মাদারি পাশি: মুক্তিযুদ্ধে প্রান্তজনের গান

সুমন কল্যাণ মৌলিক

 



প্রাবন্ধিক, মানবাধিকার কর্মী

 

 

 

আজ থেকে একশো বছর আগে অযোধ্যায় (উত্তরপ্রদেশ) এক ‘অস্পৃশ্য’ মানুষ থাকতেন যিনি ব্রিটিশ রাজ ও তাদের অনুগত শক্তিশালী তালুকদারদের বিরুদ্ধে ১৯২০ দশকে এক সফল কৃষক বিদ্রোহ পরিচালনা করেছিলেন যা তৎকালীন শাসকদের রাতের ঘুম উড়িয়ে দিয়েছিল। ১০০০ টাকা ও মৃত বা জ্যান্ত ধরিয়ে দেওয়ার ঘোষণা হওয়া সত্ত্বেও আন্দোলন-চলাকালে তিনি পুলিশের হাতে ধরা পড়েননি এবং অপূর্ণ স্বপ্ন বুকে নিয়েই তাঁর মৃত্যু হয়। এই মানুষটির নাম মাদারি পাশি। ৪৭-পরবর্তী সময়ে শাসকদের পৃষ্ঠপোষকতায় মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস রচনার যে ঐতিহ্য এদেশে তৈরি হয়েছে সেখানে মাদারি পাশিরা প্রান্তিকই থেকে গেছেন। ইতিহাসের পাদটীকায় সামান্য উল্লেখ ছাড়া তাদের নসিবে আর কিছুই জোটেনি।

গান্ধিটুপি পরতে অভ্যস্ত এই আপাদমস্তক সশস্ত্র প্রত্যাঘাতে বিশ্বাসী মানুষটির বিদ্রোহী জীবনের বেশিটাই কেটেছে জঙ্গলে। মাদারি পাশি ছিলেন সম্প্রদায়গত বিচারে ‘অস্পৃশ্য’, আবার ব্রিটিশ প্রশাসনের রেকর্ডে পাশিরা ‘অপরাধী জনগোষ্ঠী’ হিসাবে চিহ্নিত। মহাবিদ্রোহের সময় পাশিরা ব্রিটিশ-বিরোধী লড়াইতে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেছিল। তাই শাসকদের চোখে তারা ছিল জঙ্গি।

১৮৬০ সালে উত্তরপ্রদেশের হরদোই জেলার মোহানিগঞ্জ গ্রামের এক দরিদ্র পরিবারে তাঁর জন্ম। ঐতিহাসিক তথ্য মোতাবেক মাদারি ধীরে ধীরে প্রচুর গবাদি পশুর মালিক হয়ে ওঠেন। ফলে গ্রামীণ সমাজে তিনি ক্ষমতাবান বলে পরিচিত হন। একদিকে অর্থনৈতিকভাবে তুলনামূলক সমৃদ্ধি, লড়াকু ঐতিহ্য ও পেশিবহুল শক্তিশালী চেহারার সংমিশ্রণে মাদারি অল্পদিনের মধ্যে পাশি সম্প্রদায়ের গোষ্ঠীপতি হয়ে ওঠেন।

মাদারি পাশি যে আন্দোলনে নেতৃত্ব দেন তা ‘একা’ (unity) আন্দোলন নামে পরিচিত। ধর্ম ও সম্প্রদায়গত বিভেদ ভুলে এই আন্দোলন হয়ে উঠেছিল কৃষকজনতার এক সচেতন প্রতিস্পর্ধা। অসহযোগ ও খিলাফত আন্দোলনের পটভূমিকায় ‘একা’ আন্দোলন প্রথম ফেটে পড়ে প্রথম বিশ্বযুদ্ধ-পরবর্তী সময়ে উত্তরপ্রদেশে। ফিজি থেকে আগত একদা বন্ধুয়া মজদুর বাবা রামচন্দ্র স্বাধীনভাবে এই আন্দোলন পরিচালনা করেন। এই কৃষক বিদ্রোহের বীজ লুকিয়ে ছিল অযোধ্যা অঞ্চলের জটিল কৃষিকাঠামোর মধ্যে যেখানে বেশিরভাগ জমির মালিকানা ভোগ করত তালুকদার (বংশানুক্রমিকভাবে) ও জমিদাররা। এরা প্রায় সকলেই ছিল উচ্চবর্ণের হিন্দু বা মুসলিম। এরা কৃষকদের জমির ভাড়াটে স্বত্ব দিত এবং বদলে প্রচুর ভাড়া ও ‘উপরি’ আদায় করত। এর মধ্যে ছিল নজরানা (কৃষকদের দেয় অগ্রিম), বেগারি (বাধ্যতামূলক শ্রমদান)। এছাড়া ইজারাদার ও কৃষকদের মধ্যে ছিল বিভিন্ন ধরনের দালাল (ঠিকেদার ও কারিদার)। যারাও কম অত্যাচার করত না। ইজারাদাররা কৃষকদের কাছ থেকে যে টাকা তুলত তার একটা অংশ ব্রিটিশদের কাছে খাজনা হিসাবে জমা করত। কৃষকরা আবার তাদের জমিতে দিনমজুর নিয়োগ করত অথচ তাদের নিজেদের জমির উপর কোনও মালিকানাস্বত্ব ছিল না। ভাড়া মেটাতে না পারলে জমিদাররা কৃষকদের জমি থেকে উৎখাত করত। এই সমস্যাগুলি এক বৃহত্তর সঙ্কটে রূপান্তরিত হয় ১৯১০-এর পরবর্তী সময় থেকে। কারণ প্রথম বিশ্বযুদ্ধ, স্প্যানিশ ফ্লু, ছ বছরের অনাবৃষ্টি, অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধি এবং খাদ্য ও জ্বালানির কমতি।

