প্রাথমিক সাফল্য লাভ করল উস্থির আন্দোলন

সঞ্চারী পুরকাইত

 

সুভাষ মুখোপাধ্যায় সেই কবে লিখে গিয়েছেন ‘কলের কলকাতা’র কথা। শহরটা নড়ে চড়ে, আগুন জ্বালায়। ‘রাস্তায় রাস্তায় আগুনের অক্ষরে ইতিহাস লেখে, আবার নিজেই মুছে দেয়।’ সেই উত্তাল সময় আমরা স্বচক্ষে দেখিনি বটে কিন্তু কলকাতার প্রাণকে অস্বীকার করতে কেউ কোনওদিন পারেনি। অনেক বিদ্রোহ প্রতিবাদের সাক্ষী হয়েছে এই কলকাতা।

ভোট, দলীয় রাজনীতির কচকচি তো থাকবেই, কিন্তু তার পাশেপাশেও নিজের অধিকার বুঝে নিতে রাজনৈতিক পরিচয়ের উর্ধ্বে উঠে মানুষ জোট বেঁধেছে, দাবি করেছে নিজের অধিকার। খুব কমদিনের মধ্যেই তো এখনকার কলকাতা অনেকগুলো ধর্না অনশন আন্দোলন দেখল। শুরুটা হয়েছিল অনিকেতদের হোস্টেলের দাবি নিয়ে। লোকসভা ভোটের ঠিক আগেই নজর কেড়েছে স্কুল সার্ভিস কমিশনের ওয়েটিং প্রার্থীদের চাকরির দাবিতে ২৯ দিনের অনশন। এরপর ডাক্তারদের নিরাপত্তার দাবিতে আন্দোলন অবস্থান তো ইতিহাস তৈরি করেছে।

এর সবকটাকে যদি একসারিতে রাখা যায়, তবে একটু আলাদা সারিতে বসবে উস্থি ইউনাইটেড প্রাইমারি টিচার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের (UUPTWA) নেতৃত্বে প্রাথমিক শিক্ষকদের পিআরটি স্কেলের দাবিতে আন্দোলন। বাকিগুলো সবকটাই বিশেষ সাময়িক চাহিদাকে বা ঘটনাকে কেন্দ্র করে তাৎক্ষণিক গড়ে-ওঠা আন্দোলন। কিন্তু যতদূর উস্থির মত সংগঠনের কথা আসে, এটি ধীরে ধীরে বহুদিন ধরে গড়ে-ওঠা একটা সংগঠিত আন্দোলন যা শেষমুহূর্তে বিস্ফোরিত হয়েছে। বাকি শিক্ষকসংগঠনের থেকে UUPTWA একটু আলাদা শুরু থেকেই। অন্যান্য শিক্ষক সংগঠন বিভিন্ন বিষয়ে শিক্ষাক্ষেত্রে শিক্ষার দাবি ও শিক্ষক কর্মচারীদের দাবিদাওয়া নিয়ে আন্দোলন করে। কিন্তু প্রথম থেকেই UUPTWA-র একটিমাত্র দাবি – সেটা পিআরটি স্কেল। বলা ভালো এই পিআরটি স্কেলের জন্যই তাদের উত্থান। এই আন্দোলনকে বুঝতে গেলে তাই আগে বুঝতে হবে কী এই পিআরটি স্কেল।

