Site icon ৪ নম্বর প্ল্যাটফর্ম

পেগাসাস‌ স্পাইওয়্যার: গুপ্তচরবৃত্তি? না চোরাবালি?

দেবকুমার সোম

 



কবি, গদ্যকার, বিভিন্ন পত্রপত্রিকার সঙ্গে যুক্ত

 

 

 

সময়টা বড় গোলমেলে। বিশেষত সাম্প্রতিক সময়। এখন গুপ্তচরের মুখেও আঁটা আছে সৌম্যকান্ত শান্তিকামী সাধক রাষ্টনায়কের মুখোশ। রাষ্ট্রবাদীর গোপন নজরদারিতে ভাগ বসিয়েছে ভিন রাষ্ট্র। গুপ্তচরবৃত্তি এখন প্রতিবাদী মানুষের মারণাস্ত্র নয়। বরং বুমেরাং হয়ে তাক করে আছে রাষ্টনায়কের দিকে। নিজের অবিমৃষ্যকারিতায় রাষ্টনায়ক আজ স্বয়ং চোরাবালিতে।

আমি পাঠকের স্মৃতিতে আনতে চাই ২০১৭ সালের জুলাই মাসের একটি ছবি। যা ছিল আন্তর্জাতিক বিষয়। ১৯৪৮ সালে ইহুদি রাষ্ট্র ইজ়রায়েলের জন্ম হয়। রাষ্ট্রটির অন্নপ্রাশনের সময় থেকে ভারত যুক্তরাষ্ট্র রাজনৈতিক স্বার্থপূরণে বরাবর ঘনিষ্ঠ থাকলেও সেই প্রথম অর্থাৎ ২০১৭ সালের জুলাই মাসে ভারতের কোনও প্রধানমন্ত্রীর ইজ়রায়েল সফর। সফরের দ্বিতীয় কিংবা তৃতীয় দিন ইজ়রায়েল প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু তাঁর অফিশিয়াল টুইটার হ্যান্ডেল থেকে হাইফা সমুদ্রসৈকতে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে খালি পায়ে হাঁটার একটা ছবি পোস্ট করে মন্তব্য করেছিলেন, ‘বন্ধুদের সঙ্গে সৈকতে যাওয়ার মতো আনন্দের আর কিছু নেই।’ সেই সফর দুই রাষ্ট্রনেতাকেই তৃপ্ত করেছিল। কারণ ওই সফরেই ইজ়রায়েলের সফট‌্‌ওয়্যার গোষ্ঠী এনএসও তাদের গুপ্তচর সফট‌্‌ওয়্যার পেগাসাস স্পাইওয়্যার ভারতের কাছে বেচার চুক্তি করে।

আধুনিক পৃথিবীর যুদ্ধবিজ্ঞানে ইহুদিদের দক্ষতা এমন বিস্ময়কর যে, স্বয়ং অ্যাডলফ‌্‌ হিটলারও তা অস্বীকার করতে পারেননি। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরে উত্তর-ঔপনিবেশিক যুগে একদিকে যখন ঠান্ডাযুদ্ধ ঘিরে ধুন্ধুমার মারণাস্ত্রের প্রতিযোগিতা চলেছে, অন্যদিকে তখন বহু স্বাধীন রাষ্ট্র যুদ্ধবিজ্ঞানের বিভিন্ন প্রয়োজনে ইজ়রায়েল নির্ভশীল হয়ে উঠতে থাকে। সেই নির্ভশীলতা ১৯৯২ সালের পরে এমন ব্যাপক ও বিস্তারিত হয়েছে যে, পূর্ব ইউরোপের বহু দেশ এখন রাশিয়া বা চিন নয়, যুদ্ধের জন্য ইজ়রায়েলের ওপর বেশি নির্ভরশীল। এখন ইজ়রায়েল দেশটির ক্ষমতা এতটাই প্রভাবশালী যে, খোদ আরব দেশগুলোর কাছে আজ সে অচ্ছুত তো নয়ই, বরং তার কাছ থেকে যুদ্ধবিজ্ঞানের বিভিন্ন কলা–কৌশল আর সরজ্ঞাম কিনতে ইসলামিক দেশগুলো দিনে–দিনে অভ্যস্ত হয়ে উঠেছে। অর্থাৎ বলার কথা এই, আজকের বিশ্বজুড়ে যুদ্ধব্যবসায় ইজ়রায়েল প্রভাব প্রশ্নাতীত।

