Site icon ৪ নম্বর প্ল্যাটফর্ম

খাদ্য জরুরি, যেমন জরুরি তার জোগানও

হরি বাসুদেবন

 


হরি বাসুদেবন (১৯৫২-২০২০) প্রখ্যাত ইতিহাসবিদ, মূলত ইউরোপ ও রাশিয়ার ইতিহাসের বিশেষজ্ঞ। ভারত-রুশ সম্পর্ক বিষয়েও তাঁর জ্ঞান ছিল গভীর। কেম্ব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষণা শেষ করে তিনি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে ইতিহাসের রিডার হিসেবে যোগ দেন। হরি বাসুদেবন তাঁর দীর্ঘ কর্মময় জীবনে NCERT-র পাঠ্যপুস্তক রূপায়ণ কমিটির সভামুখ্য-এর দায়িত্ব পালন করেছেন, অবজারভার রিসার্চ ফাউন্ডেশন-এর অতিথি অধ্যাপক ছিলেন, কলকাতার ইন্সটিটিউট অফ ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ-এর প্রধানের দায়িত্ব সামলেছেন। প্রচুর গ্রন্থের প্রণেতা, নিয়মিত সংবাদপত্র ও নিউজ পোর্টালে লিখেছেন। এই বিদগ্ধ মানুষটি গত ১০ মে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেলেন।

বর্তমান নিবন্ধটি হরির শেষ প্রকাশিত নিবন্ধ। ইংরাজিতে নিউজক্লিক ওয়েব পোর্টালে গত ২২ এপ্রিল প্রকাশিত হয়।

 

 

 

খাদ্য অত্যাবশ্যকীয়। দেশে, প্রজন্মের পর প্রজন্ম এই সত্যকে জেনে এসেছে, সম্মান করেছে, হয় অভিজ্ঞতার সূত্র ধরে নতুবা স্মৃতির ভিত্তিতে। এইসব প্রজন্মগুলির অনেকেই ভারতের একাধিক কালাহান্ডির পরিধিতেই বসবাস করেছেন, শুধু অস্থায়ী বলে যাদের কথা সেভাবে আলোচিত হয়নি। অথচ এই দ্রুত পরিবর্তনশীল বিশ্ব অর্থনীতিতে এই ধরনের ঘটনা বারবার ঘটে চলেছে। এও হতে পারে, এই মানুষেরা সেইসব স্মৃতির ভেতর বড় হয়েছেন, সে স্মৃতি তাঁদের বাংলার দুর্ভিক্ষ অথবা চল্লিশ পঞ্চাশের দশকের চিরন্তন খাদ্যাভাবের সময়গুলিতে নিয়ে গেছে, ঠিক যখন আমাদের দেশের গণবণ্টন ব্যবস্থা সবেমাত্র আকার নিচ্ছে। তাঁদের কাছে নিঃসন্দেহে এটি একটি স্বতঃসিদ্ধ ঘটনা: অনাহারের অর্থ আসলে মৃত্যু। পাশাপাশি ভারত, পৃথিবীর অন্যতম শক্তিশালী একটি দেশের তকমা পেতে উদগ্র ভারত, জহরলাল নেহেরু বা নরেন্দ্র মোদি যার শাসনেই থাকুক না কেন, অনাহারের বিরুদ্ধে লড়াই করতে করতে এতেই আক্রান্ত হয়ে পড়ছে বারবার। আরেকটি প্রকট সত্য হল, অনাহারের কারণ খাদ্যদ্রব্য বা উৎপন্নের অভাব নয়, অনাহার আসলে তৈরি হয় খাদ্যবস্তু সরবরাহ ও বণ্টনের অভাব থেকে।

দেশব্যাপী কোভিড-১৯ সঙ্কটের ভয়াবহ সময়ে, এই সহজ সত্যটিই দেশের গ্রাহক সেবা মন্ত্রক, খাদ্য ও গণবণ্টন দপ্তর ভুলে যেতে বসেছে যে তারাই দেশের বিপুল সংখ্যক অভিবাসীদের কাছে খাদ্যশস্যের বিশাল সঞ্চিত ভাণ্ডার পৌঁছে দিতে দায়বদ্ধ। প্রধানমন্ত্রী তাঁর উদ্বেগের কথা জানিয়েছেন। অর্থমন্ত্রী অর্থের বন্দোবস্ত করে দিয়েছেন। কিন্তু ঠিক কী কী করতে হবে, তা নিয়ে বোঝাপড়ার চূড়ান্ত অভাব দেখা গেছে, যার ভয়ঙ্কর পরিণতি অনাহার।

