Site icon ৪ নম্বর প্ল্যাটফর্ম

কেবল নারী নয়, ধর্ষিত হচ্ছে শ্রমিক কৃষকের অধিকার ও গণতন্ত্র

অমিত দাশগুপ্ত

 

প্রতিদিন ধর্ষণের খবর মগজে অবসাদ তৈরি করে চলেছে। ১০ মাস থেকে ৭০ বছর, কোনও বয়সের নারীই আর যৌন ধর্ষকদের কাছে অচ্ছুৎ নয়। লভ্য সকল নারীর উপরই অধিকার কায়েম করতে চায় নারীদেহ-লোলুপ ক্ষমতাবানেরা। তবে এই সমাজে ধর্ষণ কেবল নারীরাই হয় এমন নয়। ইংরেজি অভিধান (Webster) অনুযায়ী, Rape means ‘to seize or take away by power’; অর্থাৎ, ধর্ষণের অর্থ হল জোর করে দখল নেওয়া বা কেড়ে নেওয়া। যৌন ধর্ষণের ক্ষেত্রটি চর্চিত, যেখানে নারীদেহকে দখল নেওয়া হয় জোর করে। সেটি বেআইনিও। কিন্তু জোর করে বহু কিছুই তো নিত্যি কেড়ে নেওযা হচ্ছে এই সমাজে, বহু ক্ষেত্রেই রাষ্ট্রের মদতে, প্রচলিত আইনের মাধ্যমে। যেমন, দখল নেওয়া হয়েছে বা হচ্ছে ভাঙড়ের জমি, আদিবাসীদের জঙ্গল; কেড়ে নেওয়া হচ্ছে শ্রমিকের চাকুরি। সেগুলি কি ধর্ষণ হিসেবে চিহ্নিত হবে না? না, তেমনটা হয় না কারণ ওগুলি আইনসম্মত বা অন্য কথায়, বেআইনি নয়। এই যে, এ রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচনে জোর করে দখল নেওয়া হল বিডিও, এসডিও দফতর, কেড়ে নেওয়া হল মনোনয়নপত্র, জোর করে, মেরে ধরে। সেগুলিকে তো গণতন্ত্রের ধর্ষণ বলেই চিহ্নিত করা উচিত। কিন্তু তা করা হবে না। ওগুলিকেও আইনি করে তুলেছে পুলিশের নিষ্ক্রিয়তা ও মুখ্যমন্ত্রীর বাণী। এভাবেই বিগত বছরগুলিতে ক্রমাগত ধর্ষিত হচ্ছে শ্রমিক কৃষকের অধিকার।

মালিকের আবদারে শ্রম আইনকে লঘু করা

বহু লড়াই সংগ্রামের মধ্য দিয়ে শ্রমিকরা আদায় করেছে বিভিন্ন শ্রম আইন, যা সার্বিক ও সুচারু না হলেও, শ্রমিকদের স্বার্থরক্ষায় সদর্থক ভূমিকা রাখতে কিয়দংশে সক্ষম হয়েছে। এই সমস্ত আইনের মধ্যে আছে কারখানা আইন, শিল্পক্ষেত্রে নিয়োগের নির্দেশাবলি আইন, শ্রমিকদের ক্ষতিপূরণ আইন, মজুরি প্রদান আইন, ন্যূনতম মজুরি আইন, শিল্প বিরোধ আইন, ভবিষ্যনিধি আইন, কর্মীদের রাষ্ট্রীয় বীমা আইন, গ্রাচুইটি আইন, বোনাস আইন প্রভৃতি। এতসব আইন থাকা সত্ত্বেও প্রয়োজনে অপ্রয়োজনে শ্রমিকদের যখন তখন ছাঁটাই করতে মালিকপক্ষ সচেষ্ট থেকেছে। বহু ক্ষেত্রেই আইনগুলিকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে মালিকপক্ষ নিজেদের জন্য সুবিধে আদায় করেছে, কখনও লকআউট করে, কখনও শ্রমিক ছাঁটাই করে। ভবিষ্যনিধি তহবিলে বা রাষ্ট্রীয় বীমার জন্য টাকা জমা না দেওয়া অথবা যথাবিহিত ক্ষতিপূরণ প্রদান না করা ব্যতিক্রম নয়, নিয়মেই তা পর্যবসিত হয়েছে। এতদসত্ত্বেও শিল্পপতি ও মালিকদের যুক্তি যে ভারতের কঠোর শ্রম আইন থাকার ফলে এদেশে শিল্পস্থাপনের উপযুক্ত পরিবেশ নেই। তাদের বক্তব্য, ব্যবসায়ের সুবিধের জন্য শ্রম আইন পরিবর্তন করা দরকার।

