Site icon ৪ নম্বর প্ল্যাটফর্ম

অবচেতন : ক্যাটানিয়ার ডায়েরি

মিহির চক্রবর্তী

 

২০১১ সালে 'গণিতের ধারাপাত ও গল্পসল্প' নামের একটি বই প্রকাশিত হয়ে চমকে দিয়েছিল বাঙালি পাঠককে। লেখক মিহির চক্রবর্তী প্রশিক্ষণে গণিতজ্ঞ এবং নিজ ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন। কিন্ত উল্লিখিত বইটির বিষয়ভাবনায় যা মুগ্ধ করেছিল, তা হল গণিত ছাড়াও সঙ্গীত, কবিতা ও দর্শন ইত্যাদি শাখায় লেখকের অনায়াস যাতায়াত ও তাঁর স্বাদু গদ্য। ২০১৭ সালের বইমেলায় প্রকাশিত লেখকের নতুন বই 'পোর্ট্রেট : ভাবনা, বিচার ও ইচ্ছের পালক' জুড়ে একই ভাবনাসূত্রের বিস্তার। বইটি প্রকাশ করেছেন বইওয়ালা। বর্তমান প্রবন্ধটি এই বই থেকেই নির্বাচিত ও প্রকাশকের অনুমতিক্রমে পুনঃপ্রকাশিত।

অবচেতন নিয়ে কথকতার মুখড়াটি যখন কিছুতেই দানা বাঁধছিল না ঠিক তখনই আমি দাঁড়িয়েছিলাম সেইন্ট আগাথা (Sant Agata)-র গীর্জার দরজায়, সিসিলির ক্যাটানিয়া শহরে। এবং অপরিমেয় বেদনা ও বিস্ময়ে তাকিয়ে দেখলাম আমার রচনার প্রথম বাক্যটি লেখা হয়ে আছে ওই ফটকের পাশেই।

This is the site where Sant Agata
was forced to roll on fire-bed, naked.

বাক্যটিকে এভাবেই রাখলাম কারণ অনুদিত হলে তা আমার কথা হয়ে উঠতো- ঘটনা থাকতো না আর। ওটি তো বাক্য, একটি ন্যারেটিভ, বলতে পারেন কোনো তার্কিক। কিন্তু ওই মুহূর্তটিতে ওইখানে দাঁড়িয়ে গীর্জার ফটকের পাশে খোদিত বাক্যটি আমার কাছে ঘটনাই হয়ে ছিল। বিশেষত যেহেতু আমি দাঁড়িয়েছিলাম ওই নির্দিষ্ট অত্যাচার-ক্ষেত্রটিতে। আগুনের শয্যাটিতে গড়িয়ে গড়িয়ে যেতে থাকা আগাথার নগ্ন শরীর আমি প্রত্যক্ষ করলাম। আরো দর্শক নিশ্চয়ই ঘিরে দাঁড়িয়ে বসে উপভোগ করছিল দৃশ্যটিকে- আর যাঁরা এই বাধ্যতা-সৃষ্টির জনক তাঁরা তো ছিলেনই। আমি বিশ্বাস করি তাঁরা সকলে ছিলেন জনক- জননী ছিলেন না কেহই।

আর আমার পিছনেই ছিল রোমান এ্যাম্ফিথিয়েটারের একটি অবশেষ। অদূরে মেডিটের‍্যানিয়ানের সুনীল জলরাশি।

পোর্ট্রেট : ভাবনা, বিচার ও ইচ্ছের পালক
মিহির চক্রবর্তী
বইওয়ালা
বইমেলা, ২০১৭
মূল্য ২০০ টাকা

