চারটি কবিতা
ময়দানে একাকী অশ্বারোহী
মর্গের শৈত্য নেমে আসছে শহরে ফ্ল্যাগমার্চ করে
সান্দ্র কুয়াশা ভেদ করে তুমি আসতে পারো—
এই সম্ভাবনা বাঁচিয়ে রেখেছে আমাকে
ময়দানে একাকী অশ্বারোহী
তুমি জানো না বোধহয় তা
জানলে এত দেরি করতে না
অন্য সবকিছুর মতো নিষ্ঠুরতার ফিল্ডেও তুমি এক নম্বরে
তুমি সেটা প্রমাণ করে দিলে আবার
শুধু তোমাকে ভালবাসি বলে
কোর্টমার্শালে
তোমার পরিবর্তে
স্বেচ্ছায় আমি ঢুকে যাচ্ছি
অশ্লীলতার দায়
অশ্লীলতার দায়ে পাঁচদিনের জেল হওয়া উচিত ওই পাঁচটা পায়রার
যারা, ঘুমন্ত তোমাকে দেখে জানালায় বসে বসে প্রাণভরে
দেখে, আলোর ফলা বিদ্ধ করে তোমায়
তোমার কপালে অবাধ্য চুলের গোছা, তোমার ঈষৎ স্ফীত স্তনবৃন্ত
আর ঠোঁটে ব্যঙ্গাত্মক মৃদু হাসি
আর চারশো মাইল দূরে বসে
হিংসায় জ্বলেপুড়ে ছারখার হই আমি
বেদুইন
এসো, বসো এখানে দু-দণ্ড এই শীতলপাটিতে
এই খোলা ছাদ আদতে মরূদ্যান
এই শীতের স্বল্পায়ু দুপুরে
গায়ে একটু রোদ্দুর লাগুক,
শৈত্য কাটবে, জড়তাও
নাও, কমলালেবু খাও কয়েক কোয়া,
খোসা ছাড়িয়ে দিচ্ছি আমি
তারপরে যেও যেখানে ইচ্ছা
উপলব্ধি বা নির্বাণপ্রাপ্তি
দারুব্রহ্ম, দারুব্রহ্ম, তোমাতে মিশে যাব মরণকালে
সমস্ত স্নিগ্ধতা নিষ্পেষিত করে পূর্ণদৃষ্টিতে সে তাকালে
ব্যাকগ্রাউন্ডে বিঠোফেন বেজে ওঠে— মুনলাইট সোনাটা
কান্না পেয়ে যায় কেন জানি না
রাস্তা দিয়ে কদম্ব কচলে দিয়ে সশব্দে ছুটে যাই
আসলে আমার গায়ে পিওর কটন শার্টের আদলে নিষ্ঠুরতা
জড়ানো আছে
দারুব্রহ্ম, তুমি জানো সবই
দিনের শেষে সমস্ত কিছুই কার্বন রিজার্ভ