পাঁচটি কবিতা
ডুয়ার্স
রাস্তা থেকে অভিমান কুড়োই, শুকনো পাতা কুড়োই
ঝুঁকে পড়া মেঘ ডুয়ার্স পরিধি জুড়ে
আমি মাদলে হাত রাখি। বাঁশি বাজাতে শুরু করি।
নাচ ও গান নিয়ে তুমি ঢুকে পড় গুহার ভিতর।
কনফেস
যারা দেড় ফুট উঁচু থেকে অনায়াসে লাফিয়ে পড়েন
তাদেরকে ব্র্যাকেটের মধ্যে
রাখি
আইসে ভিজিয়ে নেওয়া মাস্ক।
এখন সংরক্ষণ করা হবে পাখির শরীরের
হলুদ
ফুটেজ
বস্তুত বহুরৈখিক খড়মের শব্দ
ভরসা পাই পাখার বাতাসে
ধান তুলে আনে ইঁদুরের দাঁত
জলরঙে গ্রাম আঁকেন টুপি পরা
চিত্রশিল্পী
ঘোড়া আর তার শাবক ঘন ঘন পথ হারায়
এই শহরে
ফুটেজে দেখি গণকবর।
প্রয়াত মানুষের বন্ধ চোখের পাতায়
পিঁপড়ে।
জীবন
এসো, রোদের ভেতর দুহাত মেলে দাঁড়িয়ে থাকি।
পলাশবনে শুয়ে আছে
ডেডবডি
কিছুতেই জোড়া লাগে না ভাঙা কাচ।
মনখারাপ গোছাতে গোছাতে আস্ত একটা জীবন
ফুরিয়ে গেল
থাবা
থাবায় মরা ইঁদুর, চার্চ গেটে বসে আছে বেড়াল
সাদা কার্ডিগান, তুমি অর্গান বাজাতে থাকলে
আমার পৃথিবী কি ভীষণ পালটে যায়!
আর বৃষ্টির দিকে পালিয়ে যায় আমাদের বেড়াল।