Site icon ৪ নম্বর প্ল্যাটফর্ম

কর্নাটকের খবরে প্রকাশ

অশোক মুখোপাধ্যায়

 



প্রাবন্ধিক, মানবাধিকার কর্মী, সেস্টাসের প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক

 

 

 

 

সমগ্র দক্ষিণ ভারত থেকে বিজেপি মুছে গেলেও এখন পর্যন্ত বিরোধীরা বুঝে উঠতে পারেনি যে ভোটের আগে ঐক্যবদ্ধ ভাবমূর্তি নিয়ে জনগণের কাছে যেতে না পারলে বিজেপি-কে হারানো সম্ভব হবে না। তার উপর ইসি-কে দলগত কবজায় এনে লোকসভা কেন্দ্রগুলির পুনর্গঠনের নামে বিজেপি সরকার কয়েকটি পদ্মসফল রাজ্যে ছোট ছোট কেন্দ্র করে লোকসভা আসনের সংখ্যা অনেক বাড়িয়ে রাখতে চলেছে। যাতে অধিকাংশ রাজ্যে প্রত্যাখ্যাত হলেও সে চার-পাঁচটি রাজ্য থেকেই আবার দিল্লির তখত দখল নিতে পারে

 

অণুগল্প: রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী হিসাবে যে ভদ্রলোক (আশা করি, শব্দটার ব্যবহারে কেউ আপত্তি জানাবেন না) হিজাব-বিরোধী ফরমান জারি করে আদালতের সাহায্যে কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ে মুসলিম ছাত্রীদের হিজাব পরিধানের উপর নিষেধাজ্ঞা এবং বিদ্যার্থী পরিষদের সাহায্যে তাদের উপর হামলার ব্যবস্থা পাকা করেছিলেন, ৯১ শতাংশ হিন্দু ভোটারের তুপ্তুর কেন্দ্রে দাঁড়িয়ে তিনি গরুহারা হেরে গেলেন। তিনি নিশ্চয়ই আশা করেছিলেন যে হিজাবের বিরুদ্ধে হুহুঙ্কারে হিন্দুদের মন জয় করতে পারবেন। কিন্তু রামের কী যে খেয়াল, যাঁদের দিকে তাকিয়ে এত সব করা, তাঁরাই বিগড়ে গেলেন। হিন্দুরাও হিজাব বিরোধী হিজিবিজিতে ভুলতে রাজি হলেন না।

নীতি: রাম-গরু-হনুমান-হিন্দুত্বের জয়নিনাদ মুসলমান-বিদ্বেষ বিভিন্ন রাজ্যে এতকাল যতটা গেরুয়ামুখী ভোট টানতে পারত, তার সাংখ্যমান ও অনুপাত দ্রুত কমে আসছে।

প্রশ্ন: কেন?

উত্তর: দুটো কারণ। এক নম্বর, বিজেপি-র উদ্যোগে কেন্দ্রীয় স্তরে ও রাজ্যের পরিসরে লাগামছাড়া দুর্নীতি (৪০ শতাংশ কর্তিতার্থের কথা কর্নাটকে বিজেপি-র কর্মীরাই রাস্তায় ঘাটে প্রকাশ্যে বলে বেড়াচ্ছে এবং প্রবল ক্ষোভ উগরে দিচ্ছে); দু নম্বর, দেশজুড়ে তেল-নুন-চাল-আটা-চিনি-পেট্রল-ডিজেল-রান্নার গ্যাস-ওষুধপত্র সহ সমস্ত অত্যাবশ্যক পণ্যের দাম বাড়িয়ে এবং/অথবা বাড়তে দিয়ে, এবং বিভিন্ন শিরোনামে নানারকম সার্ভিস চার্জের কথা বলে সাধারণ মানুষের রোজগার ও জমানো টাকা থেকে থাবা বসিয়ে সুস্থ স্বাভাবিক জীবনযাপনকে অসম্ভব করে তোলা। এটা অনেকের কাছেই ক্রমশ স্পষ্ট হয়ে উঠছে যে ধর্মের ভাবাবেগে সুড়সুড়ি দিয়ে ভুলিয়ে বিজেপি জনগণকে ছিবড়ে করে ব্যাঙ্কলুটেরাদের থলে ভরে চলেছে।

