প্রসঙ্গ: বিদ্যাসাগর ও বিবেকানন্দ

প্রসঙ্গ: বিদ্যাসাগর ও বিবেকানন্দ -- চিন্ময়ী মুখোপাধ্যায়

চিন্ময়ী মুখোপাধ্যায়

 

উনিশ শতকের ঔপনিবেশিক বাংলায় নবজাগরণের দুই প্রধান চরিত্র হলেন ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর ও স্বামী বিবেকানন্দ। যদিও শিক্ষিত বাঙালি মহাপুরুষ হিসেবে বিবেকানন্দ ও বিদ্যাসাগরের নাম একই পংক্তিতে স্মরণ করেন, বাংলার সামাজিক ইতিহাসে এই দুজনের যোগদান সম্পূর্ণ আলাদা ধরনের। রামকৃষ্ণ-বিবেকানন্দ ঘরানা বিদ্যাসাগর-অক্ষয়কুমারের দর্শন থেকে ভিন্ন শুধু নয়, ক্ষেত্রবিশেষে পরস্পরবিরোধী। স্বামী বিবেকানন্দ কী চোখে দেখতেন বিদ্যাসাগরকে, কেমন ছিল তাঁদের সম্পর্কের রসায়ন -- নিচের প্রবন্ধাংশে তার হদিশ রইল। চিন্ময়ী মুখোপাধ্যায়-এর লেখা এই প্রবন্ধটি প্রথম প্রকাশিত হয়েছিল কোরক সাহিত্য পত্রিকা-য়, ১৪১৬ বঙ্গাব্দের শারদ সংখ্যায়। ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর তাঁর জন্মের দ্বিশতবর্ষে প্রবেশ করতে চলেছেন, এমন এক সময়ে প্রবন্ধটির নির্বাচিত অংশ চার নম্বর প্ল্যাটফর্ম-এর স্টিম ইঞ্জিন বিভাগে পুনঃপ্রকাশ করে ইতিহাসের এক গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়কে ফিরে দেখার চেষ্টা করা গেল।

উনিশ শতকের দ্বিতীয়ার্ধ থেকেই বাংলায় সামাজিক সংস্কারের আন্দোলন স্থিমিত হয়ে এসেছিল। ১৮৫৬ সালে (২৬ শে জুলাই) বিধবা-বিবাহ আইন পাশ হওয়ার পর থেকে বিদ্যাসাগর নিজেকে ব্যস্ত রেখেছিলেন হয় স্কুল-কলেজ পরিচালনায় (মেট্রোপলিটন ইনস্টিটিউশন ও কলেজ) নতুবা বিধবাদের বিবাহের জন্য কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণে।

ঘটনাক্রমে বিবেকানন্দ এটিকে বিরাট কোন কাজ বলে মনে করেন নি। তাঁর বক্তব্য ছিল বিধবারা বিয়ে করবে কিনা সেটা তারাই ঠিক করবে৷ “বিধবা বিবাহ আন্দোলনে শতকরা সত্তর জন ভারতীয় নারীর কোনই স্বার্থ নেই।” (উদ্ধৃতির জন্য, ‘বিবেকানন্দ ও সমকালীন ভারতবর্ষ:  শঙ্করীপ্রসাদ বসু;  তৃতীয় খণ্ড, পৃঃ ২৬২, কলকাতা, ১৯৮০)। গিরিজাশঙ্কর রায়চৌধুরী এর উত্তরে লিখেছিলেন, “স্বামীজীর কথার ভাব এইরূপ যে, বিধবারা বিবাহ করিবে কিনা, তাহা বিধবারাই জানে। আমরা বিধবা নই”। (স্বামী বিবেকানন্দ ও বাংলার উনবিংশ শতাব্দী, পৃ. ২৫৩, উদ্বোধন, ১৩৩৪)।

