Site icon ৪ নম্বর প্ল্যাটফর্ম

লুটি তো ভাণ্ডার, মারি তো গন্ডার: নয়া পরিবেশ আইন সংক্রান্ত দুটো একটি কথা

চার্বাক মিত্র

 

ক্লাইমেট চেঞ্জ বলে আসলে কিছু নেই, ওসব আমাদের মনের মধ্যে হয়। এমন একটি কাব্যময় দার্শনিক মনকেমনিয়া কথা কে বলেছিলেন? কেই বা সদর্পে ঘোষণা করেছিলেন, ‘গ্লোবাল ওয়ার্মিং’ আদতে ‘হোক্স’? ব্রাজিলের ফেডারেল এজেন্সি ‘ইবামা’ পরিবেশ আইন লঙ্ঘন করলে ফাইন করে আমআদমি থেকে বড়সড় কর্পোরেট বাবুদের; সেজন্য গোঁসা করে কে বলেছিলেন, এইসব পরিবেশ সচেতনতা আদতে ‘ইন্ডাস্ট্রি’, এবং তিনি এইসব ‘ত্যাঁদড়ামো’ কড়া হাতে দমন করবেন?

তিনটি রাষ্ট্রের তিন রাষ্ট্রপ্রধান। যথাক্রমে নরেন্দ্র মোদি, ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং হোয়ের বোলসোনারো। পরিবেশ বিষয়ে সব রাষ্ট্রের এক রা! এমতাবস্থায়, এমন কোনও রাষ্ট্র যদি দাবি করে বসে, পরিবেশ নিয়ে তারা রীতিমতো ভাবছে, পরিবেশের রক্ষার্থে আইন সংশোধন করছে, তাহলে ঘোড়ায় হাসবে। সে নাহয় ঘোড়া বেয়াদপ, কিন্তু আপনি-আমি ভুরুতে একটুও ভাঁজ ফেলব না? কথা হচ্ছে, আমাদের রাষ্ট্র, আমাদের দেশ ভারত প্রসঙ্গে। সদ্য চলে যাওয়া স্বাধীনতা দিবসের দিন ‘কিরীটধারিণী তুষারশৃঙ্গ সবুজে সাজানো তোমার দেশ’ বলে দেশবন্দনা অনেক চলল, কিন্তু দিনকয়েক আগেই আমাদের প্রিয় ভারত সরকার যে ঘটনাটি ঘটিয়েছেন, তা নিয়ে চট করে টুঁ শব্দ উচ্চারণ করছেন না কেউই। কারণ, বিষয়টি জটিল। জল বিস্তর ঘোলা, সেই জলে মাছ ধরাও দুষ্কর!