উদাহরণ: ধরুন আপনার হাড়ের রোগ আছে এবং রক্তে ইউরিক অম্লের পরিমাণ বিপজ্জনকভাবে বেশি। নিয়মিত ফেবুক্সোস্টাট-৪০ দিনে একটা করে খেতেই হয়। রামমন্দিরের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের আগে দশটা বড়ি পাওয়া যেত কোনও এক ব্র্যান্ডের ক্ষেত্রে ৮৪ টাকায়। এদিকে আপনি ব্যাপকভাবে উজ্জীবিত যখন নরেন্দ্র দামোদরদাস মোদি রামমন্দিরের শিলান্যাসে অংশগ্রহণ করছেন। আর তার ঠিক পরেপরেই সেই বড়ির সেই ব্র্যান্ডের এক পাতার দাম হয়ে গেল ২২৪ টাকা। এবং আপনি মহীশূরের পাড়ার এক ওষুধের দোকানে গিয়ে শুনলেন স্কুল সিলেবাস থেকে টিপু সুলতান পর্ব বাতিল হয়ে গেলেও হিন্দুদের জন্য সেই ওষুধের দাম ৯৩ পয়সাও কমেনি। ফেকুজির পদ্মসেকুমিতে হিন্দু-মুসলমান সাপেক্ষে খদ্দেরদের নাকি জাতিধর্ম ভেদাভেদ নেই।

আপনার তখন কেমন লাগবে?

মন কি ওয়হ: কদিন আগেই আমাদের বিশ্বগুরু হিন্দুবীর প্রধানমন্ত্রীর মনকিবাতের একশোতম অধিবেশন ছিল। দেশে এই প্রথম একজন প্রধানমন্ত্রী এসেছেন, যাঁর শিক্ষাগত ডিগ্রি হচ্ছে এন্টায়ার পলিটিক্যাল সায়েন্স-এ; যাঁর বিএ-এমএ ডিগ্রির কোনও হদিশ নেই, বিধিসম্মতভাবে হদিশ চাইলে দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয় জানিয়ে দেয়, তথ্য দিতে অপারগ; আরটিআই করলে গুজরাতের উচ্চ আদালত পঁচিশ হাজার টাকা জরিমানা করে, যিনি বিগত নয় বছরে কোনও প্রেস মিটে যাননি; যাঁর সংসদে প্রশ্নোত্তর পর্বে উত্তরদানের কোনও ন্যূনতম রেকর্ড নেই; সেই তিনি মাসে একটি মনকিবাত করে থাকেন এবং দেশের জনগণকে তা শুনতে প্রায় বাধ্য করেন। তিনি কী ভাবছেন শোনাতে ব্যাপক আগ্রহ তাঁর, কিন্তু দেশের লোকে কী ভাবছে বা কী জানতে চাইছে তা শুনতে তাঁর শূন্য দশমিক শূন্য শূন্য শূন্য শূন্য শূন্য ছয় ভাগ আগ্রহও নেই। ভাবখানা হচ্ছে, তিনি তো আর নিছক প্রধানমন্ত্রী নন, দেশের প্রশাসনিক মুখ্য নন, তিনি মহাকালপ্রেরিত ক্ষণজন্মা এক দৈবিকাশ পুরুষ! তাঁর ওষ্ঠনিঃসৃত দু-চার ডজন বাণী শুনলে দেশবাসী কেতাত্থ হয়ে যাবে।

