সঙ্কটে মানবীবিদ্যা : কথোপকথনে শমিতা সেন

স্বাতী মৈত্র

 

শিক্ষা জগতের সাথে যুক্ত মানুষজন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের স্কুল অফ উইমেন্স স্টাডিজকে (মানবীবিদ্যা) শিরোনামে দেখেই অভ্যস্ত। ১৯৮৮ সালে প্রফেসর যশোধরা বাগচির হাত ধরে যাত্রা শুরু করার পর থেকে যাদবপুরের এই ইন্টার-ডিসিপ্লিনারি বিভাগটি বারবার গবেষণায় তাক লাগিয়ে দিয়েছে, আজকের দিনে ভারতবর্ষের শ্রেষ্ঠ উইমেন্স স্টাডিজ বিভাগগুলির একটা বলেই গণ্য করা হয় এই বিভাগকে। রিসার্চ ছাড়াও এমফিল ও পিএইচডির পাঠ হয় এই বিভাগে এখন।

দিন কয়েক আগে খবরের কাগজের শিরোনামে আবার উঠে আসে উইমেন্স স্টাডিজ ডিপার্টমেন্ট, তবে এইবার অন্য কারণে। টাইমস অফ ইন্ডিয়ার একটি রিপোর্ট জানায় যে যাদবপুরের স্কুল অফ উইমেন্স স্টাডিজ সহ সারা দেশে নানান কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে ১৬৭টি উইমেন্স স্টাডিজ ডিপার্টমেন্ট ঘোর সঙ্কটে। এর পিছনে রয়েছে ৯ জুন, ২০১৭-তে ইউজিসির পাঠানো একটা নোটিশ, যেখানে বলা হয় যে ৩০শে সেপ্টেম্বরের পর এই সমস্ত ডিপার্টমেন্টের ভবিষ্যত নির্ধারণ করা হবে, রিভিউ করার পরে জানানো হবে এই বিভাগগুলিতে আর অনুদান দেওয়া হবে কী না।

(সূত্রঃ বিশ্বভারতীর ওয়েবসাইট; ৯ জুন ২০১৭-র নোটিশ, ইউজিসি)

এর আগে, এই বছরেরই মার্চ মাসে, মুম্বাইয়ের টাটা ইন্সটিটিউট অফ সোশ্যাল সায়েন্সে (টিস) উইমেন্স স্টাডিজ সহ তিনটে ডিপার্টমেন্ট বন্ধ হয়ে যাওয়ার নোটিশ আসায় হইচই লেগে যায়, শেষ পর্যন্ত কর্তৃপক্ষ নোটিশ প্রত্যাহার করে নেন। কিন্তু উইমেন্স স্টাডিজের সঙ্কটের সময় যে কাটেনি, সেই আশংকা ছিল। ইউজিসির পাঠানো ৯ জুনের নোটিশ সেই আশংকাকেই সত্য প্রমাণ করে দেয়। জুন মাসের ১৮ তারিখে যাদবপুরে একটি গণ কনভেনশন ডাকা হয়, সেখানে নানা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিনিধিরা ও ছাত্রছাত্রীরা অংশগ্রহণ করেন, ইন্টার-ডিসিপ্লিনারি বিভাগগুলির উপর বারবার নেমে আসা আঘাতের কথা আলোচনা করেন। সেই কনভেনশনে পাঁচটি রেজলিউশন পাশ হয়, এবং একটি ইস্টার্ন জোনাল ওয়ার্কিং কমিটি গঠন হয় ভবিষ্যৎ কাজকর্মের জন্য। ২৩ অগস্ট নয়া দিল্লীতে ইন্ডিয়ান উইমেন্স স্টাডিজ অ্যাসোসিয়েশনের (আইএডাব্লুএস)-এর ডাকে ২০০-র উপর শিক্ষক, গবেষক ও ছাত্রছাত্রী জড়ো হন, আলোচনা হয় এই প্রসঙ্গে, এবং ইউজিসির কাছে আইএডাব্লুএস-এর সদস্যরা ডেপুটেশন নিয়ে যান। সেই ডেপুটেশনের উত্তরে ইউজিসি একটি নোটিশ দিয়ে আশ্বাস জানিয়েছে যে গণমাধ্যমে বেরোনো খবর নিয়ে চিন্তা না করতে, তবে সকলেই যে এতে আশ্বস্ত হয়েছেন তা নয়।