বাবা রামচন্দ্রের নেতৃত্বে গড়ে ওঠা আন্দোলন প্রথম দিকে ছিল তালুকদার ও বৃহৎ ভূস্বামীদের বিরুদ্ধে রায়ত ও ছোট জমিদারদের আন্দোলন। এই আন্দোলনের এক চোদ্দ দফা দাবিপত্র ছিল যার মধ্যে অন্যতম ছিল জমির সঠিক ভাড়া দেওয়া, রসিদ নেওয়া, উপরি না দেওয়া এবং বেগার শ্রমের অস্বীকার। এই আন্দোলন ছিল এক নৈতিকতাযুক্ত অর্থনৈতিক আন্দোলন যা প্রচলিত শোষণমূলক কৃষিকাঠামোকে অস্বীকার করেনি। অর্থাৎ জমিদার জমির ন্যায্য কর্তৃত্ব, কিন্তু তাকে প্রজাদরদি হয়ে নিয়মের মধ্যে কাজ করতে হবে। কোনওরকম অত্যাচার করা চলবে না। তবে বাবা রামচন্দ্রের গ্রেফতারির পরে আন্দোলন স্তিমিত হয়ে যায়।

‘একা’ আন্দোলন আবার নতুনভাবে শুরু হয় মাদারি পাশি, খাজা আহমেদ প্রমুখদের নেতৃত্বে হরদোই জেলায় এবং সেখান থেকে তা বাহরাইচ, লক্ষনৌ, উন্নাও এবং কানপুরে ছড়িয়ে পড়ে। এই নতুন ‘একা’ আন্দোলন মেজাজে ও বক্তব্যে বাবা রামচন্দ্রের আন্দোলন থেকে ছিল সুস্পষ্টভাবে পৃথক। প্রথম কথা, এবার আন্দোলনকারীরা জমিদার ও তালুকদারদের আর্থিক ও সামাজিকভাবে আক্রমণ করে। জমিদারপ্রথার বিলুপ্তির কথা না বললেও জমিদারদের নৈতিক ন্যায্যতাকে স্বীকার করা হয়নি।

এবারের আন্দোলন আর্থিক দাবিদাওয়ার সীমানা অতিক্রম করে অনেক বেশি রাজনৈতিক হয়ে ওঠে। দাবি ওঠে স্বশাসন ও স্বদেশি দ্রব্য ব্যবহারের। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হল শপথ নেওয়া হয় ব্রিটিশ বিচারব্যবস্থাকে অস্বীকার করে স্থানীয় স্তরে যাবতীয় বিবাদ মিটিয়ে নেওয়ার। এর ফলে ব্রিটিশরাজের সঙ্গে সংঘর্ষ অনিবার্য হয়ে ওঠে। শুরুর দিকে আন্দোলন ছিল শান্তিপূর্ণ এবং তাতে কংগ্রেস ও গান্ধির অহিংস মতাদর্শের ছাপ ছিল। কর্মসূচির মধ্যে ছিল সামাজিক বয়কট (জমিদার ও তালুকদারদের ধোপা নাপিত বন্ধ), পিকেটিং, পদযাত্রা ইত্যাদি। তবে আন্দোলন যত ঔপনিবেশিক কৃষিকাঠামোকে আঘাত করতে থাকে তত স্বাভাবিকভাবে আন্দোলন দমাতে ভূস্বামীরা বলপ্রয়োগ করতে শুরু করে। কৃষকরাও প্রত্যাঘাত করে। আন্দোলনে হিংসার অনুপ্রবেশ ঘটেছে এই ধুয়ো তুলে কংগ্রেসি ও খিলাফতপন্থীরা সরে গেলে আন্দোলন আরও জঙ্গি মেজাজ নেয়।