এ্যাম্ফিথিয়েটারটি অর্ধবৃত্তাকৃতি, ধাপে ধাপে দর্শকের আসন, মোটামুটিভাবে সুরক্ষিত দূরত্বে- নীচে অর্ধবৃত্তাকার এরিনা। সেখানে দাঁড়িয়ে স্পার্টাক্যুস- দীর্ঘদেহী, হাতে বর্শার মতো একটি মাত্র অস্ত্র। এবং নগ্ন। তিনি এক দৃষ্টিতে লক্ষ্য করছেন দর্শকাসনের নিম্নস্থিত দক্ষিণদিকের সুড়ঙ্গ পথটিকে যেখান থেকে যে কোনো মুহূর্তে বেরিয়ে আসবে ক্ষুধার্ত সিংহটি। নিজেকে রক্ষার জন্য তাঁকে হত্যা করতেই হবে বেচারা প্রাণীটিকে। অথচ প্রাণীটির কথা ছিল অনেক অনেক দূরবর্তী কোন বনাঞ্চলে, তার জন্মস্থানে, ঘুরে ফিরে জীবন কাটানোর।

কেন মানুষ উল্লসিত হবে এমন ঘটনাবলীর অনুষ্ঠান সংঘটিত করে? র‍্যাশনাল জীব হিসেবে তার যে আত্মশ্লাঘা তার কাছে এই প্রশ্ন রাখি- এ কোন র‍্যাশনালিটি?

ফ্রয়েডের কাছ থেকে একটা ব্যাখ্যা পাই- ব্যক্তিমানুষের অন্তর্লীন সৃজনাত্মক ও ধ্বংসাত্মক এই দ্বিবিধ আদিম প্রবণতার তত্ত্বে। প্রথমটি অর্থাৎ ইরস (eros) তাকে ভালোবাসায় নিয়ে যায়। সৃষ্টিতে নিয়ে যায়। দ্বিতীয়টি থানাটস (thanatos) তাকে যুদ্ধে প্ররোচিত করে, অপরকে হত্যা করতে বলে এবং এই হত্যা ও অত্যাচারকে সম্ভোগ করতে শেখায়। আমাদের মনে পড়বে এই তো সেদিন বারাক ওবামা এবং হিলারি ক্লিন্টন তারিয়ে তারিয়ে উপভোগ করছিলেন তাঁদেরই দ্বারা সংঘটিত ওসামা বিন লাদেনের হত্যাকর্মটি- স্পার্টাক্যুস অথবা ক্ষুধার্ত সিংহটির সঙ্গে একই আকাশ-বাতাস-দেশ-কাল খণ্ডে অবস্থান করতে হয়নি তাঁদের, তাঁরা ছিলেন বহুদূরে সুরক্ষিত, সংরক্ষিত, টেলিভিশনের সামনে, অন্য বাস্তবতায়। বিজ্ঞান ও টেকনলজি এই মানব-জমিনে শেষ পর্যন্ত পৌঁছে দিল আমাদের! প্রকৃতির সঙ্গেও তো মানুষ পাতিয়েছে ধ্বংসতামূলক সম্পর্ক- বাঁধো, খুঁড়ে ফ্যালো, কেটে ফ্যালো, জয় করো, সম্ভোগ করো, অন্তত জেনে ফেলার অস্ত্রে তাকে ক্ষতবিক্ষত করো, পতঙ্গটিকে নিয়ে এসো গবেষণাগারে, তার শরীর ফালা ফালা করে জেনে নাও তার গঠনতন্ত্র- এ হত্যায় পাপ নেই। ইনট্যুইশনিষ্ট গণিত তত্ত্বের জনক ব্রুভার (Brouwer)  কী বলছেন তাঁর গণিত প্রবন্ধাবলীর শুরুতে লক্ষ্য করুন- মানব জীবন যাপনে সবচেয়ে অনুকূল পরিস্থিতি  সৃজনের জন্যই তো ইন্ডাস্ট্রি প্রথম প্রথম তার উৎপন্নগুলিকে হাজির করেছিল। কিন্তু সে বোঝেনি যে প্রকৃতির সম্পদ থেকে এই উৎপাদনের অর্থ হল মানুষের সঙ্গে প্রকৃতির সামঞ্জস্যে হস্তক্ষেপ। তার ফলশ্রুতিতে যে বিনাশের সূচনা ঘটেছে তা উৎপাদনলব্ধ সুখগুলির তুলনায় কত গভীর কতই না ভয়াবহ।

