প্রবুদ্ধ বাগচী
রবীন্দ্রনাথের গানের ভুবনে তো বটেই, বাংলার আর নানা ধরনের গানেও শ্রাবণের উল্লেখ প্রায় অফুরন্ত। সে সব গান আমরা সবাই নিশ্চয়ই একটু-আধটু শুনি বা গাই। কিন্তু এই শ্রাবণ, সেই শ্রাবণ নয়। আষাঢ়স্য প্রথম দিবসে যেমন যক্ষের মনের বেদন মেঘের চিঠি হয়ে ভেসে যায় দিগন্তের ঠিকানায়, ঠিক তেমনি শ্রাবণের আবির্ভাব আমাদের রাজপথে নামিয়ে আনে অবিরল ভক্তের ঢল। কাঁধে সুসজ্জিত বাঁক নিয়ে তাঁরা ভেসে চলেন বাবার চরণে। প্রকাণ্ড সে স্রোতের ভার। সেই ভার নামিয়ে তাঁদের পথশ্রমের নিবৃত্তির কী বিপুল আয়োজন, কী বর্ণময় ছটা সেই পদযাত্রার! দিনে দিনে তার স্ফীতি ও বিস্তৃতি প্রায় একরকম পাল্টে দিয়েছে আমাদের জীবনযাত্রা। শ্রাবণঘনগহন মোহে এমন সশব্দ সঞ্চার ইদানিং বঙ্গজীবনের অঙ্গ। সেই শ্রাবণ আজ আবার ফিরে এল। হতশ্রী রাজপথের বেশিটাই দখল করে টুং টুং শব্দ ক্রমশ প্রপাতের মতো নেমে আসে। প্রকাণ্ড বাঁকের সঙ্গে জুড়ে যায় সাউন্ডবক্সের আওয়াজ, এলইডি আলোর ঝিকিমিকি ভক্তিকে প্রণিপাত করে, বিদ্রূপ করে আকাশের ঝলকে ওঠা বিদ্যুৎবহ্নিকে। বুঝিবা ভক্তির প্রাচুর্য ও প্রাবল্য আজ হারিয়ে দিতে চায় এমন মগ্ন এক ঋতুকেই। মানি, না-মানি— আজ শ্রাবণমাস।
কোন এক গহিন কিশোরবেলার দিকে তাকিয়ে মনে পড়ে এক বাংলা ছবির কথা। তার নায়িকা নাকি পদব্রজে পৌঁছে গিয়েছিলেন বাবার মর্মর লিঙ্গের সমীপে এবং নিবেদন ও বিশ্বাসের যুগলবন্দিতে কেল্লা ফতে করে বাঁচিয়ে ছিলেন তাঁর স্বামীর বিপর্যয়। এটা ফিলিমের গপ্পো। গল্পের গরু শুধু গাছেই ওঠে না, বাবা তারকনাথের গোয়ালেও ঘাস খায়। কার্যত সেই ফিল্মের সুপারহিটপনার দাপটেই এই চিত্রনাট্য ঢুকে পড়ে বাঙালির হেঁসেলে। আর তারপর থেকে হেঁটে তারকেশ্বর যাওয়া হয়ে ওঠে বাঙালির বাৎসরিক কাল্ট।
স্বাভাবিক, আজ থেকে এত বছর আগে সব কিছুই সহসা এমন মেগা ইভেন্টে উত্তীর্ণ হতে পারত না। আবালবৃদ্ধবনিতা খালি পায়ে এবং গায়ে কাঁধে বাঁক নিয়ে হেঁটে যেতেন— রানার ছুটলে যেমন ঝুম ঝুম ঘণ্টা বাজত একদা, তেমন ঘুঙুরের ধ্বনি ভেসে আসত কানে। নারী-পুরুষ নির্বিশেষে গঙ্গায় স্নান করে সেই ভিজে গায়েই যখন ছুটতেন মন্দির অভিমুখে, কোথাও কোথাও হেমেন মজুমদারের স্নানরতা ক্যানভাসও যে চোখে পড়ত না, তা নয়। কিন্তু বইয়ের পাতায় যে দৃশ্যের বর্ণনা শ্লীল নয়, যে ক্লোজ শট ছবিতে দেখালে সেন্সরের কান কটকট করে— ভক্তির প্রাবল্যে সেই দৃশ্য রাস্তায় ঘাটে স্বতোৎসারিত হলে তা নিপাতনে সিদ্ধ বলে মেনে নেওয়াই রীতি। তাই মেনে নিতে হত।
