তারান্তিনো, সিজন দুই — তিন

প্রিয়ক মিত্র

 

পূর্ব প্রকাশিতের পর

একটা বাচ্চা ছুঁচো বৃষ্টিতে ভিজে চুপসে গেছে। প্রায় নড়তেচড়তে পারছে না। জলের মধ্যে কোনও মতে এক পা দু পা করে এগনোর চেষ্টা করছে। আবার জড়ভরত হয়ে থমকে থাকছে।

বিড়ি টানতে টানতে অনেকক্ষণ ধরে এই দৃশ্যটা দেখছিল নরেন। তাকে ছোটবেলা থেকেই ফাদাররা শিখিয়েছেন অবলা প্রাণীকে সাহায্য করতে। এবং মানুষ নামের অতিচালাক প্রাণীটিকেও প্রয়োজনে সাহায্যই করতে হয়।

মানুষের কথা মনে পড়লে নরেনের মনে পড়ে ওই মেয়েটির কথা। মেয়েটির খোঁজ নিতে হাসপাতালে যাবে ভেবেছিল নরেন। ফাদার বারণ করলেন। বললেন, মেয়েটির নাম রয়েছে পুলিশের খাতায়। নরেন তাকে দেখতে গেলে নরেনের নামও পুলিশের খাতায় উঠবে।

মেয়েটা বেঁচে আছে তো?

ছুঁচোটা এবার নরেনের পায়ের কাছে চলে এসেছে। পায়ের দিকে তাকায় নরেন।

তার জুতোটায় চোখ পড়তেই আনমনা হয়ে যায় নরেন। জুতোর ফিতে বাঁধা তাকে প্রথম শিখিয়েছিলেন আগের ফাদার। নরেনের গ্রামে কেউ এমন জুতো পড়ত না, যার ফিতে বাঁধতে হয়।

আগের ফাদারকে খুব মনে পড়ে নরেনের। নরেনকে তিনিই মানুষ করেছেন। চেষ্টা করেছিলেন নরেনের মতো আরও কয়েকজনকে মানুষ করতে। নিজেদের ইস্কুলে পড়াতে। নিজেদের মতো করে পড়াশোনা শেখাতে। নরেনদের নিজেদের কোনও ইতিহাস আছে, একথা বিশ্বাস করেননি ফাদার। বা, ওদের বিশ্বাস করাতে চাননি। নরেনরা যেদিন থেকে মিশনারিদের ইস্কুলে পড়াশোনা শুরু করেছে, তবে থেকেই যেন তাদের ইতিহাস শুরু।

বিরসা মুন্ডার নাম জানে নরেন। শুধু জানে না, কে এই বিরসা মুন্ডা! বা জানলেও বোঝে না। বা বুঝলেও বুঝতে চায় না।

বিরসা মুন্ডার নাম শুনলেই রেগে যেতেন আগের ফাদার।

এই ফাদার কিন্তু রেগে যান না।

এই ফাদারকে বুঝতে পারে না নরেন। মাঝেমধ্যে নরেনের মনে হয়, ও যদি কখনও পালিয়ে যায় এই জায়গাটা ছেড়ে, তাতেও ফাদারের কিস্যুটি যায় আসে না।

ছুঁচোটা পায়ের কাছে এসে ঘাপটি মেরে রয়েছে। কী চায়? ওকে নরেন বাঁচাক?

মেয়েটা তা চায়নি। কী নাম মেয়েটার? জানে না নরেন। এইটা বোঝে, মেয়েটার নাম আছে পুলিশের খাতায়। কেন? ফাদার কিছুই বলেননি ওকে। তবে দারোগার কথাটা কানে ভাসে নরেনের। মেয়েটা কী এমন করেছে যে লালবাজার থেকে ওর খোঁজ নেয়?

স্বদেশি ডাকাত– কথাটা বেশ কয়েকবার কানে এসেছে নরেনের। মেয়েটা তাই?