(সূত্র: যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়; ২৪শে অগস্টের নোটিশ, ইউজিসি)

ভারতবর্ষে উইমেন্স স্টাডিজ নামক ডিসিপ্লিনটিকে ১৯৮৬ সালে ন্যাশনাল পলিসি ফর এডুকেশনের অন্তর্গত করা হয়। এর পিছনে ছিল ১৯৭৪ সালে কমিটি অন দা স্টেটাস অফ উইমেনের ‘টুওয়ার্ডস ইকোয়ালিটি’ নামক একটি রিপোর্ট। সেই সময় খুব পরিষ্কার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় যে দেশে মহিলাদের ক্ষমতায়ন করবার জন্য নারীকে কেন্দ্র করে শিক্ষা, গবেষণা, ও তার প্রসারের ব্যবস্থা করতে হবে। এমনকি দ্বাদশ প্ল্যানের সময়, যখন বিশ্বের অনেক জায়গাতেই ফান্ড কমে যাওয়ার কারণে উইমেন্স স্টাডিজ প্রভূত সমস্যায়, ভারতবর্ষে তখনও ইউজিসির সমর্থনে উইমেন্স স্টাডিজের প্রসার আরও বাড়ে। তবে কেন্দ্রীয় সরকারের সাথে উইমেন্স স্টাডিজের এর আগে যে বিরোধ ঘটেনি তা নয়, ২০০৩ সালে এনডিএ সরকারের তৎকালীন এইচআরডি মন্ত্রী, শ্রী মুরলী মনোহর জোশী, উইমেন্স স্টাডিজ বিভাগগুলির নতুন নামকরণ করবার চেষ্টা করেন–  উইমেন্স স্টাডিজ বিভাগের নাম ঠিক হয় উইমেন্স এন্ড ফ্যামিলি স্টাডিজ। যেই বিভাগে নারী ও পরিবারের রাজনীতি নিয়ে প্রভূত গবেষণা হয়, সেখানে এ হেন নামকরণ স্বাভাবিকভাবেই মেনে নেওয়া হয়নি, বহু প্রতিবাদের পর কেন্দ্রীয় সরকার পিছু হঠতে বাধ্য হয়।


এই সব বিষয়েই আলোচনা করতে চার নম্বর প্ল্যাটফর্মের তরফে স্বাতী মৈত্র পৌঁছে গিয়েছিলেন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের স্কুল অফ উইমেন্স স্টাডিজে। স্কুলের হেড, প্রফেসর শমিতা সেন, স্বনামধন্যা গবেষক ও শিক্ষিকা, চার নম্বর প্ল্যাটফর্ম-এর সাথে কাটালেন কিছু সময়, দিলেন অনেক প্রশ্নের উত্তর।

 

 

স্বাতী মৈত্র : ডিসিপ্লিন হিসেবে উইমেন্স স্টাডিজ কী? সেখানে কী করা হয়? আমাদের সাধারণ পাঠকদের জন্য একটু বুঝিয়ে বলুন।

শমিতা সেন : উইমেন্স স্টাডিজ অর্থে নারীবিষয়ক। আমরা বাংলা করে বলি এটাকে মানবীবিদ্যা চর্চা, কেউ কেউ নারীবিদ্যাও বলেন। কিন্তু নারীবিদ্যা তো— মানে, সমাজে নারীর যে অবস্থান, সেটা বুঝতে গেলে তো নরকে বাদ দিয়ে হয় না। আমরা নারীবিদ্যা বলি যাতে নারীদের সমস্যাটাকে [গবেষণার] কেন্দ্রে রাখা যায়। আমাদের প্রশ্নে, আমাদের তথ্যানুসন্ধানে, আমাদের তত্ত্বানুসন্ধানের দিক থেকে, তথ্য ও তত্ত্বের দিক থেকে, দুটোতেই নারীকে কেন্দ্র করি।

