
নীহারকান্তি হাজরা
সানুদেশের দিন
তুড়ুক গিদরোর স্বপ্নের পরকুল
বনজ নানা ফলের প্রসঙ্গে মনে এসে গেল আমার সাঁওতাল মাসির কথা। আমাদের মাটির বাড়ি থেকে কিছুটা হাঁটলেই লেদি পাহাড়ের নিচে আম-তেঁতুল-জাম-মহুয়া-কুসুম-বেল-নিম আর পলাশগাছের নিবিড় ঘেরার মধ্যে একটা গ্রাম, এখানেই ছিল আমার সেই মাসি, যে আমাকে বলত ‘তুড়ুক গিদরো’। আমাদের বাড়িতে এলে আনত আগের পর্বে বলা ওই সব ফল। মাইল খানেক দূরের এই পথ পার হয়ে মাঝেমাঝেই আমি চলে যেতাম মাসির ঘরে। একটা ভয় ছিল— কুকুর। আর শুয়োরের পাল। বেশ মোটা সোটা কুকুরগুলো ছিল শিকারের সঙ্গী। গ্রাম ঢোকার মুখে বাবুইঘাসের সবুজ ক্ষেত। একটা বড় জামগাছের ডাল থেকে নিচে ঝোলানো যুক্ত চিহ্ণের মতো ছোট দুটো কাঠ আড়াআড়ি লাগানো। একজন বুড়ো বসে এটা ঘুরিয়ে ধরিয়ে দিচ্ছে একটি একটি করে ঘাস। বোনা হয়ে যাচ্ছে দড়ি। উঠোনে চাটাইয়ের উপরে মেলে দেওয়া মহুয়া। গ্রাম জুড়ে মহুয়াগাছের নিচে বিছানো চাটাইয়ে অবিরাম টুপটাপ করে পড়ছে ওপরে নিচে খোলামুখ গোলাকার হলুদরঙের সরস মহুয়া। সকল পাতা ঝরে যাওয়া প্রশাখাপ্রান্তের আনত ডগার জড়ো হওয়া মুখগুলি থেকে আজকালপরশুর ক্রম ধরে ঝরে যাওয়া মহুয়ার ঘন গন্ধের দাপট। এর সঙ্গে আর যা রোদ খায় তা হল তেঁতুলের চৌকো গাঢ় খয়েরি বীজ। এ দুটো সেদ্ধ করে গুড় দিয়ে খাওয়া চলে সময়ে আর অসময় ধরে। গ্রামপ্রান্তে লাগানো জনার (ভুট্টা)। এগুলি খাওয়া হয় চালের অভাবে। সেদ্ধ করে। জমা থাকে মাটির বড় হাঁড়িতে।
অবাক চোখ স্থির হয়ে পড়ত কটি জিনিসের ওপর: পাহাড়ের পায়ের কাছে জমে থাকা জলের বয়ে যাওয়া তিরতির স্রোত, সেখানে মাজা বাসন: সোনা–রুপোর মতো ঝলমলে। সেখানেই স্নান। ঘরগুলোর আশ্চর্য নিপুণ পলেস্তারা মৌঢাল সিমের খোলা দিয়ে অর্ধবৃত্তে মাজা। খড়ের ছাই আর তরল গোবর মিশিয়ে চূড়ান্ত প্রলেপ। সব শেষে গিরিমাটির সীমা-রেখা মোটা দাগে (লেদি পাহাড়ের উপরে মিলত গাঢ় খয়েরি রঙের নরম পাথর)। হরিতকি আর সিমপাতার সবুজ ছেনে বৃত্তাকার ফুল-লতা-পাতা, উদ্দাম রেখায় মানুষের নাচের আদল। ঘরের পিছনের দিকে খাঁজকাটা গাঙদেয়ালে অবসরের বসা। বারান্দায় ঝোলানো মোরগের পালক-সাঁটা তির আর ধনুক। বড় আর ছোট মাপের কুঠার। তীক্ষ্ণ বর্শা, মাদল— একটি, দুটি, তিনটি। পাহাড়ি বাঁশের তৈরি ছোট বাঁশি। উঠোনে কোদাল-গাঁইতি। পাহাড়ি বাঁশের কঞ্চিতে বোনা ঝুড়ি। বাঁশের বাতার দরজা। দেওয়ালে গবাক্ষ। তাতে লম্বা করে গাঁথা মাপের কঞ্চি। উঠানে পাতা বেশ কটা শাল-বল্লার ফ্রেমে বোনা বাবুইদড়ির খাট।
