Site icon ৪ নম্বর প্ল্যাটফর্ম

সরকারগুলির রাজনৈতিক ব্যর্থতা এবং উদাসীনতার আরও এক নজির

দেবজিৎ ভট্টাচার্য

 



রাজনৈতিক কর্মী, সমাজবিজ্ঞানে আগ্রহী

 

 

 

মূলধারার সংবাদমাধ্যমে আদিবাসীদের উপর ড্রোন হামলার ঘটনা উঠে না এলেও ২৬ এপ্রিলের হামলার খবর কিন্তু উঠে এল প্রতিটা চ্যানেলে। সরকার এখনও বলছে ওই অঞ্চলগুলিতে আরও জোরদার আক্রমণ নামানো হবে। অথচ এই সরকার ক্ষমতায় আসবার পরেই বলেছিল— আদিবাসীদের সমস্ত সমস্যার রাজনৈতিক-অর্থনৈতিক সুরাহা করতে মাওবাদীদের সঙ্গে আলোচনায় বসবে। কিন্তু বাস্তবে ঠিক তার উল্টোটা হয়েছে— ছত্তিশগড় সরকার আর কেন্দ্র সরকার উন্নয়নের নামে সেনাক্যাম্প, আকাশবোমা আর গরম-গরম ভাষণ দিয়ে গেছে

 

গত ২৬ এপ্রিল সিআরপিএফ এবং ডিস্ট্রিক্ট রিজার্ভ গার্ড-এর একটি ৫০ জনের টিম তল্লাশি অভিযানে যায় দান্তেওয়াড়ার আহরানপুর থানা লাগোয়া একটি গ্রামে। সেখানে গিয়ে তারা ‘মাওবাদী’দের সম্বন্ধে জিজ্ঞাসাবাদ করে এবং গ্রামবাসীদের থেকে কোনও খোঁজখবর না পেয়ে শেষে দুজন গ্রামবাসীকেই মাওবাদী সন্দেহে তুলে নিয়ে রওনা দেয় তাদের সেনা ক্যাম্পের দিকে। যাওয়ার পথে মাইন বিস্ফোরণে প্রাণ হারায় দশজন ডিআরজি সহ সেনাবাহিনির একজন গাড়িচালক। ইতিমধ্যে ‘গণমুক্তি গেরিলা ফৌজ’কে ‘সংগ্রামী অভিনন্দন’ জানিয়ে যার দায় নিয়েছে, সেখানকার মাওবাদী ‘জানতানা’ সরকারের দারভা ডিভিশন কমিটি।

আগের কিছু ঘটনাক্রম দেখা যাক।

২৫ মার্চ ভাষণ দিলেন অমিত শাহ। মোটা মোটা পাহারাদার নিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ছত্তিশগড়ে ঢুকে গোল্লা গোল্লা চোখ পাকিয়ে উনি বলে এলেন, ‘মাওবাদী’রা ব্যাকফুটে। শেষ নিঃশ্বাস ফেলছে। আর কিছু করার ক্ষমতা নেই ওদের। এর সঙ্গে ছত্তিশগড়ের আসন্ন বিধানসভা ভোটকে মাথায় রেখে আরও বললেন, যদি ছত্তিশগড়ে আদিবাসী অঞ্চলগুলিতে আরও তাড়াতাড়ি ‘উন্নয়ন’ চাই তাহলে আগামী ভোটে সেখান থেকে কংগ্রেস সরকারকে সরিয়ে বিজেপি সরকারকে ক্ষমতায় আনতে হবে। তার সঙ্গে উনি এও বললেন, কেন্দ্র সরকার মাওবাদী অধ্যুষিত এলাকাগুলির জন্যে ছত্তিশগড় সরকারকে আরও আধুনিক অস্ত্রশস্ত্র, হেলিকপ্টার, ড্রোন ইত্যাদি ইত্যাদি পাঠাবেন।