অনেকে ভাবেন যে নারীকে কেন্দ্র করে পড়াশোনা করার মানে পুরুষরা তার থেকে বাদ, কিন্তু তা ঠিক নয়। নারী-পুরুষের সম্পর্কের মধ্যে দিয়ে সমাজের যে প্রশ্ন, সমাজ সম্পর্কে আমাদের যে জানা, সেই প্রশ্নগুলো আমরা তুলে আনি। বহুদিন আগে একজন মনিষী বলেছিলেন যে পৃথিবীকে বোঝা যেরকম গুরুত্বপূর্ণ, পৃথিবীকে বদলানোও ততটাই গুরুত্বপূর্ণ। নারী-পুরুষের সম্পর্কের কথা ভারতবর্ষে বসে ২০১৭ সালেও বলতে গেলে বদলানোর প্রশ্নটা এসেই যায়। একটা emancipatory, liberatory horizon– এইটা থেকেই যায়।

নারীবিদ্যা [চর্চা] ইউনিভার্সিটিতে আমি করছি, আমার ব্যাক্তিগতভাবে একটা রাজনীতি আছে, কিন্তু আমি তো সেটা চাপিয়ে দিতে পারি না না সবার উপর। কাজেই নারীবিদ্যা ফেমিনিজম ছাড়াও হয়, মানে হওয়া সম্ভব—  সম্ভব সেটা করা। কিন্তু সাধারণভাবে আমরা দেখি যে নারীবিদ্যা চর্চাটা একটা ফেমিনিস্ট প্রেক্ষিত থেকেই হয়। যার ফলে সমাজ বদলানোর একটা প্রশ্ন থেকেই যায়। কিন্তু সব সময় যে সেটা থাকতেই হবে তা নয়। ফেমিনিজমেরও তো নানান রকম থাকে।

স্বাতী মৈত্র : ১৯৮৮ সালে যশোধরা বাগচির হাত ধরে তৈরি হওয়া ঐতিহ্যশালী এই [যাদবপুরের] ডিপার্টমেন্ট, পাবলিকেশন লিস্ট দেখলেই বোঝা যায় এখানে কীরকম ও কত ধরনের কাজ হয়। তাও যদি আমাদের সাধারণ পাঠকদের একটু উদাহরণ দিয়ে বলেন, তাহলে ভালো হয়।

শমিতা সেন : পড়াশোনার দিক দিয়ে বলতে গেলে— এখানে এমফিল/পিএইচডি হয়, নানান বিষয়ে হয়। মেয়েদের কাজ, অর্থাৎ যাকে বলে উইমেন্স ওয়ার্ক, থেকে সেক্সুয়ালিটি, জেন্ডার থেকে লিটেরেচার, সব নিয়েই কাজ হয়। রিসেন্টলি একটি মেয়ে আদিবাসীদের নিয়ে কাজ করল। কুইয়ার থিয়োরি নিয়ে অনেকগুলো কাজ হচ্ছে এই মুহূর্তে, ট্রান্সজেন্ডার নিয়েও। তা ছাড়াও উইমেন্স এডুকেশন, উইমেন্স পার্টীসিপেশন ইন লোকাল গভর্নমেন্ট এন্ড পলিটিক্স– ভীষণ ওয়াইড রেঞ্জের কাজ হয়। ঐশিকা [চক্রবর্তী] জয়েন করার পরে নতুন আরেকটা রিসার্চ ডিরেকশন হয়েছে, কালচার। পারফরম্যান্স, অর্থাৎ নাচ, থিয়েটার, এইসব নিয়ে কাজ হচ্ছে এখন।

স্বাতী মৈত্র : ফান্ডিং নিয়ে এই সমস্যা কেন হচ্ছে?