কী করে এই স্বদেশি ডাকাতরা তা জানে নরেন। লুট করে। খুনখারাপিও করে। কিন্তু ডাকাতির জন্য নয়। দেশ স্বাধীন করার জন্য।

এসবের মানে কী বোঝে না নরেন।

ওভাবে ও পড়ে থাকলে মরে যেত ওখানেই। তাও কেন চায়নি নরেন ওকে বাঁচাক?

ওই যে ছায়াটা নরেনকে ধাক্কা দিয়ে চলে গেল, সে কে? মেয়েটার সাথী, না মেয়েটাকে সে-ইই মেরেছে?

সেই ছায়ামূর্তির কথা মনে পড়তেই নরেনের মনে পড়ে, সে একটা তীব্র গন্ধ পেয়েছিল সেই ছায়ামূর্তির শরীর থেকে।

গন্ধটা চেনা।

অন্যমনস্ক নরেন ছুঁচোটাকে হাতে করে তুলে নেয়।

গন্ধটা কোথায় পেয়েছে সে? ভাবতে থাকে।

ছুঁচোটাকে দু হাতে করে নিয়ে একটা কাপড়ের ভেতর রাখল নরেন। ভাল করে, যত্ন করে মুছল ওর সারা শরীর। তারপর কাপড়ের মধ্যে জড়িয়ে রেখে দিল।

চার্চটা একটা বড় মাঠের মধ্যে। আশপাশ ধু ধু করে চার্চের। মাঝেমধ্যে রাত্তিরে এই চার্চটার এই জনহীন প্রান্তরে প্রেত সেজে দাঁড়িয়ে থাকা ভয় পাওয়ায় নরেনকে। নরেন লক্ষ করে, কোনও কোনও অমাবস্যার রাতে চাঁদের আলো না থাকলেও চার্চটার গা থেকে ঠিকরে বেরোয় জ্যোৎস্না।

ছোট চার্চ। বড় নয়। পুরনো হলেও দুধসাদা রঙে এতটুকু ধুলো জমেনি।

সকালবেলার প্রার্থনার শেষে ফাদার কিছুক্ষণ চার্চের পাশের একটা ছোট ঘরে কাটান। বই পড়েন। এই সময়টা নরেন মাঝেমধ্যেই চলে আসে। মিশনে এইসময়টা একটু কর্মব্যস্ততা থাকে। কেউ পড়ায়। কেউ পড়ে। কেউ অন্যান্য কাজে থাকে। নতুন ফাদারের শাসন নেই তেমন। তবে বিশৃঙ্খলা হয় না। ছেলেমেয়ে তো একসঙ্গেই থাকে। গোলযোগ তেমন হয়নি। শেষ বছরে উইলিয়াম আর রিটার বিয়ে হল।

হঠাৎ থমকে গেল নরেন। উইলিয়াম আসলে রঘুনাথ, আর রিটা হল চামেলি।

ওদের নামগুলো হারিয়েই গিয়েছিল নরেনের স্মৃতি থেকে।

আজ সকাল থেকে ফাদারের ‘জন’ ডাকটা শোনেনি এখনও। শুনলে হয়তো নিজের নামটাও তেমন করে আর মনে থাকবে না নরেনের। সারাদিন তো সেই নামটা সে ভুলেই থাকে। শুধু সেদিন দারোগা জিজ্ঞেস করাতে প্রথমেই ‘নরেন’ নামটা বেরিয়ে এসেছিল তার মুখ দিয়ে। সঙ্গে সঙ্গে শুধরে নিয়েছিল যদিও।

ফাদারের খুপরি ঘরের সামনে এসে অবাক হয়ে গেল নরেন।

তালা ঝুলছে।

তাহলে নিশ্চয় চার্চে আছেন।

চার্চের দরজা ভেজানো। ঠেলে ভেতরে ঢুকল নরেন। খাঁ খাঁ করছে চার্চের ভেতরটা।

কেউ নেই কোত্থাও।

অবাক হয়ে গেল নরেন। গেলেন কোথায় ফাদার?