মন সে বাতিল: একটু চোখ আর কান খোলা রাখলেই এই আদানি-আম্বানির অতিবিশ্বস্ত চৌকিপুরুষ টের পেতেন, বিশাল পরিমাণ সরকারি খরচ ও ব্যবস্থাপনা সত্ত্বেও তাঁর মনের বাত গড়ে ৬২ শতাংশ জনগণ শোনে না। বাকি যারা শোনে তাদের মধ্যে পাঁচ শতাংশের মতো স্বেচ্ছায় শোনে, কেননা তারা ভক্ত বলে পরিচিত; কিন্তু অন্যান্যরা নিতান্ত দায়ে পড়ে বাধ্য হয়ে শুনতে যায়। তার মানে ভারতীয় জনগণের পঁচানব্বই শতাংশই পিএম-এর এই মন কি বাতেলায় মজে না বা পাত্তা দেয় না। কেন, তার কারণ খুবই সহজবোধ্য। এবার তাই নানা জায়গায় মন কি একশোতম বাতেলা শোনার উপর কড়া হুকুম জারি করা হয়েছিল। চণ্ডীগড়ের পিজিআইয়ের এক নার্সিং কলেজের ছাত্রীরা সেই হুকুম না শোনায় তাদের নাকি সাতদিন হোস্টেল থেকে বাইরে বেরোনো নিষিদ্ধ হয়ে গেছে। কর্নাটকের এক স্কুলের ছাত্ররা সেই বাতেলা ফরমান অমান্য করায় তাদের মাথা পিছু ২০০ টাকা করে জরিমানা হয়েছে। অসংখ্য ঘটনার মধ্যে এরকম কয়েকটাই মাত্র খবরে প্রকাশিত হয়েছে। সংবাদমাধ্যমগুলি মোদি-জেলের বাইরে থাকলে হয়ত এতদিনে কয়েক হাজার অনুরূপ তথ্য বাইরে এসে যেত। কালেদিনে এসেও যাবে নিশ্চয়ই।

ঘৃণাচাষি: বিজেপি সম্ভবত ভুলে গিয়েছিল, গত ২০১৮ সালের নির্বাচনে বিজেপি সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়নি। যে সরকারটা পাঁচ বছর ধরে তারা চালাল, তাকে একটা কেনা সরকার বলা যেতে পারে। বিরোধী জেতা প্রার্থীদের একটা অংশকে ক্রয় করেছিল অমিত শাহর কুখ্যাত সেই স্যুটকেসের থেকে নির্গত টাকা— সেই টাকা কোত্থেকে আসে, কোনও ইডি বা সিবিআই যার কখনও হদিশ করতে ছোটে না। যারা একটা রাজ্যে সরকারি ক্ষমতায় আসেই বিধায়ক কেনাকাটার মাধ্যমে, অর্থাৎ, প্রকাশ্য দুর্নীতির মাধ্যমে, তারা যে ক্ষমতার সুযোগটাকে কেবলমাত্র আরও দুর্নীতি করে নিজেদের পকেট ভরতেই ব্যস্ত থাকবে, এটা বোঝার জন্য এন্টায়ার বা পারশিয়াল পলিটিক্যাল সায়েন্স পড়তে হয় না। আর সেই দুর্নীতি ধামাচাপা দিতেই যে তারা রাজ্য জুড়ে ঘৃণার চাষাবাদ চালিয়ে যাবে এটাও প্রায় স্বতঃসিদ্ধ। ভাল নোট বাতিল (২০১৬), একপাল গুজরাতি বানিয়াকে সরকারি ব্যাঙ্ক থেকে ঢালাও ঋণ দিয়ে দেশ ছেড়ে পালাতে দেওয়া (২০১৭-২৯) এবং করোনার সুযোগে আকস্মিক লকডাউন ঘোষণা (২০২০)-র ফলে দেশের অর্থনীতির কোমর ভেঙে দেওয়ার পর থেকেই যেভাবে দামোদর কোম্পানি মুসলিমবিদ্বেষের কৃষিতে বিনিয়োগ শুরু করে দিকে দিকে ক্রমবর্ধমান জনবিক্ষোভকে দিগভ্রষ্ট করতে ব্যস্ত হয়ে পড়ে, কর্নাটকেও তারই লক্ষ্যে তারা টিপু সুলতানকে শিকার বানায়।