এরপর ৭ এপ্রিল দেখা গেল ছত্তিশগড়ে সুকমা-বিজাপুর জেলার আদিবাসীরা একত্রিত হয়ে একটি মাদুর বিছিয়ে আকাশপথে ব্যবহৃত ‘ড্রোন বোমা’র ছিন্নভিন্ন যন্ত্রাংশ সাজিয়ে বসে রয়েছেন। তাঁদের মুখ থেকে স্লোগান শোনা গেল— অমিত শাহ মুর্দাবাদ। ভূপেশ বাঘেল সরকার মুর্দাবাদ। ভারত সরকার ড্রোন হামলা অবিলম্বে বন্ধ করো। বলে রাখা ভাল, এর আগেও এ বছরের শুরুতে ওই অঞ্চলগুলিতে আকাশপথে ড্রোনের মাধ্যমে বোমা হামলা হয়েছে সেখানকার আদিবাসী মানুষজনের উপর। এই নিয়ে ২০২১ সাল থেকে এখন পর্যন্ত মোট চারবার আকাশপথে ড্রোনের সাহায্যে বোমা হামলা চালিয়েছে নিজের দেশের জনগণেরই উপর ভারতরাষ্ট্র। আর উন্নয়ন? সে হল— রাস্তা আর সেনাক্যাম্প। ক্যাম্প খুলতে রাস্তার প্রয়োজন!

১৮ এপ্রিল কংগ্রেসের বিধায়ক বিক্রম মান্ডভি সভা শেষে ফেরার পথে ‘মাওবাদী’দের আক্রমণের মুখে পড়লেন। তাকে বাঁচাতে গিয়ে আহত হলেন একজন সিআরপিএফ জওয়ান। এর আগে ভরা বাজারে খুন হয়েছেন দুই বিজেপি নেতা। যাদের উপর গ্রামবাসীদের বহুদিনের অভিযোগ ছিল পুলিশের সঙ্গে মিলে কাজ করার। গ্রামের ভেতরে সেনাবাহিনির ক্যাম্প খুলতে সাহায্য করার। এবং নিরীহ গ্রামবাসীদের উপর চোখ রাঙিয়ে চলার। এছাড়াও চার দশক ধরে মাওবাদী-অধ্যুষিত এলাকাগুলিতে গোলাগুলির লড়াই চলছে প্রতিনিয়ত। গত চল্লিশ বছর ধরে কেন্দ্র-রাজ্য সরকার বলে আসছে, নকশালরা ব্যাকফুটে। শেষ নিঃশ্বাস ফেলছে এখন।

মূলধারার সংবাদমাধ্যমে আদিবাসীদের উপর ড্রোন হামলার ঘটনা উঠে না এলেও ২৬ এপ্রিলের হামলার খবর কিন্তু উঠে এল প্রতিটা চ্যানেলে। আর আমরা সেখান থেকে জানতে পারলাম, এই ঘটনা মাওবাদীরা ঘটিয়েছে সেখানকার মানুষের সমর্থন নিয়েই।

ছত্তিশগড়ে এই অঞ্চলগুলিতে বিগত চার দশক ধরেই খণ্ডযুদ্ধ চলছে। আদিবাসীদের জল-জঙ্গল-জমিন সরকার উন্নয়নের নামে তুলে দিতে চাইছে দেশি বিদেশি বড় বড় পুঁজিপতিদের হাতে। কেন্দ্রের বিজেপি এবং রাজ্যের কংগ্রেস সরকার বহুদিন ধরেই বলে আসছে, মাওবাদীদের অঞ্চল শেষ। মাওবাদীরা শেষের পথে। তেমনই দান্তেওয়াড়া আহরানপুরের এই অঞ্চলকে কিছুদিন আগেই সরকার ‘মাওবাদী মুক্ত‘ অঞ্চল বলে ঘোষণা করেছিল। আহরানপুরের ওই বড় রাস্তা থেকে দুই কিলোমিটার আগেই রয়েছে পুলিশ ফাঁড়ি এবং ছয় কিলোমিটার পরেই রয়েছে, সেনাক্যাম্প। এই রাস্তা বানাতে সরকারকে এর আগেও প্রচুর কাঠখড় পোড়াতে হয়েছে। মাওবাদীদের শুরু থেকেই অভিযোগ, এই রাস্তা বানানোই হয়েছে গ্রামে-গ্রামে সেনাবাহিনির যাতায়াত, এবং সেনাক্যাম্প খোলবার স্বার্থে। এই রাস্তা বানাবার গোটা সময় ধরেই সেখানকার আশেপাশে সাধারণ মানুষের গণ-আন্দোলন চলেছে; রাস্তা বানানোর বিরুদ্ধে। এই বড় রাস্তা তৈরি হওয়ার পরেই সেখানকার আশেপাশের অঞ্চলে সেনাক্যাম্প গজিয়ে উঠেছে। যার বিরুদ্ধে বর্তমানে তীব্র গণ-আন্দোলন চলছে গোটা অঞ্চল জুড়ে।

