জয়দীপ চট্টোপাধ্যায়
একটা নারকীয় ধর্ষণ-হত্যা, একজন সম্ভাবনাময় চিকিৎসকের এভাবে নির্যাতিত হয়ে শেষ হয়ে যাওয়া— এই ঘটনা অন্তত কোথাও একটা রেজিস্টেন্স এবং আনরেস্ট ট্রিগার করতে পেরেছে, যা একমাসেরও বেশি সময়ে সাস্টেন করছে। একটা মোমেন্টাম অর্জন করেছে, একই সঙ্গে বিচার এবং ঘটনার মূলে যাওয়ার দাবিকে দৃঢ় রেখে। শাসককে প্রশ্ন করছে সরাসরি। সুপ্রিমোর ঔদ্ধত্যকে অপেক্ষা করাচ্ছে, চ্যালেঞ্জ করছে। যা বিগত এক দশকে এভাবে কোনও রাজনৈতিক দলের নেতৃত্ব করে দেখাতে পারেননি এই রাজ্যে
পাড়ায় কারও অস্বাভাবিক মৃত্যু হলে পরিবেশটা একেবারে অন্যরকম হয়ে যেতে দেখেছি। ঠিক কী হয়েছিল, সেই নিয়ে একটা চাপা আলোচনা, আর আফসোস গুমরে গুমরে উঠত। তারপর ক্রমে বেলা বাড়া… ‘বডি ছাড়ছে না’… পোস্টমর্টেম… পোস্টমর্টেম! যে দেহ ফিরছে, তাকে নিয়েও কৌতূহলের সার্বিক প্রকৃতিটা অন্যরকম। দুর্ঘটনা বা আত্মহত্যার ঘটনাগুলিই যথেষ্ট ধাক্কার… আর যে মানুষটা বেরিয়েছিল কাজে, ফিরে এল ‘পোস্টমর্টেম’ করা দেহ… খুন হয়ে গেছে কারও হাতে। আছড়ে পড়া ইমোশনগুলো প্রত্যক্ষদর্শীরা ছাড়া ঠিক বুঝবেন না।
আজ অনেক কিছুই খুব দ্রুত ভাইরাল হয়ে যায়। মায়ের কণ্ঠস্বর পৌঁছে যাচ্ছে সারা রাজ্যে, সারা দেশে, দেশের বাইরে… কথাগুলো, প্রশ্নগুলো কানে কানে প্রতিধ্বনিত হচ্ছে।
ঠিক এইখানে একটু নিয়ন্ত্রিত-অনিয়ন্ত্রিত আবেগতাড়িত প্রতিক্রিয়া থেকে বেরিয়ে এসে একবার ভাবতে ইচ্ছে করে— এরকম ফোন কত অভিভাবকের কাছে আসছে, এবং আসবে… ভাবলে খুব একটা সুস্থ মনে হয় আর কিছু?