টিপুর উপর তাদের রাগ একাধিক কারণে। একে সে লোকটা মুসলমান, যা সঙ্ঘ এবং বিজেপি-র এক স্থায়ী দুরারোগ্য অ্যালার্জির কারণ। তার উপর এই লোকটা ব্রিটিশের বিরুদ্ধে— হ্যাঁ, সেই ব্রিটিশ, যাদেরকে ভায়া বঙ্কিমচন্দ্র সংঘ পরিবার মুসলিমবিদ্বেষ তৈরির গুরু বলে মানে এবং ভয়ানক কৃতজ্ঞতাজাত এক প্রভুভক্তিতে আপ্লুত হয়ে থাকে বলে গোটা স্বাধীনতা সংগ্রামকেই বয়কট করেছিল এবং “দেশভক্ত”দের বয়কট করতে বলেছিল— সেই ব্রিটিশ আগ্রাসনকারীদের বিরুদ্ধে আমৃত্যু আপসহীন লড়াই করেছিল। তিন নম্বর কারণ হল, টিপু সারাজীবন তাঁর রাজত্বে হিন্দু-মুসলমানি করেননি, মসজিদে-মন্দিরে পার্থক্য করেননি, গুজরাতের হিন্দু দস্যুরা মহীশূরের মন্দির ভেঙে দিলে তিনি তা সারিয়ে রক্ষণাবেক্ষণ করেছেন, তাঁর আংটির উপরে সংস্কৃত হরফে লেখা ছিল রাম। এই রাম মানে সে-ই এখন যাকে ভাঙিয়ে বিজেপি ভোটব্যাঙ্ক বানাতে ব্যস্ত।

চিত্র ১: টিপু সুলতানের আংটি

এই টিপু সুলতাল হলেন কর্নাটক রাজ্য এবং রাজ্যবাসীর গর্ব। তীব্র জ্বালাজাত বিদ্বেষ থেকে তাঁর কাহিনি স্কুলের ইতিহাস থেকে বাদ দিলে যে সেই রাজ্যের জনসাধারণের মনে কী প্রতিক্রিয়া হতে পারে, তার সামান্য আভাসও বিজেপি পায়নি। যখন পেয়েছে তখন অনেক দেরি হয়ে গেছে। ধস অনিবার্য আকারে এগিয়ে এসেছে।

ফেসওয়াশ: বিজেপি-র কার্যকর্তারা এবং দালাল সংবাদমাধ্যম এখন ব্যস্ত হয়ে পড়েছে এটা দেখাতে যে নির্বাচনে গরুহারা হেরে গেলেও পদ্মের ভোটব্যাঙ্কে তেমন ধস নামেনি। প্রায় অটুট। প্রথমত, বিগত বিধানসভা ভোটের নিরিখে তাদের ভোটপ্রাপ্তি খুব কিছু কমেনি, এবং সেই ভোটে তারা জিতেও আসেনি। কিন্তু গত লোকসভা নির্বাচনের সাপেক্ষে যে তাদের ভোট ১৫ শতাংশ কমে গেছে এই তথ্যটা চেপে রাখতে তারা এখন খুবই মরিয়া। আর সংসদীয় গণতন্ত্রে যে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায় সে যে প্রাপ্ত ভোটের হিসাবেও সংখ্যাগরিষ্ঠ হয়, তার কোনও মানে নেই। বহুদলীয় নির্বাচনে একটা দল মোট ভোটের অর্ধেকের কম (অনেক সময় অনেক কম) পেয়েও আসন সংখ্যায় জয়ী হতে পারে। কর্নাটকেও সেটাই হয়েছে।