ইন্দিরা হত্যার দু বছর পর, ১৯৮৬ সালে রাজীব গান্ধির আমলে ‘এনভায়রনমেন্ট প্রোটেকশন অ্যাক্ট’ লাগু হয়। সেই আইনের খসড়ার চারটি চ্যাপটারের মধ্যে তিন নম্বর চ্যাপটারটিতেই আইনের সার কথা ছিল। সেখানে পরিবেশ-সংক্রান্ত যে বিপদটির মোকাবিলার ওপর জোর দেওয়া হয়েছিল, তা হল পরিবেশ দূষণ। অর্থাৎ, স্কুলের রচনার হেডলাইন। এখন ঘটনা হচ্ছে, ‘পরিবেশ দূষণ’ এমনই একটি আতুপুতু নিরাপদ, অথচ বহুব্যবহৃত টার্ম, যে ‘পরিবেশ লুণ্ঠন’, ‘পরিবেশ জবরদখল’ জাতীয় বেয়াড়া শব্দবন্ধ শুনলে অনেকেই ভিরমি খান। যাই হোক, এই আইন পাশ হওয়ার পাক্কা দু’টি দশক পরে, ভারতের বুক দিয়ে রাজীব হত্যা-শাহ বানো মামলা-রামানন্দ সাগরের রামায়ণ ও বি আর চোপড়ার মহাভারত-বাবরি ধ্বংস-মুম্বই দাঙ্গা এবং বিস্ফোরণ-গণেশের দুধ খাওয়া-চল্লিশবার জোট সরকারের ভাঙাগড়া— ইত্যাদি ঝড়ঝঞ্ঝা পেরিয়ে যাওয়ার পরে ২০০৬ সালে ইউপিএ সরকারের আমলে এই আইনের আওতাতেই ‘মিনিস্ট্রি অফ এনভায়রনমেন্ট অ্যান্ড ফরেস্টস’ একটি নোটিফিকেশন বা সংশোধনী বের করে। ৪৫ পাতার সেই ড্রাফটে কী লেখা ছিল সে বিষয়ে বিস্তারে যাওয়ার আগে বলে রাখা যাক, নয়ের দশকে, শতাব্দীর শেষ দশকে নানা ওঠাপড়ার পাশাপাশি আরও একটি ঘটনা ঘটে গিয়েছিল মহা সমারোহে। কোনও ভাঙচুর বা দাঙ্গাহাঙ্গামা হয়নি তার জন্য। সেই কাণ্ডটি হল ‘গ্যাট চুক্তি সাক্ষর’। পিভি নরসিমা রাওয়ের আমল, অর্থমন্ত্রী সর্দার মনমোহন সিং। প্ল্যানিং কমিশনের মাথায় ছিলেন সেসময় প্রণব মুখোপাধ্যায়। দক্ষিণায়নের দরজা খুলে গেল। বিশ্বায়ন গুটি গুটি পায়ে নতুন অতিথি সেজে ভারতে ঢুকল। অসম্ভব মিষ্টি একটি ঘটনা। যদি জিজ্ঞেস করেন, এর সঙ্গে পরিবেশের কী সম্পর্ক— সে প্রসঙ্গে শিগগিরই আসছি।

