বিবর্তনের চার স্তম্ভ

অশোক মুখোপাধ্যায়

 


সেই কারণেই, সব দেখেশুনেই, ডারউইনের জন্য ধর্মবিশ্বাসীরা এক অনন্ত ইনফার্নোর আয়োজন করতে থাকে। লাতিন ক্যান্তে, সংস্কৃত স্তোত্রে কিংবা আরবি আয়াতে। তারা যে এর ভয়ঙ্কর বিরোধী, সেটা ডারউইনের তত্ত্বে বৈজ্ঞানিক যুক্তিতর্কের জন্য ততটা নয়, যতটা প্রজাতি বিলোপের তথ্য তুলে ধরে এই অশৃঙ্খল প্রভেদনের ধারণার ভিত্তিতে নকশার যুক্তিকে অসিদ্ধ বলে দেখিয়ে ঈশ্বরের ক্ষমতাকে হাস্যকর প্রমাণ করে দেওয়ার জন্য। বিজ্ঞানটা তাদের অপছন্দ, কিন্তু ডারউইনের উপর তাদের ব্যাপক রাগ বিদ্বেষ। অনেকটা আরএসএস-এর দলিত বিদ্বেষের মতো। সদ্‌ব্রাহ্মণ হিসাবে গলা উঁচু করে খুলে বলতেও পারে না, আবার মনের মধ্যে চেপে রাখতেও কষ্ট পায়

 

পূর্ব-প্রসঙ্গ: অশৃঙ্খল প্রভেদন

যাই হোক, আসুন, আরও একবার গোড়া থেকে ঝালিয়ে নিই বিষয়গুলিকে। এই অশৃঙ্খল প্রভেদনের প্রশ্নটা এল কেন ডারউইনের মনে? কিংবা, এটা কোত্থেকে এল?

ডারউইনীয় বিবর্তনবাদের চারটে স্তম্ভ হল এইরকম: ১) অস্তিত্বের সংগ্রাম, ২) অশৃঙ্খল প্রভেদন, ৩) অভিযোজন, এবং ৪) প্রাকৃতিক নির্বাচন।

জীবজগতে অস্তিত্বের সংগ্রাম মানে কী? গাছে-গাছে প্রাণীতে-প্রাণীতে লাঠালাঠি, তরবারি বল্লম নিয়ে লড়াই? এর জমিতে ওর জবরদস্তি ঢুকে পড়া? আগ্রাসন? রাজ্য জয়? অথবা গরুর সঙ্গে ঘাসের যুদ্ধ? মানুষের সমাজে যেরকমটা দেখা যায় সেরকমই নাকি?

না, এরকম নয় জিনিসটা। এতটা সরল নয়। যদিও অনেকেই, বিশেষ করে লোকপ্রিয় লেখকরা কেউ কেউ জীবজগতে টমাস হবস-কথিত এরকমই একটা সকলের সঙ্গে সকলের যুদ্ধ[1] জাতীয় ছবি আঁকতে খুব ভালবাসেন। সমালোচকরা আবার সেই ছবিকে হাতিয়ার করেই জীবে জীবে সহযোগিতার সাতকাহন বাজিয়ে ডারউইনীয় তত্ত্বের বিরুদ্ধে যুক্তি সাজিয়ে ফেলেন।