যেমন ধরা যাক সৌদি আরবের কথা। তাদের সঙ্গে ইজ়রায়েলের দীর্ঘদিন কোনও কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিল না। বরং বরাবর শত্রুতাই ছিল। কিছু বছর আগে সৌদি আরবের রাষ্ট্রপ্রধানেরা গোপনে ভিয়েনা, সাইপ্রাস আর রিয়াধে কয়েকটি ইজ়রায়েলি ব্যবসায়ী গোষ্ঠীর সঙ্গে মিলিত হন। বলা হয় তখন থেকে ইজ়রায়েল পেগাসাস‌্‌ স্পাইওয়্যার সৌদি আরবের কাছে বেচার পরিকল্পনা শুরু করে। আর এর ফলে আমরা দেখতে পাই ১৯৪৮ সাল থেকে ২০২০ সাল অবধি ইজ়রায়েলের সঙ্গে মাত্র দুটো ইসলামিক দেশের কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিল (১৯৭৯ সালে মিশর, ১৯৯৪ সালে জর্ডান)। অথচ ২০২০ সালে সেই সংখ্যাটা ছয়ে পৌঁছে গেল। মাত্র এক বছরে (২০২০ সালে) আরবের চার দেশ বাহারিন, সুদান, সংযুক্ত আরব আমিরশাহী আর সুদানের সঙ্গে ইজ়ারেয়েলের শান্তি চুক্তি হয়েছে। এই চমৎকার ঘটনাটির পেছনে রয়েছে পেগাসাস‌ের জাদু। ইজ়রায়েলের সাফ যুক্তি, ‘ব্যবসা আগে তারপর কৃটনীতি।’ হাঙ্গেরির সঙ্গে যখন চুক্তি হয়, তখন প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু যে কথাটা খানিক আব্রু রেখে বলেছিলেন, ‘কোন‌্‌ যন্ত্রটা কাজের আর কোনটা অকাজের, সেটা আমি নয়, বাজারই ঠিক করে দেয়।’

গুপ্তচরবৃত্তি রাজনীতির অঙ্গনে নতুন তেমনটা নয়। ট্রোজ়ান হর্স সব কালে, সবর্ত্রই থাকে। না হলে মনু-নির্দেশিত সাম-দান-দণ্ড-ভেদ নীতিগুলোর সম্পূর্ণ প্রয়োগ হয় না। বরং ব্যর্থ হয়। এমনকী সম্রাট অশোক বা আকবরও গুপ্তচরবৃত্তিকে অবহেলা করেননি। সেই রামায়ণের কাল থেকেই গুপ্তচরবৃত্তি একটি মান্য রাজনৈতিক নীতি। এই নীতি দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরে পেপারব্যাক স্পাই সিরিজ়গুলোর জনপ্রিয়তাকে আরও প্রভাবিত করেছে সন্দেহ নেই। কিন্তু পেগাসাস‌্‌ স্পাইওয়্যার নিয়ে সমস্যাটা অন্য। আমরা এবার সেইদিকে খানিক নজর দিতে চাই।

গুপ্তচরবৃত্তিতে গুপ্তচর বলতে আমরা এতদিন মানুষকেই জেনে এসেছি। রামায়ণের হনুমান বা মারীচ থেকে জেমস‌্‌ বণ্ড কিংবা রক্তমাংসের মাতা হারি অথবা সেহ‌্‌মত খান সকলেই মানুষ। আর তাঁদের সকলেরই ভূমিকা শত্রুরাষ্ট্র বা অঞ্চলে প্রবেশ করে নিজের দেশের পক্ষে যুদ্ধে সাহায্য করা। কিন্তু ইজ়রায়েলের এনএসও গোষ্ঠীর তৈরি পেগাসাস‌্‌ গুপ্তচর আসলে কোনও মানুষ নয়। সফট‌্‌ওয়্যার। আর তা পরিচালিত হয় দূর থেকে স্যাটেলাইটের মাধ্যমে। এর জন্য গ্রাহকের কাছে কোনও সার্ভারও রপ্তানি করা হয় না। অর্থাৎ পুরো প্রযুক্তিটাই দাঁড়িয়ে আছে আর্টিফিশিয়াল ইন্টিলিজেন্সির ওপর। এই সফট‌্‌ওয়্যার (অর্থাৎ স্পাইওয়্যার) তৈরি করেছেন ইজ়রায়েলের কয়েকজন প্রাক্তন গোয়েন্দা কর্তা। ব্রিটিশ সংবাদপত্র ‘দ্য গার্ডিয়ান’-এর এক সাংবাদিক জানিয়েছেন যে ২০১৭ সালে জুন মাসে সাইপ্রাসে সৌদি আরবের পররাষ্ট্র বিভাগের কর্তাদের সঙ্গে ইজ়রায়েলের এনএসও গোষ্ঠীর কর্তাদের এক গোপন বৈঠকে এঞ্জিনিয়ারেরা সৌদি আরবের এক কর্তার নতুন আইফোনে পেগাসাস‌্‌ স্পাইওয়্যার ঢুকিয়ে হাতেকলমে দেখিয়ে দিয়েছিলেন কীভাবে দূর থেকে ক্যামেরার মাধ্যমে গুপ্তচরবৃত্তি চালানো যায়। যার ফোন তিনি টেরও পান না। সামান্য একটা অ্যাপ আপডেশনের মধ্যে দিয়ে কীভাবে তাঁর অজান্তেই তাঁর ওপর নজরদারি শুরু করা যায়। কথাটার মধ্যে যে বিন্দুমাত্র অতিশয়োক্তি নেই তার প্রমাণ সাম্প্রতিক সময়ে মার্কিন মুলুকে ফাঁস হওয়া ভীম কোরেগাঁওয়ের চক্রান্ত। ফরেনসিক পরীক্ষায় দেখা গেছে যাঁদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রবিরোধিতার মামলা রজু করা হয়েছে, তাঁদের কম্পিউটার সিস্টেম হ্যাক করে মাওবাদী কার্যকলাপের বিভিন্ন ফাইল এমন সব নতুন ফোল্ডার তৈরি করে ঢুকিয়ে দেওয়া হয়েছে, যে ফোল্ডারগুলো সম্পর্কে স্বয়ং ইউজ়ারেরই জানা নেই। আমরা যদি আর একটু পেছনে যাই তাহলে দেখতে পাব ডাঃ বিনায়ক সেনকে যখন মাওবাদী সন্দেহে পুলিশ তুলে নিয়ে যায়, তখনও তাঁর কম্পিউটারে ফোল্ডার তৈরি করে নিষিদ্ধ মাওবাদী বিভিন্ন তথ্য ঢুকিয়ে দেওয়া হয়েছিল এটা প্রমাণ করতে যে ডাঃ বিনায়ক সেন আসলে একজন রাষ্ট্রবিরোধী মানুষ।