তুড়ুক গিদরোকে মাসি ওইসব বুনো ফল খেতে দিত সোনার মতো বাসনে খাটে বসিয়ে। আজও মনে আছে গ্রামটা অর্ধ-বৃত্তাকার। সামনে প্রশস্ত ভূমি। পরে জেনেছিলাম ওইখানে ঘটে বসন্তরাতের জ্যোৎস্নায় নাচ আর চালের হাঁড়িয়া বা মহুয়ার পানাসর। জানগুরুর বিচার। মোড়লের বিবাহের থাক মেলানো। এই অকৃত্রিম সরল, একান্ত প্রাকৃতিক, অনবদ্য সভ্য, আপনাতেই মগ্ন মানুষগুলির ছবি আমার মনে ঠিক সেই স্থানটিতেই স্থির হয়ে আছে। আমার মনে আছে মাসি আমাদের দেওয়া কোনও কিছু খেত না। পরে জেনেছি ছোঁয়া হলেও খাবে না। সে-সময় দেখা আর যা মনে আছে— এদের পথ চলা শ্রেণিবদ্ধ শৃঙ্খলায়, পুরুষদের হাতে একটি ছোট হাতকুঠার— বালাছা, যে কোনও বয়ে যাওয়া জলের ধারে এদের বাস, পড়তি সূর্যের আলোয় বাতাসের শব্দের সঙ্গে মেয়েদের মিলিত মিহিসুরের গান।
কয়েকবার শুনেছি একটা বাজনার তাল ভোররাত্রে। গিডি গিডি গিডি ঢপ— অবিচ্ছিন্ন। তখন এর কোনও অর্থ আমার কাছে ছিল না। পরে জেনেছিলাম এর মাধ্যমে এটা একটা বিজ্ঞপ্তি জারি হল। চারপাশের গ্রাম থেকে যেগুলো তখনও আমার অগোচরে, সাঁওতাল পুরুষ-রমণী জড়ো হবে সেইখানে যেখানটিতে গ্রামপ্রান্তে লেদি পাহাড়কে সাক্ষী রেখে কতগুলি বড় বড় নিকষ কালো পাথরের চাঁই, এগুলি ঘিরে ঘন নিবিড় শাল, শাল আর শাল। পিছনে লাল পলাশ আর পলাশ। সামনে একটু সঘাস জমি। সেখানে প্রাকৃতিক ফুলে ঢাকা গুটিকয়েক শিলা জহের থান। এখানেই বসন্তে পত্রহীন শালের পুষ্পিত শাখার অংশভাগ নিয়ে পুরোহিত মোড়লের কাছে দিন ঘোষণা করে দেবেন কবে পড়বে ‘বাহা’। এবং সেই ঘোষিত দিনে যখন সাদা-সাদা শালের মঞ্জরীর পুরু আস্তরণ তৈরি হবে জহের থানে, সকল দৈবী কর্মের অবসানে লেদি পাহাড়ের গা ঘেঁষে যখন উঠবে আলগা খয়েরি-হলুদ-রক্তাভ চাঁদ, লাল পলাশের বৃত্ত ভেদ করে ওদের মাদল আর নাচের তালে তালে দুলবে আকাশ, দুলবে পাহাড়। শরীরে জড়ানো ছায়া ক্রমশ দীর্ঘ হয়ে শূন্যে চলে যাবে— ওরা নামবে স্নানে।