অংশত, সমস্যাটি হল যা ঘটে চলেছে তাকে ভারতীয় আমলাতন্ত্রের চেনা গতে ফেলা সহজ নয়। সমস্যাটিকে কৃষক আত্মহত্যার চেহারা নিয়ে আত্মপ্রকাশ করেনি, তা হলে মন্তব্য করার জন্য একটি সুনির্দিষ্ট কারণ থাকত। ভারতবর্ষের বিস্তীর্ণ গ্রামীণ এলাকা অসহায় পরিযানের মধ্যে দিয়ে খাদ্যাভাব প্রকট করে তোলেনি, ঠিক যেমনটা হয়েছিল তিরিশ ও পঞ্চাশের দশকে সোভিয়েত রাশিয়ায় ও চিনে অথবা বিশ্বযুদ্ধের সময় এই বাংলায়। খাদ্যশস্যের গুদাম ও বাজারগুলোতে যোগানের অভাবে শহরগুলিতে কোথাও কোনও দাঙ্গা দেখা যায়নি। তা সত্ত্বেও লাখে লাখে মানুষ পথে নেমেছেন, যখন জাতীয় স্তরে এক ‘ভয়াবহ মারক’-এর বিরুদ্ধে লড়াই করতে গিয়ে তাঁদের নিজেদের জীবন ও জীবিকা ইতিমধ্যেই ধ্বংস হওয়ার উপক্রম। এরা ছাড়াও অসংগঠিত ক্ষেত্রের বহু মানুষে, দ্রুত খাদ্যাভাবে আক্রান্ত হয়ে পড়ছেন।

ভারতবর্ষে সমাজের এক অংশের বিপথগামী কিছু ধারণা, তাদের কাজ ও অবিবেচকতার জন্য এই মানুষগুলোর আজ এই পরিণতি— তাদের ভীতি এবং বর্তমান পরিস্থিতি, অর্থাৎ অনাহার। তাছাড়াও, এই মানুষগুলির মরিয়া পদক্ষেপকে মেনে নেওয়া হবে না, ঠিক যেমন চিনেও হয়নি। এমনিতেও প্রবল শীতের জন্য শ্রমিকদের পরিযান অসম্ভব হয়ে পড়েছিল, তার ওপর চিনের দল রাষ্ট্র তাঁদের শাস্তিবিধান করেছিল। আজ তাঁদের এই পরিস্থিতি কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নের উত্তর দাবি করে; যেমন, তাঁদের কী খাবার দেওয়া হবে? কতটা খাবার দেওয়া হবে? কোথায় গেলে খাবার পাবেন তাঁরা? খাবার দেবে কে?

খাদ্যাভাব মেটানোর জন্য দেশের যে মূল সংস্থা অর্থাৎ ফুড কর্পোরেশন অফ ইন্ডিয়া, যা বেশ কিছু সূত্র অনুযায়ী বিশ্বাস করলে গোটা দেশের খাদ্যের প্রয়োজনের প্রায় তিনগুণ সঞ্চয় করে রেখেছে। কিন্তু তা সত্ত্বেও এরা অভিবাসী শ্রমিকদের ক্ষুধার নিবারণ কার্যকরীভাবে করে উঠতে পারেনি। সঞ্চিত খাদ্য নথিবদ্ধ করে, লোড করে, জমা করে রাখা হয়, ক্রয়ব্যবস্থা অনুযায়ী জনসাধারণের অর্থ থেকেই তার মূল্য চোকানো হয়। সাম্প্রতিককালে, জমা খাদ্য নষ্ট হয়ে যাওয়ার ঘটনা কমে আসছে। একবিংশ শতকের শুরুর দিকে এফসিআই ও রাজ্যগুলির সঙ্গে আদানি এগ্রি লজিস্টিকস লিমিটেড, ওম মেটালস ইনফ্রাপ্রোজেক্টস লিমিটেড ও অন্যান্য প্রাইভেট কোম্পানিগুলির চুক্তির ফলে খাবার স্টককে পাটের ব্যাগে প্যাক করে গুদামে ফেলে রেখে দেওয়ার প্রবণতা কমছে। তাপমাত্রার ওঠানামা এবং কীটনাশকের প্রভাব প্রতিহত করতে পারে এমন ইস্পাতের আধার (steel silos) খাদ্যসঞ্চয়ের কাজে ক্রমশ জায়গা করে নিচ্ছে। তবু, আধুনিক গুদামগুলির এই ব্যাবস্থা একধরনের উপশমের কাজ করলেও এবং উত্তর ও পশ্চিম ভারতে কিছুটা কাজ শুরু হলেও অধিকাংশ কাজই বাকি। খাদ্য মজুতের নিরিখে ভারত পৃথিবীর উন্নত দেশগুলির সঙ্গে একাসনে খুবই ধীরে ধীরে হলেও, বসতে চলেছে। সুপ্রাচীন কাল থেকেই ভারতের খাদ্যসম্ভারের একটা বড় অংশ ইঁদুরের পেটে চলে যেত, যা ক্ষুধার বিরুদ্ধে ভারতের বর্তমান লড়াইয়ের সময়েও হয়ে আসছে। তা সত্ত্বেও এই নষ্ট হতে চলা খাবারের একটা বিরাট অংশ বণ্টন করতে পারছে না এফসিআই এবং তার অনেকখানি নষ্টও হচ্ছে।