আন্দোলনের তীব্র বিস্তার বাধ্য করে জমিদারদের একটা বড় অংশকে গ্রাম ছেড়ে পালাতে। মাদারি পাশি রায়তদের মধ্যে জমির মালিকানাস্বত্ব বণ্টন করতে শুরু করেন। এই ধরনের জঙ্গি আন্দোলন সামন্ত-ঔপনিবেশিক কৃষিব্যবস্থাকে চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলে। পরিস্থিতি ব্রিটিশরাজকে কতটা আতঙ্কিত করে তুলেছিল তার প্রমাণ মেলে ‘দি স্টেটসম্যান’ পত্রিকার এক প্রতিবেদনে (৯ মার্চ, ১৯২২)— “No civilized government can afford to permit an Indian imitation of French jacquire to unchecked; so, sooner a force of cavalry and a few machine guns appear in the disturbed area the better.” বাস্তবে তাই হয়। ব্রিটিশরা আন্দোলন দমনে সেনা নামায়। তীব্র রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসের ফলে মাদারি পাশি সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ বাধ্য হন আত্মগোপন করতে।

‘একা’ আন্দোলনের সবচেয়ে চমকপ্রদ বিষয় হল যেভাবে মাদারি পাশি জাতপাত ও ধর্মের নামে বিভক্ত কৃষক সমাজকে আন্দোলনের পথে ঐক্যবদ্ধ করতে পেরেছিলেন। এক্ষেত্রে তিনি ধর্মের নীতি ও নৈতিকতার ধারণাকে খুব কৌশলের সঙ্গে ব্যবহার করতে পেরেছিলেন। জাতপাত-বিভক্ত হিন্দুদের ক্ষেত্রে উত্তরভারতে বহুলপ্রচলিত ‘সত্যনারায়ণ কথা’কে তিনি যে কোনও সভার আগে আয়োজন করতেন। সেই ধর্মীয় উৎসবে উপস্থিত কৃষকরা গীতা হাতে নিয়ে একসঙ্গে লড়ার শপথ নিতেন। আবার মুসলিমদের ক্ষেত্রে বুন্দেলখণ্ডের জনপ্রিয় মুসলিম লোককথা ‘আলা-উদল’-কে অনুপ্রেরণা হিসাবে ব্যবহার করা হত। মুসলিমদের বিভিন্ন মিলাদ উৎসবের শেষে তারা কোরান হাতে নিয়ে শপথ নিতেন আন্দোলনে যোগ দেওয়ার। জনশ্রুতি বলে মাদারি পাশি এক হাতে গীতা, অন্য হাতে কোরান নিয়ে গ্রাম থেকে গ্রামান্তরে ঘুরে বেড়াতেন। অনেকে মনে করতেন একদা অযোধ্যার সর্বজনপ্রিয় সুফি সাধক মাদার শাহের নতুন অবতার মাদারি পাশি। তিনি বলতেন এই আন্দোলন আসলে দুটো গোষ্ঠীর লড়াই। একদিকে তালুকদার, বড় জমিদার, ব্রিটিশরাজ ও তাদের কৃপাধন্য মানুষ; অন্যদিকে কৃষক, কারিগর, ছোট জমিদার। এখানে হিন্দু, তুর্কি, ছোট জাত-বড় জাত সবাইকে জোটবদ্ধ হতে হবে। উল্লেখ করার মত বিষয় হল মাদারি পাশিদের আন্দোলনে আর্থিকভাবে দুর্বল কিন্তু সামাজিকভাবে উঁচু জাতের বহু মানুষ যোগ দিয়েছিল কিন্তু আন্দোলনের নেতৃত্ব প্রথম থেকেই ছিল নিম্নবর্গের হাতে।