ভাগাড়ে জীবন কাটাতে কাটাতে দুর্গন্ধের সঙ্গে সহবাস গা-সওয়া হয়ে যায়, নিয়ম। এভাবে সয়ে সয়ে যাচ্ছে। আর বাকিটা করে দিচ্ছে সংবাদমাধ্যম, সামাজিক মাধ্যম এবং বিনোদন-মনোরঞ্জনের ইন্তেজাম।
দীর্ঘ অতিমারির মৃত্যুমিছিলেও যে জাতির কোনওরকম মস্তিতে লাগাম পড়ে না… আসেই না ভেতর থেকে।
জোর করে তো খারাপ-লাগা আর খারাপ-থাকা পুষে রাখা যায় না। ক্রমে ‘যার গেল, তার গেল’-তে থিতিয়ে পড়ে। প্রয়াত ছেলের ছবির পাশে বসে বৃদ্ধ বাবা বেহালার তার ঠিক করেন, একমাত্র উপার্জনকারী মেয়ে… তাকে কাজে বেরোতেই হয়।
সংবাদমাধ্যমে স্ক্রিপ্টেড শো চলে। আর সংবাদপত্রের সবচেয়ে উপেক্ষিত অংশ হল সাধারণ মানুষের নিহত হয়ে যাওয়ার বিচ্ছিন্ন ঘটনা। কিছু খবর হঠাৎ করেই ওপর দিকে ভেসে উঠে, কিছু ঘটনা বা ব্যক্তির নাম শিরোনাম হয়ে ওঠে। মাঝে মাঝে এও বুঝতে পারি না— এই ঘটনাটি এতটা দৃষ্টি আকর্ষণ করছে, সেই ঘটনাটি কেন করল না এভাবে। তবে অভ্যেস হয়ে গেছে।
দুর্ভাগ্য এবং লজ্জা আরও বেশি প্রমিনেন্ট হয়ে উঠবে, যদি দেখা যায় গত এক বছরে রিপোর্টেড ধর্ষণ এবং হত্যার ঘটনাগুলি এই মুহূর্তে কে কোথায় আছে। সব ঘটনায় নিশ্চয়ই প্রভাবশালী কারও নাম জড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনা থাকে না। সার্বিকভাবে, এবং সাংগঠনিকভাবে এই ন্যূনতম স্ট্যান্ডার্ড ট্র্যাকিং-এর কাজটাই বাস্তবায়িত হয়নি এখনও। প্রস্তাবিতও হয়েছে কি?
বছরের কোনও এক সময়ে ‘National Crime Records Bureau’ বা এমনই কোনও সংগঠন একটা রিপোর্ট প্রকাশ করবে— এটা সমাধান নয়। সমাধান হল এক স্বীকৃত লাইভ ওয়েবসাইট ট্র্যাকার, যেখানে রাজ্য, এমনকি জেলাভিত্তিক প্রতিটি রেজিস্টারড এফআইআর-এর পরিণতি যে-কোনও মুহূর্তে যে-কেউ দেখতে পাবে। মামলা কোথায় চলছে, কারা অভিযুক্ত, কোন পক্ষে কারা আইনজীবী, সর্বশেষ শুনানির সামারি কী, পরবর্তী শুনানি কবে, রায় বেরিয়েছে কি না। অভিযুক্তরা বিচারাধীন হলে কোথায় আছে, জামিন পেয়ে থাকলে কোথায় আছে।
সুবিচার নিয়ে আমরা সে-অর্থে সরব হতেই পারিনি কখনও। অনেক সময় ছিল, অনেকরকম পরিস্থিতি এসেছে… সেই সময় থেকেই জনমত গড়ে উঠলে, বিভিন্ন রাজনৈতিক দল এবং প্রতিষ্ঠান (মূলত নারীবাদী সংগঠনগুলি) যদি প্রোঅ্যাক্টিভ হয়ে উঠত— একটা সক্রিয় লাউড রেজিস্টেন্সের প্ল্যাটফর্ম সৃষ্টি হতে পারত— অন্তত এই রাজ্যে। একটি রাজ্য কিছু ভাল দিকে এগোলেও অন্য রাজ্যে তা উদাহরণ হয়ে ওঠে।
আপাতত, এবং এখনও, এসব কিছু হচ্ছে না। তার বদলে এটা-ওটা হাত-খরচের মতো টাকা গুঁজে দেওয়া প্রকল্প, আর ‘সমস্যা থাকলে রাতে বেরোতেই হবে না’। এতটাই অ্যাবসার্ড যে, যাঁরা সাধারণত মিডিয়ার সামনে কিছু বলেন না, তাঁরাও বলে ফেলছেন— অ্যাবসার্ড!