মোদী সরকারের কারখানা আইনকে লঘু করার ধূর্ত প্রচেষ্টা

ফলে নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বাধীন জাতীয় গণতান্ত্রিক মোর্চা সরকার ২০১৪ সালে ক্ষমতায় আসার পর থেকেই শ্রম আইন সংশোধনের প্রকল্প গ্রহণ করেছে। যদিও সেগুলি এখনও অবধি পুরোপুরি কার্যকর করতে সক্ষম হয়নি। প্রথমেই কারখানা আইন, ১৯৪৮-কে সংশোধনের চেষ্টা দিয়ে যাত্রা শুরু হয়। কারখানা আইনের আওতায় আসে ন্যূনতম ১০ জন শ্রমিক নিযুক্ত আছে এরূপ বিদ্যুৎ ব্যবহারকারী শিল্প বা ন্যূনতম ২০ জন শ্রমিক নিযুক্ত আছে এরূপ বিদ্যুৎ ব্যবহার না করা শিল্প। প্রস্তাবিত সংশোধনীতে ওই সংখ্যাদ্বয়কে বাড়িয়ে যথাক্রমে ২০ ও ৪০ করার প্রস্তাব করা হয়। কিন্তু সংসদের শ্রম সংক্রান্ত স্ট্যান্ডিং কমিটিতে ওই প্রস্তাব আলোচনার জন্য পাঠানো হলে তা সেখানে গৃহীত হয়নি। যদি ওই সংশোধনীটি গৃহীত হত তাহলে অর্ধেকের বেশি কারখানা ওই আইনের আওতার বাইরে চলে যেত। ফলে সেখানকার শ্রমিকরা কারখানার জন্য প্রযোজ্য বিভিন্ন শ্রম আইনের সুবিধে হারাতেন। একই সঙ্গে কারখানা আইনের বাইরে চলে যাওয়া মালিকদের শ্রমিকদের স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা সংক্রান্ত ব্যবস্থা গ্রহণের যে সমস্ত বাধ্যতা কারখানা আইনে ছিল সেগুলি আর মানতে হত না। খরচ কমত। একেই বলে ‘মোর ইজ অফ ডুয়িং বিজনেস’, অর্থাৎ ব্যবসা করার অধিক স্বাচ্ছন্দ্য। কিন্তু সংশোধনীটি পাশ না করাতে পারলেই বা, শিল্পপতিদের ব্যবসা করার স্বাচ্ছন্দ্য প্রদান না করে কি থাকা যায়? অবশ্যই না। ফলে ভারতীয় জনতা পার্টি নেতৃত্বাধীন সরকার ঘুরপথে ওই সংশোধনীটি কার্যকর করতে চাইল। যে প্রস্তাব সংসদীয় শ্রম বিষয়ক স্থায়ী কমিটিতে রদ হয়েছে সে সম্পর্কে রাজ্যগুলিকে অধিকার দেওয়ার একটি প্রস্তাব পেশ করা হল। যেহেতু এই মুহূর্তে দেশে ২১টি রাজ্যে বিজেপি শাসিত সরকার আছে, সেহেতু রাজ্যে রাজ্যে তারা এই মর্মে সিদ্ধান্ত নিয়ে নিতে পারবে কেবল একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে। একেই বলে হিন্দুত্ববাদী ধূর্ততা।

এদিকে যখন কারখানা আইনের আওতায় থাকা কারখানার সংজ্ঞা পাল্টানোর জন্য রাজ্যগুলিকে ক্ষমতা দেওযার কথা বলা হচ্ছে, তার বছরখানেক আগে লোকসভায় কারখানা আইন সংক্রান্ত নিয়ম তৈরির বিষয়ে রাজ্যগুলির ক্ষমতা খর্বিত করার জন্য সংশোধনী পেশ করা হয়েছিল। ওই সংশোধনীর মূল উদ্দেশ্য ছিল ওভার টাইমের সময় বাড়ানো। কারখানা আইনে থাকা প্রতি ত্রৈমাসিকে ৫০ ঘণ্টার ওভারটাইমের সীমাকে বাড়িয়ে ১০০ ঘণ্টা করার প্রস্তাব করা হয়েছিল। যদি ব্যতিক্রমী অতিরিক্ত কাজের চাপ থাকে তাহলে প্রতি ত্রৈমাসিকে ওই সীমা ৭৫ ঘণ্টা থেকে বেড়ে ১১৫ ঘণ্টা করা হয়েছিল। শ্রমিকদের ৮ ঘণ্টা কাজের সীমারও কোনও অর্থই আর বজায় রাখা হয়নি, তাকে বাড়িয়ে সর্বাধিক ১২ ঘণ্টা করার প্রস্তাব করা হয়েছে। ওভারটাইম বাড়লে শ্রমিকের স্বাস্থ্য খারাপ হওয়ার সম্ভাবনা বাড়বে। শ্রমিকের জীবনযাত্রার মান নিম্নাভিমুখী হবে। কিন্তু সামগ্রিক খরচ কমানোর ও নুতন কর্মীদের নিয়োগ কমানোর জন্য শিল্পপতিদের চাপ উপেক্ষা করার ইচ্ছে বা ক্ষমতা সরকারের ছিল না।