২০০৬ সালে ১৯৮৬ সালের আইনের যে ‘এনভায়রনমেন্ট ইমপ্যাক্ট অ্যাসেসমেন্ট (ইআইএ) নোটিফিকেশন’ বা সংশোধনী এল, তাতে খুব পরিষ্কার করে বলা হল পরিবেশ লুণ্ঠনের কথা। মনে রাখা প্রয়োজন, নেহরুর আমল থেকে নর্মদার জল ভাবিয়েছে সরকার বাহাদুরকে, সেই নর্মদার বাঁধ প্রকল্পের বিরুদ্ধে লড়াই করছিলেন মেধা পাটেকর এবং বাবা আমতে, নয়ের দশকজুড়ে। মাঝে স্থগিত থেকে নর্মদার বাঁধনির্মাণ আবার শুরু হয়েছিল ১৯৯৯ সালে, এনডিএ আমলে, বাজপেয়ি তখন প্রধানমন্ত্রী। পূর্বসূরির সেই প্রকল্পে পুরনো বাংলা সিনেমার মতো ‘সমাপ্ত’ সিলমোহর লাগিয়েছেন নরেন্দ্রভাই দামোদরদাস মোদি। যাই হোক, নর্মদার আন্দোলন থেকে যে সহজ তত্ত্বটি রাষ্ট্র বুঝে নিয়েছিল, তা হল এইসব পরিবেশ বাঁচানো, নদী বাঁচানো, জল-জঙ্গল-জমিন বাঁচানো— ইত্যাদি গোলমেলে কাজে লিপ্ত লোকজন দেশদ্রোহী। হয়তো বা জঙ্গিও। মাওবাদী তো হতেই পারে! যাই হোক, তারপরেও ২০০৬-এর নির্দেশিকাতে খানিক সৎ এবং সুস্থ প্রচেষ্টা ছিল পরিবেশের ওপর অবাধ হামলা ঠেকাতে। ১৯৮৬-র শিশুপাঠ্য এবং পরিবেশ পরীক্ষার প্রশ্নমার্কা দূষণ রোধ করানোর সহজপাঠ ছেড়ে সেখানে একটু অ্যাডাল্ট বিষয়ে মাথা গলিয়েছিল সরকার। বলেছিল, নতুন কোনও প্রকল্প বা চালু প্রকল্প, যা পরিবেশের ক্ষতি করতে পারে, বা সোজা কথায় পরিবেশ উৎখাত করে হতে পারে, তার জন্য নয়া পরিবেশ পলিসি মোতাবেক ‘এনভায়রনমেন্টাল ক্লিয়ারেন্স’ চাই। নয়া পরিবেশ পলিসি বা নিউ এনভায়রনমেন্টাল পলিসি ২০০৬ সালেই গৃহীত হয়েছিল। ন্যাচারাল রিসোর্স, অর্থাৎ অপ্রচলিত শক্তি, খনিজ সম্পদ ইত্যাদি বাঁচানোর প্রসঙ্গ সেখানে ছিল, ছিল পরিবেশকে অবলম্বন করে বেঁচে থাকা মানুষদের দেখভালের কথাও। তো এই নোটিফিকেশনে এইসব শিল্প প্রকল্পগুলিকে ক্যাটেগরি (এ) এবং ক্যাটেগরি (বি)-তে ভাগ করা হয়েছিল। বিষয়টা একটু কঠিন, তাও সহজ করে বলা যায়। ধরুন, মাইনিং। এবার মাইনিংয়ের ওজন বুঝে ক্যাটেগরি (এ) এবং (বি)-তে ভাগ করা হয়েছিল। আবার অফশোর এবং অনশোর অয়েল এবং গ্যাস এক্সপ্লোরেশনে কোনও রকম ক্যাটেগরি ভাগ করাই হয়নি। মোদ্দা কথা ছিল, পরিবেশ সংরক্ষণের প্রশ্নে ক্যাটেগরি (এ)-ভুক্ত শিল্প কোনওমতেই সম্পূর্ণ ক্লিয়ারেন্স ছাড়া ছাড় পাবে না। এনভায়রনমেন্টাল ক্লিয়ারেন্সে ছাড়ের প্রশ্ন উঠবে ক্যাটেগরি (বি)-ভুক্ত শিল্পের ক্ষেত্রে। এবার এই ক্লিয়ারেন্স বা ছাড়পত্র দেওয়ার জন্য থাকবে একটি রেগুলেটরি অথরিটি। সেই অথরিটি যে প্রক্রিয়াগুলির ভেতর দিয়ে গিয়ে এই অনুমতিটুকু দেবে, তার মধ্যে স্ক্রিনিং, স্কুপিং— অর্থাৎ প্রশাসনিক বিবেচনার প্রশ্ন যেমন ছিল, তেমনই ছিল ‘পাবলিক কনসাল্টেশন’ নামক একটি ধাপ। অর্থাৎ, এবিষয়ে জনগণের মতামতের একটি গুরুত্ব ছিল।

