ডারউইনের বিবর্তন তত্ত্ব মৌলবাদীদের চক্ষুশূল কেন?

অশোক মুখোপাধ্যায়

 



প্রাবন্ধিক, বিজ্ঞান ও মানবাধিকার কর্মী, সেস্টাস-এর প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক

 

 

 

 

বিশ্বের হিন্দু মুসলিম এবং খ্রিস্টান— এই তিনটি শক্তিধর ধর্মীয় মৌলবাদেরই ডারউইনীয় বিবর্তন তত্ত্বের উপর এত রাগ কেন? ধর্মশাস্ত্রের জীববিদ্যাবুদ্ধির সঙ্গে তা মেলে না বলে? না, ঘটনা তা নয়

 

ডারউইন, গুডবাই!

অবশেষে কাজটা সেরে ফেলা গেল। বাংলাদেশে এবং ভারতেও। এই একটা ব্যাপারে আমরা এখন সৌদি আরব, তুরস্ক, ওমান, ইরান বা লেবাননের সমকক্ষ হতে পেরেছি!

এই দুই দেশেই বেশ কিছুকাল থেকে ডারউইনের বিবর্তনবাদকে ভ্রান্ত তত্ত্ব বলে দাবি করে স্কুল-সিলেবাস থেকে তুলে দেওয়ার জন্য তোড়জোর চলছিল। হিন্দু এবং ইসলামি গোঁড়া মৌলবাদীদের মধ্যে এই একটি ব্যাপারে ভারি মিল। ভারতে বিজেপি দ্বিতীয় বার কেন্দ্রীয় সরকারে আসার পর থেকেই বিভিন্ন নেতামন্ত্রীদের গলায় ডারউইনের তত্ত্বের বিরুদ্ধে গুরুগম্ভীর আওয়াজ শোনা যাচ্ছিল। ডারউইনের তত্ত্ব সঠিক নয়। কেননা, বানর থেকে মানুষের উদ্ভব হতে মন্ত্রীদের মামা-কাকারা কেউ দেখেনি। এই যুক্তিতে অনেকেই বলে যাচ্ছিলেন, ডারউইনের এত বড় একটা ভুল তত্ত্ব আর পাঠক্রমে রাখা সমীচীন নয়। দেখেনি যখন, তখন একে আর সঠিক বলা যায় কী করে।

সেই সব মন্ত্রীদের জিজ্ঞেস করতে চাই, বর্তমান উত্তরপ্রদেশের অযোধ্যায় রামের জন্ম এবং জন্মস্থান আপনাদের বাপ-ঠাকুর্দার মধ্যে কে কে দেখেছে? আদৌ কেউ দেখেছে নাকি? তা সত্ত্বেও তাকে আপনারা গোটা সঙ্ঘ পরিবারের সদস্যরা সকলে তাকে মানেন কী করে? শুধু মানাই তো নয়, “গুন্ডাগিরি করে” (সুপ্রিম কোর্ট) একটা আস্ত মসজিদ ভেঙেই ফেললেন সেই না-দেখার এবং বিশ্বাসের ভিত্তিতে। বিবর্তন তত্ত্বের বেলায় সেটা মনে রাখেন না। যেন সত্য হলে দেখারই কথা। এই সেদিনেরই তো ব্যাপার— মাত্র বছর তিরিশ লাখের মতো আর কি! মন্ত্রী মহোদয়ের ঠাকুরদা হয়ত গেরুয়া রঙের হাগিস পরে তখন হামা দিচ্ছিল আফ্রিকার তুর্কানা হ্রদের ধারে। বিবর্তন সত্য হলে সে নিশ্চয়ই হাঁ করে দেখতে পেত, পিথেকাসগুলি টুপ টুপ করে হোমো হয়ে হাতে একটা পাথর তুলে নিচ্ছে। তাই না?