জিটি রোড দিয়ে এক তরুণী দণ্ডি কেটে কেটে চলেছেন— আগামী চল্লিশ কিলোমিটার, শুধুমাত্র সন্তান কামনায়— এইসব দৃশ্যের জন্ম হতে দেখেছি আমরা। পাশাপাশি, এই ঘটনা প্রায় চোখের সামনেই ঘটতে দেখেছি— হাওড়া থেকে রেললাইন যেখানে বেঁকে যায় তারকেশ্বরের দিকে, সেই জংশন স্টেশনে শ্রাবণ মাসের পুণ্যার্থীদের জন্য বিকশিত হয় ডাউনস্ট্রিম ইন্ডাস্ট্রি। প্ল্যাটফর্ম জুড়ে এবং তার গণ্ডি ছাড়িয়ে অগুনতি অস্থায়ী স্টল, যেখানে বিক্রি হতে থাকে বাঁক, বাঁক সাজানোর সামগ্রী, কলসি, গামছা ইত্যাদি ইত্যাদি। এবং আনাচে–কানাচে হলেও অপ্রকাশ্য নয়— সিগারেটের গর্ভে গাঁজার পুরিয়া পুরে তার বিপণন। ভোলেবাবাকে পার করতে বললেও, তার একটা পারানি লাগে— সেখানে গঞ্জিকার বিকল্প আর কী-ই বা আছে? দীর্ঘ পথযাত্রার শ্রম অপনোদনে এমন বন্ধু আর কে-ই বা আছে!
যদি খুব ভুল না করি, তাহলে ভোলেবাবা নিয়ে এই ‘মাস-হিস্টিরিয়া’র সূত্রপাত সত্তরের দশকের দ্বিতীয়ার্ধে। এই দেশে এবং এই রাজ্যে তখনও ধর্ম বা ধর্মের পালন আজকের মতো কর্পোরেটদের সেবাদাসী হয়ে ওঠেনি। মোটামুটি ব্যক্তির আচরণের মধ্যেই তা ঘোরাফেরা করত। একটি ফিল্মি ধাক্কা তাকে হঠাৎ এমন একটা পাবলিক ইভেন্টে এনে ফেলে দেয়। সারা বছরের একটা মাস এমন একটি নিটোল বাণিজ্য-সম্ভাবনায় যাঁদের গায়ে পুলক লেগেছিল, তাঁরা কৌশলে তা ছড়িয়ে দিলেন জনারণ্যে। এবং সফল হলেন।
যদিও রাজ্যের সিংহাসনে তখন বামফ্রন্ট— যাদের অভিধানের সঙ্গে এই প্লাবন খাপ খায় না। শুনেছি, মৃণাল সেন মশাই নাকি একবার খাপ্পা হয়ে বলেছিলেন, বামফ্রন্ট আর বাবা তারকনাথ একসঙ্গে চলতে পারে না! কিন্তু চলতে পারে না বললে তো আর হবে না— যা গড়গড়িয়ে চলছে, তাকে আটকাবেন কী দিয়ে? কার্যত মহাদেবের জটা থেকে যে ভাবোন্মাদনার জলতরঙ্গ শুরু হল, তা ক্রমেই ছড়িয়ে পড়ে নানা বিভঙ্গে। কখনও সন্তোষীমাতা নামক আরেক ফিল্মি দেবী হয়ে ওঠেন শুক্কুরবারের গুড়-ছোলার ভোক্তা, এরপরেই