বন্ধুদের সঙ্গে তন্ময় হয়ে আসছে। কখনও মুখে হাসি ভেসে উঠছে, কখনও চিন্তা। কিন্তু মেয়েটা তো আমার ঠিক সামনে খাটের এক কোণায় বসে ফোন নিয়ে কী যেন করছে। ও শুনতে পাবে। হঠাৎ দেখলাম আলতো করে হেডফোনে গান শুনতে আরম্ভ করল মিতলি। মেয়েটার তারিফ করলাম আমি।

–বিয়ে করিনি বলে আমি কি কারও সঙ্গে শুইনি রে কেলানে?

–সেটা একটা পয়েন্ট। মদ খা। –আমার গ্লাসে আঠের বছরের পুরনো সিঙ্গল মল্ট ঢেলে দিল ভুতো। এ-চিজ আমি জীবনে খাইনি। তারপরই ফোন করল কাউকে।

–হ্যাঁ রামন, আমি। কাল গ্যাংটক যাব, সেখান থেকে… হ্যাঁ, কিন্তু ওটাকে চার জনের করে দাও। দুটো রুম। না না, তুমি পারবে। আমি দশ মিনিট পরে ফোন করছি।

এ-সময় ওর অন্যরকম চেহারা দেখলাম। অথরিটি গুমগুম করছে। কী কাজ করে কে জানে। ডাকসাইটে কেউ হবে। স্মাগলার নয় তো? হয়ত আমাকে দিয়ে তিব্বতে আফিম চালান করাবে।

–আমি কিন্তু দীপু ছাড়া কার সঙ্গে শুইনি। –আমার একটা সিগারেট নিয়ে ধরাল ভুতো— কাউকে ভালোই লাগেনি। এত বছর ধরে শুধু দীপুর ভালোবাসা পাওয়ার জন্যে লড়ে গেছি। স্টিল স্ট্রাগলিং।

আমার হাসি পেল। একটা সাজানো সংসার নিয়ে ভুতো দার্শনিক হয়ে গেল! এ-সব হুইস্কি এই জন্যেই এত দামি হয়।

–তুই কী করিস?
–হাউ ডাজ দ্যাট বদার ইউ?
–আরে ভাই, লাইফস্টাইল দেখে ভড়কে গেছি। যে মদটা খাওয়াচ্ছিস, সেটা আমি বরাবর দূর থেকে দেখেছি।
–কারণ তুই ভারতবর্ষ নামের এক দেশের ওয়েস্ট বেঙ্গল নামের এক রাজ্যের কলকাতা নামের এক ডেকেডেন্ট মহানগরীর মিডল-ক্লাস প্রতিনিধি। আমি তা নই। আমি যদি ওয়েস্টে কিম্বা আরবে থাকতাম, আমি ছিলাম, তবে আমি তোর মতই থাকতাম। কিন্তু আমার সমস্যা হল এই যে আমি ভারতবর্ষ নামের এক দেশের ওয়েস্ট বেঙ্গল নামের এক রাজ্যের কলকাতা নামের এক ডেকেডেন্ট মহানগরীর ভালোবাসায় অন্ধ এক নাগরিক। কলকাতা আমার বুকে পাথর হয়ে চেপে আছে, আমি এর শেষ দেখে যাব।
–সুনীল গাঙ্গুলির লাইন।
–সবাই জানে। ঠিক মত কোট করতে পারব না বলে নাম বলিনি। তুই একেবারেই ছোট মাপের একজন প্রুফরিডার যে একটা কলেজের অধ্যাপক হয়ে গেছে। বাই ফ্লুক। আমি কলকাতাকে ভালোবাসি বলে এখানে আরবের আমিরের মত জীবন কাটাই। আরবে থাকলে আমি কলকাতার বেচুবাবুর মত স্টেটাসে থাকতাম। গট ইট?

এমন সময় ফোন বাজল।

–রামন? আমি তোমার নাম্বার জাস্ট ডায়াল করছিলাম। রাইট! আমি জানতাম তুমি পারবে। এরপর আমরা চারজন অস্ত্রেলিয়া বেড়াতে যাব। তোমার টিম-এর সঙ্গে। গুড নাইট!

এরপর ভুতো মিতলিকে নিয়ে পড়ল। –আমার এই ছোত্ত মেয়েটাকে আমি অ্যাত্তো ভালোবাসি— বলে ওকে খুব আদর করতে শুরু করল। মিতলি কাউ মাউ করে মাকে জড়িয়ে তাণ্ডব করতে লাগল আর আমি এই মনোরম দৃশ্য দেখতে দেখতে অনেকটা মদ খেয়ে ফেললাম।

তারপর লতপত অবস্থায় ডিনার খাবার সময় আমরা দুজন খুব সেন্টিমেন্টাল হয়ে গিয়েছিলাম বলে মিতলি আমাকে পরে জানায়। অবস্থা নাকি এমন জায়গায় পৌঁছেছিল যে ভুতো আর আমি শপথ করেছিলাম সারাজীবন একসঙ্গে বেড়াতে যাব, মিতলির বিয়ে দেব না এবং দীপ্তিকে যে ভুতো সত্যি ভালোবাসে সেটা বোঝাতে গিয়ে নাকি আমি দীপ্তির পায়ে পড়ে ভুতোকে ভালোবাসার আবেদন জানিয়েছিলাম। সবচেয়ে বড় কথা, ওই সময় ডাইনিং রুমে সবাই ছিল।

ঘরে ফিরে ঘুমোতে যাবার আগে পুল্টুশকে বলেছিলাম, খুব সকালে ডেকে দিতে। আমি পালাব।

 

এরপর আগামী সংখ্যায়