Site icon ৪ নম্বর প্ল্যাটফর্ম

চাঁদ অথবা এ্যাবরশনের গল্প

তুহিন দাস

 

রাত এলেই লোকটি চাঁদ দেখতে বের হয়। চাঁদ ও অন্ধকারের সঙ্গে তার এই সখ্যতা মলি ভালোভাবে নেয়নি। ভেবে নিয়েছিল অন্য কোনও মেয়ের সঙ্গে খালেদের সম্পর্ক আছে। অজয়দার মেয়ের সঙ্গে একটা সম্পর্কের কথা কেউ একজন বেনামে মোবাইলে জানিয়েছিল মলিকে। প্রথমে অতটা গুরুত্ব দেয়নি। পরে রাত গভীর হলে খালেদের বেরিয়ে যাওয়া আবার সেই আজান হলেই ফেরত আসা ক্রমশ বেড়ে যেতে লাগল।

ইদানীং প্রতি রাতে বের হতে শুরু করেছে খালেদ। মলির প্রেগনেন্ট না হওয়া মেনে নিতে পারছে না খালেদ। সঙ্গমে আপত্তি নেই মলির। কিন্তু কিছুতেই বাচ্চা নেবে না খালেদের। তাহলে কি স্বপ্নটা অন্য কারও জন্যে তুলে রাখছে মলি? যে জন্য সে প্রেগনেন্ট হতে চাইছে না।

ভূতের মতো গোয়ার্তুমি পেয়ে বসেছে খালেদের। আজ আবার মাঠের দিকে হাঁটতে শুরু করে। মাঠে খালেদ পৌঁছনোর আগেই রুপোর ডিবের মতো চাঁদটা হঠাৎ করে নেমে আসে যেন। সেদিকেই ঘোরগ্রস্ত খালেদ হাঁটতে হাঁটতে এগোয়– মনে হয় অজয়দার মেয়ে বীণার এ্যাবরশন করা বাচ্চাটাই মহাকালের চাঁদ হয়ে ঝুলে থাকে সন্ধ্যা থেকে রাত্তির পর্যন্ত। শেষ রাতে মাঠের মধ্যে নেমে ওর সঙ্গে জড়াজড়ি করে শুয়ে থাকে।