সেদিন ওখানে আঞ্চলিক সাংস্কৃতিক উৎসব ঘিরে চলছিল রাস্তার মোড়ে মোড়ে গাড়ি দাঁড় করিয়ে চাঁদা তোলা। ফেরার পথে সিআরপিএফ ও ডিআরজি টিমের গাড়িকে আগের মোড়ে দাঁড় করায় সেখানকার জনতা। তারপর সিআরপিএফ-এর গাড়ি দেখে ছেড়ে দেওয়া হয়। ফের সেই মোড় ছেড়ে চলে যায় গ্রামবাসীরা। তার আগে আহরানপুরের ওই বড় রাস্তা দিয়ে সিআরপিএফ-এর একটি ফিরতি পিকআপ ভ্যান গেছে। তারও আগে গেছে দুটি সাধারণ যাত্রীবাহী গাড়ি। সেগুলিতে কোনওরকম ব্লাস্ট হয়নি। তারপর ডিআরজি-র এই গাড়ির উপরেই হামলা। ঘটল ৪০ থেকে ৫০ কিলোর আইইডি বিস্ফোরণ। রাস্তা জুড়ে বিশাল বড় গর্ত। তৈরি হয়েছে আশেপাশে ফাটল। যার থেকে বস্তার পুলিশের অনুমান— ওই চাঁদা তোলবার বিষয়টা মাওবাদীদের প্ল্যান ছিল। যাতে ওরা বুঝতে পারে কোন গাড়িতে কারা যাচ্ছে। এবং ওখান থেকেই কোন গাড়িতে ব্লাস্ট হবে তার সিগন্যাল দিয়েছিল সাধারণ আমজনতাই। অতএব সাধারণ জনগণের সঙ্গে মাওবাদীদের যে গভীর সম্পর্ক রয়েছে তা এর থেকে স্পষ্ট। কিন্তু এর সঙ্গে আরও একটি প্রশ্ন মনের মধ্যে খচখচ করছে। ‘District Reserve Guard’ মানে এই DRG-ফোর্স তবে কারা? এদের উপরেই কেন আক্রমণ?

২০০৮ সালে এই ফোর্স তৈরি করে কেন্দ্র-রাজ্য সরকার মিলেমিশে। এই ফোর্স মূলত মাওবাদীদের গেরিলা যুদ্ধকে কাউন্টার করার জন্য বানানো। এই ফোর্সে রয়েছে অধিকাংশ আগের আত্মসমর্পিত “মাওবাদী” এবং কিছু স্থানীয় যুবক। যাদের গেরিলা যুদ্ধের ভেতরের কৌশলগত ধ্যানধারণা রয়েছে। এই ফোর্স তৈরি করা হয় বস্তারে কুখ্যাত সালওয়া জুডুম সংগঠিত করতে। সেসময় রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে বেধড়ক প্রতিরোধ গড়ে তোলে মাওবাদীরা। ভারতরাষ্ট্রের এই কাঁটা দিয়ে কাঁটা তোলবার নীতিরই ফলশ্রুতি এই ডিস্ট্রিক্ট রিজার্ভ ফোর্স।

