Site icon ৪ নম্বর প্ল্যাটফর্ম

সুবীর সরকার

সুবীর সরকার | সাতটি কবিতা

সাতটি কবিতা

 

জীবন

আমাদের জীবনে একটা দীর্ঘ ভূমিকা খুব জরুরি
যেমন হত্যাকাণ্ডের আগে কয়েক গ্লাস জল
কিনে নিচ্ছি জল জঙ্গল জনপদ।
মানচিত্রের গায়ে হেলান দেয় ম্লান আলো
আমরা ফুরিয়ে যাই।
আর চারপাশে কথা

ওড়ে।

 

দুপুর

নদী দেখে ভয় পাই। এদিকে অন্ধ কুকুর স্নান সারছে।
আলো কমে আসলে জঙ্গল ক্রমে ভয়ার্ত হয়ে

ওঠে

মার্বেল খেলার মাঠে বসে থাকা ভরা

দুপুর।

গানের মত এক জীবনে আছড়ে পড়ে গাঙের

ঢেউ।

তারপর রাস্তা হারিয়ে ফেলে বাঁশি শুনি

 

স্মৃতি

বাথানের মহিষকে ঘাস খাওয়াব বলে উন্মাদের

মতো ছুটে গিয়েছিলাম।

আলো হারানো ভোরের ভেতর ডুবে গিয়ে
পুরোন কান্নার স্মৃতি ফিরিয়ে আনতে গিয়ে

আশরীর কেঁপে কেঁপে উঠি।

জীবন ও যাপনের ভেতরে গান বাজে
ফুটো হয়ে যাওয়া নৌকো থেকে লাফিয়ে নামে

মস্ত সওদাগর

সহসা বাদ্য শুনে উড়ে যায় সীমান্তের পাখি
শুন দুপুর, বাঁশ পাতা আর হরিণ নিয়ে আমাদের

আলোচনাসভা

পথে পা রাখি আর পথ সংক্ষিপ্ত হয়।
বিপণীতে বিক্রি হচ্ছে ভাঙা চশমা
চৌরাস্তায় পৌঁছে দেখি কলোনির মাঠে হুডখোলা

জিপ ঢোকে

 

বিকেলতাঁবু

বিকেলতাঁবুর মাথায় নীল রঙের মেঘ
নর্তকী খুঁজছেন পটেটো চিপস
জংশনে দাঁড়িয়ে সিটি দিচ্ছে মেইল

ট্রেন

ঘাসের বিছানায় এখন ডাম্পিং গ্রাউন্ড
মনখারাপ মুছে ফেলে আমরা রুমাল ওড়াই

 

গান

ভুলে থাকি স্বাভাবিক জীবন।
শালিকের ভেজা ডানা আর দূরাগত মেঘের

ছায়ায় চিনে নিতে থাকা পথঘাট

স্মৃতি থেকে যে গান উঠে এল
নৌকো আর নদী আস্ত এক ফ্রেম
পাল্টানো শহরের ডাকবাক্স থেকে কুড়িয়ে আনতে

থাকা চিঠি

আর স্থির হয়ে থাকা পুকুরের জল।
আর প্রমাণ ছাড়াই অভিযোগপত্র লিখি

আমরা।

 

চাঁদ

সাজানো থাকে আপেলগুচ্ছ চাঁদ পিয়ানো
বাতিল ঘড়ির বেল্ট থেকে বরফ গড়াতে থাকে
ভাঙা থালায় ভাত খাচ্ছি।
উনুন থেকে কিছুটা দূরে বৃষ্টি এসে থামে
পানকৌড়ি দেখি, নিরালায় মহিষ
আলো কমে আসছে আমাদের পৃথিবীতে

 

গিটার

আপেল খেতে খেতে ঢুকে পড়ি কনফারেন্স রুমে
ধাক্কা খাওয়ার আগে দেখে নিতে থাকি

রুমাল ও পিচকারি

বোতাম ছিঁড়ে যাওয়া জামা।
হলুদ বেড়ালের থাবা।
চিৎ হয়ে শুয়ে আকাশ দেখি।
ফিসফিস শব্দের ভেতর গিটার

নামছে