শতকরা সত্তর জনের স্বার্থ নেই বলে উচ্চবর্ণের মধ্যে সমাজ সংস্কারের আন্দোলন বিরাট কোন কাজ নয় বললে প্রকৃত সমস্যার অতি সরলীকরণ হয়- বিশেষ করে যখন আমরা জানি এই উচ্চশিক্ষিত উচ্চবর্ণের মানুষদেরই একাংশ ভারতের জাতীয় আন্দোলনে অগ্রদূতের ভূমিকা নিয়েছিলেন। সেক্ষেত্রে নিজেদের নেতৃত্ব দেওয়ার উপযুক্ত করে গড়ে তোলার প্রথম প্রয়োজন, আত্মশুদ্ধি৷ সামাজিক সংস্কারের মাধ্যমে বিদ্যাসাগর সেই পথিকৃতের কাজটি করেছিলেন- তাঁর শ্রেণী ও সমাজই ছিল তাঁর প্রধান টার্গেট। একে কোনভাবেই লঘু করে দেখা যায় না।

বিধবা-বিবাহ প্রসঙ্গে শঙ্করীপ্রসাদ বসু উপরোক্ত গ্রন্থে বিবেকানন্দের দৃষ্টিভঙ্গির দীর্ঘ আলোচনা করেও স্বীকার করেছেন স্বামীজির ‘অনধিক উৎসাহের’ কথা। তথাকথিত কিছু নিম্নতর বর্ণের মধ্যে বিধবা-বিবাহ প্রচলিত, কিন্তু একথা নিশ্চয়ই স্বামীজীর অজ্ঞাত ছিল না উচ্চবর্ণ ‘বাবু’ সমাজের দাপটে তার ঔচিত্য ক্রমশ হারিয়ে যাচ্ছিল। সমাজ বিজ্ঞানীরা বলেন সংস্কৃতি ও রীতিনীতির ক্ষেত্রে সমাজের নীচু ধাপের লোকেরা উপরের ধাপকেই অনুসরণ করে।

বিবেকানন্দ অবশ্য বিদ্যাসাগরের বিরাট সামাজিক প্রভাব সম্পর্কে খুবই সচেতন ছিলেন। আলমোড়ায় সিস্টার নিবেদিতাকে কথা প্রসঙ্গে বলেছিলেন, ” উত্তর ভারতে আমার বয়সি এমন কোনো লোক ছিল না, যার উপর তাঁর ছায়া পড়েনি।”

বিদ্যাসাগরের লেখা ‘বোধোদয়’ ঈশ্বরকে ‘নিরাকার, চৈতন্যস্বরূপ’ বর্ণনা করায় বিবেকানন্দ ক্ষুন্ন হয়েছিলেন। বাল্যবন্ধু প্রিয়নাথ সিংহ-র লেখা ‘স্বামীজির স্মৃতি’ থেকে জানা যায় একদিন বিবেকানন্দ শিশুদের উপযোগী কোনো পাঠ্যপুস্তক না থাকার জন্য আক্ষেপ করলে উপস্থিত একজন তাঁকে বিদ্যাসাগরের লেখা পুস্তকগুলির কথা স্মরণ করিয়ে দেন৷ তিনি তখন উচ্চস্বরে হেসে ওঠেন এবং বলেন, “…ঈশ্বর নিরাকার, চৈতন্যস্বরূপ’, ‘গোপাল অতি সুবোধ বালক’- ওতে কোনো কাজ হবে না, ওতে মন্দ বই ভাল হবে না।… ” (স্বামী বিবেকানন্দের বানী ও রচনা, নবম খণ্ড, পৃ. ৪০৫; উদ্বোধন, ১৯৭৩)।

শ্রী’ম’ (মাস্টার ম’শায়) একবার বিবেকানন্দকে ঈশ্বর সম্পর্কে মতামত জানান। ‘কথামৃত’র দ্বিতীয় খণ্ডের প্রথম পরিচ্ছেদে বিষয়টির নিম্নরূপ বর্ণনা আছে:

মাস্টার (নরেন্দ্রের প্রতি) – ‘বিদ্যাসাগর বলেন- আমি নিজে ঈশ্বরের বিষয় কিছু বুঝি না, আবার পরকে কি লেকচার দেব?’