আমদের একটা কথা মাথায় রাখতে হবে সিস্টেম রিলেটেড স্পাইওয়্যারগুলো যাঁরা তৈরি করেন, তাঁরা সকলেই বৈধ হ্যাকার। প্রতিটি দেশের গোয়েন্দা দপ্তরে বর্তমানে এমন বৈধ হ্যাকারদের ক্ষমতা সবচেয়ে বেশি। রাষ্ট্রপ্রধানের নির্দেশে তাঁরা বিরোধীপক্ষের কম্পিউটার কিংবা মোবাইল ফোন হ্যাক করে যেমন ডিকোডিং করতে পারেন, তেমন ম্যালওয়্যার জাতীয় সফট‌্‌ওয়্যার ঢুকিয়ে দিয়ে যন্ত্রটিকে সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে নিয়ে এসে নিজেদের স্বার্থে তাকে ব্যবহার করতে পারেন।

দেখা গেছে এনএসও গ্রুপের পেগাসাস‌ স্পাইওয়্যার যে পঞ্চাশটির মতো দেশ এখন ব্যবহার করে, তাদের মধ্যে অন্তত এমন দশটা দেশ আছে ২০২০ সালের আগে যাদের সঙ্গে ইজ়রায়েলের বৈরিতা ছিল। এখন ব্যবসার খাতিরে সেই বৈরিতা মৈত্রীতে পরিণত হয়েছে। এ থেকে এটা স্পষ্ট যে এনএসও গ্রুপের এই স্পাইওয়্যার বিক্রির ক্ষেত্রে তাদের দেশের প্রধানমন্ত্রীর মত চূড়ান্ত। সৌদি আরবের পররাষ্ট্র দপ্তরের একজন প্রভাবশালী কর্তা কবুল করেছেন যে ইজ়রায়েল সরকারের অনুমতি নিয়েই এনএসও তাঁদেরকে প্রায় সাড় পাঁচ কোটি মার্কিন ডলারে সফট‌্‌ওয়্যারটি বিক্রি করেছে। এনএসও গ্রুপ তাঁদের আত্মপক্ষ সমর্থনে সম্প্রতি এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে যে, তারা কোনও গ্রাহককে এই সফট‌্‌ওয়্যার বিক্রির আগে ইজ়রায়েলি প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের অধীন ডিফেন্স এক্সপার্ট কন্ট্রোল এজেন্সি (সংক্ষেপে ডিইসিএ) গ্রাহক রাষ্ট্রের মানবাধিকার সংক্রান্ত রেকর্ড খতিয়ে দেখে নিশ্চিত হয়ে তারপর লাইসেন্স দেয়। এই সূত্রে প্রতিবেদনে সৌদি আরবের প্রসঙ্গ এসেছে। ২০১৮ সালে সাংবাদিক জামাল খাসোগির খুনের পরে সৌদি আরবকে পেগাসাস‌্‌ স্পাইওয়্যার ব্যবহার করতে দেওয়া হয়নি। এই প্রতিবেদন থেকে এটা স্পষ্ট হয় যে, এই স্পাইওয়্যারের সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ এনএসও গোষ্ঠীর হাতে, অর্থাৎ ইজ়রায়েল রাষ্ট্রের হাতে। আর বিপদ সেখানেই।

