Site icon ৪ নম্বর প্ল্যাটফর্ম

গণ-আন্দোলন রুখতে ইউএপিএ-ই সই

পীযূষ দত্ত

 




বাংলা সাহিত্যের ছাত্র

 

 

 

নেতা-নেত্রীদের ডিগবাজি দেওয়ার দক্ষতাকে প্রশ্ন করতে আগেও ভয় লাগত, এখন আরও বেশি করে লাগে। তবে সত্যি বলতে একবার ভেবে দেখুন, তা আমাদের অনেকটাই চোখ, মন, গা সয়ে নিয়েছে। খানিকটা এমন করেই আমরা ভেবে নিয়েছি এটাই তো স্বাভাবিক। কালকের যে নেতাকে ‘ও’ দলে দেখলাম আজ সে ‘এই’ দলে, এ মেনে নিতে কি আর খুব কষ্ট হয়? হয় না তো! তবে নেতা-নেত্রীদের রাজনৈতিক অবস্থান বদল আমাদের আর কেনই বা অবাক করবে। আর অবাক হলে বুঝতে হবে যে এই ‘ডিগবাজি’ নামক রাজনৈতিক মতবাদটাকে আমরা কোনওদিনও বুঝিনি, ডিগবাজিকে কেবল এবং শুধুমাত্র একটা ফিজিক্যাল অ্যাকটিভিটি হিসেবে ভেবে এসেছি।‌ এবার কথা হল যে আমি ‘ডিগবাজি’ নিয়ে এতক্ষণ কেন কথা বলছি? আসা যাক মূল বিষয়ে। গত ১২ অক্টোবর, অর্থাৎ সপ্তমীর রাতে বোলপুর শান্তিনিকেতনের গুরুপল্লী অঞ্চল থেকে গণ-আন্দোলনের কর্মী টিপু সুলতানকে গ্রেফতার করেছে রাজ্য পুলিশ। এবং তাঁর বিরুদ্ধে ইউএপিএ আইন সহ একাধিক ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। এখানেই আসছে ডিগবাজির কেরামতি। যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দুটো মাস আগে পর্যন্ত ইউএপিএ আইনের বিরোধিতা করতে দেখা গেছিল, তার অপপ্রয়োগ নিয়ে মুখ খুলতে দেখা গেছিল, তার রাজ্যেই এমন রাতের অন্ধকারে টিপু সুলতানকে গ্রেফতার করে ইউএপিএ দেওয়া হল। সংসদে থাকা রাজনৈতিক নেতা-নেত্রীদের ডিগবাজি দেওয়ার দক্ষতা সম্পর্কে ধারণা থাকলেও, এহেন ১৮০ ডিগ্রি অবস্থানের পরিবর্তন এত অল্পসময়ের মধ্যে কেন, তা নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যায়।

এই প্রসঙ্গে আসার আগে একবার চোখ বুলিয়ে নেওয়া প্রয়োজন যে এই ইউএপিএ আইনটা ঠিক কী?

এই ইউএপিএ (UAPA)-র মানে হল, Unlawful Activities Prevention Act অর্থাৎ আইনের চোখে যা যা নিষিদ্ধ বা অন্যায় তা নিয়ে যদি আপনার ওঠাবসা হয় বা সরকারের যদি মনে হয় তা নিয়েই আপনার ওঠাবসা তবে সরকার চোখ বুজে আপনাকে গ্রেফতার করতে পারে। এবং বিনা চার্জশিটে সর্বোচ্চ ছ মাস পর্যন্ত বন্দি করে রাখতে পারে। ঐতিহাসিকভাবে দেখলে এই আইন টাডা এবং পোটা আইনের‌ উত্তরাধিকারী। ১৯৮৭ সালে রাজীব গান্ধি প্রথম নিয়ে আসেন টাডা আইন। শয়ে শয়ে মুসলিম ধর্মাবলম্বী মানুষের পিঠে ‘সন্ত্রাসবাদী’ ছাপ্পা মেরে গ্রেফতার করা হয়। বছরের পর বছর বিনা বিচারে বন্দি করে রাখা হয়। স্বভাবতই এর বিরুদ্ধে বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠনের নেতৃত্বে আন্দোলন গড়ে ওঠে। জনমানুষের ভিড় থেকে দাবি উঠতে থাকে এই আইন বাতিলের। এবং এনডিএ সরকার ২০০২ সালে ক্ষমতায় আসার পর এই আইন বাতিল হয়। তবে তার বদলে আনা হয় পোটা আইন। এই আইন রাজ্যসভায় ১১৩-৯৮ ভোটে হেরে গেলেও তা সংসদের যৌথ সেশনের মাধ্যমে পাশ করা হয়। এবং এরপরে টাডা আইনের ধারা বজায় রেখেই পোটা আইনে গ্রেফতার করা হয় শয়ে শয়ে গণ-আন্দোলনের কর্মীদের, বিভিন্ন জাতিসত্তার আন্দোলনের কর্মীদের, আদিবাসীদের। ২০০২ সালের ২৩ মার্চ পাশ করা হয় এই আইন এবং ২০০৪-এর ২১ সেপ্টেম্বর ইউপিএ সরকার ক্ষমতায় এসে এই আইন বাতিল করে।