নরেন্দ্র- ‘যে এটা বোঝে নাই, সে দয়া পরোপকার বুঝলে কেমন করে?

মাস্টার- ‘আর পাঁচটা কি?’

নরেন্দ্র- ‘যে এটা বোঝে নাই, সে দয়া পরোপকার বুঝলে কেমন করে? স্কুল বুঝলে কেমন করে? স্কুল করে ছেলেদের বিদ্যা শেখাতে হবে, আর সংসারে প্রবেশ করে, বিয়ে করে, ছেলেমেয়েদের বাপ হওয়াই ঠিক, এটাই বা বুঝলে কেমন করে? যে একটা ঠিক বোঝে, সে সব বোঝে।’

আসলে ঈশ্বর সম্পর্কে বিদ্যাসাগরের এক ধরনের অনীহা বিবেকানন্দকে আদৌ খুশি করতে পারেনি। বস্তুত, বিদ্যাসাগরের ক্ষেত্রে বিবেকানন্দের মনোভাব কিছুটা মোনালিসার হাসির মতো। কারণ আলমোড়ায় নিবেদিতার কাছে বিদ্যাসাগরের যে মূল্যায়ন তিনি করেছিলেন, তা ছিল তাঁর একেবারে নিজস্ব, ব্যাক্তিগত অভিজ্ঞতা প্রসূত সঠিক- অর্থাৎ সত্যই উত্তর ভারতে তাঁর বয়েসি যুবকদের উপর বিদ্যাসাগরের অসাধারণ প্রভাব। কিন্তু মনে রাখতে হবে এটি ছিল তাঁর সাধারণভাবে বস্তুগত বিচার। তবে তিনি নিজে ব্যক্তিগতভাবে কতটা প্রভাবিত হয়েছিলেন, সে ব্যাপারে কোনো মন্তব্য করেন নি- এমনকি কোনো ঘটনারও।

বিদ্যাসাগরকে জড়িয়ে মাঝে মধ্যে বিবেকানন্দ যেসব মন্তব্য করেছেন, তা খুবই অস্বস্তিকর। আমরা পূর্বেই উল্লেখ করেছি বিধবা-বিবাহ এবং শিশু পাঠ্য  সম্পর্কে তাঁর তীর্যক মন্তব্যের। এছাড়া বিদ্যাসাগর প্রতিষ্ঠিত মেট্রোপলিটান ইন্সটিটিউশনের শ্যামবাজার শাখার প্রধান শিক্ষক  শ্রী’ম’ (মাস্টার ম’শায়/ মহেন্দ্রনাথ দত্ত) সংক্রান্ত ঘটনাটিতে তাঁর অযাচিত মন্তব্য আদৌ বিদ্যাসাগরের সম্মান বৃদ্ধি করে না।

১৮৬৬ সালের ২০ মে, শ্রী’ম’-র জীবনে ঘনিয়ে এসেছিল এক দুঃসময়। সে বছর বিদ্যালয়ের প্রবেশিকা পরীক্ষার ফলাফল সন্তোষজনক হয়নি৷

বিদ্যাসাগর এর জন্য শ্রী’ম’ তথা মাস্টার ম’শায়কে দায়ী করলেন। কারণ হিসেবে জানালেন শ্রীরামকৃষ্ণের কাছে ঘনঘন যাতায়াত এবং তার ফলে বিদ্যাসাগরের কাজ কর্মে গাফিলতি। এ ধরনের অভিযোগ শ্রী’ম’-র কাছে খুবই অপমানজনক মনে হয়েছিল এবং তিনি দীর্ঘসময় ধরে চিন্তা করে শেষপর্যন্ত চাকুরি থেকে ইস্তফা দিলেন।