টরন্টো বিশ্ববিদ্যালয়ের সিটিজ়েন ল্যাব ফরেনসিক তদন্ত করে দেখেছে এই স্পাইওয়্যার ব্যবহার করা হয়েছে সম্পূর্ণত ব্যক্তিগত রাজনৈতিক কারণে। যেমন আমাদের দেশে এই স্পাইওয়্যার ব্যবহার করা হয়েছে বিরোধী রাজনৈতিক ব্যক্তিদের মোবাইলে, অথবা সেইসব সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে, যারা নরেন্দ্র মোদি কিংবা অমিত শাহের বিরুদ্ধে তদন্তমূলক সাংবাদিকতা করেছেন। আমরা স্মরণ করতে পারি আমাদের রাজ্যে সদ্যোসমাপ্ত বিধানসভার ভোটে প্রধানমন্ত্রী থেকে বিজেপির সব শীর্ষ নেতারা একযোগে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে চুরি, তোলাবাজি এবং বিদেশে সোনা পাচারের অভিযোগ এনেছিলেন। এমনকি প্রকাশ্য সমাবেশে বিজেপি প্রার্থী শুভেন্দু অধিকারী ব্যাঙ্কের পাশবইয়ের ছবি দেখিয়ে প্রমাণ করতে চেয়েছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্ত্রীর অবৈধ আর্থিক লেনদেনের সত্যতা। এখানেই শেষ নয়, এনফোর্সমেন্ট ডিপার্টমেন্ট পর্যন্ত রুচিরা বন্দ্যোপাধ্যায়কে জেরা করার সুবর্ণ সুযোগ ছাড়েনি। এমন সব গুরুত্বপূর্ণ ও গোপন তথ্যের (সত্যতা এখনও প্রমাণসাপেক্ষ) হদিশ পাওয়া গেছে পেগাসাস‌ স্পাইওয়্যার-এর মাধ্যমে। ভয়টা সেখানেই।

ডেটা বা উপাত্ত আপাতদৃষ্টিতে খুব নিরীহ কিছু সংখ্যা। কেবল জহুরির চোখ দিয়ে দেখলে তার ভেতর থেকে বেরিয়ে আসবে মহাভারতের মতো কোনও জটিল যুদ্ধোপাখ্যান। আজ কয়েক কোটি মার্কিন ডলারের মূল্যে কেনা স্পাইওয়্যার নরেন্দ্র মোদিরা ব্যবহার করছেন বিরোধীদের নিকেশ করে দেওয়ার জন্য। তাঁরা ভুলে যাচ্ছেন এইভাবে দেশের প্রভাবশালী মানুষদের গোপন তথ্য কিন্তু তাঁদেরই অবিমৃষ্যকারিতায় ইজ়রায়েলে পাচার হয়ে যাচ্ছে। আশঙ্কা দেখা দিচ্ছে দেশের ভবিষ্যত সার্বভৌমত্বে। কারণ ব্যবসায় আরও লাভের লোভে এইসব রাষ্ট্রীয় গোপন তথ্য এনএসও গোষ্ঠী যেমন বিদেশি কোনও শত্রুরাষ্ট্রকে বিক্রি করতে পারে (যেমনটা ইজ়রায়েলের ঘোষিত নীতি ‘ব্যবসা আগে তারপর কৃটনীতি’), ঠিক তেমন আবার খোদ ইজ়রায়েল রাষ্ট্রই হয়তো নিজের প্রয়োজনে এমন গুরুত্বপূর্ণ গোপন তথ্যগুলো ব্যবহার করতে পারে। বিক্রি করে দিতে পারে এমন কোনও গোষ্ঠী কিংবা রাষ্ট্রের কাছে যারা এই তথ্য থেকেই ভারতের জন্য বিপজ্জনক হয়ে উঠতে পারে। ফলে এমন অত্যাধুনিক গুপ্তচরবৃত্তির মাশুল আগামী দিনে দেশকে না দিতে হয়।

এই প্যান্ডোরার বাক্স খুলে গিয়ে নরেন্দ্র মোদি এবং অমিত শাহ যেমন সকলের সামনে মুখোশহীন নগ্ন হয়ে গেছেন, তেমনই এই ভয়ঙ্কর মনোবৃত্তিই যদি তাঁদের চোরাবালির মতো ধ্বংসের দিকে টেনে নিয়ে যায় তবে বিস্ময়ের কোনও কারণ থাকবে না।