গ্রহরাজ শনির থানে তার উত্তরণ— এবং কিছুকাল বালক ব্রহ্মচারীর রাজনৈতিক ভাঁড়ামোর মধ্যবর্তিতায় আধবুড়ো-আধবুড়ি ভক্তদের দাপাদাপি। তারপর লোকনাথ বাবা নামের এক ঐতিহাসিক ধর্মীয় পুরুষের গুণকীর্তনে আবিল হয়ে পড়ল আমাদের সময়— যার নাকি বয়সের গাছ-পাথর নেই, এবং রণে-বনে-জঙ্গলে বা শুঁড়িখানায়— যেখানেই হোক, তাঁকে ডাকলে তিনি ভক্তের ডাকে সাড়া দেন। আশির দশকের মাঝামাঝি, মফস্বলের প্রায় প্রতিটি রিকশা-স্ট্যান্ড রূপান্তরিত হল শনিদেবতার বাধ্যতামূলক থানে— দেবপূজার কোরক অচিরেই পাখা মেলল মন্দিরের মহীরূহে। কী বিপুল স্ফূর্তিতে শনিবারের সন্ধেগুলো প্রোজ্জ্বল হতে দেখলাম নরনারীর ভিড়ে— যেন বা অভিজাত স্যাটারডে ক্লাবের এক সাবঅল্টার্ন সংস্করণ! বলতে সঙ্কোচই হয়, এইসব মন্দিরের আড়ালে চাপা পড়ে যেতে দেখেছি রাজনৈতিক শহিদদের গরিমাময় স্মারক— যেগুলির পেছনে কোনও তথাকথিত ‘ফান্ডিং’ ছিল না; যা ছিল, তা নিখাদ আবেগ ও চেয়ে-চিন্তে জোগাড় করা মাধুকরী।
ইদানীং যা দিনকাল পড়েছে, মাঝে মাঝে বিগত আমলের অনেক কাজকে স্পষ্টত ইতিবাচক বলে চিহ্নিত করা যাচ্ছে অবশ্যই। কিন্তু গণচেতনাকে উত্তরণের দিকে চালিত করার কোনও সুনির্দিষ্ট প্রকল্পের কথা আজও ভেবে মনে করা যায় না। সম্ভবত পতন ও প্রতিবিপ্লবের ভ্রূণ এখানেই রোপিত হয়। আজ যা প্রকাণ্ড এক আকার নিয়ে দখল করে নিয়েছে আমাদের মন, মেজাজ, মনন, আবেগ— ঠিক যেভাবে রাহুগ্রাসে দিনের আলোয় ঘনিয়ে আসে অন্ধকার, পাখিরা পথ ভুলে ফিরতে চায় বাসায়, গৃহস্থের ঘরে ঘরে বেজে ওঠে সাঁঝের শঙ্খ।
গত দেড় দশকে যদি রাজ্যের কোনও বিশেষ ক্ষেত্রে সামাজিক পরিবর্তন ঘটে থাকে, তার একমাত্র মশলা হল ধর্মীয় উদযাপনের ক্ষেত্রগুলিকে একান্ত ঘরোয়া এলাকা থেকে গোষ্ঠীর সামাজিক ব্রতে টেনে আনা। এই কাজটা একক কারও কাজ ছিল না। এটা একটা নিবিড় কর্মসূচি, যার নিয়ম-নীতি, নীল-নকশা আর ব্যয়-বরাদ্দ সুগ্রথিত।
চালু কোম্পানির শেয়ারের মতো বরাবরই ধর্মের বাজারদর বেশ চড়া— আর বিনিয়োগের ফেরতমূল্য অতি অল্প সময়েই সুনিশ্চিত। কিন্তু একটা সময় অবধি এই বিনিয়োগের কারবারে প্রাতিষ্ঠানিক ধর্মের পুঁজি খেটে এসেছে। আর তার সঙ্গে ছিল বিনিয়োগজনিত অনিশ্চয়তাও। ইদানীং সেই আশঙ্কার মেঘ উধাও। শাসকদল, সরকার ও প্রশাসন— এই ত্র্যহস্পর্শে খেলার মাঠ আরও চওড়া ও মজবুত।