বয়কট বিজেপি: বিগত পশ্চিমবাংলার বিধানসভা নির্বাচনের আগে ফ্যাসিস্ট আরএসএস-বিজেপি বিরোধী বাংলা (সহজ কথায় নো ভোট টু বিজেপি)-র মতো কর্নাটকেও এবার এক বা একাধিক অদলীয় মঞ্চ গড়ে উঠেছিল যারা বিজেপিকে ভোট দিও না বলে প্রচার তুঙ্গে তুলে নিয়ে যায়। এরকমই একটি মঞ্চ হল এদ্দেলু কর্নাটক (জেগে ওঠো কর্নাটক) যার মধ্যে অনেক বিশিষ্টজনের মধ্যে আমার ঘনিষ্ঠ বন্ধু এবং আমাদের প্রোলেতারিয়ান ইউনিটি ফোরামের অন্যতম জাতীয় আহ্বায়ক কমরেড (ডাঃ) মঞ্জুনাথ বি আর (ও আরও কয়েকজন) আছেন। তাঁর কাছে আমি এবং আমরা গত কয়েক মাস ধরে সেখানকার পরিস্থিতির খবরাখবর পাচ্ছিলাম এবং জানতে পারছিলাম যে পদ্মফুলের অবস্থা যথেষ্ট আশঙ্কাজনক। দিল্লি এবং কলকাতায় যে ভারত জোড়ো অভিযান মঞ্চ তৈরি হয়েছে, তাদের প্রতিনিধিরাও কর্নাটকের এই মঞ্চের সঙ্গে যোগাযোগ রেখেছেন। তাঁদের কাছেও একই খবর পেয়েছি। যদিও তাঁরা সকলেই যেটা চেয়েছিলেন, বিজেপি-র বিরুদ্ধে সার্বিক বিরোধী একৈকিক ঐক্য, সেটা কার্যকর হয়নি। যেমন, উদাহরণত, পশ্চিমবঙ্গের ভোটদোস্ত কংগ্রেস এবং সিপিএম সেখানে পরস্পরের বিরুদ্ধে প্রার্থী দিয়েছে।

সমগ্র দক্ষিণ ভারত থেকে বিজেপি মুছে গেলেও এখন পর্যন্ত বিরোধীরা বুঝে উঠতে পারেনি যে ভোটের আগে বিরোধী জোট গড়ে তুলতে না পারলে এবং ঐক্যবদ্ধ ভাবমূর্তি নিয়ে জনগণের কাছে যেতে না পারলে সর্বভারতীয় ভোটে বিজেপি-কে হারানো সম্ভব হবে না। তার উপর ইসি-কে দলগত কবজায় এনে লোকসভা কেন্দ্রগুলির পুনর্গঠনের নামে বিজেপি সরকার কয়েকটি পদ্মসফল রাজ্যে ছোট ছোট কেন্দ্র করে লোকসভা আসনের সংখ্যা অনেক বাড়িয়ে রাখতে চলেছে। যাতে অধিকাংশ রাজ্যে প্রত্যাখ্যাত হলেও সে চার-পাঁচটি রাজ্য থেকেই আবার দিল্লির তখত দখল নিতে পারে।

তৃণমূল কংগ্রেসও কর্নাটকে বিজেপি-র পরাজয়ে ভরসা পেলেও কংগ্রেসের জয়ে খুশি হতে পেরেছে কিনা এখনও স্বচ্ছ নয়। অন্তত অভিনন্দন বা শুভনন্দন বার্তার নিরিখে সেটা আমরা টের পাইনি।

বিজেপি-র ভরসা বলে যদি কিছু থেকে থাকে সেটা হল অবিজেপি দলগুলির নেতাদের এই আত্মঘাতী অনৈক্যের প্রশ্নে সার্বিক ঐকমত্য। কর্নাটকের ভোটে হারলেও বিজেপি-র সেই ভরসার জায়গাতে এখন অবধি কোনও চিড় ধরেনি।