এই মানুষগুলির জীবনের একটা প্রধান অনুষ্ঠানে থাকার কথা মনে আছে— পরকুল। পৌষ সংক্রান্তির আগের দিন রাতের খাওয়া সন্ধের পরে শেষ হতেই ঘরের পাশে এসে দাঁড়াল দুটো গরুর গাড়ি। পুরু খড় বিছানো। ওপরে মোটা সতরঞ্চি। পিছনের দিকে হাওয়ার বাধা একটা ঝালর। গাড়ির ওপরে ছই। বেশ শীত। যা ছিল, যা সম্ভব, সবকিছু অঙ্গে চাপিয়ে আমরা সকলে দুটো গাড়ির সওয়ার। গাড়ি চলবে সারারাত। খানিকক্ষণ খেয়ালে রইল পথ। আমরা রঙ্কিণীতড়া আর গ্যাঁড়া সাধুর আশ্রম পার হতেই জনপদের শেষ লন্ঠনের আলো মুছে গেল। এবার নিরেট অন্ধকারে গরুর গাড়ির চাকার লোহার বেড়ের চাপে লাল রাস্তার পাথরকুচির নিরন্তর বসে যাওয়ার শব্দ মাত্র জেগে রইল। গাড়োয়ানের বসার আসনের নিচে ঝোলানো লন্ঠনের আলো নিবিড় বনভূমির গায়ে ধাক্কা দিয়ে সুড়ঙ্গ কেটে চলেছে। পাঁজরে পাঁজরে ঠোকাঠুকির যন্ত্রণায় ঘুম ভাঙতেই দেখলাম গাড়িটার সামনে গাড়োয়ান স্থির মসিরেখা। তাকে ডিঙিয়ে আকাশটা এখনও জাগেনি। কিন্তু এই প্রবল শীতেও কোথাও বহু দূরে একটা শব্দের তরঙ্গ ওঠানামা করছে। মহুয়ার সময় পার হয়ে গেছে, অতএব ভালুকেরা গর্তে। নেকড়ের পাল হতে পারে। ভয়ের একমাত্র ত্রাণ মাথায় কম্বল টেনে নেওয়া। কতক্ষণ মনে নেই চারিদিকের অখণ্ড নিস্তব্ধতার মধ্যে সামনে পিছেনে একটা শব্দে জড়ানো চোখ খুলে গেল: ঠা ঠা ঠা হেঁই রো রো… গরুগুলোকে নির্দেশ থামার। চারপাশে একটানা সুরের ওঠানামা। জড়ানো চেখে খুলে একবার তাকিয়ে গাড়ির পিছনে লাফ দিয়ে নেমে দেখি সেই অপার বিস্ময়… ভোর ছড়াচ্ছে চরাচরের দিগন্ত ছুঁয়ে। পূবের আকাশে চিরস্থায়ী তারাটির খানিকটা আলো। আমার সামনের সেই বিরাট পরিসরে দিগন্তজোড়া কালো বনভূমির স্তম্ভিত অবস্থান। তার ভিতর থেকে কিংবা কোনও উজ্জ্বল ধূসর স্বচ্ছ নির্বিকার আকাশের ভিতর থেকে সেই একই রং মেখে দ্বিধারা বয়ে চলেছে— কংসাবতী বা কাঁসাই বা কপিশা আর কুমারী নদীর প্রয়াগ। সুরে সুরে সুরে ভরে যাচ্ছে উত্তল আকাশ। ওরা নেমে আসছে আমার সামনে পিছনে ডাইনে বাঁয়ে, চারিদিক থেকে। গলায় একই ওঠানামা সুর। তারপর ওই বিশাল সম্মিলিত জলরাশির মধ্যে পুঞ্জ পুঞ্জ প্রাণের অবগাহন— পরকুল! পরকুল!
এই দৃশ্য আজও সেই রং-রেখা নিয়ে আমার মনে রয়ে গেছে। রইল না বাস্তবে। সভ্যতা বদলায়। সভ্যতা বদলে দেয়। সেই সময়ের আকাশ আর নদী বলে দেয়নি, এখানেই একদিন তাদের অবরোধ করবে কংসাবতী ড্যাম। চিরকালের জন্য হারিয়ে যাবে সেই সম্মিলিত জলধারার কেন্দ্রটি: পরকুল!