এই ফোর্সে খুবই স্বল্পমূল্যে এবং ভয় দেখিয়ে ও দেশপ্রেমের উগ্র জিগির তুলে ঢোকানো হয় সেখানকার যুবকদের। যা নিয়েও বহু সময় এই ফোর্সের জওয়ান ও তাদের পরিবারদের আন্দোলন করতে দেখা গেছে ওই অঞ্চলগুলোতে। তাছাড়াও, এই ফোর্সের বিরুদ্ধে সবসময়ই সাধারণ গ্রামবাসীদের তীব্র প্রতিবাদ সংগঠিত হয়েছে। আদিবাসী মহিলাদের ধর্ষণ, আদিবাসীদের ঘর লুট, জায়গা-জমি লুটের মতন অভিযোগ রয়েছে ডিআরজি ফোর্সের জওয়ানদের বিরুদ্ধে।

বস্তুত বেতন ও সামাজিক সুরক্ষা পাওয়ার দাবিতে কেবল ডিআরজি ফোর্সের মধ্যেই অসন্তোষ দেখা দিয়েছে এমনটা নয়। এই অসন্তোষ ভারতীয় সেনাবাহিনির প্রতিটা নিচুস্তরের কর্মীদের মধ্যেই দেখা দিয়েছে, দিচ্ছে বারেবারে।

মডার্ন ওয়ারফেয়ার অনুযায়ী, আধুনিক এবং লাইসেন্সপ্রাপ্ত সস্তার ভাড়াটে সৈন্য তৈরি একেই বলে। দেশের সাধারণ মানুষের বিরুদ্ধে যুদ্ধ লাগাবার আকাঙ্খায় মশগুল হয়েই এসব বাহিনির সৃষ্টি হয়ে আসছে। দেশের বৃহৎ অংশের ছাত্রযুবকে উৎপাদনশীল ক্ষেত্রগুলো থেকে বিচ্ছিন্ন করে কাজ দেওয়ার নামে এইসব স্কিম আনা হচ্ছে। যার মধ্যে বর্তমানে এই ‘ডিস্ট্রিক্ট রিজার্ভ গার্ড’ও পড়ছে। এইসব ধরেই বেশ কয়েক বছর আগেই ‘জাতীয় সুরক্ষা উপদেষ্টা’ অজিত দোভাল মহাশয় সরাসরি বলেছিলেন— নাগরিক সমাজই নতুন “যুদ্ধক্ষেত্র”। ভারতরাষ্ট্রকে নাগরিক সমাজের বিরুদ্ধেই যুদ্ধের প্রস্তুতি নিতে হবে। ভারত সরকার বিদেশি ও এদেশের বৃহৎ পুঁজিপতিদের হাতে দেশের অস্ত্রভাণ্ডারগুলিও একে একে তুলে দিচ্ছে। সরকারের আয়ত্তে থাকা অস্ত্র প্রস্তুতকারী সংস্থাগুলিতে ১০০ শতাংশ বিদেশি বিনিয়োগের সুযোগ করে দেওয়া যার অন্যতম ধাপ। তাহলে এত কিছুর পরেও ছাত্র-যুবরা সেনাবাহিনি-আধাসামরিক বাহিনিগুলিতে যাবে কেন? এর মধ্যে দিয়ে দেশসেবা দেশের ছাত্রযুবরা করবে কীভাবে? এ তো বিদেশি সাম্রাজ্যবাদী শক্তি ও এদেশীয় পুঁজিপতি গোষ্ঠীগুলিকে সেবা করতে তাদের ব্যবহার করা হচ্ছে!