ফিক্সড টার্ম এমপ্লয়মেন্ট

এভাবে ‘ইজ অফ ডুইং বিজনেস’ বা ব্যবসা করার স্বাচ্ছন্দ্য প্রদানের জন্য হন্যে হয়ে যাওয়া সরকার গত বাজেটে ঘোষণা করল ফিক্সড টার্ম এমপ্লয়মেন্ট বা নির্দিষ্ট সময়ের জন্য নিয়োগের কথা। যার মূল কথা হল সেই প্রবাদ, কাজের বেলায় কাজী, কাজ ফুরোলেই পাজি। ফিক্সড টার্ম এমপ্লয়মেন্ট, এই ৩ শব্দের শব্দবন্ধটি ভারতে বিরাজমান শ্রম সম্পর্কের ক্ষেত্রে এক বিষম অবস্থা সৃষ্টি করল। কর্মস্থানে স্থায়ী শ্রমিক শব্দবন্ধটি আগামী দিনে ইতিহাসে পরিণত করার পরিস্থিতি তৈরি করল মোদী সরকার। বাজেটর দু’সপ্তাহ পরে গত মার্চের (২০১৮) ১৬ তারিখে ইন্ড্রাস্ট্রিয়াল এমপ্লয়মেন্ট (স্ট্যান্ডিং অর্ডার্স) এ্যাক্ট এন্ড রুলস, ১৯৪৬-কে সংশোধন করার জন্য ইন্ড্রাস্ট্রিয়াল এমপ্লয়মেন্ট (স্ট্যান্ডিং অর্ডার্স) সেন্ট্রাল (এ্যামেন্ডমেন্ট) রুলস, ২০১৮ জারি করল একটি বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে, যার মাধ্যমে সমস্ত শিল্পক্ষেত্রের জন্য ফিক্সড টার্ম এমপ্লয়মেন্ট চালু করা হল।

স্থায়ী শ্রমিকের বিলুপ্তি

শিল্পে নিয়োগের ক্ষেত্রে নিয়োগকর্তারা কী ধরনের শ্রমিক কী শর্তে নিয়োগ করতে পারবে তা ইন্ড্রাস্ট্রিয়াল এমপ্লয়মেন্ট (স্ট্যান্ডিং অর্ডার্স) এ্যাক্ট এন্ড রুলস, ১৯৪৬ দ্বারা নির্ধারিত হত। কাজের ধরন অনুযায়ী শ্রমিকদের বিভাজিত করা হয়েছিল, স্থায়ী, অস্থায়ী, শিক্ষানবিশ, ক্যাজুয়াল, অবেক্ষাধীন ও বদলি। তার সঙ্গে যুক্ত করা হল ফিক্সড টার্ম এমপ্লয়মেন্ট। ফিক্সড টার্ম এমপ্লয়মেন্টের ক্ষত্রে শ্রমিক একটি নির্দিষ্ট সময়ের জন্য লিখিত চুক্তির ভিত্তিতে নিয়োজিত হবে। চুক্তি নবীকৃত হতেও পারে, নাও পারে। নবীকৃত না হলে শ্রমিকের কাজ চলে যাবে। সরকারি বিজ্ঞপ্তি অনুসারে, ওই রূপ কাজ চলে যাওয়াকে ছাঁটাই হিসেবে গণ্য করা হবে না। ও তার জন্য কোনও ধরনের নোটিশ দেওয়ার দরকার পড়বে না, ও চুক্তিবহির্ভূত কোনওরকম ক্ষতিপূরণ দেওয়ার দরকার পড়বে না। কোনও নোটিশ পে-ও ফিক্সড টার্ম শ্রমিকেরা পাবে না। বিজ্ঞপ্তিতে ফিক্সড টার্ম এমপ্লয়মেন্টের চুক্তিতে শ্রমিক নিয়োগের উপরে কোনও ধরনের বিধিনিষেধ নেই। ফলে যত খুশি শ্রমিককে নিয়োগকর্তা নিয়োগ করতে পারে। চুক্তির সময়কাল নিয়েও কোনও নিষেধ নেই। কেবল একটাই শর্ত যে, ফিক্সড টার্ম এমপ্লয়মেন্টের শ্রমিকরা স্থায়ী শ্রমিকদের সমান মজুরি ও সুবিধা পাবেন চুক্তির মেয়াদ পর্যন্ত। যাতে বর্তমান স্থায়ী শ্রমিকদের শান্ত রাখা যায় তাই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে কোনও স্থায়ী শ্রমিককে ফিক্সড টার্ম শ্রমিকে রূপান্তর করা যাবে না। এই ফিক্সড টার্ম শ্রমিকের নিয়োগের বিজ্ঞপ্তিটি ভারতীয় শিল্পসংস্থায় ‘হায়ার এন্ড ফায়ার’ নীতি চালু করে দিল। সম্বৎসর থাকা কাজগুলিতে আগে স্থায়ী শ্রমিক নিয়োগের বাধ্যতা ছিল। এখন সেই বাধ্যতা আর রইল না। ক্রমশ স্থায়ী শ্রমিকরা অবসর নিলে সমস্ত ধরনের স্থায়ী পদকেই ফিক্সড টার্ম এমপ্লয়মেন্টে রূপান্তরিত করা হবে।