জীবজগতে অস্তিত্বের সংগ্রাম মানে হল, এক-একটা প্রজাতির সদস্যদের বেঁচে থাকা এবং টিকে থাকার জন্য যে খাদ্য এবং সুরক্ষা প্রয়োজন, তার জন্য প্রচেষ্টা। এক-একটা প্রজাতির যত শাবক বা বংশধরের জন্ম হয়, তাদের সকলের জন্য যদি যথেষ্ট খাদ্যের জোগান পৃথিবীতে থাকত, এবং উদ্ভিদ ও প্রাণীর মধ্যে তথা বিভিন্ন প্রাণীর মধ্যে যদি খাদ্য-খাদক সম্পর্ক না থাকত[2], তাহলে কোনও সংগ্রামের প্রশ্ন থাকত না। কিন্তু হায়! সেই সে যে এতসব সৃষ্টি করতে পেরেছিল, এই সামান্য একটা সমস্যার অগ্রিম সমাধান করে রাখতে পারেনি। ফলে সীমিত খাদ্য, সীমিত বাঁচার সুযোগ— তার মধ্যে কারা খাদ্য পাবে, কারা আত্মরক্ষায় সক্ষম হবে— তার থেকে অস্তিত্বের সংগ্রাম শুরু হয়।

জল এখন সীমিত এবং কর্পোরেট বাণিজ্যসঙ্ঘের কুক্ষিগত হয়ে পড়লেও আলো-বাতাস তো সীমিত নয়! যত চাই পাওয়া যায়। অন্তত এখনও। তাহলে উদ্ভিদের কী সমস্যা? ওদের কেন সংগ্রাম করতে হবে?

হ্যাঁ, সমগ্র পৃথিবীকে ধরলে জল আলো বাতাস এখনও জীবজগতের পক্ষে পর্যাপ্তই আছে। কিন্তু ভেবে দেখুন, একটা আম বা অশ্বত্থগাছের তলায় যদি কয়েকটা ছোট ছোট ভেরেন্ডা গাছ থাকে, তাদের আলোবাতাস পেতে, এমনকি মাটির তলা থেকে জল পেতে অসুবিধা হবে কিনা। আবার বড় গাছ না পেলে— যথা মরু এলাকায়, বা বরফের স্তূপে, পাখি কোথায় থাকবে? তাছাড়া, এই জল আলো এবং বাতাসের প্রাপ্তিযোগ আবার বিশ্বের সমস্ত জায়গায় সমানভাবে বিদ্যমান নয়। সমুদ্রের লোনা জল, যা বিশ্বের মোট জলভাগের প্রায় ৯৭ শতাংশ, তা অনেক উদ্ভিদ ও প্রাণীর পক্ষেই শুভকর নয়। মালভূমি এবং মরুভূমি এলাকাগুলিতে— বিশ্বের স্থলভাগের যা অন্তত একের তিন ভাগ— সেইসব জায়গায় জল ও উর্বর মাটি সহজলভ্য নয়। সেসব জায়গায় তাপমাত্রার প্রচণ্ড ওঠানামার কারণে আলো এবং বাতাসও যা পাওয়া যায় ব্যবহারযোগ্য হয় না। পৃথিবীর দুই মেরু অঞ্চলের বরফ-আচ্ছাদিত ভূপৃষ্ঠেও ব্যবহারযোগ্য জল আর প্রয়োজনীয় আলো পাওয়া খুব দুষ্কর এবং বাতাসের শীতলতা জীবনধারণের পক্ষে ব্যাপকভাবে প্রতিকূল! সুতরাং টিকে থাকার জন্য অস্তিত্বের সংগ্রাম— প্রজাতি-প্রজাতিতে, এক প্রজাতির সদস্যদের পরস্পরের মধ্যে এবং পরিবেশের সঙ্গে জীবের— সমগ্র জীবজগতের জন্য এক অনিবার্য ঘটনা। বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন আকারে।