শমিতা সেন : এটার একটা প্রশাসনিক দিক আছে। প্রথম কথা এটা বলা দরকার— যেটা বলা হচ্ছে না যথেষ্টভাবে— যে আমাদের উইমেন্স স্টাডিজ কিন্তু প্রায় তিরিশ বছর টানা ফান্ডিং পেয়েছে। অবিচ্ছিন্নভাবে। এই ২০০৩-০৪-এ একটা ফ্যামিলি স্টাডিজ নিয়ে রব উঠেছিল, তবে শেষ অবধি সেটা আর হয়নি। এবং ১১থ এবং ১২থ প্ল্যান-এ কিন্তু উইমেন্স স্টাডিজের কনসিডারেবল এক্সপ্যানশন হয়েছে। এটা কিন্তু ইউজিসির আওতায় হয়েছে।

স্বাতী মৈত্র : সম্পূর্ণ সমর্থন তো তারা করে গেছে।

শমিতা সেন : ইউজিসি এটাকে প্রোমোট করেছে। এক্সপ্যান্ড করেছে। কিন্তু তারপরে যেটা হল সেটা হচ্ছে প্ল্যানটাই উঠে গেল। আমরা প্ল্যানের আন্ডারে ছিলাম। প্ল্যানটা উঠে যাওয়ায় প্ল্যানের আন্ডারে যে ইউজিসির প্রায় ৫০টা স্কিম, সেগুলোর কী হবে এই নিয়ে একটা আলোড়ন হল। এবং সেটা শুধু উইমেন্স স্টাডিজের নয়, এটার আরও অনেকগুলো [ইন্টার-ডিসিপ্লিনারি] সেন্টার আছে, সোশ্যাল ডিসক্রিমিনেশন, গান্ধিয়ান স্টাডিজ, আরও অনেক রকমের স্টাডি সেন্টারের যে স্কিম আছে ইউজিসির, সেগুলো সবই এফেক্টেড। বিল্ডিং কন্সট্রাকশন-এর টাকা, জেনারেল ইউনিভার্সিটির টাকা, যেগুলো প্ল্যানের আন্ডারে, সেগুলোও এফেক্টেড।

এইবার ইউজিসি যে নোটিশটা দিয়েছে, সেটা হচ্ছে সেপ্টেম্বরের মধ্যে সব বন্ধ হয়ে যাবে। আমরা খুশি হতাম যদি রিঅরগ্যানাইজেশনটা ইউজিসি একটু আগে করত। সেশন চলাকালীন রিঅরগ্যানাইজ না করে যদি আমাদেরকে একটু নোটিশ দিয়ে এগুলো করত তাহলে আমাদের পক্ষে ব্যাপারটা প্রশাসনিকভাবে হ্যান্ডল করা সহজ হত। কিন্তু এই মাঝখান থেকে বন্ধ করে দিয়ে একটু ধোঁয়াশা হয়ে গেছে। সেপ্টেম্বরে সব বন্ধ, তারপরে বলা হচ্ছে যে রিভিউ করে নভেম্বর, ডিসেম্বর, জানুয়ারিতে জানাবে।

স্বাতী মৈত্র : কোনও ডেডলাইন দেয়নি তারা?

শমিতা সেন : না, কোনও ডেট তারা দেয়নি। ওয়ান এক্সপেক্টস, আমরা সাধারণ বুদ্ধিতে মনে করছি যে নেক্সট ফাইনানশিয়াল বছরের আগে কিছু একটা নিষ্পত্তি হবে। কিন্তু স্পষ্ট কথা যদি আরেকটু বলত তাহলে এতটা টেনশন, এতটা গণ্ডগোল… (হাসি)

স্বাতী মৈত্র : ছাত্রছাত্রীদের সমস্যা নিশ্চয় হচ্ছে, তার সাথে আপনাদের অস্থায়ী কর্মচারীদেরও।

শমিতা সেন : পাঁচ আর তিনে আট, আমাদের অস্থায়ী কর্মচারী সংখ্যা।

স্বাতী মৈত্র : এর পিছনে রাজনীতির ভূমিকা আছে কিছু?

শমিতা সেন : যতক্ষণ সরকার কিছু একটা না বলছে, আমরা তো কিছুই বলতে পারছি না। ভবিষ্যতে কী হয় না জেনে রাজনীতির ভূমিকা কেমন করে বলব?

স্বাতী মৈত্র : তাহলে এখন কী কর্তব্য?