রুদ্ধদ্বার মন্দির আর চিঁড়ে–মুড়কির গাছ
এর পরে ঘটেছিল আর একটা অভিজ্ঞতা। এবার একদিন কার্তিকের মাঝরাতে দুটো গরুর গাড়ি থামল। আয়োজন সেই একই। যাওয়া হবে কুড়ুল পাহাড়। লাল ধুলোর পথ। আবহ পুনর্ভব। বলদগুলোর উপরে গাড়োয়ানের সেই একই অব্যয়-ধ্বনির বর্ষা। একটা সময় ভোর হল বনভূমিপ্রান্তের একটা ছোট উপত্যকায়। ঘোষেদের গ্রাম। একদিকে জড়াজড়ি বেশ কিছু মাটির বাড়ি। বিপরীতে বেশ খানিকটা জায়গা শালবল্লার মাচা। ওপরে পাতার ছাউনি। পারিবারিক গোঠ। এর মধ্যেই শেষ হয়ে গেছে দোহনের কাজ। তারা সব চলে গেছে চারণে বনভূমির মধ্যে। কেবলমাত্র শুয়ে বসে আছে বেশ কয়েকটা গরু-মোষের বাছুর। গুচ্ছ তৃণের ডগা মুখে নিয়ে সেগুলিকে আয়ত্তে আনার অভ্যেস করছে। তাদের স্তূপাকার পবিত্র বর্জ্যকে কেন্দ্র করে সশব্দে ঘুরছে ডাঁশ মাছি। ঘরগুলোর একদিকে টুকরো কাঠের চৌকো করে সাজানো থাক। জ্বালানি। এসব পার হয়ে ছোট গ্রামটা ছুঁয়ে একটা বিস্তৃত জলাশয়। সরোবর। এর উপরে ধাপে ধাপে উঁচু হয়ে ওঠা বনভূমি। জলের ধারে কচি শালের দাঁতনে কুল্লি। তার রসজ গন্ধ এখনও নাকে। তারপর সাগ্রহ সলাজ কৌতূহলী পুরনারী-বালা। মাটির চওড়া বারান্দায় উপযুক্ত ভাঁজ করে পাতা কম্বল। তার সামনে পড়ে গেল কাঁসার ‘পলারি’, মানে ফলার। কানাউঁচু থালা। প্রথমে পড়ল চিঁড়ে। তারপর থালাভরা দুধ। আখের সোনালি গুড়। তারপর বনের দিকে যাত্রা। পথে মিলবে ‘চিঁড়ে-মুড়কির গাছ’— অদ্ভুত এক গাছ, যার সাদা চ্যাপটা, গুড়-রঙের ছিটে দেওয়া ফলগুলো কল্পনায় হয়ে গিয়েছিল চিঁড়ে আর মুড়কি, কারণ কোনও এক অজানা অতীতের বিশ্বাসে এ পথ ধরে একটি মন্দিরের দিকে যাওয়ার সময় যাত্রীদের পুঁটুলি থেকে ক্রমাগত চিঁড়ে আর মুড়কি পড়তে পড়তে তা থেকেই এ গাছ গজিয়ে উঠেছিল! এগুলি নিয়ে পাহাড়দেবীর কাছে যাওয়ার নিয়ম। সরোবরের একটা ছিট পার হয়ে ওপারে একফালি ডাঙার মাথায় একটি অর্ধ-বৃত্তাকার পাথরের সম্পূর্ণ সবুজ-বর্জিত নিকষ কালো পাহাড়। দুই প্রান্ত ঢালু হয়ে সঘন অরণ্যে মিশেছে। তারই দক্ষিণপ্রান্তে একটি অনিশ্চিত স্থান থেকে কুল কুল করে স্বচ্ছ জল বেরিয়ে পাহাড়ের একেবারে নিচে, তারই গায়ে একটি সঙ্কীর্ণ প্রাকৃতিক পাথুরে নালাকে পূর্ণ করছে। সেঁচে দিলেই, আবার পূর্ণ হচ্ছে। সেঁচে না দিলে নালার জল বাড়ছে না। এবার দুটো একটা খাঁজ ধরে সেই মসৃণ পাথরের গা বেয়ে ওঠা। তারপর