ভারতে শিক্ষাবিষয়ক গবেষণা সংস্থাটি ভারি মজার। নাম তার এনসিইআরটি। যখন যারা সরকারে আসে, তাদের যা যেমন দরকার, ওদের গবেষণাপত্রগুলি সেই মতো উপাত্ত এবং সিদ্ধান্ত নিয়ে বেরতে পারে। বাজপেয়ির সরকার যখন চেয়েছিল স্কুলে স্কুলে “বৈদিক গণিত” চালু করতে, ওরা বৈদিক গণিত প্রচলিত গণিতের চাইতে কত ভাল প্রমাণ করে ছেড়েছিল। সিলেবাসের বোঝা বাড়িয়েই। বাজপেয়ির সরকার আবার কিছুদিন পরে যখন ভাবল, সকলের মাধ্যমিক পর্যন্ত অঙ্ক শেখার দরকার নেই, ওরা দেখিয়ে দিল, অঙ্ক বিষয়টা কত কঠিন, কত ছাত্র ভয় পায়, ওটা ঐচ্ছিক হয়ে যাক, এবম্বিধ। ব্যস, সেই থেকে কেন্দ্রীয় বোর্ডের স্কুলগুলিতে নবম-দশম শ্রেণিতে অঙ্ক আর আবশ্যক রইল না। সকলে বেশি বেশি অঙ্ক শিখে কী করবে? পরে অন্য সমস্ত বোর্ডও একই রাস্তায় হাঁটা দিল।

এখন আরএসএস-এর পরামর্শে শাহ-মোদির সরকার মনে করছে, ডারউইনের বিবর্তন তত্ত্বকে নবম ও দশম শ্রেণির সিলেবাসে না রাখলেই ভাল হয়, কচি কচি ছাত্রদের সিলেবাসের বোঝা হালকা করা দরকার। ব্যস, অমনি এনসিইআরটি লজ্জা এবং বিদ্যাবুদ্ধির মস্তকভোজন সাঙ্গ করে ফেলে সেই সঙ্ঘ-স্বপ্নকে সার্থক করে তুলতে রাজি হয়ে গেছেন। করোনা সঙ্কটকালে ছাত্রছাত্রীরা বেশি পড়াশুনার সুযোগ পাচ্ছিল না। আরও অনেক ঝামেলা গেছে। ফলে কোভিদোত্তর কোমলমতি ছাত্রদের মগজের উপর থেকে পাঠ্যক্রমের বোঝা কমানো খুব জরুরি হয়ে পড়েছিল। ওরা যদি উচ্চমাধ্যমিকে উঠে বিজ্ঞান নিয়ে পড়তে চায়, তখন না হয় খানিক ডারউইন পড়িয়ে দেওয়া যাবে‘খন। সুতরাং আপাতত…

বোঝা যায়, এটা পরীক্ষামূলক। যদি শেষ অবধি বিনা বাধায় এটাকে চালানো যায়, তখন অন্য ক্লাসেও ডারউইনের বিদায় সম্বর্ধনার আয়োজন করা হবে।

সম্প্রতি শোনা যাচ্ছে, বাংলাদেশেও নাকি স্কুলে আর ডারউইনীয় বিবর্তন তত্ত্ব পড়ানো হবে না। এই মর্মে সরকারি সিদ্ধান্ত হয়ে গেছে। মাস ছয়েক আগে একটি স্কুলের এক বিজ্ঞানশিক্ষক হৃদয় মণ্ডল ছাত্রদের জীববিজ্ঞানের ক্লাসে কোরানের ব্যাখ্যার বদলে বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা পড়িয়েছিলেন। সেই অপরাধে যেভাবে তাঁকে একদল ছাত্র, শাসক দল, সরকার, পুলিশ, আইন-আদালত সমবেতভাবে হেনস্থা করেছিল তাতে এই অসুস্থ প্রবণতার আগম সঙ্গীত স্পষ্ট করেই শোনা যাচ্ছিল। সেখানে ইসলামি মৌলবাদী শক্তি জামাতি হেফাজতিদের হাতেই দেশের নবীন প্রজন্মের শিক্ষার ভার সরকার তুলে দিতে চলেছেন বলে খাস খবর!

