Site icon ৪ নম্বর প্ল্যাটফর্ম

একটা উপন্যাসের নাম হতে পারত, গুর্দুম

সোহম দাস

 

একটি অতএব-মুখরতা ও আশ্রয়

আসার কথা বুঝি বা ছিল অনেক আগেই। হয়তো তিন বচ্ছর আগে, কি দুবচ্ছর। ভাগ্যিস আসা হয়নি। নিরন্তর অপেক্ষার পরে একবিন্দু পাথরকুচি পাওয়ার আনন্দ একবার চেখে ফেলা অভিজ্ঞতার মধ্যে হয়তো সবসময়ে থাকে না। সেই নতুনকে দেখার মধ্যে চিরাচরিত পালিয়ে যাওয়ার রুটম্যাপ খোঁজা। কোভিড সময়ের ক্ষত সারিয়ে ওঠা আগামী দশ বছরেও সম্ভব হবে বলে মনে হয় না, যদি না আমাদের চরম সৌভাগ্যের ফলে একটি যথার্থ কল্যাণকামী সরকার গঠিত হয়। সে আশায় আপাতত বালুকা ও জল। তবে নিজস্ব কিছু জিরিয়ে নেওয়ার পরিসরের প্রয়োজন হয়। তাও খানিক ক্ষত সারায়।

অতএব, খুঁজি।

পাহাড় দেখিনি অনেকদিন। জংলি ফার্ন আর শ্যাওলার আলিঙ্গন দেখিনি। পাহাড়িয়া মানুষদের ছোট্ট কাঠের বারান্দায় কালো প্লাস্টিকের পাত্রে অর্কিডের ঝাড় দেখিনি। গাড়ির মধ্যে উথালি-পাথালি করে যাওয়ার সময়ে এই একই রাস্তায় পড়ন্ত বিকেলে একা একা হেঁটে যাওয়ার যে ভাবনা ভাবার চিন্তা আসে মনে, সেই ভাবনার প্রান্তর খুঁজে পাওয়া হয়নি অনেকদিন। নামহীন তিরতিরে সরু জলধারাকে দেখে কেবল কেবল তার নাম জানতে চাওয়ার ‘আর্বান স্টুপিডিটি’-র কথা ভেবে নিজেকে নিয়ে হাসতে চাওয়াও হয়নি অনেকদিন।

অতএব, চলি।

সিঙ্গালিলার অরণ্যময় পর্বতশ্রেণি। পশ্চিম দার্জিলিং। ছোট্ট গ্রামটির নাম গুর্দুম। অভিমানী কিশোরীর মতো মেঘলা-সুন্দর সে। মূল রাস্তা থেকে ক্রমাগত সিঁড়ি ভেঙে ভেঙে ওপরে উঠতে গিয়ে হাঁফ ধরতে বাধ্য। গ্রামের অত শক্তসমর্থ মানুষগুলোও কিছুটা উঠে গিয়ে দাঁড়িয়ে নিঃশ্বাস ফেলতে থাকে দ্রুতগতিতে। গুর্দুম যেন তার সমগোত্রের সকলের প্রতিনিধি হয়ে বারবার বোঝাতে থাকে, এ রাজ্য কেবল আমার। তোমরা আশ্রিত মাত্র। সে দম্ভ সয়ে নিতে হয়, ধারণ করে নিতে হয় এই কষ্টও। কারণ তার শরীরী প্রত্যঙ্গের খাঁজে খাঁজে লুকিয়ে থাকা যে বিস্ময়।

অতএব, উঠি।

 