ফ্রয়েড বলেছেন, এই ধ্বংসের প্রবণতা থাকবেই, তাই যুদ্ধও থাকবে৷ আইনস্টাইনের একটি আবেদনের উত্তর দিচ্ছেন ফ্রয়েড। ১৯৩২। আইনস্টাইন চাইছেন বিশ্বের শ্রেষ্ঠ চিন্তক ও মনীষীদের জড়ো করে সম্ভাব্য বিশ্বযুদ্ধকে ঠেকাতে। তিনি ফ্রয়েডকে লিখছেন যুদ্ধের ভয়াবহ সম্ভাবনা থেকে মানবজাতিকে রক্ষা করবার কোনো পথ কি তিনি বলতে পারেন? মানুষের মনোজগতের বাসনা ও অনুভূতির অন্ধকার অঞ্চলগুলি বোঝবার মতো চিন্তনক্ষেত্রে তো আমার বিচরণ নেই। আমি নিশ্চিত আপনিই পারেন। কারণ আমার মনে হয় মানুষের মধ্যে ঘৃণা করার ও ধ্বংস করার অন্তর্নিহিত বাসনা লুকিয়ে আছে বলেই যুদ্ধের উন্মাদনায় সাধারণকে জড়িয়ে ফেলতে পারে সামান্য কয়েকজন যারা এই যুদ্ধ চায়। আর সাধারণকে জড়িয়ে না নিতে পারলে যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়া অসম্ভব। বস্তুত সাধারণের কাছে যুদ্ধ তো হাড় হিম করা বিভীষিকা। ‘রাজা যদি যুদ্ধ চায় যুদ্ধ আসে দুর্ভাগ্যের মতো।’

উত্তরে ফ্রয়েড- সারা জীবন ধরে আমি মানুষকে এমন এক সত্যের কথা বলেছি যা গলাধঃকরণ করা তাদের পক্ষে অত্যন্ত কঠিন হয়েছে। এখন, এই শেষ বয়সে, আমি তাদের বোকা বানাতে পারবো না। এই ঘৃণা, এই ধ্বংসের বাসনা মানবমনের অন্তরতম স্থানে বাসা বেঁধে আছে।

কী ভয়ানক এই সত্যকথন!

যেখানে আইনস্টাইন বলছেন, মানবমনের বিকাশকে এমন একটা স্তরে নিয়ে যাওয়া সম্ভব যে স্তরে এই ঘৃণা ও ধ্বংসের মানসিকতা আর থাকবে না।

কিন্তু ফ্রয়েড আরো গভীর এক কৃষ্ণগহ্বরের দিকে অঙ্গুলি নির্দেশ করেছেন। মানব ইতিহাসের প্রথম দিকে তাও যুদ্ধে শারীরিক ক্ষমতা, নৈপুণ্য ও ‘বীরত্ব’ দেখানোর সুযোগ থাকতো। কিন্তু ক্রমে অস্ত্র আবিষ্কারের সঙ্গে সঙ্গে দাঁড়িয়ে গেল এরকম- যার অস্ত্র যত উন্নত সে তত বিজয়ী। এই কথাই তো প্রমাণিত হচ্ছে বারবার। মাও-সে-তুঙ একবার অবশ্য ক্ষীণ স্বরে বলবার চেষ্টা করেছিলেন, ‘অস্ত্র নয় মানুষ’। গান্ধী চাইছিলেন বলতে ‘নিরস্ত্র’ (non-violence)।  বুদ্ধ চেয়েছেন। ইকেদা চেয়েছেন। কিন্তু সে তো চাওয়া শুধু। বাস্তবে দাঁড়িয়ে যাচ্ছে সেই ব্যক্তি-একক বা ব্যক্তি-গোষ্ঠীর অবচেতনে বাসা বেঁধে থাকা ঘৃণা ও ধ্বংসপ্রীতি।

