Site icon ৪ নম্বর প্ল্যাটফর্ম

অরুণাংশু ভট্টাচার্য

সোয়েটার

 

লন্ড্রি লন্ড্রি

দর্জির দোকান ছিল
একদিন সেখানে দেখি জামাকাপড় ইস্ত্রি করছে লক্ষ্মীদা
এরও দোকান হয়?
বাইরে তোলা উনানে পাশাপাশি দুটো ইস্ত্রি
একবার বাবার পাঞ্জাবি আর মার শাড়ি—
কী যে আনন্দ… খেলার দেরি হয়ে যায়

 

চৌধুরী ফার্মেসী

ওষুধের একটাই দোকান, সুভাষদা
ওর বাবা সুরেন চৌধুরী খুব পাশা খেলতেন
দোকানে বসতেন একমাত্র ডাক্তার উৎপল কুণ্ডু
আরোগ্যর ইতিহাস
নিমগাছ, তার নিচে মুচি

হ্রস্ব ই-কার থাকলে কখনও চৌধুরী ফার্মেসী হয় না

 

জলঘাট

শুধু বলার অপেক্ষা
ক্লাব, সংঘ, পাড়ার সব কাজই করে দিত সে
মনের আনন্দে, পয়সাকড়ির বালাই নেই
একবার আমাদের ফিস্ট-এ মাংস রান্না করেছিল জলঘাট
তাতে লঙ্কা ছাড়া সম্ভবত আর কিছু ছিল না
কালো, তেল-চকচকে খালি গা
দূরের গ্রহ— এরকম কোনও ধারণাই ছিল না তখন

 

রামভাই

মুকুলকাকুর চা, পাশে বাখরি দিয়ে ঘেরা
কয়লার দোকান, আর রামভাই—
মোহরচিহ্নের মতো বাটখারাসকল;
সে কি বিহার থেকে এসেছিল
বউ ছেলে নিয়ে? বউ কেন পা টিপে দিত?
বেলা সাড়ে দশটা—
উঠোনে এসে হাঁক দিত রামভাই
মা জি— কোইলা…

 

অবনী ডাক্তার

ডাক্তার হিসেবে একটু বিতর্কিতই, এমন গুজব
দুটি ছেলে, প্রায় গবেট
আমার বাবা তাদের পড়াত
হাইস্কুলের কাছে কীরকম যেন দুর্গের মতো বাড়ি
ডাক্তার আফিংয়ের জল খাইয়ে
বাঘকে নাকি বশ করেছিল…

ছেলেরা বড় হয়ে ওষুধের দোকানের মালিক

 

দধীচি

ফরসা, রোগাটে, রুগণও বটে
গলায় তুলসির মালা— নন্দলাল দাস
গামছা কাঁধে স্নান করতে যেতেন
কোনও সীমানা নেই, খালি ঘাস… ঝিঁঝি…
থুরকিনা মাছ
জহরকাকু কেন যে ওঁকে দধীচি বলত!