Site icon ৪ নম্বর প্ল্যাটফর্ম

চৈতালী চট্টোপাধ্যায়

চারটি কবিতা -- চৈতালী চট্টোপাধ্যায়

চারটি কবিতা

 

একা

এটা শুধু শোকগাথা।
ভারী বাতাসের মতো নীচুতে ভাসে।
গুমোট গন্ধে টক বমি উঠে আসে।
অজানা ফুলেরা
স্বর্গ থেকে মাটিতে ঝরছে,
আর, ওষুধের পাতা হচ্ছে।
একদা কবিতা লিখত,
যারা মন হাতে রেখে শরীরে বসত
একদিন,
মুখচোখ মুছে মরে আছে

 

প্রকৃতিপরিচয়

নির্জনতা, তুমি আমার বন্ধু হবে?
অবস্থা খুব বিপন্ন, খুব জরুরিও!
মৃত্যু এসে একের পর এক নাম ডাকছে।
না ডাকলেও, অদৃশ্য সব রক্তচোখের
তাপ লেগে মন, অচৈতন্য, শুয়ে পড়ছে‌।
হাসপাতাল আর কারাগারের সংজ্ঞামতো
কান্না ওঠে। চোয়ালগুলো পাথর যেন!
চোখ বেঁধেছি। কান ঢেকেছি। পালিয়ে যাব।
নির্জনতা, তুমি আমার হাত ধরবে?

 

প্রকৃতিপরিচয়/২

বনভূমি ক্লান্ত হয় না।
জল ক্লান্ত হয় না।
রং বদলাচ্ছে আকাশের।
নিসর্গে ময়ূর ও পরিপাটি পলাশের ফুল।
ক্লান্ত হয় না।
সৌন্দর্যই শেষকথা!
দেখি,
আর
চোখ ফেটে রক্ত গড়িয়ে পড়বে,
শহরের দিকে

 

প্রকৃতিপরিচয়/৩

গাছ যেন, জনগণ। সব সয়ে যায়।
যাপন, নদীটি। ময়লা হয়।
পাড় ভাঙে। পাড় গড়ে ওঠে।
স্বপ্নকে দিগন্ত ডাকি আর
মাটি ভেবে, একঝুড়ি অন্ধকার তুলি।
অরণ্য মিছিলে মেশে! দেখি,
নির্বাচনের আগে উজ্জ্বল ইশতিহারের মতো, মাকাল ফল ফলে আছে।
শুধু, জীর্ণ দেউলের পাশ দিয়ে যে-সূর্য উঠছে তার রং, ঘন কুয়াশায় আমি কিছুতেই ঠাহর করতে পারছি না

 

মেনোপোজ

ভুলে যাই,বয়স বাড়ছে!
ভুলে যাই চারপাশ ফাঁকা হয়ে এল…
তখন বরফের মধ্যে আমি একউনুন আগুন ঢেলে দি।
আর পা বেয়ে কাদা-কাদা রক্ত গড়িয়ে নামবে। তবে,
এসব টোটকা আমি কালেভদ্রে প্রয়োগ করব
মরা দেহে