মোদি সরকারের পরিবেশমন্ত্রী প্রকাশ জাওড়েকরের পাশ করানো নবতম সংশোধনী প্রস্তাবে কী লেখা রয়েছে সেটা পরের কথা, আগে জানানো দরকার, এই প্রস্তাবের ভুলভ্রান্তি নিয়ে পিটিশন করায় তিনটি ওয়েবসাইটে লালবাতি লাগিয়ে দিয়েছে দিল্লি পুলিশ। জনমতের চাপে প্রকাশ জাওড়েকরের ইমেল নাকি ভারাক্রান্ত হয়ে যাচ্ছিল। যাই হোক, কেন পিটিশন? এই প্রস্তাবে ২০০৬-এর ইআইএ-র সংশোধনী এনেছে প্রকাশ জাওড়েকরের মন্ত্রক। ইউপিঅএ আমলে সেই মন্ত্রকের নাম ছিল ‘মিনিস্ট্রি অফ এনভায়রনমেন্ট অ্যান্ড ফরেস্টস’। এখন বর্ধিত নামে জুড়েছে— অ্যান্ড ক্লাইমেট চেঞ্জ (অর্থাৎ যার কিনা অস্তিত্ব নেই, যা মনের ভেতর হয় বলে স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী মনে করেন)। আগের ইআইএ নোটিফিকেশন ছিল ৪৫ পাতার। এটিতে প্রায় দ্বিগুণ হয়েছে সংখ্যা, সব মিলিয়ে ৮৪ পাতার ড্রাফট। এখন এই আইনে ‘ছিল রুমাল হল বেড়াল আরে এ তো হামেশাই হচ্ছে হেঁহেঁ’ বলে দুধের দঁাতে দেয়ালা কাটতে কাটতে পূর্ব-আলোচিত শিল্পক্ষেত্রের বাধানিষেধে খুল্লমখুল্লা ছাড় দিয়ে দেওয়া হয়েছে। অফশোর অনশোর অয়েল অ্যান্ড গ্যাস এক্সপ্লোরেশন, ভারী হাইড্রোইলেকট্রিক শিল্প (২৫ এমডাব্লিউ), ২০০০ থেকে ১০০০০ হেক্টর কমান্ড এরিয়ার ইরিগেশন প্রজেক্ট— অর্থাৎ যা যা ক্যাটেগরি (এ)-র আওতাভুক্ত ছিল, এবং ক্লিয়ারেন্স ছাড়া কোনওমতেই অনুমতিসাপেক্ষ ছিল না, তা হয়ে গেল ক্যাটেগরি (বি২), অর্থাৎ আইনের ফস্কা গেরোয় সবচেয়ে সহজে অনুমতি পেয়ে যাওয়া যাবে যেক্ষেত্রে। অর্থাৎ পরিবেশ চুলোদ্দোরে যাক, কর্পোরেটরা বেঁচে থাক। আর হ্যাঁ, জনমত গ্রহণের যে ধাপটি ছিল কোনও প্রকল্পকে অনুমতি দেওয়ার ক্ষেত্রে, তা লাটে তুলে দেওয়া হয়েছে।

ইউপিএ আমলে পরিবেশ বিষয়ে এই কল্যাণকামী সরকারের ভড়ং খসে গিয়েছিল বহু ক্ষেত্রেই। ‘বেদান্ত’-র কথাই ধরা যেতে পারে। তাছাড়াও বড় শিল্প, খনি নির্মাণ এসব নিয়ে কিছু দুষ্টু ছাড় দিয়েছিল ইউপিএ। কিন্তু, তাও জনমতের কাপড়টা ছিল। আর এই সরকার নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তীর কবিতার বাচ্চাটার দিকে তাকিয়ে মুচকি হেসে একেবারে উলঙ্গ হচ্ছে। যে তিনটি ওয়েবসাইট এই সামান্য কারণে সোজা দেশদ্রোহিতা আইনের ঠোক্কর খেল, তার মধ্যে গ্রেটা থুনবার্গের বিশ্বজোড়া পরিবেশ আন্দোলন ‘ফ্রাইডেজ ফর ফিউচার’-ও ছিল। কুখ্যাত দিল্লি পুলিশের সাইবার সেল অবশ্য ‘ভুল হয়ে গেছে’ বলে একটা নিরামিষ স্বীকারোক্তি নামিয়েছে, কিন্তু তা যথেষ্ট নয়। বোঝাই যাচ্ছে, জনমতের থোড়াই কেয়ার করে এই সরকার।