আসলে, আমাদের মাঝেই তো স্তরে স্তরে হিপক্রেসি। শ্রেণিতে শ্রেণিতে হিপোক্রেসি। ভিকটিম এবং তাঁর পরিবারদের আমরা একটা সময়ের পর একা ছেড়ে দিই। একটা নারকীয় হত্যা মনে নাড়া দেয়, অন্যটা দেয় না। ‘মানুষ কী নৃশংস হয়ে উঠেছে!’— এই অবধি।
***
সিসিটিভি সার্ভিলেন্স-এর কথা থাকলেও, ফুটেজ পাওয়া যায় না।
দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিকদের সরাসরি দায়ী করে সাসপেন্ড করা হয় না।
আগেই একটা গল্প প্রেজেন্ট করার দায়িত্ব দিয়ে দেওয়া হয় দু-তিন জনকে। এবং একই সঙ্গে আড়ালে চাপ সৃষ্টি করার। ‘এতে কিন্তু সমস্যা আরও বাড়বে… তখন সামলাতে পারবেন তো?’
সবসময়ে একটা প্রবণতা চলে— আউট অফ কোর্ট সেটলমেন্টের। অবশ্যই, অনেক ক্ষেত্রে ভিকটিমের পরিবারের লোকই স্বেচ্ছায় বা চাপের মুখে সেসব মেনে নেন।
আর প্রভাবশালী অথবা প্রশাসনিক কারও নাম জড়িয়ে পড়লে তো হয়েই গেল! ‘আরজিকর-ঘটনা’ অবধি পৌঁছনোর আগেই প্রভাবশালীদের আড়াল করার সফল প্রয়াসের একটা লম্বা তালিকা হয়ে যায়।
কার কার নাম আসবে, কোন কোন আইডলের ঘনিষ্ঠ কারও মুখ ভেসে উঠবে… আমার মনে হয় না প্রজন্মের স্মৃতি অতটাও দুর্বল।
দায় থেকেই যায়… আমাদের প্রত্যেকের। আমরা কোনও একটি ঘটনাকেও মনে করিনি— যে এক বৃহত্তর জনমত গড়ে ওঠার সময় এসে গেছে। এইসব কিছুর একটা শেষ হওয়া দরকার।
অপরাধদমনের চেয়েও সাঙ্ঘাতিক ব্যাপার এক বা একাধিক নেক্সাস আর সিন্ডিকেটের মাঝে জড়িয়ে পড়া। কে বা কারা কিছু করে যাচ্ছে পর্দার আড়াল থেকে, তা কখনও বাইরে আসবে না। একটা উঁকি দেওয়া তার টানলে দেওয়ালের প্লাস্টার খসাতে খসাতে সেই তার কোথায় গিয়ে পৌঁছতে পারে— ধারণার বাইরে। যাকে মনে হচ্ছে সুপ্রিমো… তারও ওপরে কেউ আছে… তারও ওপরে কেউ…
পৃথিবী জুড়ে স্ক্যাম এবং চক্রান্তের অনুসন্ধান করতে গিয়েই রহস্যজনকভাবে হত্যা হয়েছেন একের পর এক মানুষ। হারিয়ে গেছেন, নিখোঁজ হয়ে গেছেন। অল্প-স্বল্প খবর অনেকেরই চোখে পড়ে, কানে আসে। আসে না?