আবার একটা কোনও অঞ্চলের ভূপ্রাকৃতিক বৈশিষ্ট্যসমূহ বড় আকারে বদলে গেলে— সেটা নদীর প্রবাহপথের পরিবর্তন, ব্যাপক বিধ্বংসী ভূমিকম্প, আগ্নেয়গিরির বৃহদাকারে বিস্ফোরণ ও লাভা উদ্গীরণ, বা অন্য কারণে— তখন সেই এলাকার উদ্ভিদ ও প্রাণীগুলির সামনে বেঁচে থাকা ও টিকে থাকা মুশকিল হয়ে পড়ে। অধিকাংশই বিলুপ্ত হয়ে যায়। মজার কথা হল, তার মধ্যেও কখনও কখনও কোনও প্রজাতির অল্প কিছু সদস্য বেঁচে যায়, হয়তো টিকেও যায়। কিন্তু তাদের নতুন করে অভিযোজন করতে হয়। সেই অভিযোজন সফল হলে তারা বা তাদের অন্য প্রজন্ম আবার অন্য প্রজাতিতে রূপান্তরিত হয়ে জীবনের ধারা অক্ষুণ্ণ রাখে। তারাই প্রাকৃতিক নির্বাচনে ঠাঁই পেয়ে যায়।

এছাড়া, আরও কিছু দিক থেকে বিষয়টাকে দেখতে হবে।

বনেজঙ্গলে ছাগল ভেড়া বা হরিণ যদি এমন জোরে ছুটতে পারে যে বাঘ সিংহ নেকড়েরা কখনওই তাদের দৌড়ে ধরতে পারবে না, তাহলে বাঘ সিংহদের খাদ্যের কী হবে? আবার যদি সমস্ত ছাগল হরিণ বা ভেড়াই পালাতে গিয়ে ধরা পড়ে বাঘ সিংহদের পেটে চলে যায়, তাহলে ওরাই বা বাঁচবে এবং টিকে থাকবে কেমনে? উভয় তরফেই অতএব সংগ্রাম আছে।

তাহলে অস্তিত্বের সংগ্রামে কেউ কেউ আত্মরক্ষা করতে পারে, খাদ্যসংগ্রহ করতে পারে; আবার কেউ কেউ তা পারে না। যারা পারে, তারা কিসের জোরে পারে?

তাদের এমন কিছু বৈশিষ্ট্য আছে, যা তাদের অন্যদের তুলনায় একটু হলেও সুবিধাজনক অবস্থানে এনে দেয়। কিছু ভেড়ার পায়ের গঠন এমন যে হয়তো তাদের ছুটবার সামর্থ্য বাকিদের তুলনায় বেশি। কোনও পাখি হয়তো এতটাই ছোট এবং হালকা যে ছোট গাছেও অনায়াসে বাসা বাঁধতে পারে। কিছু কিছু গাছের ফল এমন যে পাখিরা খেতে খুব ভালবাসে এবং তার ফলে তার বীজগুলি দূরে দূরে ছড়িয়ে দেয়। ইত্যাদি।

এখানেই ডারউইন অশৃঙ্খল পার্থক্যের ঘটনাটি লক্ষ করলেন এবং নিয়ে এলেন। এই সফল বা অসুবিধাজনক নানা বৈশিষ্ট্যগুলি কীভাবে আসে? এতকাল শুধু সফল বৈশিষ্ট্যগুলোকে দেখিয়ে ভগবানের বুদ্ধিকে কাজে লাগানো হচ্ছিল। দিব্যি চলেও যাচ্ছিল। কিন্তু অসফল বৈশিষ্ট্যের দায়ভার কে নেবে? সেগুলোই তো সংখ্যায় অনেক বেশি। অতএব ডারউইন ভগবানজিকে বাঁচাতে চেয়েই পুরো ব্যাপারটা থেকে তাকে মুক্ত করে দিলেন। বৈচিত্র্য সৃষ্টির দায়িত্ব পেল অশৃঙ্খলা। সেই সঙ্গেই যুক্ত হয়ে গেল সম্ভাব্যতার গণিত। কোনও বৈচিত্র্যের টিকে যাওয়ার সম্ভাবনা বেশি, কোনওটার কম। কেউ অস্তিত্বের সংগ্রামে সফল হবে, কেউ, বা আসলে, অনেকেই সফল হবে না।