ব্রিটিশরাজের ধারাবাহিক আক্রমণে ‘একা’ আন্দোলন স্তিমিত হয়ে পড়ে। বহুদিন আত্মগোপন করে থাকার পর মাদারি পাশি কারাবন্দি হন। কিন্তু এখানেই মাদারির কথা শেষ হয়ে যায় না। জীবনের শেষ পর্বে আরেকটা গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা ঘটে যার উল্লেখ জরুরি। এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত বিপ্লবী ভগৎ সিং ও হিন্দুস্থান সোশালিস্ট রিপাবলিকান অ্যাসোসিয়েশন। সাধারণভাবে সশস্ত্র বিপ্লবীদের সমর্থন ও কার্যকলাপের ভরকেন্দ্র পেটিবুর্জোয়ারা হলেও ভগৎ সিং ও তার সাথীরা কৃষক সমস্যা নিয়ে কাজ করতে আগ্রহী ছিলেন। ‘An Appeal to young political workers’ শীর্ষক রচনায় ভগৎ সিং যে আটটি মূল বিষয়কে চিহ্নিত করেছিলেন তার মধ্যে চারটি ছিল কৃষি সম্পর্কিত— ১) জমিদারি প্রথার বিলোপ, ২) কৃষি ঋণ মকুব, ৩) বিপ্লবী রাষ্ট্র কর্তৃক কৃষিজমি জাতীয়করণ যাতে যৌথ চাষ চালু করা যায়, ৪) ভূমিকর বাদ দিয়ে কৃষকদের সমস্ত করের বিলোপ। তৎকালীন সমস্ত লেখাপত্র থেকে এটা স্পষ্ট যে ১৯২০-র দশকের শেষপর্বে এইচএসআরএ ও ‘একা’ আন্দোলনের নেতৃত্বের মধ্যে এক সংযোগ স্থাপিত হয়েছিল। এই দুই স্রোতের মধ্যে সংযোগ স্থাপন করেছিলেন হিন্দি দৈনিক ‘প্রতাপ’-এর সম্পাদক গণেশ শঙ্কর বিদ্যার্থী। তিনি কংগ্রেস দলের সদস্য হলেও ‘একা’ আন্দোলনের প্রতি সহানুভূতিশীল ছিলেন। একই সঙ্গে তরুণ বিপ্লবীদের সঙ্গে তাঁর ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল। ভগৎ সিং-এর সহযোগী শিব ভার্মা ‘একা’ আন্দোলনের সময় ছিলেন স্কুলছাত্র। পরে উত্তরপ্রদেশে কংগ্রেসের লক্ষ্ণৌ অধিবেশনে তিনি ‘একা’ আন্দোলনকারীদের উপর ব্রিটিশ পুলিশের অত্যাচারের প্রশ্নটি তোলেন এবং জাতীয় কংগ্রেসের হস্তক্ষেপ দাবি করেন। কিন্তু কংগ্রেস নেতৃত্ব তাঁর দাবিকে নাকচ করে। হতাশ শিব কংগ্রেস ত্যাগ করে ভগৎ সিং-দের দলে যোগ দেন। শিব ভার্মার রচনা থেকে জানা যায় ভগৎ সিং ও তাঁর সহযোগীরা কৃষকদের সমস্যা অনুধাবন ও তাদের নিয়ে কীভাবে আন্দোলন করা যায় সে ব্যাপারে মাদারি পাশির পরামর্শ চান। বৃদ্ধ পাশি এই তরুণদের দেখে খুব উৎসাহিত বোধ করেন এবং সমস্তরকম সাহায্যের প্রতিশ্রুতি দেন। শিব ভার্মার লেখায় রয়েছে মাদারি পাশি তাঁদের বলেন তাঁর অনুগামীদের নিয়ে ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে গেরিলা যুদ্ধ শুরু করতে চান। সে পরিকল্পনা বাস্তবায়িত না হলেও ভগৎ সিংদের বিপ্লব প্রচেষ্টায় মাদারি পাশি এক অনুপ্রেরণার কাজ করেন।

সাধারণভাবে মনে করা হয় ১৯৩১ সালে মাদারি পাশি মারা যান। জীবৎকালেই তিনি হয়ে ওঠেন অযোধ্যার এক লোককথার নায়ক। কিন্তু স্বাধীন ভারতে সরকারি ইতিহাসচর্চায় তিনি শুধুমাত্র এক নির্দিষ্ট সম্প্রদায়ের নেতা। সাম্প্রদায়িক বিভেদ ভুলে কীভাবে তিনি হয়ে উঠেছিলেন সকল সম্প্রদায়ের প্রিয় এক লড়াকু নেতা তা ভুলিয়ে দেওয়া হয়। আজ যখন হিন্দি-হিন্দু-হিন্দুস্তানের নামে পরিকল্পিতভাবে ধর্মীয় মেরুকরণের মাধ্যমে ইতিহাসবিকৃতির চেষ্টা করা হচ্ছে তখন মাদারি পাশির মত চরিত্র আমাদের কাছে হয়ে উঠতে পারে ধর্মনিরপেক্ষ ভারতের আদর্শ প্রতীক। স্বাধীনতার পঁচাত্তর বছর পূর্তির সময় তাই প্রান্তজনের চর্চা আমাদের কাছে ভীষণ জরুরি।


কৃতজ্ঞতা: এই নিবন্ধের যাবতীয় তথ্য জওহরলাল নেহেরু বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস গবেষক প্রবাল শরণ আগরওয়াল ও হর্ষবর্ধন ত্রিপাঠীর লেখাপত্র থেকে সংগৃহীত।

 

About চার নম্বর প্ল্যাটফর্ম 4660 Articles
ইন্টারনেটের নতুন কাগজ

Be the first to comment

আপনার মতামত...