পিআরটি (PRT) স্কেল হল প্রাইমারি টীচার্স স্কেল। কেন্দ্রীয় সরকারের NCTE নির্ধারিত যোগ্যতামান অনুযায়ী প্রাথমিক মাধ্যমিক স্কুলের জন্য বা অন্যান্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে শিক্ষাগত যোগ্যতা অনু্যায়ী পদের স্কেল পার্থক্য করা আছে। কেন্দ্রীয় ষষ্ঠ বেতন কমিশন অনুযায়ী PB4 (pay band 4)-এ পে স্কেল নির্ধারণ করা হয়েছে 9300-34800। এই কাঠামোকে ভিত্তি করে প্রাইমারি টিচার, হাইস্কুলের গ্র্যাজুয়েট ও পোস্টগ্র্যাজুয়েট পদে কর্মরত টিচারদের গ্রেড পে-কে আলাদা করা হয়েছে। কেন্দ্রীয় ষষ্ঠ বেতন কমিশনের সুপারিশ অনুযায়ী পূর্বতন বামফ্রন্ট সরকার ২০০৯ সালের ফেব্রুয়ারিতে ‘রোপা ২০০৯’-এ বেতন কাঠামো পুনর্বিন্যাস করে। তাতে হাইস্কুলের পে স্কেল ৯০০০-৪০৫০০-তে গ্র্যাজুয়েট টিচারদের গ্রেড পে ৪১০০, অনার্স গ্র্যাজুয়েটদের ৪৭০০, পোস্ট গ্র্যাজুয়েটদের ৪৮০০ এবং হেডমাস্টারদের গ্রেড পে ৫৪০০ ধার্য করা হয়। সেখানে প্রাথমিক শিক্ষকদের পে-স্কেল থাকে ৫৪০০-২৫০০০। এই বেতনকাঠামোয় গ্রেড পে হয় ২৬০০। কেন্দ্রে যেখানে প্রাথমিক শিক্ষকরা ৪২০০ গ্রেড পে পান, সেখানে এরাজ্যের প্রাথমিক শিক্ষকরা মাত্র ২৬০০ পাচ্ছিলেন।

কিন্তু শুধু বেতনকাঠামো নয়, এবার দেখা যাক শিক্ষাগত যোগ্যতার প্রসঙ্গ। এই রাজ্যে পঞ্চম বেতনক্রম ঘোষিত হয় ফেব্রুয়ারি ২০০৯-এ। এর ঠিক ছ’মাস পর আগস্ট, ২০০৯-তে সংসদে রাইট অফ চিল্ড্রেন টু ফ্রি অ্যান্ড কম্পালসারি এডুকেশন অ্যাক্ট পাশ হয়। ২০১০ সালে ২৩শে আগস্ট NCTE আরেকটি নোটিফিকেশন জারি করে, যেখানে স্পষ্ট করে উল্লেখ করা হয়, প্রথম থেকে পঞ্চম শ্রেণিতে পাঠদানের জন্য শিক্ষকশিক্ষিকাদের ন্যূনতম যোগ্যতা হতে হবে উচ্চমাধ্যমিক স্তরে ৫০% নম্বর ও ২ বছরের ডিএলএডের প্রশিক্ষণ। কিন্তু তার আগে পর্যন্ত পশ্চিমবঙ্গে প্রাথমিক শিক্ষকতার প্রয়োজনীয় যোগ্যতামান ছিল মাধ্যমিক উত্তীর্ণ। ফলে পশ্চিমবঙ্গের মত আরও কিছু রাজ্যকে বাড়তি সময় দেওয়া হয় ব্রিজ কোর্স ইত্যাদির মাধ্যমে যোগ্যতামান পূরণ করার জন্য। এরই মধ্যে ২০১১-তে বামফ্রন্ট সরকারের পতন হয় আর নতুন রাজনৈতিক দল তৃণমূল কংগ্রেস ক্ষমতায় আসে।

এই পালাবদলের পালার মাঝে পড়েই বঞ্চিত হতে থাকেন প্রাথমিক শিক্ষকগণ। আরও একটি বিধানসভা ভোটও পেরিয়ে যায়, কিন্তু প্রাথমিক শিক্ষকদের বেতনকাঠামো শিক্ষাগতমান অনুযায়ী আর পুনর্বিন্যস্ত করা হয় না। আরও কয়েকটি পরীক্ষার মাধ্যমে ইতিমধ্যে উচ্চমাধ্যমিক ও প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত নতুন শিক্ষকশিক্ষিকারা প্রাথমিক স্কুলে যোগদান করে ফেলেছেন। কিন্তু বেতনের ক্ষেত্রে তাঁদের স্কেল মাধ্যমিক যোগ্যতাতেই দেখানো হতে থাকে।