আশা করি, এবারে বোঝানো গেল, কেন ধর্মতাত্ত্বিকরা— সে তাঁরা যে ধর্মেরই হন না কেন— ডারউইনের উপর এত বেশি বিরক্ত বা বিক্ষুব্ধ। এই রাগ তাঁদের শুধু যে ল্যমার্কের উপর নেই তা নয়, এমনকি যে আলফ্রেড ওয়ালেসের নাম জৈববিবর্তনবাদের সহস্রষ্টা হিসাবে বার বার উঠে আসে, তাঁর উপরও নেই। কেননা, একে তো ডারউইনের পনেরো বছর বাদে ওয়ালেস তাঁরই আবিষ্কৃত জৈব বিবর্তনবাদ অনুযায়ী নিম্নতর (ভিন্নতর?) প্রজাতি থেকে মানুষের বিবর্তনীয় উদ্ভবের কথা মানতেন না, মানুষকে তিনি দৈবপ্রজাত বলেই ভাবতে ভালবাসতেন। সেদিক থেকে ঈশ্বরভক্তদের তরফে তাঁর বিরুদ্ধে বলার মতো প্রায় কিছুই নেই। কেননা, ধর্মমতে কৃমি থেকে কেঁচো বা কেন্নোর উদ্ভব হলে অত গায়ে লাগে না, বানরজাতীয় প্রাণীদের থেকে গরিলা শিম্পাঞ্জিদের মতোই মানুষেরও উদ্ভব হয়েছিল বললে বেশ গায়ে লাগে। তার উপর আবার সেই ভদ্রলোক সারা জীবনই নানারকম অবৈজ্ঞানিক কাজকারবারের সঙ্গে খুব অন্তরঙ্গভাবে জড়িত ছিলেন, যথা, প্ল্যানচেট, ভূত ধরা, ইত্যাদি। যেগুলি ধর্মীয় লাইনের সঙ্গে ভাল যায়। চার্লস ডারউইন ১৮৩৬ থেকে আমৃত্যু (১৮৮২) সমস্ত ধর্মীয় এবং অবৈজ্ঞানিক কারবার থেকে নিজেকে দূরে সরিয়ে রেখেছিলেন। সাধারণ লেখাপত্রে তার তেমন সাক্ষ্যপ্রমাণ না পাওয়া গেলেও অগণিত চিঠিপত্রে তাঁর ক্ষুরধার প্রশ্ন মন্তব্য ও বিশ্লেষণ ইত্যাদির মধ্যে গুচ্ছ গুচ্ছ প্রমাণ ছড়িয়ে আছে।

ডারউইনের আত্মজীবনীতেও যে তার সাক্ষ্য ছিল, আমরা আগেই দেখেছি। তাঁর স্ত্রী এমা তাঁর পুত্রকে শপথ করিয়ে নিয়েছিলেন যে আত্মজীবনী ও পত্রাবলির ধর্মবিরোধী অংশগুলির অনেক কিছুই ছাপার অক্ষরে বের করা যাবে না (ধর্মমাত্রই খুব উদার হয় কিনা!)। স্বামীর মৃত্যুর ছ-মাস পরে পুত্রের হাতে লেখা সেই আত্মজীবনীর একটি কপিতে ডারউইনের নরকের আগুন সংক্রান্ত অনুচ্ছেদের গায়ে তিনি একটি মন্তব্য লেখেন: “I should dislike the passage in brackets to be published. It seems to me raw. Nothing can be said too severe upon the doctrine of everlasting punishment for disbelief—but very few now wd. call that ‘Christianity,’ (tho’ the words are there.) There is the question of verbal inspiration comes in too. E. D.”[3] ফলে ১৮৮৭ সালে ডারউইনের সেই আত্মজীবনী ও কিছু পত্রসংগ্রহ যখন পুত্র ফ্র্যান্সিসের সম্পাদনায় বেরোয়, তাতে উপরোক্ত অংশ সহ ধর্মবিশ্বাস সংক্রান্ত বিষয়গুলি অনেকটাই কাটছাঁট করে বাদ দিয়ে দেওয়া হয়। ডারউইন তাঁর স্ত্রীর ধর্মবিশ্বাসের প্রতি যে ভালবাসার মর্যাদা দিয়েছিলেন, এমা তাঁর স্বামীর বৈজ্ঞানিক বিচারবুদ্ধির প্রতি তার তিলাংশও দেখাতে পারেননি। তাঁদের মৃত্যুর অনেক বছর পর ডারউইনের এক দৌহিত্রী নোরা বার্লো ১৯৫৮ সালে সেই সব রচনাংশ পূর্ণাঙ্গ আকারে প্রকাশ করে দিলে সারা বিশ্বের কাছে বৈজ্ঞানিক বিচারধারার এক নতুন দিগন্ত খুলে যায়।