সেই বিস্ময়! সজোরে পায়ের কদম ফেললেই ভেতর থেকে একটা গুম গুম ধ্বনি কল্লোলিত হয়ে ফিরে আসছে। এখানে একটা মন্দির ছিল এক সময়। রাজা আসতেন, রানিমা আসতেন। চিঁড়ে আনতেন, মুড়কি আনতেন। আজ শুধু কত চিঁড়ে-মুড়কি গাছ। আর ওই যে দক্ষিণে সমতলে পাহাড়ের গায়ে একটি চতুষ্কোণ খাঁজ, ওটিই ছিল মন্দিরে ঢোকার একমাত্র দরোজা। এর একটা কঠোর নিয়ম ছিল। ষোড়শোপচারে জগদ্ধাত্রীর পুজো করার পর পুরোহিত বার হয়ে এলে আর কোনও কারণেই দ্বিতীয়বার ঢোকার কঠোর নিষেধ। একবার পুরোহিত পুজো শেষ করে দেখলেন গামছা ভুলে এসেছেন। সেটা আনার জন্য দ্বিতীয়বার ঢুকতেই দরোজা নাকি পাষাণ হয়ে গেল। ওই সেই দরোজা।
চন্দ্র ময়রার ঘরে গভীর রাতে দড়ির খাটে শোয়া আমার ঘুমে ওই পাহাড়ের ভিতরের গুমরানো শব্দ আসাযাওয়া করত। আমি ব্যাকুল হয়ে উঠতাম বন্ধ দরোজায় পুরোহিতের ব্যাকুল অক্ষম করাঘাতের শব্দে। তারপর একটা সময় আমিই হয়ে উঠব সেই নাম-না-জানা পুরোহিত। ভয়ানক কালো মসৃণ সেই পাহাড়ের ভিতরের আরও নিকষকালো অন্ধকারে বন্ধ দরোজার ওপারে একটু আলোর আকাঙ্ক্ষায় আমার দম বন্ধ হয়ে আসবে। বাইরে না বেরোতে পারার ভয়। ভয়ের হিম।
অনেক পরে আরও দুবার আমি ওখানে গেছি। তখন সততই ‘কী’ এবং ‘কেন’-র জগতে আমার বিচরণ। সেই সরোবর শুষ্ক। অরণ্য লালমাটির হাড়গোড় বার করে পিছিয়ে গেছে বহু দূরে। পাহাড়ের পাথুরে নালায় থিতিয়ে থাকা জল আর তার ঝর্নাও নেই। পাদদেশের চিঁড়ে-মুড়কির গাছগুলো আছে কিন্তু সেদিনের বিস্ময়রসের বিশ্বাস নেই বলে সেগুলো নেহাতই আগাছার ডগায় কতগুলো ক্ষুদ্র সাদা-রক্তাভ কোনও অনামা ফল মাত্র। পাহাড়ের গুমরানো ধ্বনি আমাকে নিশ্চিত করলে যে, পাহাড়টা কোনও প্রাকৃতিক কারণে ফাঁপা। চতুষ্কোণ চিহ্নটাতে খুঁজে পাওয়া গেল না কোনও দরোজার আদল।
[ক্রমশ]
কি সুন্দর বর্ণনা ! প্রতিবছর শীতে মামাদের বাড়ি থেকে গরুর গাড়ি চেপে একটি সাঁওতাল পল্লীতে যেতাম ধানের ভাগ আদায় করতে । সেই বিস্মৃত ছোটবেলা ফিরে এলো এই নিখুঁত বর্ণনায় ।
দেবাশিস সরকার।