২০১৭ সালের শুরু থেকেই একটু একটুকরে জোট বাঁধতে থাকেন প্রাথমিক শিক্ষকরা। সরকারি দপ্তরগুলোতে খোঁজ নিতে শুরু করেন এই দাবিদাওয়া নিয়ে। এই ইস্যুতেই ২০১৭-তেই বেলা সাহা বনাম রাজ্য সরকারের কেস ফাইল করতে উদ্যোগী হন শিক্ষকরা এবং তখনই তাঁরা একটি অরাজনৈতিক শিক্ষক সংগঠন গড়ে তোলার প্রয়োজনীয়তা বোধ করেন। ২০১৮-র ১৫ই মার্চ UUPTWA প্রেস ক্লাবে কেন্দ্রীয় হারে বেতনের দাবিতে প্রথম সাংবাদিক সম্মেলন করে। সেখান থেকে শুরু। তারপর বারবার বিকাশভবন, শিক্ষাদপ্তর, নবান্ন ও বিভিন্ন মন্ত্রীর দপ্তরে এই সংগঠন তাঁদের স্বাক্ষরসম্বলিত দাবিপত্র পেশ করেছে। এরই মধ্যে বহুবার উস্থিয়ানরা পদযাত্রা সমাবেশও সংগঠিত করে। সবকটি জেলাতেই তাঁদের সংগঠন শাখা বিস্তার করে ফেলে ধীরে ধীরে।

একটা অনশনের মতো আন্দোলন দু এক দিনের ক্ষোভে তৈরি হয় না, তা উস্থির মতো সংগঠনকে দেখে শেখা গেল। শিক্ষক আন্দোলন ও শিক্ষক সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত থাকার সুবাদে এ ধারণা কিঞ্চিত আমার আছে, যে নেতৃত্ব কতখানি জোরালো হলে তবে রাস্তায় বসে ধর্না অনশন চালানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া যায়। বহুদিন ধরে দাবীপত্র পেশ করতে করতে UUPTWA-এরও বোধহয় জেদ চেপে গিয়েছিল শেষ দেখে ছাড়ার। ২০১৮-র অক্টোবরে শহীদ মিনারের পাদদেশে দুদিনের অবস্থান কর্মসূচি নিয়েছিল এই সংগঠন এবং তখনও বহু শিক্ষক কারাবরণ করেন। নিখিলবঙ্গ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতিও তখন ঐ কর্মসূচিতে সমর্থন জানায়। সংবাদমাধ্যম তখন এসমস্ত খবর প্রচার করেনি বলেই হয়ত এই অনশন আন্দোলন আচমকা মনে হতে পারে। বাস্তবে বহু ঝড়ঝাপটা পেরিয়েই উস্থির নেতৃত্ব এই সিদ্ধান্তে আস্তে বাধ্য হয়েছেন।

বাম পরিষদীয় দলনেতা সুজন চক্রবর্তী মুখ্যমন্ত্রীকে ছিঠি পাঠিয়েছিলেন, রাজ্যপালের কাছেও দাবীপত্র দেওয়া হয়, শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকও হয়, পুরো নভেম্বর মাস জুড়ে, তবু কোনও সমাধান পাওয়া যায়নি। বিধানসভা অধিবেশনে এই ইস্যুতে বাম ও কংগ্রেস বিধায়করা ওয়াক আউটও করেন। ২০১৯ নতুন বছরের শুরুতেই নেতৃত্ব দিল্লি যান ও রামলীলা ময়দানে মিটিংও করেন। কিন্তু সমাধানসূত্র বেরোয়নি। গত ২৪শে জুন ধর্মতলায় বিরাট মিছিলের পর বহু শিক্ষক শারীরিকভাবে হেনস্থার শিকার হন। সংগঠনের সম্পাদিকা পৃথা বিশ্বাসও আহত হন। এরপর বোধহয় ধর্নায় বসা ছাড়া সংগঠনের আর উপায় ছিল না।