র‍্যাশনালিটির চূড়ান্ত রূপ, অন্তত স্বীকৃত রূপ, বিজ্ঞান ও গণিত। গণিতের প্রসঙ্গ ছেড়েই দিচ্ছি কারণ গাণিতিক প্রক্রিয়া অনেকটাই শিল্পসৃষ্টির প্রক্রিয়ার সঙ্গে তুলনীয় এবং শিল্পসৃষ্টি কতটা সচেতন অথবা র‍্যাশনাল মনের সৃজন তা তো বিতর্কেরই বিষয়। প্রকৃতি বিজ্ঞানের ক্ষেত্রেও, পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও যুক্তিতর্কের সঙ্গে যা অত্যাবশ্যক তা হল কল্পনা। বিগ ব্যাং অথবা কোয়ান্টাম তত্ত্ব শুধু পরীক্ষালব্ধ তথ্য আর যুক্তিতর্ক নয়- অনেকটাই কল্পনা৷ এবং যার ফলে তত্ত্ব বদলাতে থাকে, যার ফলে আইনস্টাইন বলেন ঈশ্বর পাশা খেলছেন না প্রকৃতিকে নিয়ে, যার ফলে আইনস্টাইনের তত্ত্ব রিলেটিভিটি আজকে আবার পরীক্ষার মুখোমুখি। কল্পনার শিকড় শেষ পর্যন্ত কোন অবচেতনে গিয়ে মাটি পায় আমরা নিশ্চিত করে জানি না কেউ। অধ্যাপক মহান্তি তাঁর একটি সাম্প্রতিক বক্তৃতায় একবার বলছিলেন ফ্রয়েডের কথা। বলছিলেন ফ্রয়েডের মতে মানুষের র‍্যাশনালিটির ভিত্তি র‍্যাশনালিটির উপরেই প্রতিষ্ঠিত একথা বলা শক্ত। বরং শেষ বিচারে তা সেই অবচেতন প্রবণতাগুলির উপরই স্থাপিত। মহান্তি নিজেও এই মতের সমর্থন করেছেন বলেও তো মনে হয়। আর রবীন্দ্রনাথ আইনস্টাইনকে বললেন বিজ্ঞান যে জগতের কথা বলে তা বিজ্ঞানীর জগত। বিজ্ঞানের সঙ্গে র‍্যাশনালিটিকে একাকার করে ফেলবার কথা আমরা আর বলি না। বিজ্ঞানের সূত্রগুলি আবিষ্কৃত হবার আগে কেউ র‍্যাশনাল ছিলেন না একথা নিশ্চয়ই কেউ বলতে চাইবেন না। অর্থাৎ বিজ্ঞানের পদ্ধতিই র‍্যাশনালিটির একমাত্র মাপকাঠি নয় এবং ঐ পদ্ধতির মধ্যেও অবচেতন উপস্থিত থাকে এই ধারণার দিকেই ঝুঁকে পড়ছি আমরা ইদানীং।

অবচেতন ঘৃণা ও ধ্বংসের কথা অনেক হল। এবারে অন্য দিকটি অর্থাৎ ইরস অর্থাৎ প্রেম ও সৃষ্টির দিকটিতে একটু ফেরা যাক। আইনস্টাইনের চিঠির উত্তরে ফ্রয়েড বলছেন যেটুকু আশার কথা বলা যায় তা ঐ ইরসের আবাদ করে। অর্থাৎ ঐ আবাদই যুদ্ধের প্রতিষেধক হিসাবে কাজ করতেও পারে। তিনি একথাও বলতে চান যে এই দ্বিবিধ প্রবণতাই প্রত্যেকের মধ্যে ও প্রত্যেক ক্রিয়ায় মিলে মিশে থাকে।