সদিচ্ছা থাকলেও, খাদ্য মজুতের এই পরিবর্তনটি অভিবাসী শ্রমিকদের ক্ষুধা নিবারণে গণবণ্টন ব্যবস্থার (পিডিএস) ব্যর্থতার তালিকাই লম্বা করল মাত্র। স্টক কোথা থেকে ছাড়া হবে? স্টিল আধার থেকে গুদাম- মজুত রাখা খাদ্যশস্যের গুণমান সুনিশ্চিত হবে কীভাবে? ইতিমধ্যেই পিডিএস যার অধীনে, সেই ন্যাশনাল ফুড সিকিউরিটি অ্যাক্ট বিভিন্ন রাজ্যে শুধু পরিযায়ীই নয়, সাধারণ নাগরিকদের তালিকাভুক্তি নিয়েও নানারকম সমস্যার সম্মুখীন হয়েছে। কারা খাবার বণ্টন করবে এবং রাস্তায় চলমান অভিবাসীদের কাছে খাবার পৌঁছবেই বা কীভাবে? ভারতের পিডিএস ব্যাবস্থায় এটি একটি খুব গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন। পরিযায়ীদের মধ্যে কতজনের রেজিস্টার্ড রেশন কার্ড আছে? রেজিস্ট্রেশন জোনের বাইরে কি সেইসব কার্ড ব্যবহার করা যাবে? তালিকাভুক্তিকরণের জন্য অন্যান্য পরিচয়পত্র কি যথেষ্ট হবে? এইসব সিদ্ধান্ত নেবে কারা? মানুষ এই মুহূর্তে ভুগছে, তাই এইসব জরুরি সিদ্ধান্ত কার্যকরই বা হবে কবে? আর যদি সিস্টেম কাজ না করে তাহলে কারা সেই অভাব পূরণ করবে? এক্ষেত্রে এনজিও-রা বেশ খানিকটা পরিপূরক ভূমিকা পালন করতে পারত, কিন্তু ‘দেশপ্রেমিক’ সরকারের নতুন কর কাঠামো ও ফরেন কনট্রিবিউশন রেগুলেশন অ্যাক্ট (এফসিআরএ) কর্তৃপক্ষের ‘দেশের সুরক্ষা’ সুনিশ্চিত করার চাপে, এনজিও-গুলি এই মুহূর্তে নিজেদের অস্তিত্বের লড়াই লড়ছেন।

অনাহার অদ্ভুত জিনিস। এটি সঙ্গে সঙ্গে কাউকে শেষ করে দেয় না। গান্ধিজি হাতেকলমে করে দেখিয়েছিলেন। আরও অনেকেই করেছেন। কিন্তু শেষমেশ, পরিণতি অবশ্যম্ভাবী মৃত্যু। সম্ভবত, লকডাউন শিথিল হলে, ক্ষুধার্ত পরিবারেরা বাড়ি ফিরে সংক্রামিত সন্দেহভাজন হয়ে পড়ার ভয়ে অথবা কয়েকশো কিলোমিটার পথ হেঁটে ঘরে ফিরতে না পেরে শেষমেশ কাজে ফিরে যাবেন। কিন্তু লকডাউন শিথিলতার পর, কাজ থেকে উপার্জিত অর্থ কি তাঁদের খিদে মেটাতে সক্ষম হবে? ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোগে ধীরে ধীরে ছন্দে ফিরবে, MNREGA ও অন্য প্রকল্পগুলি গতি বাড়াবে, সেই পরিপ্রেক্ষিতে এফসিআই ও পিডিএস-এর সঙ্গে এঁদের যোগসূত্র কি আরও দৃঢ় করা সম্ভব হবে?