আরোহন নয়, অবরোহনেই ভস্মাহুতি

তোমাকে হয়তো এখনও বোঝাতে পারব না আমি যে, কেন আমার এখনও মনে হচ্ছে, আমি ওই যাকে বলে ট্রেক করা, তা করে উঠতে পারিনি। যেসব প্রামাণ্য ছবি বা যাকে তোমরা ওই কারিগরি পরিভাষায় স্থিরচিত্র বা আলোকচিত্র বলে থাকো, সেগুলো রয়েছে, তা দেখে তুমি আমাকে বলতেই পারো যে তাহলে ওইদিন জঙ্গলের সুচিন্তিত পথছায়া দিয়ে হাতে প্রমাণ আকারের লাঠি সহ কে হেঁটে গিয়েছিল কিংবা কে-ই বা বারবার রক্তিম চোখের বদলে ক্যামেরার কাচলেন্সকে ব্যবহার করছিল? তবু তোমাকে কীভাবে বলব যে ও আমি নই।

আসলে কেন আমি একথা বলছি, তুমি হয়তো অনুধাবন করতে পারবে একটু তলিয়ে ভাবলেই। সেদিন আমরা যাত্রা শুরু করেছিলাম সকাল ৯টায়। তোমাদের তখন উইকএন্ড। ঢিলে দেওয়া দিন। নির্বাচনী প্রচারের ম্যারাথন দৌড় চলছে, যে ম্যারাথন দৌড় কত ভয়ঙ্কর বিপদ ডেকে আনবে, তা তোমরা কি পাহাড়ের ওই আমুদে লোকগুলো কেউই বুঝতে পারোনি। যাইহোক, কথায় ফিরি। হ্যাঁ, জঙ্গলের মধ্যে দিয়ে আমারই কোনও যমজ ভাই, যার জন্ম হয়তো আমারই সঙ্গে, একই মুহূর্তে, আবার যার মৃত্যুর তারিখও লেখা আছে আমারই অন্তিম সেকেন্ডের থমকানিতে, সেই যমজ ভাই হয়তো ছিল। হাতে লাঠি, গলায় ঝোলানো বড় কালো ক্যামেরা, এবং আরও আরও।

জঙ্গল দিয়ে সে যাচ্ছিল। হাঁপানি ধরছিল, অত ঠান্ডাতেও সে ঘেমে যাচ্ছিল, আর মাঝে মাঝে থমকে দাঁড়াচ্ছিল। মাঝে মাঝে ওই যে পাসান ভাই, তাদের পথনির্দেশক, সেই পাসান ভাই তার সুচারু লাঠি উঁচিয়ে চেনাচ্ছিল, ওই টংলু, ওই স্লিপিং বুদ্ধ, ওইদিকে সান্দাকফু। কিন্তু মেঘের ধোঁয়াটে রহস্য ভেদ করে সেসব ঠাহর করা তার পক্ষে অসম্ভব ছিল। পাসান ভাইয়ের কথায় আমি পরে আসব। আমার যমজ ভাই আমারই মতো। সে-ও ভাবে আরও একটু গেলেই বুঝি বা স্বর্গরাজ্য। উদ্ভিদের নিজস্ব ঘরানা হয়, জানো তো? সেই ঘরানা আস্তে আস্তে সুরবদল করে। আমার যমজ ভাই তা দেখেছিল। ঘনত্ব কমে আসার মুগ্ধতা। প্রাকৃতকে বুঝতে চাওয়ার লোভ আছে সকলেরই। এমন সুযোগ কি আর সবসময়ে ফুঁড়ে ওঠে?

ক্ষেতে সেথা সাদা মুলোর ফুল
যত দূরেই যাই

চিরহরিৎ, ক্রান্তীয়, বর্ষাশ্রিত। গ্রামকে ঘিরে রাখে যে দণ্ডায়মান অরণ্যভূমি। সেই অরণ্যভূমিকে ছাপিয়ে আবার এসে পড়ে এক অবাধ বিচরণক্ষেত্র। আকাশের মাঠ, মাঠের আকাশ। তাদের অভিসার-মাঝে ওই তিনটি সভ্যজগতের দূত যেন অনুপ্রবেশকারী। ধূসর সবুজ শষ্পভূমি সেখানে শুয়ে থাকে আকাশের মিলন-ক্রোড়ে। সেখানেও প্রাণের জন্ম হয়। কচি লোমশ গায়ে জিভ চেটে দেয় মা। ওপারেই আবার নেপাল। পাহাড় কি আর সীমানা মানে?