পাড়ায় পাড়ায় মন্দির ও ছোটখাটো ধর্মস্থানগুলি ইতিমধ্যেই গুণোত্তর প্রগতিতে বর্ধমান। শুধু তা-ই নয়, আজকের বাজারে প্রতিটি পাড়ার মন্দির আর একজন দেব বা দেবীর দখলে নেই— সিঙ্গল স্ক্রিন চিত্রগৃহের মাল্টিপ্লেক্সে উত্তরণের মতোই এলাকার মন্দিরে মন্দিরে গুচ্ছ দেবদেবীর একত্র সমবায়ী অবস্থান। ফলে একটি জবরদখল জমির ওপর নির্মিত দেব-আবাসে বিচিত্র চেহারার উদযাপন হতে পারে অনায়াসেই। আজ যদি মহাদেব হয়, কাল সেখানে কালী, পরশু শীতলা— ইত্যাদি ইত্যাদি। এটা একটা বৃহৎ প্রকল্পের অংশ।
এই আদি প্রকল্পই দিনে দিনে একান্ত ঘরোয়া লোকাচার বা ধর্মীয় উদযাপনকে টেনে এনেছে পাবলিক ইভেন্টে। আর তার জন্য যা যা করণীয়— তা করতে কোথাও কার্পণ্য হয়নি। সরকারি ছুটি ঘোষণা থেকে এলাকায় এলাকায় বিপুল ইভেন্ট হিসেবে তাদের পুষ্টি জোগানো, সরকারি আর্থিক অনুদান থেকে স্থানীয় রাজনৈতিক মাতব্বরদের সূত্রে সামান্য আয়োজনকে বিপুল উচ্চতায় তুলে নিয়ে যাওয়া। বহুকাল আগে একবার বৃন্দাবন শহরে বেড়াতে গিয়ে চোখে পড়েছিল— শহরের আনাচে-কানাচে ছোট-বড়-মাঝারি মন্দিরের বিপুল বিন্যাস। এই রাজ্যের সাম্প্রতিক চেহারা প্রায় সেই বেন্দাবন ভ্রমণের আস্বাদ দিতে পারে।
সারা বছর প্রতিটি খুটিনাটি অকিঞ্চিৎকর ধর্মীয় অনুষ্ঠানে যেভাবে এলাকায় এলাকায় মোচ্ছব, বিচিত্রানুষ্ঠান, এলাকার মানুষের জন্য ঢালাও ভুরিভোজ ঘটে চলছে নিয়ত, কার্যত তা যেমন স্মরণ করিয়ে দেয় হুতোম-লিখিত পুরনো কলকাতার বাবুবিলাসকে, যারা বিড়ালের বিয়েতেও লাখ টাকা উড়িয়ে আত্মপ্রসাদ পেতেন— অন্যদিকে এই প্রবণতা বয়ে আনে এক সমান্তরাল অর্থনীতির ইশারা। বুঝিয়ে দেয় কোনও কাজই উপযুক্ত কারণ ছাড়া ঘটে না। এই ক্ষেত্রেও তার ব্যতিক্রম নেই।
সাধারণ মানুষকে নিছক প্রজা হিসেবে বিবেচনা করার মাশুল দিতে হয়েছিল বাম ব্রিগেডকে। তা নিয়ে সমালোচনা কম হয়নি। কিন্তু হালের সমাজ-অর্থনীতি রাজ্যের অধিকাংশ মানুষকে ডুবিয়ে রাখতে চায় একেবারে বেনিফিসিয়ারির চেহারায়। গণতন্ত্রের উৎসবে, যেখানে প্রয়োজন ছিল মানুষের আরও সক্রিয় অংশগ্রহণ— সেখানে ভোট-মেশিনারি মানুষকে দূরে সরিয়ে