শুরু হয় ‘সন্ত্রাসবাদ’ বিরোধী যুদ্ধের আরেক অধ্যায়। মনমোহন সিংয়ের নেতৃত্বাধীন ‘জনদরদী’, ‘নমনীয়’ ইউপিএ সরকার সন্ত্রাসবাদীদের কড়া জবাব দিতে নিয়ে আসে ইউএপিএ। ইউএপিএ (সংশোধনী) আইন। এই আইনের ভয়াবহতাকে সরল ভাষায় বোঝানো সম্ভব নয়। এই আইনে পুলিশ অভিযুক্ত ব্যক্তিকে বিনা চার্জশিটে ৯০ থেকে ১৮০ দিন পর্যন্ত আটক রাখতে পারে। এই আইন মারফত অভিযুক্তের বেল পাওয়ার প্রায় সমস্ত রাস্তাই বন্ধ করে দেওয়া হয়। তবে আশ্চর্যের বিষয় হল, কেন্দ্রীয় সরকারের প্রকাশিত তথ্য থেকে জানা যাচ্ছে যে ২০১৬ থেকে ২০১৯ অবধি এই আইনে যতজনকে বন্দি করা হয়েছে তাদের মধ্যে মাত্র ২.২ শতাংশকে দোষী প্রমাণ করা গেছে।

এই মুহূর্তে ভারতবর্ষে সিএএ-বিরোধী আন্দোলনের বহু কর্মী এবং ভীমা কোরেগাঁও কেসে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধেও এই আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে। এছাড়াও একাধিক রাজ্য, কেরল থেকে পশ্চিমবঙ্গের কারাগারে বহু বন্দিকেই এই আইনে আটক রাখা হয়েছে বছরের পর বছর ধরে।

এবার আসা যাক সপ্তমীর রাতের ঘটনায়। ঠিক কী ঘটেছিল সেদিন? ১২ তারিখ রাত ১১টা নাগাদ ৯ জন লোক শান্তিনিকেতনের গুরুপল্লী অঞ্চলে টিপু সুলতানের বাড়িতে আসে। তারা নিজেদের শান্তিনিকেতন থানার পুলিশ হিসেবে পরিচয় দেয়। তাদের মধ্যে ১ থেকে ২ জন উর্দিতে ছিল আর বাদবাকি সিভিল পোশাকে। তারা বলপূর্বকভাবে টিপুকে তাঁর বাড়িতে থেকে তুলে নিয়ে যায়। সেসময় তাঁর বাড়িতে কেবল সে এবং তাঁর বৃদ্ধ দাদু উপস্থিত ছিল। কোথায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছে জিজ্ঞেস করায় তারা বলে যে, কিছু জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তারা টিপুকে নিয়ে যাচ্ছে কাজ হয়ে গেল ফেরত দিয়ে যাবে। এটা ১২ সেপ্টেম্বরের কথা। তারপর থেকে ১৩ সেপ্টেম্বর রাত অবধি টিপুর কোনও খোঁজ মেলে না। তাঁর পরিবারের লোক শান্তিনিকেতন থানা, বোলপুর থানায় যোগাযোগ করলে, থানা থেকে বলে যে ওই নামে তারা কাউকে আটক করেনি। ১৩ তারিখ রাতের দিকে জানা যায় ঝাড়গ্রাম থানার পুলিশ ২০১৬ সালের একটি মামলায় তাঁকে গ্রেফতার করেছে। তাঁর বিরুদ্ধে ইউএপিএ-র ধারা ১৮, ২০ ও ২৩ ও অস্ত্র আইন সহ আরও একাধিক ধারায় মামলা দায়ের করেছে পুলিশ।

এ ঘটনা থেকে স্পষ্ট যে টিপু সুলতানকে যে প্রক্রিয়ায় গ্রেফতার করা হয়েছে তা সম্পূর্ণভাবে বেআইনি। উদাহরণ সামনে রাখলে বিষয়টা আরও স্পষ্ট হবে।

১) টিপু সুলতানকে গ্রেফতার করা হয় ১২ তারিখ রাত এগারোটা নাগাদ। তবে তাকে কোর্টে তোলা হয় ১৪ তারিখ। আইনানুযায়ী অভিযুক্তকে ম্যাজিস্ট্রেটের সামনে তোলার কথা গ্রেফতারের ২৪ ঘন্টার মধ্যে।