একটা নারকীয় ধর্ষণ-হত্যা, একজন সম্ভাবনাময় চিকিৎসকের এভাবে নির্যাতিত হয়ে শেষ হয়ে যাওয়া— এই ঘটনা অন্তত কোথাও একটা রেজিস্টেন্স এবং আনরেস্ট ট্রিগার করতে পেরেছে, যা একমাসেরও বেশি সময়ে সাস্টেন করছে। একটা মোমেন্টাম অর্জন করেছে, একই সঙ্গে বিচার এবং ঘটনার মূলে যাওয়ার দাবিকে দৃঢ় রেখে। শাসককে প্রশ্ন করছে সরাসরি। সুপ্রিমোর ঔদ্ধত্যকে অপেক্ষা করাচ্ছে, চ্যালেঞ্জ করছে। যা বিগত এক দশকে এভাবে কোনও রাজনৈতিক দলের নেতৃত্ব করে দেখাতে পারেননি এই রাজ্যে।
প্রতিবাদের মাঝেও বিভাজন চোখে পড়ছে, দ্বন্দ্ব চোখে পড়ছে। কিন্তু নিজের নিজের মতো করে হলেও একত্রে প্রশ্নগুলো এবং রেজিস্টেন্সকে জীবিত রাখতে পেরেছে সবাই মিলে।
এবং এটা শুনতে কারও ভাল লাগুক বা না লাগুক, ‘ধর্ষকের শাস্তি চাই’-এর পাশাপাশি আরও কিছু কঠিন এবং গভীর প্রশ্নগুলো অস্বস্তি দিতেই থাকবে এভাবে তাদের… যাদের রক্ষাকবচ দেওয়ার চেষ্টা চলে সবসময়ে।
সিস্টেম যাতে ক্রাম্বল না করে, তার জন্য সাংবিধানিক পরিকাঠামোর সব কটা মেশিনারি এক হয়ে অপারেট করবে। এটাই নিয়ম। এই উপমহাদেশের সাংবিধানিক এবং প্রশাসনিক সিস্টেমই এমন… যে গণপ্রতিরোধকে অভ্যুত্থানের রূপ নিয়ে এমন জায়গায় কখনওই যেতে দেবে না, যা ‘সরকার ফেলে দেওয়া’-র মতো উদাহরণ হয়ে যায়। সিস্টেমের বিভিন্ন সক্রিয় অঙ্গগুলির সেই চেষ্টা সবদিক থেকে স্পষ্ট। এইসব কিছুর মাঝেও দৃঢ়প্রতিজ্ঞ চিকিৎসকদের অবস্থান, দফায় দফায় রাজ্যের সাধারণ মানুষের রাস্তায় নেমে আন্দোলন অবস্থান… এক আলাদাই আলো দিচ্ছে। মোমবাতি অবশেষে মশাল হয়ে উঠেছে দেখতে পাচ্ছি। স্তাবকরা ঘাড় ধাক্কা খাচ্ছে নাম কিনতে এলে। আরও খাবে। ‘অরাজনৈতিক’ শব্দটা নিয়ে কোনও জাগলারি চলবে না। কে কেন চাইছে না কোনও দলের পতাকায় থাকতে, সেই ব্যাপারে কোনও ম্যানিপুলেটিভ জ্ঞান চলবে না। একজনকে হঠাৎ কিছু একটা সাজিয়ে আন্দোলনের আইকন বানিয়ে দেওয়াও চলবে না। প্রতিটা চালাকি ‘গো ব্যাক’ স্লোগান খাচ্ছে— দেখতে পাচ্ছি। সুবিধে নিয়ে রাখা নির্লজ্জগুলোও ক্রমে দু-একটা কথা বলে আবার লুকিয়ে পড়ছে আড়ালে। বুঝতে পারছে না, কোন সময়ে বাইরে এলে শ্যাম-কুল দুটোই রক্ষা পায়। এমন টোটালিটারিয়ান সিস্টেম তৈরি করে রেখেছেন মাননীয়া, যে সৎভাবে এগিয়ে কথা বলার লোক নেই। এমন কেউ নেই যাঁর অরা দেখে সসম্মানে এগিয়ে কথা বলবেন আন্দোলনরত মানুষ। যাঁর কথা শুনে ভরসা পাবেন, একটা আস্থার সেতু সৃষ্টি হতে পারে। কী ডিস্টার্বিং পলিটিকাল ব্যাঙ্করাপ্টসি একটা তিনটে টার্ম চালানো শাসকদলের শীর্ষনেতৃত্বের!