হৃদয় মণ্ডল

ইউরোপে ততটা জোরালো না হলেও উত্তর আমেরিকার সবচাইতে বড় দেশটিতে ডারউইনের উপরে খ্রিস্টীয় মৌলবাদীদেরও বড্ড রাগ। বিভিন্ন প্রদেশে ক্ষমতার জোরে এর আগে অনেকবার স্কুলে ডারউইন পাঠ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। ১৯২৫ সালে টেনেসি প্রদেশের কোনও স্কুলে ডারউইনের তত্ত্ব পড়ানোর অভিযোগে একবার এক শিক্ষককে আদালতে যেতে হয় এবং ২৫ ডলার জরিমানাও দিতে হয়। পরে অবশ্য বৃহত্তর শিক্ষিত জনমত এবং আদালতের বিচারকদের বিচার ডারউইনের পক্ষে চলে যাওয়ায় ইদানীং আর তার পুনরাবৃত্তি ঘটানো যাচ্ছে না। তাই খ্রিস্টান মৌলবাদী সংগঠনগুলি এখন বয়ান পালটে দাবি তুলছে— স্কুলের জীববিজ্ঞান ক্লাসে ডারউইনের মতবাদ পড়ালে তাদের আপত্তি নেই, কিন্তু বাইবেলের সৃষ্টিতত্ত্বও ছাত্রদের একই সঙ্গে পাশাপাশি পড়াতে হবে। ওদেশে ফেডারেল কোর্টের বর্তমান বিচারকদের বোধভাস্যি আমাদের দেশের তুলনীয় বিচারনায়কদের সাপেক্ষে সাধারণত খানিক বেশি হয় বলেই হয়ত এখনও এই দাবির ভবিষ্যৎ তেমন উজ্জ্বল নয়। তবে বলা তো যায় না। ভারতীয় গেরুয়া টাইপের ভদ্রলোক কাজি বিশ্বে আজকাল একেবারে বিরল বা বিলীয়মান প্রজাতি নয়। কে যে কোন মামলায় কবে কী রায় দিয়ে ফেলবেন কে বলতে পারে!

তাই চারদিকের এইসব কাণ্ডকারখানা দেখেশুনে আমার বিস্মিত প্রশ্ন হচ্ছে, বিশ্বের হিন্দু মুসলিম এবং খ্রিস্টান— এই তিনটি শক্তিধর ধর্মীয় মৌলবাদেরই ডারউইনীয় বিবর্তন তত্ত্বের উপর এত রাগ কেন? ধর্মশাস্ত্রের জীববিদ্যাবুদ্ধির সঙ্গে তা মেলে না বলে?

 

যদ্দুর জানি, ঘটনা তা নয়।

কেননা, ধর্মের বস্তুজ্ঞান কিংবা বলবিদ্যা সংক্রান্ত জ্ঞানবুদ্ধির সঙ্গেও গ্যালিলেও গ্যালিলেই বা আইজ্যাক নিউটনের মেকানিক্স মেলে না। বহুক্ষেত্রেই প্রাচীন ঈশ্বর বা গুরু উবাচ পবিত্র শাস্ত্রে যা বলা হত, নতুন বলবিদ্যার পাঠে তাকে আকাট ভুল বলে পুরোটাই খারিজ করে দেওয়া হয়েছে। এই যেমন, বল প্রয়োগে গতির সৃষ্টি। কিংবা উপর থেকে পড়ার সময় ভারি জিনিস আগে পড়ে আর হালকা জিনিস দেরিতে নামে। গ্যালিলেও দেখিয়ে দেন, ধারণাগুলো ভুল, বস্তুর গতি ও পতনকে উপর উপর দেখে এই সমস্ত ধারণার জন্ম হয়েছিল। গ্যালিলেওর পরে নিউটন সঠিক ধারণাগুলিকে অঙ্কের ভাষায় জলের মতো সহজ করে বুঝিয়ে দেন। সেই সঙ্গে এটাও বুঝিয়ে দেন, আগেকার জ্ঞানীগুণীরা অনেক কিছুই ভুল জানতেন। যদিও সেটা তাঁদের কোনও দোষ ছিল না। সেকালে অত সব বোঝার মতো জ্ঞান বুদ্ধি পরিবেশ তৈরিই হয়নি। একথা নিঃসন্দেহে বলা যায়, আরিস্ততলের কালে জন্মালে স্বয়ং গ্যালিলেও কিংবা নিউটনও ওরকম ভুল করতেন! ভারতের প্রাচীন “সর্বজ্ঞ” মুনিঋষিরাও এই সব ব্যাপারে প্রায় কিছুই বলে যেতে পারেনি। পারার কথা নয় বলেই।

