Site icon ৪ নম্বর প্ল্যাটফর্ম

শুভ্র বন্দ্যোপাধ্যায়

তিনটি ছোট লেখা

 



এখন তোমার শরীরের সামনে কিছু ধাতব বুদবুদ
গলায় জ্বালা ধরানো কিংশুক সকাল
কীসের অপেক্ষা করছ? কেন চুপচাপ সহ্য করছ?
তোমার মাতৃভাষা বা এই বাড়ি
এই শব্দ বা ধ্বনি কেবলমাত্র তার মৌখিক রূপে ফিরে যাবে
সহস্র মানুষ তার দৈব ভরসার
ফ্যাকাশে চাদরে মেলে দেবে চালের গুঁড়ো,
তাহলে কীকরে থাকবে তুমি?
তোমারে এত বছরের লালিত অদৈব
সুড়ঙ্গের মধ্যে দিয়ে পাচার করে দেওয়া
সব ভালোর রাজত্ব — এটাই তো অসাড়!
তুমি বুঝে নিচ্ছো অনেককালের অভ্যেস ও তার আঁচড়
তুমি নিজেকে কীকরে বিচ্ছিন্ন রেখেছো সেটা ভাবো
মাথা তুলে ভাষার কাঠামোয় ফেলে রাখো ল্যান্ডমাইনের অনিশ্চয়তা





কতখানি বাস্তবতা সহ্য হয় আমাদের?
যে লোকটা বাড়ি থেকে মাংস কিনতে বেরিয়ে নিজেই টুকরো হয়ে গেল
বা আরও নিশ্চিত তোমার শহরের মানুষের পলিথিন জীবন
— কোন দিকে যাবে তুমি? আচমকা মেক্সিকো থেকে আসা মেসেজ পড়লে
“পৃথিবীর সবচেয়ে দুর্বোধ্য আর্তি ‘আমাকে ছেড়ে দিন’ আর তার পরেই
শুনতে পাওয়া গুলির শব্দ” অথচ আমাদের রাস্তায় নামা নেই। পরপর স্লোগান গিলে

ফুলে ওঠা চিন্তার পিছনে শুধুই তোমার মৃত্যু। কতদূর সকাল তেতো মুখের রাস্তা?





উড়ান রহস্য আমরা বুঝে গেছি ব্যবচ্ছেদ করে।
যেভাবে মাথার ভিতরে থাকা ফাঁকা নক্ষত্র
যেভাবে ছুঁয়ে দেখার বাস্তবতা বিক্ষিপ্ত
নক্ষত্রই একমাত্র উৎস বুঝে নিয়ে
ভাষা ধ্বংসের গায়ে গিঁথে রাখছি ধাতব মুখোশ