শোষণ, আরও শোষণ, আরও বেশি শোষণ

শ্রমিক ও মালিকের মধ্যে কোনও তৃতীয় পক্ষ থাকার অবকাশ ফিক্সড টার্ম শ্রমিকের ক্ষেত্রে থাকছে না। চুক্তি নির্ধারণের ক্ষেত্রে বা চুক্তি পুনর্নবীকরণের ক্ষেত্রে কোনও মধ্যস্থতাকারী বা আরবিট্রেটরের কোনও ভূমিকাই নেই। নেই কোনও যৌথ দর কষাকষির অবকাশ। ক্রমশ যখন সমস্ত শ্রমিককেই ফিক্সড টার্ম শ্রমিকে রূপান্তর করা হবে, তখন স্থায়ী শ্রমিকদের সমান মজুরি ও সুবিধার বিষয়টি কোনও অর্থই বহন করবে না। এমনিতেই স্থায়ী শ্রমিকদের সমান মজুরি বলতে কী বোঝানো হচ্ছে তাই ধোঁয়াটে। চুক্তি নবীকরণ করার সময়ে অভিজ্ঞতাকে গুরুত্ব দেওয়া হবে না, কোনও নবীনকে স্থায়ী শ্রমিকের সমান মজুরি দেওয়া হবে কিনা সেটা পরিষ্কার নয়। ধরেই নেওয়া যেতে পারে চুক্তি নবীকরণে সময়ে বারবার শ্রমিককে অবেক্ষাধীনকালের মধ্য দিয়ে নিয়ে যেতে চাইবে মালিক পক্ষ, যাতে স্বল্প মজুরিতে কাজ করানো যায়। এভাবে শ্রমিকদের শোষণের পথটিকে আরও প্রশস্ত করা হল।

ব্যবসা করার  স্বাচ্ছন্দ্য না শ্রমিকদের ছাঁটাই করার স্বাচ্ছন্দ্য বাড়ানো

অর্থনৈতিক উদারীকরণের যে রাস্তায় সেই ১৯৯১-এ নরসিমহা রাও-মনমোহন সিং-চিদাম্বরমরা আমাদের জোর জবরদস্তি টেনে নিয়ে গেছেন, সেই একই রাস্তাতেই চলেছে বাজপেয়ী সরকার বা বর্তমান মোদী সরকার। ২০০২ সালে ফিক্সড টার্ম এমপ্লয়মেন্ট চালুর চেষ্টা করেছিল বাজপেয়ী সরকার; পরে মনমোহন সিং-এর সরকার ২০০৭-০৮ সালে পুনরায় তা প্রবর্তন করতে চায়। উভয় ক্ষেত্রেই কেন্দ্রীয় ট্রেড ইউনিয়নগুলির তীব্র বিরোধিতার মুখে তারা পিছু হটতে বাধ্য হয়। কিন্তু প্রবল পরাক্রমশালী মোদী সরকার শ্রমিকের স্বার্থ সম্পর্কে যে কোনওভাবেই সংবেদনশীল নয় তা বুঝিয়ে দিচ্ছে প্রতি পদক্ষেপে। ক্রমাগত চেষ্টা করছে শ্রমিকের অধিকার কেড়ে নিতে। শ্রমিকদের মর্যাদার সঙ্গে বেঁচে থাকার অধিকার এই সরকারের কাছে তুচ্ছ, বরং শিল্পপতিদের ব্যবসা করার স্বাচ্ছন্দ্য বাড়াতে সরকার বদ্ধপরিকর। ব্যবসা করার স্বাচ্ছন্দ্য বাড়ানো বা ‘ইজ অফ ডুইং বিজনেস’ যদি শ্রমিকদের ছাঁটাই করার স্বাচ্ছন্দ্য বা ‘ইজ অফ রিট্রেঞ্চিং বিজনেস’ হয়ে ওঠে, তাহলেও মোদি সরকার ও তার সাঙ্গপাঙ্গদের কিছুই যায় আসে না।