ধূসর সবুজ শষ্পভূমি যেখানে শুয়ে থাকে আকাশের মিলন-ক্রোড়ে
রেখেছি যতনে
সেখানেও প্রাণের জন্ম হয়। কচি লোমশ গায়ে জিভ চেটে দেয় মা। ওপারেই আবার নেপাল

ফুলের রং বদলায়। গাম্ভীর্য কমে আসা মোলায়েম স্বরের রং এক। হালকা গোলাপির লকটি। হালকা নীল কিংবা হালকা বেগনিরাও হয়তো আছে এদিক-ওদিক। মেঘেদের চরিত্র বদলায়। আরও গায়ে লেগে আসে তারা। তারপরেই পালিয়ে যায়। দুঃখের ঘনত্ব বদলায়। বেশি উচ্চতায় বুঝি স্মৃতিও খানিক প্রয়োজনে বিশ্বাসঘাতক হয়। সে বিশ্বাসঘাতকতাটুকুই আমরা চেয়েছিলাম। এই ‘আমরা’য় আমি নেই, বিশ্বাস করো। আছে আমার ভাই, সে, আর পাসান।

বাহারি লকটি
মেঘেদের চরিত্র বদলায়। আরও গায়ে লেগে আসে তারা‌। তারপরই পালিয়ে যায়
ভাঁড়ারের বিষয়আশয়

তারপর ওরা নামতে শুরু করেছিল। লাল পাণ্ডার বাসস্থানকে নিরাপদে রেখে ওদের এগিয়ে যাওয়া ছিল। স্থানীয় এক রান্নাঘরের আগুনে সামান্য রেস্ত নিয়ে নেওয়া। তোংবা আর হরচুর নামের দুই পানীয়-ভাই ওদের শরীরে তাপমাত্রা দেয়। তারপর তারা আবার হাঁটতে শুরু করে। কখনও চিত্রিত, কখনও চিত্রার্পিত। স্থানিক নামকরণ কে করেছিল, জানার উপায় নেই। চিত্রে। কিছু নিচে এক শুনশান বৌদ্ধমন্দির। মঠে সন্ন্যাসী ছিলেন না, মানুষের আনাগোনা ছিল না, নিশ্ছিদ্র শান্তি ছিল।

প্রিয় জায়গা এক, আর এখানেই কোথাও আমার আমিটা এসে মিলে যাই। এতক্ষণ যে মানুষটাকে তুমি ‘আমি’ বলে ভাবছিলে, তোমার সেই ‘আমি’-র আবার আগমন হয় ঠিক এই ক্ষণটিতে। সে আর সৌন্দর্যমথিত হতে পারে না। কেন্দ্রে ছিল সেই ছবি-সম্পর্কিত চাওয়া-পাওয়ার লেনদেন। সে আটকে পড়তে থাকে ভীষণভাবে। অসহায় আস্ফালন করে। কারণ তার অজ্ঞাত নয়। তবু এক ব্যর্থ ছাড়া পাওয়ার চেষ্টা চলতে চলতে বাঁধন আরও শক্ত হয়। বস্তুবাদী ভাবনার অসাড় বাঁধন। অথচ, সে কি চাইলেই তা ছেড়ে রাখতে পারত না?