গত ২৬ এপ্রিল মাওবাদী হামলায় নিহত ডিআরজি জওয়ানদের মৃতদেহ গ্রামবাসীরা গ্রামের মধ্যে ঢোকাতে দেয়নি। গ্রামবাসীরা তাদের বিশ্বাসঘাতক হিসেবে প্রতিপন্ন করেছে। এই হামলায় নিহত জয়রাম পোডিয়াম নামে এক আত্মসমর্পিত মাওবাদীর স্ত্রীকে দেখা গেছে রীতিমতো ভিক্ষা চাইতে সরকারের কাছে। ২০১৭ সালে আরেক আত্মসমর্পিত মাওবাদীর স্ত্রী গিয়ে মৃত স্বামীর চিতায় শুয়ে পড়েছিলেন এবং চিল্লিয়ে চিল্লিয়ে বলেছিলেন— “আমাকেও জ্বালিয়ে দাও! এবার আমাকে দেখবে কে?” রাজ্য-কেন্দ্রের সরকার সেসব জলঝরা চোখগুলোর দিকে না তাকিয়ে, তাঁদের দেখাশোনা নিয়ে একটি বাক্যও খরচ না করেই এই যুদ্ধের চিতায় আরও ঘি ঢালতে চাইছে। বলছে, কারও মৃত্যু ব্যর্থ হবে না। ওই অঞ্চলগুলিতে আরও জোরদার আক্রমণ নামানো হবে। অথচ এই সরকার ক্ষমতায় আসবার পরেই বলেছিল— আদিবাসীদের সমস্ত সমস্যার রাজনৈতিক-অর্থনৈতিক সুরাহা করতে মাওবাদীদের সঙ্গে আলোচনায় বসবে। কিন্তু বাস্তবে ঠিক তার উল্টোটা হয়েছে; ছত্তিশগড়ের কংগ্রেস সরকার কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের সঙ্গে হাতে হাত মিলিয়ে উন্নয়নের নামে সেনাক্যাম্প, আকাশবোমা আর গরম-গরম ভাষণ দিয়ে গেছে। যার দরুনই আজ এমন ঘটনা ঘটে চলেছে। লক্ষ্যণীয়, সরকারের বাহিনির উপর দীর্ঘদিন ধরে এত হামলার পরেও মাওবাদীদের বিরুদ্ধে কিন্তু জনগণ কোনও আন্দোলনে নামেনি।

২০১৭ সাল থেকেই কেন্দ্র সরকার রাজ্যগুলির সঙ্গে পরামর্শ করে মাওবাদী দমনের নামে ‘অপারেশন সমাধান’ ও পরের ধাপে ‘অপারেশন প্রহার’ চালিয়ে আসছে সামাজকর্মী-মানবাধিকার কর্মীদের উপরে। সন্ত্রাসবাদ খতমের নামে একের পর এক ভুয়ো এনকাউন্টার সংগঠিত করছে সংখ্যালঘু জাতি-সম্প্রদায়ের মানুষের উপরে। দেশের মানুষের শোচনীয় আর্থিক অবস্থা, দিন দিন কমতে থাকা ক্রয়ক্ষমতা এবং আদানি-আম্বানিদের বাড়তে থাকা সম্পত্তি ঢাকতে জয় শ্রীরাম ও ভারতমাতা কী জয়-এর মতন উগ্র ধর্মীয় জাতীয়তাবাদী স্লোগান তুলে একের পর এক সন্ত্রাস সংগঠিত করে চলেছে। আর যারা এসবের বিরুদ্ধে গণ-আন্দোলনের পথ বেছে নিচ্ছে কিংবা গলার স্বর তুলেছে তাঁদেরই মাওবাদী কিংবা সন্ত্রাসবাদী দেগে কালা আইনে হাজতে পুরে সমাজে এক ভয়-ভীতির দমবন্ধ করা পরিস্থিতি তৈরি করতে সবসময় উঠে পড়ে লেগে আছে।

গত ২৬ এপ্রিলে ঘটে যাওয়া ঘটনা কেন্দ্র-রাজ্য সরকারের রাজনৈতিকভাবে তীব্র ব্যর্থতা এবং জনগণের প্রতি তাদের উদাসীনতা আরও একবার সবার সামনে তুলে ধরল।