দরজায় আচমকা ঠকঠক শুনে পেছনে ফিরল নরেন। মুন্না এসে দাঁড়িয়েছে। এই বিহারি ছেলেটাই রোজ সকালে ফাদার আসার আগে চার্চের দ‍রজা খোলে।

‘দরজা বন্ধ করব। আপনি এখানে থাকবেন?’

ভাঙা ভাঙা বাংলা উচ্চারণে মুন্নার প্রশ্ন।

‘ফাদার আসেননি আজ?’

‘না।’

হোমে ফিরতেই দেখা হল মাইকেলের সঙ্গে। মাইকেল বা গিরিন মাহাতো হোমের রক্ষণাবেক্ষণ করে ফাদারের অনুপস্থিতিতে।

উৎসুক চোখ নিয়ে তাকাল নরেন। মাইকেল বা গিরিন নরেনের দিকে ফিরে বলল, ‘জন, এসে গেছ? কাজ আছে।’

নরেন জিজ্ঞেস করল, ‘ফাদার?’

‘ফাদার একটু বিশেষ কাজে কলকাতা গেছেন। দু’দিন পর ফিরবেন,’ বলে গিরিন নরেনকে ডেকে নিল নিজের ঘরে, কীসব টুকটাক কাজ আছে।

 

১৯০৮। আলিপুর বোমা মামলা।

১৯১১। হাওড়া-শিবপুর মামলা।

আস্তে আস্তে বোঝা যাচ্ছে, এই সন্ত্রাসীদের জাল অনেকদূর ছড়ানো। ব্রিটিশ সরকার নিশ্চিন্ত নয় বাঙালিদের নিয়ে। বাঙালিরা চাইলে কতটা বিপজ্জনক হতে পারে, তা বোঝা যাচ্ছে। রাজধানী সরে গেছে কলকাতা থেকে। তারপর লেগে গেছে বিশ্বযুদ্ধ। আর সম্প্রতি যা খবর এসেছে তা বিস্ফোরক। রাসবিহারী বসু নামক এক করাল টেররিস্টের ষড়যন্ত্রমাফিক বাঘা যতীন নাকি জার্মানদের সঙ্গে সাঁট করে সেনা-অভ্যুত্থান ঘটাতে পারে।

মহেশ সেন গুম হয়ে বসে ভাবছিলেন এসব কথা। ঘোড়ায় টানা গাড়ি ছুটছে কলকাতার দিকে। একটু যেন মন্থর ছন্দে।

আড়চোখে পাশে তাকালেন মহেশ সেন।

লতা মুখার্জি।

এ নেহাতই ছোটখাটো একটি সিক্রেট সমিতির সদস্য। কিন্তু যুগান্তর-এর সঙ্গে এদের কী সম্পর্ক তা জানা প্রয়োজন।

লালবাজারে জেরা হবে ওর। জেরা করবেন স্বয়ং চার্লস টেগার্ট।

টেগার্ট! স্বদেশিদের ত্রাস!

লতা অবশ্য খানিক অন্যমনস্ক হয়ে ছিল।

বাবার ঘরে সে দেখেছিল ছবিগুলো। বিদেশ থেকে নাকি বাবা নিয়ে এসছে ওই ছবিগুলো।

দেখলে লজ্জায় কান মাথা ঝাঁ ঝাঁ করে। মুখচোখ লাল হয়ে যায়।

লতা যে এসব ছবি দেখেছে, তা জানলে লক্ষ্মী, তার মা আগুন হয়ে যাবেন।

একবার একটা গুলতি নিয়ে খেলতে গিয়ে বাড়ির পুরনো বেলোয়াড়ি কাঁচ ভেঙেছিল লতা। মা বকেনি। বাবা একটু বিরক্ত হয়ে গুলতিটা কেড়ে নিয়ে গিয়ে নিজের ঘরে লুকিয়েছিল। মুখে বলেছিল, ‘য়‍্যুরোপে তোমার বয়সি মেয়েরা বসে শান্ত হয়ে পিয়ানো বাজায়, পেন্টিং করে। কেউ সোর্ড পর্যন্ত চালায়। তুমি এসব কী রাবিশ করো?’