তা সত্ত্বেও গ্যালিলেও বা নিউটনের বিরুদ্ধে এই তিন ধর্মের মাতব্বররা আজকাল কেউ আর অতটা খাপ্পা নয়। ভারতেও বিজেপি-শিবিরের কাউকে এই নিয়ে কোনও অভিযোগ করতে শোনা যায়নি। গ্রহ নক্ষত্রের রোজকার গতির জন্য এখন আর ঈশ্বরকে এসে প্রতিদিন ধাক্কা-টাক্কা দিতে হয় না। মহাকর্ষ গতিজাড্য ইত্যাদিরাই হাতে হাত মিলিয়ে গতি আর বলের সামান্তরিক বানিয়ে লব্ধির নামে দিব্যি কাজটা করে দেয়। বরং রোমের আধুনিক পোপগণ ষোড়শ শতকে কোপারনিকাস ও গ্যালিলেওর বৈজ্ঞানিক কাজকর্ম সম্পর্কে মূল্যায়নে তাঁদের যে যথেষ্ট বড় রকমের ভুল হয়েছিল, তা আজকাল খুব জোর গলাতেই স্বীকার করছেন। সেই কারণেই কিনা জানি না, নিউটনের মেকানিক্স আর ইস্কুলে পড়ানো যাবে না বলে আজ অবধি আলোচ্য তিন ধর্মের কেউ কোথাও কোনও হল্লা বাধায়নি। অন্তত আমার চোখে পড়েনি বা কানে আসেনি। নিউটনের উপর ওদের অত রাগ নেই।

শাস্ত্রবর্ণিত গ্রহ-নক্ষত্র পাঠের সঙ্গেও আধুনিক জ্যোতির্বিজ্ঞানের কোনও পাঠই এক দানাও মেলে না। রাহু বা কেতুর অস্তিত্ব এবং গ্রহত্ব দেশি বা বিদেশি জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা কেউ এখন স্বীকার করেন না। তার উপর আকাশের জ্যোতিষ্কমণ্ডলীর গতিবিধি বোঝাতে গিয়ে পিয়র সিমোঁ দ্য লাপ্লাস এমনও বলেছিলেন যে এইসব বিদ্যায় আমাদের ভগবান নামক তত্ত্বকল্পটির দরকার হয় না বা কাজে লাগে না। তা সত্ত্বেও তাকে বাতিলের দাবি এখনও সেরকমভাবে কেউ তুলেছে বলে শুনিনি। বড় জোর জ্যোতিষশাস্ত্র পড়ানোর পক্ষে দাবি উঠেছে। ভারতে বিজেপি-র গো-এষণার বদান্যতায় তা অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ে চালু হয়েছে। কিন্তু জ্যোতির্বিজ্ঞান পড়ানো যাবে না— এরকম দাবি ওরা এখনও তোলেনি। অবশ্য ভবিষ্যতে যে তুলবে না, এরকম ওয়ার‍্যান্টি দেওয়া কারও পক্ষেই সম্ভব নয়।