অনেক বছর পর বাংলার মানুষের এই রূপ দেখছে পশ্চিমবঙ্গ, এমন প্রবল অ্যান্টি-ইনকাম্বেন্সিও সামনে এল অনেক বছর পর! দেশ থেকে বেরিয়ে আন্তর্জাতিক স্তরে অনুরণন ঘটাচ্ছে সমন্বয়ের ধ্বনি।
***
মানুষ তার জীবনের শেষ কয়েকটা দিন, শেষ কয়েক ঘন্টা— সজ্ঞানে কী কী ভেবে যায়, কী চলে মনের মধ্যে… এ এক অপার রহস্য।
সেখানে একটি মেয়ে, ডিউটি করতে গিয়ে কয়েক ঘন্টার মধ্যে মৃত্যুকে চোখের সামনে দেখতে পেল, কী মনে হয়ে থাকবে তার তখন আততায়ীর চোখের দিকে তাকিয়ে?
ফারোকজাদের স্বল্পদৈর্ঘ্যের সিনেমা ‘The House Is Black’ মনে পড়ে।
ছোট ছোট বাচ্চারা, সুন্দর কিছুর উদাহরণ হিসেবে মনে করে প্রকৃতির কথা। আর কুৎসিত কিছুর উদাহরণ হিসেবে মনে পড়ে মানুষের সঙ্গে সম্পর্কিত কিছু উপমা।
একটি ছোট্ট মেয়েকে হুইলব্যারোতে করে নিয়ে যান কেউ, তার কোলে একটা ছোট্ট পুতুল। ফারোকজাদের স্বকণ্ঠে ধ্বনিত হয় একটা কবিতা ধীর লয়ে (ফারসি ভাষায়)—
The universe pregnant with inertia
has given birth to the wrong
To where should I take refuge
Outside of Your spirit and Your presence?
If I hang on to the wings
Of the morning breeze,
And reside in the deep of the sea,
Your hand will still weigh on me.
You have made me drunk with indecision.
How dreadful are your deeds.
How dreadful are your deeds.
হুইলব্যারো ঠেলতে ঠেলতে মেয়েটিকে নিয়ে চলে যায় কোনও নারী এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে।
প্রথমে যা মনে হয় কাগজ কুঁচকে দেওয়ার শব্দে, ক্রমে বুঝতে পারি তা আসলে আভ্যন্তরীণ প্রক্রিয়া… পাঁজর ভাঙার শব্দ। ক্রমে গুটিয়ে গিয়ে অন্ধকার ভেতর রিফিউজ নিই… লুকোনোর চেষ্টা করি।
নিজের পাঁজর ভেঙে যাওয়ার শব্দ বার বার কানের সামনে বাজলে বড় অসহনীয় হয়ে ওঠে।
প্রবল বৃষ্টি পড়ছে, তার মধ্যেও স্লোগানে স্লোগানে উত্তাল হয়ে আছে স্বাস্থ্যভবনের সামনে। আবার কাল এক মিছিল বেরোবে। পরশু আবার মিছিল বেরোবে… স্বতঃস্ফূর্ত মানুষের ক্ষোভ বাইরে আসার একটা এমন জায়গা করে নিতে পেরেছে, যা আপাতত সিমেন্টিং করা যাচ্ছে না কোনওভাবে।
একজন নারীর মধ্যে কতটা প্রাণশক্তি থাকলে, মুক্তি পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সঞ্চিত উর্জা এইভাবে জনমানসে ছড়িয়ে পড়তে পারে। এভাবে স্ফুলিঙ্গ থেকে প্রতিবাদের ঝড় বয়ে যায়।
তিনি মানুষের মাঝে থাকলে, কত না আলো দিয়ে যেতে পারেন জীবনভর!
And yet after all these, I must confess, Even in this— I am not being of any good.
শুধু যা দেখছি, যা মনে হয়েছে… লিখে রেখে যাচ্ছি। হয়তো সে-অর্থে কিছু গুছিয়েও না। হয়তো, সিভিয়ারলি রিডানডান্ট।
শুধু চাই না, এক বছর পর এই লেখাগুলো দেখে আর একটা হার্ট-ব্রেক হয়।
So much damage is already done, and a lot is there beyond remediation. At least some good-will must thrive, must survive… amidst this worsening global dystopia.
১৩ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪
*মতামত ব্যক্তিগত