১২ই জুলাই কয়েক হাজার শিক্ষক মিছিল করে উন্নয়ন ভবনের সামনে জমায়েত হন এবং ধর্নায় বসেন। ওই দিন রাতেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ছোট্ট একটা খবর হয়, পৃথাদি সহ আঠারোজন ধর্নামঞ্চতেই অনশনে বসছেন। অনশনমঞ্চ থেকে করা প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে খুব স্পষ্ট করে যে দাবী জানিয়েছিল সংগঠন, তাতে প্রথম দাবিটা উল্লেখযোগ্য। UUPTWA-তে আন্দোলন করার অপরাধে ১৪ জন শিক্ষকশিক্ষিকাকে ভিন্ন ভিন্ন জেলায় (১০০ থেকে ৬০০ কিমি পর্যন্ত) বদলি করে দেওয়া হয়। সেই বদলির অর্ডার বাতিলের দাবিটাই ছিল জোরালো। অনেকেই কটাক্ষ করেছিলেন এটা  প্রাথমিক শিক্ষকদের বেতন বাড়ানোর কৌশল শুধু বলে। কিন্তু এটা বোধহয় সংগঠনের ও সমস্ত শিক্ষকদের কাছে সম্মানের প্রশ্নও হয়ে দাঁড়িয়েছিল।

আরও একটি বিষয় সম্পাদিকা দাবি করেছেন যে, তাঁদের আন্দোলনকে দাগিয়ে দেওয়া হচ্ছিল এই বলে যে তাঁরা মাদ্রাসা শিক্ষকদের বেতন দাবি করেছেন। সাংবাদিক সম্মেলনে সেটারও বিরোধিতা করেন তাঁরা। এই প্রসঙ্গে বলে রাখা ভালো, মাদ্রাসা সার্ভিস কমিশন শিক্ষকদের স্কেল গ্র্যাজুয়েট ও পোস্ট গ্র্যাজুয়েট স্কেলে বিভক্ত করেছে। উস্থি কেন্দ্রীয় হারে পিআরটি স্কেল দাবি করেছে শুধু।

১২ই জুলাইয়ের এই স্ফুলিঙ্গ ক্রমে আগুনের চেহারা নিতে বেশি সময় নেয়নি। যতদিন গেছে ক্রমশ সারা রাজ্য থেকে প্রাথমিক শিক্ষকরা এসে অনশনস্থলে এসে যোগ দিয়েছেন। সংগঠন বাকি সদস্যদের পাশে থাকার সদর্থক বার্তা দিতে পেরেছে বলেই হয়তো এত স্বতঃস্ফূর্ত জমায়েত। প্রত্যেকে এটা নিজের আন্দোলন ভেবেই এগিয়ে এসেছেন। নিখিলবঙ্গ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতি থেকে শুরু করে আমরা আক্রান্ত বা শ্রমজীবী স্বাস্থ্য উদ্যোগের মত বহু গণসংগঠন সংহতি জানিয়ে পাশে দাঁড়িয়েছিলেন। হাইস্কুলের শিক্ষকরাও এই দাবিকে সমর্থন করেছেন। কৌশিক সেন, বাদশা মৈত্র, অপর্ণা সেনের মত বহু বুদ্ধিজীবী এবং বাম, কংগ্রেস, বিজেপির বহু রাজনৈতিক ব্যাক্তিত্বও মঞ্চে উপস্থিত হয়েছেন গোটা সময়ে। কিন্তু লক্ষণীয় বিষয় বিভিন্ন দলীয় রাজনীতির সমর্থক সদস্য এখানে থাকলেও সংগঠনের অরাজনৈতিক নিরপেক্ষ ধারা বজায় রাখার চেষ্টা তাঁরা করে গেছেন।