লতার বয়সি, মানে সতেরো বছর আর আঠারো বছরের মধ্যিখানে। ছোট থেকে পড়াশোনা করতে গিয়ে লতা গুলতি চালাতেই শিখল না কখনও, এটা তো বাবা বলছে না! গুলতির থেকে তলোয়ার চালানো শেখা ভালো? আর বিলেতে বাচ্চা মেয়েরা গুলতি খেলে না?

এইসব সাত-পাঁচ ভেবে বাবার ঘরে গিয়েছিল লতা। গুলতি খুঁজতে।

বিছানার তলায় পেয়েছিল ওই ট্রাঙ্কটা। আর সেখানেই শোয়ানো অবস্থায় ওই ছবিগুলো।

বিলেতে তার বয়সি মেয়েরা এরকমও করে? শরীরে একটাও সুতো নেই। হাতটা মাথার ওপর তোলা… চোখে কেমন দৃষ্টি, ঠোঁটটা কেমনভাবে যেন ফাঁক করে রাখা‌।

শরীরটা কেমন জানি করে উঠল লতার।

সে ট্রাঙ্ক যথাযথভাবে বন্ধ করে ঘরে ফিরে গিয়েছিল আবার। গুলতি আর খোঁজেনি।

সেদিন বিকেলে একটা কাণ্ড করেছিল লতা!

রমা এসেছে। চিলেকোঠার ঘরে শুয়ে শুয়ে গল্প করছিল দুজন। লক্ষ্মী নীচে ঘুমোচ্ছে। দীনেশ বাড়িতে নেই।

দুজনেই উপুড় হয়ে শুয়ে গল্প করছিল। লতার দিকে হঠাৎই ফিরে শুল রমা। বিছানায় কনুইটা ভর দিয়ে নিজের হাতের তালুতে রাখল মাথা।

হঠাৎ লতা উঠে বসল। তাকাল রমার দিকে।

বলল, ‘ঠিক যেভাবে শুয়ে আছিস, সেভাবে মাথায় হাত দিয়ে পালঙ্কে ঠেস দিয়ে বোস দিকিনি।’

রমা অবাক হয়ে বলল, ‘অ্যাঁ? সে আবার কীরকম?’

‘যা বলছি কর না।’

রমা বসল তেমন করেই।

‘শাড়িটা খুলে ফেল।’

রমার কান লাল হয়ে গেল।

‘মাথাটা কি তোর খারাপ হল লতা? শাড়িটা খুললে থাকবে কী?’

‘কিচ্ছু থাকবে না।’

ধরা গলায় বলল লতা।

‘কীসব আবদার তোর? কেউ এসে গেলে?’

বিছানা থেকে উঠে দোর দিয়ে দিল লতা, ভেতর থেকে। চিলেকোঠার জানলাটাও দিল বন্ধ করে।

‘কেউ আসবে না!’

আরও ধরা গলায় বলল লতা।

লতার গলা শুনে আরও ভয় করল রমার। সে বলল, ‘আমি এসব পারব না।’

লতা নিজের শাড়িটা পরতে পরতে খুলে ফেলল। সম্পূর্ণ নগ্ন হয়ে রমার সামনে দাঁড়িয়ে বলল, ‘এবার?’

রমা কেমন চুপ হয়ে গেল। আস্তে আস্তে সে শরীর থেকে খসিয়ে ফেলল সবকিছু‌। লতার কথামতো মাথায় হাত দিয়ে বসল।

লতার মনে পড়ল ওই ছবিটা। তার শরীর আনচান করছে।

সে এগিয়ে গেল। রমার সারা শরীরে হাত বোলাতে লাগল। রমা আপত্তি করল না।

রমার গলা ঘাড় বুক পেটে ঠোঁট ছোঁয়াতে লাগল লতা। রমা চেপে ধরল এবার লতার মাথা।

এবার দুটো বিগতকৈশোর নগ্ন মানবশরীর বিকেলের তাপ ফুরনোর আগেই নির্জন চিলেকোঠায় একে অপরকে জড়িয়ে ধরল।