রাখে নির্বাচনী প্রক্রিয়া থেকে, আর মিশিয়ে দিয়েছে বিপত্তারিণী ব্রতের মেগা আয়োজনে। সামান্য শিবরাত্রির মতো একান্ত পাড়ার ব্যক্তিগত স্তরের উদযাপন আজ উঁচু প্যান্ডেল, তোরণ, ভারি ডিজে বক্স আর প্যাকেটবন্দি প্রসাদের দানছত্র। রামনবমী পারস্পরিক ঐশ্বর্য আর যুদ্ধের দামামা। সাবেকি দুর্গাপুজো প্রায় পনেরো দিনের উৎসব হয়ে উঠেছে আড়ম্বরের জৌলুসে। এছাড়া শীতলা, ষষ্ঠী, বিপত্তারিণী, পৌষকালী— সবই পেয়েছে ঝাঁ-চকচকে আয়োজন।
এবং, এই বাৎসরিক শ্রাবণ মাস ও মহাদেব ইউফোরিয়া।
শ্রাবণের মেঘ আকাশজুড়ে ঘনীভূত হওয়ার আগেই রাস্তায় রাস্তায় জলছত্র। শুধু জল নয়, কোথাও কোথাও ঢালাও জলযোগের আয়োজন। পুণ্যার্থীদের জন্য রাস্তা দখল করে প্যান্ডেল, চেয়ার। আর সেই সাতের দশক থেকে আজ অবধি ক্রমাগত বেড়ে চলেছে ভক্তদের আয়তন ও বিচিত্র ভঙ্গিমা। এখন ম্যাটাডোর কিংবা লাক্সারি বাসে করেও ডিজে বাজাতে বাজাতে পুণ্যার্থীরা যান। বাঁকের আকার ও প্রকার বিবর্তিত হয়েছে আরও। নানা বিভঙ্গে বেজে উঠছে শ্রাবণের গান।
সদ্য সদ্য রথযাত্রা উপলক্ষে যেভাবে আমরা দেখলাম, নিয়মকানুনকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে সরকারি প্রশাসন প্রায় নির্বাচনী মোডে প্যাঁড়া আর গজা বিতরণে ব্রতী হল, এখানেও তারই অপ্রত্যক্ষ ছায়া।
উত্তরপ্রদেশে ‘কুঁয়ার যাত্রা’র সংঘবদ্ধ পুণ্যার্থীদের স্থানীয় মানুষের ওপর অত্যাচার কী পর্যায়ে পৌঁছেছে, সে-সংবাদ আজ প্রকাশ্য। অথচ, সরকারি আদেশে ভক্তদের পদসেবা করতে বাধ্য করা হয়েছে উর্দিধারী পুলিশবাহিনীকে। এই রাজ্যেও আমরা ইতিমধ্যেই সরকারি দুর্গামণ্ডপ গড়ে তোলার প্রতিশ্রুতি পেয়ে উদ্বাহু। সুতরাং শ্রাবণ মাস। সুতরাং পথজুড়ে মণ্ডপ। সুতরাং আমরা এক ভক্তিরাজ্যের গদগদ প্রণত প্রজা হিসেবে আহ্লাদে আটখানা। সুতরাং স্পেশাল ট্রেন। সুতরাং গঞ্জিকাগর্ভী সিগারেট। এই ধূমপান শরীরের পক্ষে ঝুঁকির হলেও, ভক্তির জন্য অপরিহার্য।
আবার এসেছে শ্রাবণ। আবার এক পুঞ্জিত ভিড়।
বাদল সরকারের ‘ভোমা’ যখন খেতে চেয়েছিল, বাকিরা বলে উঠেছিল— “রবিশঙ্করের সেতারের আওয়াজে সব আর্তনাদ ডুবিয়ে দাও!” হ্যাঁ, আজ সমস্ত শব্দই অনূদিত হচ্ছে স্তব্ধতায়।
আমরা আপাতত ঠুঁটো দর্শকের ভূমিকায়।

