পাঁচটি কবিতা
গান
‘বারবার রাস্তা আটকে দিলে খুঁজতে শুরু করি নতুন
রাস্তা’
চমকে দেওয়ার জন্য বেছে নিই মধ্যরাত।
মঞ্চে আলো, চেয়ার, কলম ও
চশমা।
হাওয়ায় তাঁবু উড়ে গেলে
মৃত উদ্যান জুড়ে গান বাজে।
স্মৃতি
স্মৃতিতে বৃষ্টি ভেসে এলে মাঠে মাঠে
ফুটবল
গোলপোস্ট নেই,
শুধু গোলকিপার আছে।
গাছে গাছে হেলান দেয় রোদ।
ঘোরানো সিঁড়ির নিচে দু চারটে
পাখিশাবক।
ধবল বক উড়ে গেলে
বনজঙ্গলে পড়ে থাকে একটানা
শিস।
গিটার
সাদা রঙের বাড়ির পাশে কেউ রেখে গেছে
হলুদ গিটার
হাতঘড়ি খুলে রাখি।
মিউজিয়াম থেকে তুলে আনি হাতকুঠারের
ছবি
দৃশ্য
দৃশ্য বদলে যায়।
না কি দৃশ্যের বদল হয়!
চোরাগোপ্তা খুনের খবরে শিহরণ লেগে
থাকে।
আমরা পিঁড়ি পেতে বসি।
আমরা আপেল খেতে শুরু করি।
গল্পের ভেতর ঢুকে পড়ে শ্যাওড়াগাছ ও
দৈত্যদানব
স্পর্শ করি তপস্যা।
স্পর্শ করি সুড়ঙ্গ।
ঘোলা জলের পুকুরে ব্যাটারি গড়িয়ে
দিই
পুঁথি
সাঁকোর নিচে সরোবর।
সরোবরে ভাসতে থাকে বিলুপ্ত
ভাষা।
মাঠের কিনারে যাই।
সূর্যের আলোয় পড়তে শুরু করি
পুঁথি।


দারুণ