কাশীপুর উদ্যানে শ্রীরামকৃষ্ণকে শ্রী’ম’ ইস্তফার কথা জানালে তিনি শুধু বললেন, ‘বেশ করেছো’। উপরোক্ত ঘটনার তিন দিন পরে (২৩ শে মে, ১৮৮৬) নরেন্দ্রনাথ যখন সমগ্র বিষয়টি জানতে পারলেন, তখন তিনি প্রচণ্ড চটে গেলেন। শ্রী’ম’ অবশ্য নিজের থেকে কিছু বলেন নি। সেদিন রামকৃষ্ণকে রোজের মত দেখতে এসে নরেন্দ্রনাথ, মাস্টার ম’শায় (শ্রী’ম’), ছোট নরেন প্রমুখ অনেক ভক্ত কাশীপুর উদ্যানের দালান ঘরে বসে নানা বিষয়ে আলোচনা করছিলেন, এমন সময়ে গঙ্গাধর নামে এক ভক্ত মাস্টার ম’শায়ের সামনে নরেন্দ্রনাথকে জানালেন, ছাত্ররা মাস্টার ম’শায়ের বিরুদ্ধে নালিশ করেছিল বিদ্যাসাগরের কাছে।

শুনেই “নরেন্দ্রনাথ ফোঁস করে ওঠেন৷ তিনি বলেন, কি বলছিস মাস্টার ম’শায় কি care করেন? তোর বিদ্যাসাগর বুঝি মনে করলে মাস্টার ম’শায়ের ছেলেপুলে আছে, তিনি আর চাকরি ছাড়তে পারবেন না” (রামকৃষ্ণের অন্ত্যলীলা; দ্বিতীয় খণ্ড; স্বামী প্রভানন্দ; পৃ. ৩০৯)।

নরেন্দ্রনাথ সাহসী কথা বললেও, মাস্টার ম’শায় পরিবারবর্গ নিয়ে সত্যই আর্থিক বিপদে পড়ে গেছিলেন। শেষপর্যন্ত সুরেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁকে সেই বিপদ থেকে রক্ষা করে রিপন কলেজে অধ্যাপনার পদ পাইয়ে দিয়ে৷ এ ব্যাপারে নরেন্দ্রনাথ যে বাস্তবে তাঁকে কোনো সাহায্য করেছিলেন তার কোনো প্রমাণ নেই।

যাই হোক উপরোক্ত ঘটনায় বিদ্যাসাগর সম্পর্কে বিবেকানন্দ যে তাচ্ছিল্যের মন্তব্য করেন তাকে কিছুটা হঠকারী বলতে হবে। লক্ষণীয় ‘কথামৃত’তে বিবেকানন্দ বা নরেন্দ্রনাথ অনেকের সম্পর্কে সরাসরি প্রশংসাজনক মন্তব্য করলেও একমাত্র প্রসঙ্গ না উঠলে তিনি বিদ্যাসাগর সম্পর্কে সরাসরি নীরব থেকেছেন- যেন বিদ্যাসাগর বিষয়ে তাঁর নিজস্ব কোনো বলার মতো উক্তি নেই৷ প্রসঙ্গ তুলেছেন শ্রী’ম’, ডাক্তার মহেন্দ্রলাল সরকার, স্বয়ং শ্রীরামকৃষ্ণ, কিন্তু তিনি কখনো নিজের থেকে বিষয়টিকে আলোচনায় আনেন নি।