২) তাকে গ্রেফতার করতে আসে ৯ জন পুলিশ তার মধ্যে ১ থেকে ২ জন বাদে বাকি সবাই ছিল সিভিল পোশাকে, আর বাকি যাদের উর্দি ছিল তাদের-ও নাম, পদ কিছুই তাদের উর্দিতে স্পষ্ট উল্লেখ ছিল না।

অন্যদিকে ১৯৯৬ সালে ডি কে বসু বনাম পশ্চিমবঙ্গ সরকারের যে মামলাটি হয় তাতে সুপ্রিম কোর্টের যে রায় তাতে স্পষ্ট উল্লেখ করা হয়েছে যে,

The police personnel carrying out the arrest and handling the interrogation of the arrestee should bear accurate, visible and clear identification and name tags with their designations.

অর্থাৎ যে পুলিশ অফিসাররা অভিযুক্তকে গ্রেফতার করতে আসবে তাদের নিজেদের নাম, পদ স্পষ্ট করে জানাতে হবে।

৩) টিপু সুলতানকে যখন তাঁর বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয় তখন তাঁর বাড়িতে কেবল সে এবং তাঁর বৃদ্ধ দাদু উপস্থিত ছিল। তাঁর নাতিকে কোথায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছে জানতে চাওয়ায় কোন‌ও স্পষ্ট উত্তর না দিয়ে বলা হয় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। তবে কোথায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছে, কিসের জন্য নিয়ে যাওয়া হচ্ছে, কিসের জন্য জিজ্ঞাসাবাদ কিছুই স্পষ্ট করে জানানো হয় না। অন্যদিকে সুপ্রিম কোর্টের রায় যা বলছে তা এই গ্রেফতারি প্রক্রিয়ার সম্পূর্ণ বিপরীত।

That the police officer carrying out the arrest shall prepare a memo of arrest at the time of arrest and such memo shall be attested by at least one witness, who may be either a member of the family of the arrestee or a respectable person of the locality from where the arrest is made. It shall also be counter signed by the arrestee and shall contain the time and date of arrest.

এখানে তিনটি উদাহরণ রইল। এবং এই উদাহরণ থেকে এটা দিনের আলোর মতো স্পষ্ট, সেদিন যে কায়দায় টিপু সুলতানকে গ্রেফতার করা হয় তা ‘গ্রেফতার’ নয়, অপহরণ।

টিপু সুলতানকে যে পাঁচবছরের পুরনো ২০১৬-র মামলায় গ্রেফতার করা হয়েছে, সেই মামলাটি আসলে কী ছিল? ২০১৬-র জানুয়ারি মাসে রাজারাম মুর্মু নামে একজনকে পুলিশ গ্রেফতার করে। কয়েক বছর জেল খাটার পর সে বেকসুর খালাস হয়। এককথায় বলা চলে সেখানেই এই মামলা ক্লোজ হয়ে যায়। এই হল ২০১৬-র ঘটনা।

২০১৮-তে আরও তিনজনের সঙ্গে টিপু সুলতান যখন লালগড়ে শবর মৃত্যু নিয়ে সমীক্ষা করতে যান, তখন গোয়ালতোড় থানার পুলিশ তাদের ‘মাওবাদী’ বলে গ্রেফতার করে। এখানে যে বিষয়টি উল্লেখযোগ্য তা হল, সে সময় কিন্তু ২০১৬-র এই মামলা নিয়ে কোনওরকম উচ্চবাচ্য করা হয়নি। আমরা জানি নিয়মানুযায়ী কেউ গ্রেফতার হলে তার যদি অতীতে কোনও মামলা থেকে থাকে, সেটাও ওপেন হয়। তবে এক্ষেত্রে তা হয়নি। হয়নি তার কারণ এই মামলা ভুয়ো এবং সম্পূর্ণ মিথ্যা।

কয়েকদিন আগে, অর্থাৎ ২৩ সেপ্টেম্বর বোলপুরের পারুলডাঙা বলে একটি গ্রামে একটি তিনবছরের শিশুকন্যাকে ধর্ষণ করা হয় এবং তাকে খুন করা হয়। এবং এই ঘটনার বিরুদ্ধে বোলপুর চত্বরে যে একটা জনমত গড়ে উঠছিল তাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছিলেন টিপু সুলতান। বিভিন্ন লোক, তার বন্ধু, সহযোদ্ধা, এদের বক্তব্য থেকে উঠে আসছে যে, এই অমানবিক ধর্ষণের ঘটনা এবং তার বিরুদ্ধে মতামত গড়ে তোলবার ক্ষেত্রে যেহেতু টিপু সুলতান ভূমিকা রাখছিলেন, সেই ভয়তেই তাকে পুলিশ এই মিথ্যা মামলায় গ্রেফতার করেছে। এবং এই অনুমান সত্য হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি। এর আগেও বহু ক্ষেত্রে দেখা গেছে যে, কেউ যখন কোনও সত্য ঘটনাকে সামনে আনার চেষ্টা করেছে এবং তা যখন শাসকের অস্বস্তির কারণে পরিণত হয়েছে তখনই তাকে মিথ্যা মামলায় গ্রেফতার করা হয়েছে, নয়ত খুন করা হয়েছে। এ দেশে এমন উদাহরণের অভাব ঘটবে না।