সম্প্রতি একটি বিখ্যাত দৈনিকে এই আইন প্রসঙ্গে প্রফেসর সুকান্ত চৌধুরী লিখেছেন, ‘আইনি ভাষা সঙ্গত কারণে দুরূহ হয়, এ ক্ষেত্রে হওয়াটা অকারণ ও অমার্জনীয়।’ জু়ড়ে দিয়েছেন এই টিপ্পনী, ‘জীবনভর ইংরেজির শিক্ষক’ তিনি ‘হিমশিম’ খেয়েছেন এই ড্রাফট পড়তে গিয়ে। ন্যায্য কথা! কেন এত দুরূহ? কারণ, সহজে এইসব সর্বনেশে কথা লিখে দেওয়া যাবে না। ২৫ কিলোমিটার থেকে ১০০ কিলোমিটার পর্যন্ত হাইওয়ের বিস্তৃতিও ক্যাটেগরি (এ)-ভুক্ত। বহুদিন ধরেই করবেটের জঙ্গলের বড় অংশ ফঁাকা করার কথা চলছে, হাইওয়ে বসানোর জন্য। এমনিতেই করবেটের কোর এরিয়ায় কিছু বর্বর বেনিয়া হোটেল খুলে রাতদুপুরে ডিজে পার্টি করে খবরে এসেছিল, সেসবই সরকারের নজরে হচ্ছিল। এই সরকার আসার পরেই, এই প্রকাশ জাওড়েকরের আমলেই পান্নার জঙ্গল লিজ দেওয়ার কথা চলছিল একটি মার্কিন মাইনিং সংস্থাকে। কয়েকদিন আগে রিলায়েন্স বায়না ধরেছিল, মধুমালাইয়ের জঙ্গলে তারা একটি ফায়ার কেবল বসাবে, ফলে বন্যপ্রাণের ঝঞ্ঝাট সরাতে হবে সেখান থেকে। এমন অসভ্য বায়নাও একটা দেশে শিল্পপতিরা করতে পারে! পারবে না কেন? টিনটিনের সেই আবদুল্লাকে মনে আছে, বাব-এল-আরবের প্লেন চারবার গোঁত্তা খেয়ে মাটিতে নামুক— এই ছিল তার বায়না। সে বায়না মানা হয়নি বলে আবদুল্লার বাবা একেবারে রাষ্ট্রবিপ্লব বাঁধিয়ে বসেছিলেন। কর্পোরেট বাবুদেরও এমন অনেক বায়না আছে। সেসব মেটাতে পরিবেশকর্মীদের নীতিবাগীশতাকে একদমই প্রশ্রয় দিচ্ছে না সরকার। আগের নির্দেশিকায় সেই প্রস্তাবের বিরোধিতা করার যে সময়সীমা ছিল, এক্ষেত্রে তাও কমিয়ে দিয়েছে সরকার। বিরোধিতা নৈব নৈব চ, কর্পোরেটদের নির্লজ্জ লীলাখেলায় কোনও আগল চলবে না।

কেরলের হাতির মৃত্যুর পর বাম রাজ্যের মুসলিম অধ্যুষিত গ্রামের চাষীদের মুণ্ডপাত করতে উদ্যত ছিল গোটা দেশ। কেউ একবারও করবেট, মধুমালাই বা পান্নার জঙ্গলের বন্যপ্রাণের কথা ভাবছে না। শিল্পের জন্য বন্যপ্রাণের রিহ্যাবিলিটেশন বা পুনর্বাসনের বদ ভাবনার বিরোধিতা করছে না কেউ! এরপর যখন বাঘ দিবসে প্রকাশ জাওড়েকর খবরের কাগজে ঢালাও করে গদগদ কথা লেখেন, তখন সেই কুৎসিৎ ন্যাকামো দেখে গা জ্বালা করবে না? আসল কথাটা তো বলে দিলেই হয়, পরিবেশ বলতে বুঝি হিন্দুরাষ্ট্র, জঙ্গল বলতে রামমন্দির বা কাশী-মথুরা। বাকি সব আম্বানিভাই-আদানিভাই এবং বাদবাকি আদরের ভাইদের অবৈধ খেলাধুলোর জন্য ছেড়ে রাখা।