বিভিন্ন ধর্মগ্রন্থে বিশ্বসৃষ্টির যে সমস্ত গল্প রয়েছে, তার সঙ্গেও আধুনিক মহাবিশ্বতত্ত্ব কোনও দিক থেকেই তুলনীয় নয়। স্টিফেন হকিং তো আমৃত্যু বারবারই দেখিয়ে গিয়েছেন, মহাবিশ্ব যেভাবেই তৈরি হয়ে থাকুক না কেন, তা পদার্থবিজ্ঞানের সূত্র মেনেই হয়েছে। অর্থাৎ, নির্বস্তু বা নাস্তিত্ব থেকে নয়, বস্তু ও শক্তির সংরক্ষণ সূত্র মেনেই মহাবিস্ফোরণের ঘটনাটি ঘটেছে। বাইবেল বা কোরানের গল্পের সঙ্গে তার সামান্যতমও সাদৃশ্য নেই। ফ্যালফ্যাল করে তাকিয়ে দেখা ছাড়া এবং বসার মতো একটা ঠান্ডা গ্রহ তৈরি হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করা ছাড়া ভগবানেরও তাতে কিছু করণীয় ছিল না। ভারতে আবার ত্রিংশাধিক উপনিষদে কিংবা অষ্টাদশ পুরাণে এতরকমের সৃষ্টির গপ্প আছে যে আপনি কোনটাকে যে হিন্দুদের পবিত্র শাস্ত্রীয় মতবাদ বলে ধরবেন, ভেবেই কুলকিনারা পাবেন না! তথাপি, মৌলবাদীরা মহাবিশ্বতত্ত্বকে বাতিল করার বা ব্যাবিলনীয়-আব্রাহামিক-পৌরাণিক কোনও বিশ্বসৃষ্টিতত্ত্বকে সিলেবাসে ঢোকানোর দাবি করছে না। সেরকম দাবিও আমরা শুনতে পাইনি।

আর কোনও দেশের কোনও ধর্মের কোনও প্রাচীন গ্রন্থেই— সে কোরান, বাইবেল ত্রিপিটক, বেদ-উপনিষদ-গীতা, যাই বলুন— যেহেতু গণিতের তেমন কারবার নেই, তাই আজ অবধি কাউকে গণিতের সিলেবাস বদলে ফেলতে হবে, এবং/অথবা বাইবেল কোরান বেদাদির গণিত পড়াতে হবে— এরকম আওয়াজও খুব একটা শোনা যায় না। বৈদিক গণিতের যে দাবি হিন্দুত্ববাদীরা গত বছর ত্রিশেক ধরে তুলছে, তাও অতিরিক্ত বিষয় হিসাবে। বীজগণিত জ্যামিতি বা ক্যালকুলাসের বিরুদ্ধে তারা বোধহয় অতটা খাপ্পা নয়। বোঝে না বলে কিনা জানি না। ভুল বলেও কেউ দাবি করেছে বলে শোনা যায়নি। অথচ গণিতের কোনও অধ্যায়েই আপনি কিছুতেই ভগবান স্যরকে ঢোকাতে পারবেন না। ঢোকাতে গেলেই এক্সট্রানিয়াস ট্রিভিয়াল বা রিডানডেন্ট বলে পরম বিশ্বাসী গণিতবিদরাও রে রে করে উঠবেন! তা সত্ত্বেও পিথাগোরাস গাউস কিংবা লাইবনিৎসের বিরুদ্ধে, রামানুজন বা হার্ডির বিরুদ্ধে কাউকে এখনও ধর্মের নামে বিষোদ্গার করতে দেখিনি।

 

এই যখন পরিস্থিতি, বিজ্ঞানদুনিয়ার অন্য সকলেই যখন ধার্মিক গোঁড়াদের কাছে ছাড় পাচ্ছেন, তখন ডারউইনের জীববিবর্তন তত্ত্বের কী এমন অপরাধ হল যে সব ধর্মের সকলেই তার মুণ্ডপাত চায়? ডারউইনবাদ হিন্দু মুসলিম খ্রিস্টান সমস্ত মৌলবাদীদেরই গসাগু চক্ষুশূল কেন?

সেইটা একটু বোঝার চেষ্টা করা যাক।

[ক্রমশ]

 

 

About চার নম্বর প্ল্যাটফর্ম 4593 Articles
ইন্টারনেটের নতুন কাগজ

Be the first to comment

আপনার মতামত...