আর সেই কারণেই, সব দেখেশুনেই, ডারউইনের জন্য ধর্মবিশ্বাসীরা এক অনন্ত ইনফার্নোর আয়োজন করতে থাকে। লাতিন ক্যান্তে, সংস্কৃত স্তোত্রে কিংবা আরবি আয়াতে। তারা যে এর ভয়ঙ্কর বিরোধী, সেটা ডারউইনের তত্ত্বে বৈজ্ঞানিক যুক্তিতর্কের জন্য ততটা নয়, যতটা প্রজাতি বিলোপের তথ্য তুলে ধরে এই অশৃঙ্খল প্রভেদনের ধারণার ভিত্তিতে নকশার যুক্তিকে অসিদ্ধ বলে দেখিয়ে ঈশ্বরের ক্ষমতাকে হাস্যকর প্রমাণ করে দেওয়ার জন্য। বিজ্ঞানটা তাদের অপছন্দ, কিন্তু ডারউইনের উপর তাদের ব্যাপক রাগ বিদ্বেষ। অনেকটা আরএসএস-এর দলিত বিদ্বেষের মতো। সদ্‌ব্রাহ্মণ হিসাবে গলা উঁচু করে খুলে বলতেও পারে না, আবার মনের মধ্যে চেপে রাখতেও কষ্ট পায়।

বিজ্ঞান থেকে তো আর ডারউইনকে বাদ দেওয়া যাবে না। অতএব সিলেবাস থেকেই যতটা হঠানো যায়…

মনে রাখতে হবে, বর্তমান শতাব্দের গোড়ায় বিজেপি সরকার ভারতের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে জ্যোতিষশাস্ত্র চালু করেছিল বলে সূর্য বা চন্দ্র ঝপ করে গ্রহ হয়ে যায়নি, যে যেমন ছিল নক্ষত্র বা উপগ্রহ হয়েই থাকছে। তেমনই, এনসিআরটিই মোদি-শাহদের নির্দেশে সিলেবাস থেকে ডারউইন তত্ত্ব মুছে দিলেও বিবর্তনের বৈজ্ঞানিক তত্ত্ব বাতিল হয়ে যাবে না। বরং সেই তত্ত্বের পরিসরে এই এনসিআরটিইর নির্বোধ এবং/অথবা দালাল সদস্যদের বুদ্ধিবিবেচনার বিবর্তনও আরও একটা নতুন অধ্যায় হিসাবে যুক্ত হবে।

দেশে এবং বিদেশে।

খুব গুরুচিত্ত জ্ঞানের জগতেও হাস্যরসের একটা চাহিদা তো আছেই।

 

[আবার আগামী সংখ্যায়]


[1] bellum omnium contra omnes
[2] কল্পিত ইডেন উদ্যানে এরকমটা ভাবা হয়ে থাকে।
[3] Cited, Barlow (ed.) 1993, p. 87f.

About চার নম্বর প্ল্যাটফর্ম 4821 Articles
ইন্টারনেটের নতুন কাগজ

1 Trackback / Pingback

  1. কেন ডারউইন চাই? – ৪ নম্বর প্ল্যাটফর্ম

আপনার মতামত...