দু সপ্তাহ আগে যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ইউএপিএ আইনের বিরুদ্ধে স্বর চড়া করেছিলেন তাঁর-ই রাজ্যে, তাঁর-ই পুলিশ আজ এমনভাবে কেন টিপু সুলতানকে গ্রেফতার করল এবং ইউএপিএ আইনে বন্দি করল, এই নিয়ে অনেকের মনেই ধোঁয়াশা থাকতে পারে, তবে এখানে স্মরণ করিয়ে দেওয়া উচিত যে এই গল্প তো কেবল আজকের নয়। এর আগেও একাধিকবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে তার নির্বাচনী প্রচারে ইউএপিএ আইনের বিরোধিতা করতে দেখা গেছে, রাজবন্দিদের মুক্তি দেওয়ার আশ্বাস দিতে দেখা গেছে। তার পরেও আজ বাংলার জেলে এতজন বন্দি বছরের পর বছর ধরে আটক হয়ে রয়েছেন। বা কাউকে ১১ বছর ১২ বছর জেল খাটিয়ে, তাঁর জীবনযুদ্ধের সমস্ত ক্ষমতা শুষে নিয়ে তাঁদেরকে মুক্তি দেওয়া হচ্ছে। এই মুহূর্তে আরও বন্দিদের সঙ্গে বাংলার জেলে বন্দি রয়েছেন বুদ্ধদেব মাহাতো। তিনি অসুস্থ তবু তাঁকে মুক্তি দিতে প্রস্তুত নয় রাজ্য সরকার। একদিকে যখন পশ্চিমবঙ্গের এই দৃশ্য, তখন ভীমা কোরেগাঁও মামলায় কেউ গ্রেফতার হলে বা দিল্লি দাঙ্গা মামলায় কাউকে গ্রেফতার করলে, তখন আবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দেখা যাচ্ছে সেই ঘটনার বিরুদ্ধে আওয়াজ তুলতে, ইউএপিএ আইনের বিরোধিতা করতে। এখানে উল্লেখের প্রয়োজন, ২০১২ সালে ইউএপিএ আইনে পরিবর্তন আনার বিরোধিতা করেছিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল, তা অপপ্রয়োগ হতে পারে এই অজুহাতে। আর আজ টিপু সুলতানের ঘটনায় হাতেনাতে দেখা যাচ্ছে কীভাবে পশ্চিমবঙ্গ সরকার এই আইনের ব্যবহার করছে গণ-আন্দোলনের শিরদাঁড়ায় ফাটল ধরাতে।

উপনির্বাচনের আগে, ৬ জুলাই স্ট্যান স্বামীর হত্যার প্রতিবাদে, ইউএপিএ আইনের অপপ্রয়োগের বিরোধিতা করে সোনিয়া গান্ধি, সীতারাম ইয়েচুরি এবং আরও বিরোধী নেতানেত্রীর সঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও দেখা যায় একটি চিঠিতে সই করতে। সেই চিঠিটি ছিল রাষ্ট্রপতির উদ্দেশ্যে। তবে ভোট পেরিয়ে যাওয়ায় মেজাজেরও পরিবর্তন এসে পড়েছে। আর আমরা ভোটাভুটির পিলারে আস্থা রেখে, ঠ্যাসান দিয়ে দাঁড়িয়ে ছিলাম, আর অঙ্কের ফর্মুলার মতো মুখস্থ করেছিলাম। এর বদলে তাকে, আর তার বদলে একে। ভেবেছিলাম অঙ্ক মিলে যাবে। সেই ফর্মুলাকে ওলটপালট করে দিয়েছে টিপু সুলতানের এই গ্রেফতারি। এই গ্রেফতার আমাদের সামনে একটা নয়, হাজার একটা প্রশ্নবোধক চিহ্ন রেখে গেছে, আরেকবার ভাবার জন্য, যে আগামী-টা কাদের হতে চলেছে? যারা কেবল ল্যাজ নাড়ায় আর ‘জি হুজুর’ করে?