এর পরের পর্ব শুধুই অবরোহনের।

ষাটোর্ধ্ব চঞ্চল যুবক পাসান তামাং। সে নাকি অনেক গল্প বলেছিল। ভালুক কোথায় থাকে, কিংবা চিতাবাঘের ঠেক, সকলেরই সন্ধান থাকে তার মগজাস্ত্রে। তোমার ‘আমি’ কিছু শুনছিল না। সে ভাবছিল ফেলে আসা কঠিন মুহূর্তের স্পন্দন। তার মাঝেই পাসানের গল্পের চরিত্ররা প্রাণ পায়। কেউ সেনাবাহিনিতে যায়, কেউ সেখান থেকে পালিয়েও আসে। আশ্চর্য মনোনয়নের মাঝে তার সংসার। পাসান কেবল হাসে। হিন্দির চেয়ে সে তার নিজের ভাষা চাখতে চায় বেশি। ফেরত দিতে চায় দুর্গম জীবনবোধ। সেদিনই সন্ধ্যায় সে এসে দিয়ে গিয়েছিল আসলা মাছের পদ। স্থানীয় নদীর মাছ। স্নো ট্রাউটকে ওরা বলে আসলা। না বলতেই এসে দিয়ে গিয়েছিল সে। পানীয়-সঙ্গী মৎস্য চতুষ্টয়ের পুণ্যফল হয়তো।

পাসান
পাসানের দিনগত রোদ…
পাইনবনের অন্ধকার ছিঁড়ে এসে পড়ে দুর্লভ রোদ

প্রতিটা মুহূর্তের ঐশ্বর্য উজাড় হতে থাকে। বিচরণের কাঁটাপ্রান্তর পেরিয়ে অরণ্যভূমি আবারও কাছে আসে। পাইনবনের অন্ধকার ছিঁড়ে এসে পড়ে দুর্লভ রোদ। কিন্তু সে কিছুই দেখছিল না। কিছু পরে তার কাঙ্খিত গাত্রপথ ধরে হাঁটতে থাকার সন্ধিক্ষণ। সে হাঁটছিল। কেবলই হাঁটছিল। গন্তব্যে পৌঁছে এক বোঝাপড়ার লক্ষ্যে সে আরও বেশি করে মরবিডিটি চাইছিল।

তাই বলছিলাম, তুমি যা ভাবছিলে, তা ঠিক ছিল না। আরোহনের পর্ব-সমাধায়ও আমি ছিলাম না। আমি হয়তো সবটাই জানি, সবটাই দেখেছি, তবু আমি নিশ্চিত, ও আমি ছিলাম না।

এত অবরোহনের মাঝে আরোহন আর কতটুকু?

 

বার্তালাপ, সাময়িক…

–এই গল্পের আসলে শেষ কোথায়?
–গল্প নয়, উপন্যাস বলো। তুমি কি প্রকৃত শেষ নাকি আনুষ্ঠানিক সমাপ্তির কথা জানতে চাও?
–আগে আনুষ্ঠানিকটুকুই বলো।
–বেশ। আচ্ছা, পাহাড়ের সবচেয়ে বিনোদনী চরিত্র কে জানো?
–কে?
–ঝর্না। নদী নয় কিন্তু, ঝর্না।
–নদী থেকেই তো ঝর্না হয়। তবে আলাদা আবার কীসের?
–হ্যাঁ জানি, পাহাড়ি নদী চঞ্চলা হয়। কিন্তু সে চঞ্চলাও তো একসময়ে বার্ধক্য পরিণতির দিকে এগোয়। হয়তো খানিক জেনেই এগোয়। কিন্তু ঝর্নার স্বল্প-কায়িক জীবনের মধ্যে তুমি কোনও গতিহীনতা পাবে না।
–এত ভণিতা ভালো লাগছে না। আসল কথায় এসো। পরদিনের ঘটনা বলো।
–আচ্ছা, বলছি। তোমারও ঝর্নার মতোই তাড়া আছে, বুঝতে পারছি।
–ঠিক আছে, থাক।
–না শোনো। গেলাম আমরা ঝর্নায়। উতরাইকে সামনে রেখে সতর্ক পদবিক্ষেপ। পাসান এবারও ছিল। পাসান ছাড়া বুঝি গ্রামের আখ্যানপর্বের একটা অধ্যায় বাকি থেকে যায়। সে খুকরি দিয়ে ডালপালা সরায়। কখনও হাত বাড়ায় ভরসা দিতে। সেদিন রোদ ছিল। সেদিন উষ্ণতা ছিল ঝর্না-শীতল হাওয়ায়। পাহাড়ি উতরাইয়ের গায়ে গায়ে থাকে বিপন্নতা। মাটি কখনও কখনও বিশ্বাসঘাতকতা করে। তবু জানি, কোথাও সে আছে। তার ক্যাকোফোনিক্স শুনতে পাচ্ছি প্রাচীন গাছকাণ্ডটার আড়াল থেকে। পাহাড়ের এও এক মজা। সে তোমায় কেবলই শব্দের পিছনে ছুটিয়ে মারে। লক্ষ্য থেকে তোমাকে দূরে সরায়। ক্রমশ, ক্রমশ, ক্রমশ…