কোভিড-জনিত সঙ্কটের তিন সপ্তাহ ধরে এইসব নানা প্রশ্ন স্বভাবতই উঠে আসছে, যদিও কোনও সমাধানের রাস্তা পাওয়া যায়নি; বরং পরিণতিগুলি আরও বৃহত্তর সমস্যার দিকে ইঙ্গিত করছে, যার ভিত পরিযায়ী শ্রমিকদের খাদ্যসমস্যার প্রতি অবহেলা থেকেই তৈরি হয়েছে। মানুষের ক্ষুধা ও তা ঘিরে তীব্র সঙ্কট নিয়ে ভারতবর্ষের যে বহুস্তরীয় স্মৃতি ছিল, মুক্ত অর্থনীতি ও বিশ্বায়নের পুনর্গঠনের সময় তা আবছা হয়ে গেছে। মানুষকে কীভাবে এবং কেন খাওয়াতে হবে, এই প্রশ্নগুলির উত্তর খোঁজা ও সেই সম্পর্কিত অনিশ্চয়তা আসলে শুধুমাত্র যে প্রাতিষ্ঠানিক দ্বিধাদ্বন্দ্ব থেকেই তৈরি হয় তা নয়, এর মধ্যে ক্ষুদ্র স্বার্থও জড়িয়ে থাকে, যুক্ত থাকে সাধারণ্যের পুষ্টির মতো বুনিয়াদি ইস্যুটি ভেবে দেখার মৌলিক দৃষ্টিভঙ্গির অভাব, যে দৃষ্টিভঙ্গি প্রতিষ্ঠানকে ক্ষুধা প্রতিরোধে চিন্তাভাবনা ও কাজ করতে সাহায্য করতে পারত।

খাবার অত্যাবশ্যক। কিন্তু পাশাপাশি বিশ্বায়ন ও ভোগবাদে ডুবে থাকা এই সময়ে, খাবার একধরনের বিলাস-বস্তুও বটে; যার স্বাদ, বর্ণ, গন্ধ, পরিবেশন— সব নিয়ে অনন্ত পরীক্ষানিরীক্ষা হয়ে চলেছে। এছাড়া বিশ্বের বিভিন্ন অংশের মতো, একবিংশ শতকের শুরুর থেকে বৈষম্য বেড়ে ওঠা ভারতবর্ষে অনেক মানুষ আছেন যাঁরা খাদ্যের চরিত্রের একটা দিক নিয়ে সচেতন, অথচ অন্য দিকটি সম্পর্কে সম্পূর্ণ অজ্ঞ হয়ে আছেন। ক্ষুধা এবং বঞ্চনার ভাবনা আমাদের আফ্রিকার কথা কল্পনা করায়। ‘দারিদ্র অর্থনীতি’-র মৌলিক সত্তা আসলে অন্য আরেকটি সমস্যা তৈরি করছে; আর তা হল অনাহার এবং অভাবে আক্রান্ত মানুষদের অনেকেরই অত্যাবশ্যকীয় কিছু দিক অর্থাৎ পুষ্টির মূলগত দিকটি সম্পর্কে অবচেতন ও উদাসীন হয়ে পড়া। ক্রিম ওয়াফ্ল রোল যাঁরা তৈরি করেছেন, তাঁরা ভাত ডালকে সম্মান করতে শেখেননি। পি সাইনাথ এই কথাটিই বহুবার বলে আসছেন যে, সমাজের বহু অংশ এই ক্ষুধার দিকটি সম্পর্কে সম্পূর্ণ বধির হয়ে আছেন।

অভিবাসী শ্রমিকদের ক্ষুধার এই সমস্যাটি প্রকৃত অর্থে প্রাচুর্যের পরিবেশের বিরুদ্ধে অভাবের লড়াইয়ের এক তালগোল পাকানো অবস্থার সঙ্গে জড়িত, যা সত্যজিৎ রায়ের ‘অশনি সঙ্কেত’ (১৯৭৩) ছবিতে মুন্সিয়ানার সঙ্গে দেখানো হয়েছিল। এই সমস্যাটি আবার অসংগঠিত শ্রমিকদের দুর্দশার সঙ্গেও মেলানো যেতে পারে, যা আসলে রাজনৈতিক যান্ত্রিকীকরণেরই পরিণতি। কিন্তু এই দুটো দিকেই আমাদের কোনও ভুল করলে চলবে না। আজকের ভারতে, এ সমস্তই একটি ভয়ঙ্কর সত্যকে উন্মোচন করা অন্য একটি বিষয়ের পরিণতি মাত্র; তা হল, অনাহার এবং অভাব নিয়ে সামাজিক অবচেতনতা, যা আসলে রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে মানুষের দাবি জানানোর পথেই বাধা হতে দাঁড়ায়; এবং মালয়ালম ছবি ‘উস্তাদ হোটেল’ (২০১২)-এর সেই বার্তাটির প্রতিই অবজ্ঞা যেখানে বলা হয়েছিল খাবার যাঁরা পাচ্ছেন না তাঁদের কষ্টের প্রতি উদাসীন থাকলে খাবার খাওয়ার আনন্দই আসলে চূড়ান্ত অর্থহীন। এবং এটিই ভারতের প্রজাতন্ত্রের সূচনার সেইসব দিনগুলোর প্রতি একটি ভয়ার্ত সঙ্কেত পৌঁছে দেয়, যখন ক্ষুধা ইত্যাদি সমস্যাই প্রজাতন্ত্রের মূল ভাবনা ছিল।