হঠাৎ যেন দেহদুটি আবিষ্কার করে ফেলেছে একে অপরকে।

আনমনা হতে হতে চোখ বুজে এল লতার। ঘোড়ার গাড়িতে। বসেই।

আর চোখ বুজেই লতার মনে পড়ল সেই দুপুরটার কথা।

রমা বলেছিল হঠাৎ, ‘জানিস আমরা দুজন যেমন করি, খগেনদার সঙ্গে তেমনটা করলাম।’

থমকে গেল লতা।

‘মানে?’

‘মানে গল্প করতে করতে একদিন খগেনদা কাছে ঘেঁষে এসে একটা চুমো খেল গালে। তারপর গলায়। কেমন জানি করছিল আমার।’

লতা চুপ করে গেল শুনে। গুরুজন বাদে কোনও পুরুষ তাকে ছোঁয়নি আজ পর্যন্ত। সে এসব শুনে আনমনা হয়ে যাচ্ছিল।

রমার গলা যেন দূর থেকে ভেসে আসছিল।

‘জানিস, খগেনদা আমাকে বিয়ে করবে বলেছে। তুই আর আমি তো বিয়ে করতে পারব না বল!’

মেয়ে মেয়েকে বিয়ে করবে কী করে? সত্যিই তো! লতা যেন চিন্তিত হল একটু।

‘খগেনদা আমাকে একবার আঙুলে ওই আংটিটাও পড়িয়েছে জানিস? ওই আকাশি রঙের…’

চিঁহিহি শব্দ এবং প্রবল ঝটকায় ঘোড়ার গাড়ি থামল।

লতা সচকিত।

কী হল হঠাৎ?

মহেশ সেন দেখল কোমর থেকে লম্বামুখো পিস্তলটা বের করেছেন।

বাইরে হঠাৎই ধুপ করে একটা শব্দ। এব‌ং ‘ও মাগো!’ বলে একটা আর্তনাদ।

মহেশ সেন বিলিতি ঘোড়ার গাড়ির ছোট খুপরির জানলাটা একটু ফাঁক করল। হাতে শক্ত করে ধরা পিস্তল।

লতাও উঁকি মারল।

দেখল খেটো ধুতি-পাঞ্জাবি পরা একটি আধবুড়ো লোক দাঁড়িয়ে। কোমরে হাত দিয়ে। আর গাড়োয়ান হাঁটু পাকড়ে মাটিতে পড়ে কাতরাচ্ছে।

মহেশ সেনের ভ্রু কুঁচকে গেল।

‘সনাতন হাজরা না?’

মহেশ সেনের স্বগতোক্তি।

বুড়ো লোকটি পকেট থেকে আতসকাচের মতো কী একটা বের করে চোখে ধরল। ভাল করে মহেশ সেনকে নিরীক্ষণ করে বলল, ‘আরে সেনসাহেব! কী সৌভাগ্য! আপনি আমাকে মনে রেখেছেন? কিছু মনে করবেন না। কথা নেই বার্তা নেই গাড়োয়ান হাঁকড়াতে এল। আরে পেয়োজন ছাড়া কি কেউ মাঝরাস্তায় জুড়িগাড়ি দাঁড় করায়? তাও আবার গবমেন্টের ছাপ্পা মারা! আমায় বোধহয় স্বদেশি ভেবেছে! হেঁ হেঁ। যাক। আপনি তাইলে আমায় স্মরণ করেছেন?’

মহেশ সেন আবারও অস্ফুটে স্বগতোক্তি করলেন, ‘কর্নেল স্লিম্যানের চিঠি!’

 

আবার আগামী সংখ্যায়

 

About চার নম্বর প্ল্যাটফর্ম 4650 Articles
ইন্টারনেটের নতুন কাগজ

Be the first to comment

আপনার মতামত...