তার ক্যাকোফোনিক্স শুনতে পাচ্ছি প্রাচীন গাছকাণ্ডটার আড়াল থেখে। পাহাড়ের এও এক মজা…

–পৌঁছলে কখন?
–ঘড়ি দেখিনি। ছিল। তাও দেখিনি।
–ঝর্নার কথা বলো।
–ঝর্না তো তুমি নিজেই। অপেক্ষা নেই, কেবল ছুটছ। কোন পাথরে আছড়ে পড়ছ, তাও দেখে নাও না। যেন উড়িয়ে দিলেই হল। তোমায় আর ঝর্নার কথা কী বলব?

ঝর্না তো তুমি নিজেই। অপেক্ষা নেই, কেবল ছুটছ। তোমাকে আর ঝর্নার কথা কী বলব?

–নামটা অন্তত বলো।
–ঝর্নার নাম ডাম্বারখোলা। নদীটার নাম ডাম্বারখোলা। আর…
–আর?
–তোমারও নাম ডাম্বারখোলা হতে পারে।
–নামটা আমার পছন্দ নয়। গল্প এখানেই শেষ তো?
–গল্প নয়, উপন্যাস বলো। শেষ কিনা জানি না। আরও থাকতে পারে। শুনতে চাইলে বানাতে পারি।
–এতক্ষণ যা বললে, তা বানিয়ে?
–তাই তো মনে হয়।
–সে সম্পর্কেও তুমি নিশ্চিত নও?
–না।
–কেন?
–বলতে পারব না।
–সে আবার কী? বলতেই হবে তোমায়।
–ব্যাপারটা জটিল।
–জটিল বিষয়ই ভালো লাগে আমার। এই ব্যাপারে অন্তত ঝর্নার থেকে আমি আলাদা।
–আচ্ছা বলছি। ধরো, একদল কর্দম-ক্লান্ত, ঝড়-প্রতিরোধী মানুষ নদীবাঁধকে জড়িয়ে ধরে সারারাত শুয়ে রইল, এই ভাবনাটা কেমন অবাস্তব না? কিন্তু এই ভাবনাটা যখন বাস্তব হয়, তখন আমার মনে হয়, আমি বুঝি ডাম্বারখোলার পথের গহীন অরণ্যে পাখির ডাকও শুনেছি, ডাম্বারখোলার শ্যাওলা-ধরা পাথরের পিঠ ঠেকিয়েছি। আবার ধরো, এই যে আমি অবরোহন করতে করতে বেঁধে ফেলছি নিজেকে, যে নাগপাশকে আমি বুঝি শরীর-ক্ষয়ী আরোহনের দ্বারাও ছিন্ন করতে পারব না, সেকথা মনে হলে আমার ডাম্বারখোলাকে অলীক কল্পনা মনে হয়।
–এত ধন্দ মনে?
–কী জানি! সময়টাই বুঝি তেমন। হয়তো বা আমি নিজেও।
–হুম। আর আছে গল্পটা?
–গল্প নয়। উপন্যাস বলো।
–হ্যাঁ, উপন্যাস। আর আছে?
–খেই হারিয়ে ফেলেছি। মনে নেই আমার।
–থাক তবে। ভার লাগছে বড্ড। আমরা বরং ঝড়টার কথা বলি।

 

রডোডেনড্রনের ভেতর দিয়ে যেভাবে সকাল হয়

ছবি: লেখক