আমি একটু তত্ত্বের বাইরে গিয়ে ব্যাপারটাকে দেখি। ধ্বংসকাণ্ডে উন্মত্তা, কৃষ্ণাঙ্গী, নগ্নিকা ও লজ্জিতা কালীমূর্তির মধ্যে আমি যুগপৎ বিদ্রোহ ও বরাভয় দেখতে পাই। এই আদিম মাতৃপ্রতিমা আমাদের যৌথ কৌম-অবচেতনের অন্ধকার কাদাজলে প্রোথিত হয়ে আছে। এ দেখা হয়ত বাঙালীর, হয়ত বাঙালী হিন্দুর একান্ত। তবে আমি বিশ্বাস করি প্রত্যেক কৌমেরই এমন গভীর কোনো প্রতিমা থাকে যে প্রতিমা থেকে সেই কৌমের মূল জীবনরস প্রবাহিত হয়। কেন আরশিনগরের পড়শি আমাকে হাতছানি দেয়, কেন চাঁদের গায়ে চাঁদ লাগলে আমি উন্মাদ হই, কেন খাঁচার ভিতরে অচিন পাখিটির যাওয়া আসা আমাকে প্ররোচিত করে? এগুলোর থই পাই না আমি কোনো তত্ত্বে। র‍্যাশনালিটি তো নয়ই, হয়ত ইরস। গণিতের একটি সুন্দর রূপ সৃজন-প্রক্রিয়ায় আমি রতির আস্বাদ পাই- বস্তুত সব ক্রিয়েশনই এই অনুভবে স্রষ্টাকে জারিত করে। চেতন দিয়ে আমি অফিস করতে পারি, প্রেম করতে পারি না।

অনেক কথাই তো বলা যায়। কেন একটি যুবক অথবা যুবতী বেরিয়ে পড়ে সব ছেড়ে অনিশ্চিত জীবনে অথবা নিশ্চিত মরণের দিকে- তাদের মনে হয়, না ঠিক হচ্ছে না, বদলাতে হবে, বদলাতেই হবে, এই যে নিশ্চিত, নিশ্চিদ্র জীবন কোনো মানে নেই তার। যুক্তি তর্ক র‍্যাশনালিটি অনেক চলতে থাকে, এটা করতেই হয় খানিকটা। অবচেতন দূরে, একটু দূরে দাঁড়িয়ে মজা দেখে। সেই যুবক অথবা যুবতীটি শেষে ঝাঁপটা যখন দেয় তখন আর যুক্তিতর্ক থাকে না, র‍্যাশনাল ডিসকোর্স থাকে না, থাকে শুধু অবচেতন, ইর‍্যাশনাল- মুখোমুখি বসিবার।

সেদিন ক্যাটানিয়ায় আগাথার (তাপসী মালিকের) দগ্ধ দেহ ও মৃত সিংহটির গায়ে স্পার্টাক্যুসের রক্তাক্ত হাতের আদর দেখা শেষ করে ভূমধ্যসাগরের জলরাশির কাছে এসেছিলাম। জেরি সেখানে একমনে একের পরে এক কাগজের নৌকো বানিয়ে চলেছে। নানা রঙের। আমি ওর কাছে গিয়ে বসলাম। বললাম তুমি আমাকে একটি নৌকা দিলে আমি তা কোলকাতায় নিয়ে যাবো আর একদিন সূর্য ডোবার মুহূর্তে আমাদের প্রিয় নদী গঙ্গার জলে ভাসিয়ে দেবো। তুমি এখানে অথবা অন্য কোথাও আবার রঙিন নৌকো বানাতে বানাতে তাকে ফিরে পাবে।  জেরি একটি সবুজ নৌকো নতুন করে বিশেষ করে বানালো। তাতে লিখলো ওর নাম। আর লিখলো শান্তি আর ভালোবাসা।

সহায়িকা:

১. Einstein-Freud Correspondence (1931-1932), Otto Nathan এবং Heinz Norden সম্পাদিত, Newyork Schocken Books প্রকাশিত (1960) বই-এর অংশ। আমার অগ্রজপ্রতিম বন্ধু কবি অরুণ মিত্রের পুত্র শ্রী রনধীর মিত্রের সৌজন্যে।

২. অধ্যাপক জে. এন মহান্তির বক্তৃতা Reason, Experience and History-  The Wonder that is Science, রামকৃষ্ণ মিশন ইনস্টিটিউট অব কালচার, ২০১০

৩. রবীন্দ্রনাথ, আইনস্টাইন সংলাপ, প্রয়াত পদার্থবিজ্ঞানী অধ্যাপক দীপঙ্কর চট্টোপাধ্যায়ের ‘রবীন্দ্রনাথ ও বিজ্ঞান’ (আনন্দ পাবলিশার্স) বইটি থেকে সংগৃহীত।

 

[মূল লেখার বানান ও যতি অপরিবর্তিত]