শমিতা সেন : একটা হচ্ছে ন্যাশনাল লেভেলে মবিলাইজেশন। সেটা করার এটা ফল (নতুন নোটিশ দেখিয়ে)। গতকাল ওরা আইএডাব্লুএস থেকে গেছিল ইউজিসির কাছে। সেক্রেটারি স্তরের একজন যখন সই করে নোটিশ দিয়েছেন তখন এটার গুরুত্ব আছে কিছুটা অন্তত।

দ্বিতীয় হচ্ছে, স্টেট লেভেলেও এটা চাইছি আমরা। আমাদের ভিসি— সুরঞ্জন [দাস]— মুখ্যমন্ত্রীর সাথে ইনিশিয়েটিভ নিয়ে কথা বলেছেন, সরকারের কাছ থেকে ইতিবাচক উত্তর পেয়েছেন। আপাতত যে ছ’ মাসটা নিয়ে ক্রাইসিসটা শুরু হয়েছিল, যে সেপ্টেম্বর থেকে মার্চ অবধি যাদের কন্ট্র্যাক্ট হয়ে গেছে, তাদের সমস্যা হবে না, এরকমই আশ্বাস পেয়েছি।

এ ছাড়াও নানান ফান্ডের সোর্স মোবিলাইজ করার চেষ্টা করা হচ্ছে।

স্বাতী মৈত্র : এই ফান্ড কি সরকারি না বেসরকারি?

শমিতা সেন : এইখানে দুরকম ওপিনিয়ন আছে। একটা মত বলে যে, না সরকারকেই, রাজ্য সরকারকে, কেন্দ্রীয় সরকারকে, টাকা দিতে হবে। আরেক দল বলে যে না, স্বনির্ভর বা সেলফ-ফিন্যান্সিং মডেল হোক। আমি নিজে এই দ্বিতীয়, মানে সেলফ-ফিন্যান্সড মডেল পছন্দ করি না। উইমেন্স স্টাডিজে এটা হওয়ার সমস্যা আছে। কতটা আদৌ ফিজিবল হবে, সেই নিয়ে প্রশ্ন আছে। তবে আমি সব কিছুই এক্সপ্লোর করার পক্ষে।

এ ছাড়াও আমি নিজে চিরকাল এর বাইরে প্রজেক্ট এনে রিসার্চ করাকে সমর্থন করে গেছি। সেই দিক দিয়ে কিন্তু উইমেন্স স্টাডিজ-এ প্রজেক্টেও ফান্ডিং আছে, সেই সোর্স শুকিয়ে যায়নি। গ্রান্ট আনা এক ধরনের আর্ট, বলা যেতে পারে। (হাসি) কিন্তু রেগুলার ক্লাস করতে হলে এই ইন্টারমিটেন্ট প্রজেক্ট ফান্ডিং দিয়ে হবে না, তার জন্য আরও নানা রকমের পরিকাঠামোর ও শিক্ষকের প্রয়োজন।

ধোঁয়াশা রয়েছে। আমাদের আরেকটু ধৈর্য ধরতে হবে।

*

প্রফেসর সেনের এর পরেই মিটিং ছিল, ছাত্রছাত্রীদের সাথেও কাজ ছিল, তাই আমরা আর তাঁর অমূল্য সময় নষ্ট করিনি, তিনি যে ব্যস্ত দিনের মধ্যে এটুকু সময় দিতে পেরেছেন, এতেই আমরা কৃতজ্ঞ। উইমেন্স স্টাডিজের সাথে নারীমুক্তির আন্দোলনের চিরকালই গভীর যোগসূত্র ছিল। ২৩শে অগস্ট-এর কনভেনশনে প্রফেসর মালিনী ভট্টাচার্য, স্কুল অফ উইমেন্স স্টাডিজ-এর প্রাক্তন হেড, বলেন যে আজকের দিনে দাঁড়িয়ে নারী আন্দোলনের যতটা নারীবিদ্যাকে প্রয়োজন, ঠিক ততটাই নারীবিদ্যার প্রয়োজন নারী আন্দোলনকে। অতএব আমরা আশা করতে পারি যে এই ধোঁয়াশা না কাটা অবধি উইমেন্স স্টাডিজ বিভাগগুলি হাল ছেড়ে না দিয়ে দৃঢ়ভাবে লড়াই করে যাবে। পাশে থাকবে সমগ্র শিক্ষাজগত।

About চার নম্বর প্ল্যাটফর্ম 4650 Articles
ইন্টারনেটের নতুন কাগজ

1 Comment

আপনার মতামত...