পিতার মৃত্যুর পর যখন দারুণ আর্থিক কষ্টে ভুগেছেন, চাকরির জন্য দ্বারে দ্বারে ঘুরে ব্যর্থ হয়ে অনেক সময়ে অনাহারে থেকেছেন, সেই দারুণ বিপদের সময়ে পরিচিতদের অনুরোধে বিদ্যাসাগর এগিয়ে এসে বিবেকানন্দকে মেট্রোপলিটান ইন্সটিটিউশনের বৌবাজার শাখার প্রধান শিক্ষকের চাকরি দিয়েছিলেন। কিন্তু সে চাকুরি টিকিয়ে রাখতে পারলেন না এক মাসের বেশি৷ পারিবারিক মামলা-মোকদ্দমার ঝঞ্ঝাটে প্রায়শই স্কুলে অনিয়মিত হয়ে পড়লেন। বিদ্যালয়ের সেক্রেটারী ছিলেন বিদ্যাসাগরের জামাতা সূর্যকুমার অধিকারী। ঘটনা সুস্পষ্টভাবে কতটা কি ঘটেছিল তা আজ পর্যন্ত সঠিক জানা যায়নি৷ তবে বিবেকানন্দ তাঁর পদে ইস্তফা দিয়েছিলেন৷ অনেকের ধারণা, সূর্যকুমার অধিকারীর চাপে তিনি চাকুরি থেকে ইস্তফা দেন এবং বিদ্যাসাগর তা জানতেন অথবা তাতে তাঁর সম্মতি ছিল। তবে একথা সুনিশ্চিত তাঁকে কোনো বরখাস্তের নোটিশ ধরানো হয়নি৷  হতে পারে যুবক বয়সের এই দুর্ভাগ্যজনক স্মৃতি বিদ্যাসাগর সম্পর্কে তাঁকে সারাজীবন তাঁড়িয়ে বেরিয়েছে এবং যার ফলে মাঝে-মধ্যে উপরোক্ত অসতর্ক উক্তি। তবে একই সঙ্গে মৃত্যুর মাত্র দুদিন আগে তিনি যখন সিস্টার নিবেদিতাকে আলমোড়ায় বললেন, “রামকৃষ্ণের পর আমি বিদ্যাসাগরকে অনুসরণ করেছি”(“After Ramakrishna, I follow Vidyasagar”), তখন সেটিকে ধরে নিতে হবে বিবেকানন্দের সতর্ক ও সচেতন উক্তি৷ খুব সম্ভবত এক্ষেত্রে তিনি বিদ্যাসাগরের স্বাজাত্যাভিমানের কথাকেই স্মরণ করেছেন। অর্থাৎ তাঁর স্পষ্টোক্তি এবং অতি সাধারণ বেশভূষা। কিন্তু এতৎসত্ত্বেও মনে রাখতে হবে ১৮৯১ সালে (২৯ শে জুলাই) বিদ্যাসাগর যখন মারা যান, তখন নরেন্দ্রনাথ সন্ন্যাস নিয়ে স্বামী বিবিদিশানন্দ হয়েছেন এবং উত্তর ভারতের বিভিন্ন সাধু-সন্ন্যাসীদের সঙ্গে সাক্ষাৎ (ত্রৈলঙ্গ স্বামী, স্বামী ভাস্করানন্দ) করেছেন, অথচ ঘরের পাশে সুকিয়া স্ট্রিটে তিনি কদাপি যাওয়ার প্রয়োজনীয়তা অনুভব করেন নি। যদিও একদা তাঁর গুরু শ্রীরামকৃষ্ণ যেচে বিদ্যাসাগরের গৃহে সাক্ষাতের জন্য গেছিলেন এবং আশা করি সে কাহিনী তাঁর অবিদিত ছিল না।

সার কথা, ঈশ্বরে বিশ্বাসী বিবেকানন্দের অজ্ঞেয়বাদী বা তথাকথিত ‘নাস্তিক’ বিদ্যাসাগর সম্পর্কে কৌতূহল খুব সামান্যই হবে যদি তিনি কোনো ভক্তের মুখে শোনেন,  “একজন বলিলেন যে বিদ্যাসাগর মহাশয় ঈশ্বর ব্রহ্ম কিছু মানেন না। তিনি বোঝেন জগতের কল্যাণ, বিদ্যাচর্চা – ইহাই প্রধান।” (উদ্ধৃতির জন্য, জীবন সন্ধানী বিদ্যাসাগর; রামরঞ্জন রায়, পৃ. ১৬৪)।

(মূল প্রবন্ধের বানান অপরিবর্তিত)

Facebook Notice for EU! You need to login to view and post FB Comments!
About চার নম্বর প্ল্যাটফর্ম 4418 Articles
ইন্টারনেটের নতুন কাগজ

Be the first to comment

আপনার মতামত...