অনশন চলাকালীন দেখেছি বহু শিক্ষক বা শিক্ষিকা অসুস্থ হয়ে পড়ছেন। সম্পাদিকা পৃথা বিশ্বাস, আমাদের পৃথাদিও জ্ঞান হারান। দিন সাতেক চলার পরে অনশনকারীদের স্বাস্থ্যপরীক্ষার রিপোর্টও আশঙ্কাজনক হয়ে যাচ্ছিল, বিশেষত সম্পাদিকার স্বাস্থ্য নিয়ে প্রত্যেকেই উদ্বিগ্ন হয়েছেন। এই আন্দোলনে অবশ্য মিডিয়া খুব সদর্থক ভূমিকা নিয়েছে। শেষ পর্যন্ত অনশনের ১৩তম দিনের দিন নজরুল মঞ্চে একটি বিশেষ রাজনৈতিক দলের সংগঠনের সভায় মাননীয় শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চ্যাটার্জী ঘোষণা করেন গ্রেড পে বৃদ্ধি করা হবে। ঠিক পরের দিনই অর্থাৎ ২৬শে জুলাই শিক্ষাদপ্তর ও অর্থদপ্তর থেকে জেনারেল অর্ডার বেরোয়, তাতে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত প্রাথমিক শিক্ষকদের গ্রেড পে ২৬০০ থেকে ৩৬০০ করার নির্দেশ আসে এবং ওই ১৪ জনের নিজের জেলায় ফিরিয়ে আনার অর্ডার জারি হয়। ওইদিনই অনশন মঞ্চ থেকে নেতৃত্ব তাঁদের অনশন ও ধর্না প্রত্যাহার করেন। খুশির আনন্দ বয়ে যায় সমস্ত উস্থিয়ান সদস্যদের মধ্যে।

এখন প্রশ্ন দাঁড়ায় আন্দোলনের পর ঠিক কী কী প্রাপ্তি হল? গ্রেড পে একলাফে অনেকটা বেড়েছে, ১৪ জনের বদলির বিষয়টাও গুরুত্ব দিয়ে দেখেছে সরকারপক্ষ। কিন্তু ৪২০০ গ্রেড পে করার যে দাবি উস্থিয়ানরা করেছিলেন, সেটা হয়নি। বেতনের স্কেল হয়েছে ৭০০০-৩৭৬০০। এগুলো একধরনের প্রাপ্তি বটে। কিন্তু যেটা বড় কথা, এই বিষয়ে হাজার হাজার প্রাথমিক শিক্ষক অরাজনৈতিকভাবে একজোট হয়েছেন, শাসকের চোখে চোখ রেখে দাবীর কথা বলেছেন। এটা গণতন্ত্রের সবচেয়ে মঙ্গলকর দিক। ক্ষমতায় রাজনৈতিক দলের পালাবদল হতেই থাকবে, কিন্তু মানুষ যতদিন না নিজের অধিকারের দাবীতে একজোট হয়ে কোনও কিছু আদায় করে নিচ্ছেন, ততদিন ডেমোক্রেটিক দেশের সংজ্ঞা সম্পূর্ণ হয় না। আমরা গর্বিত বাঙালি, এখনও আমরা পারি একজোট হতে, লড়াই করতে, দিনের পর দিন খোলা রাস্তায় শুয়ে থাকতে, বন্ধু সহকর্মীর জন্য অনশন করতে। এই পাওনাটাই বা কম কী?

আন্দোলন আংশিক সফল হল। সচেতন নাগরিক হিসেবে প্রাথমিক শিক্ষকদের কাছে এই অনুরোধও থাকবে, শিক্ষাক্ষেত্রেও আপনারা শিশুদের সার্বিক বিকাশে নজর দেবেন। আপনারাই আমাদের পরবর্তী প্রজন্মকে মানুষের মত গড়ে তুলতে পারেন। শিক্ষার্থীই তো শিক্ষকের প্রাণ। তারা কোনও অধিকার থেকে বঞ্চিত হলে তখনও আপনাদের এই জোটবদ্ধ প্রতিবাদ দেখার জন্য অপেক্ষায় থাকল কলকাতা।

About চার নম্বর প্ল্যাটফর্ম 4661 Articles
ইন্টারনেটের নতুন কাগজ

Be the first to comment

আপনার মতামত...