
বচন নকরেক
শোষক কাগজ
জঙ্গল শেষে চোখে আসে কুপি বাতির আলো
তোমাকেও কেউ তো বাসতো ভালো
সন্ধ্যে হ’লে হাঁসের পালের মতো কুয়াশা নামে
কিছু অবিন্যস্ত থুঃথুঃ মাখা সময়ের খামে
ভুলে থাকা কী এতো সহজ ?
কষ্ট শুষে নেয় শোষক কাগজ…
অদূরে রাস্তায় পড়ে আছে
কার খাম খোলা চিঠি
০৮.০১.২০
আমিও মন্দই
মন্দ মানুষের জিভ সাপের জিভের মতো হ’য়
কী ক’রে বুঝবে কে ভালো কে মন্দ !
সবাই মুখোশ পরে থাকে
লোভী ও উদ্ধত
থাবায় মেখে রাখে বিষ; গোপনে পোঁতে রাখে ফাঁদ
আমিও মন্দই
শব্দের ফাঁকে ফাঁকে পোঁতে রাখি ভালোবাসার ফাঁদ
অথচ, ভালোবাসিনি আমি তাকে…মোটে
১৩.০১.২০
আয়না
আয়নার সামনে কত মানুষ আসে
মুখ দেখে , চোখ মারে , তারপর চ’লে যায়
আয়নার দুঃখ আছে কী না কেউ খোঁজ নেয় না …এমনি চ’লে যায় !
আয়নায় ধুলো জমে
কফিন ভেঙে ফিরে আসে আয়নার প্রেমিক
ধুলো মুছে দিয়ে ফিরে যায়__সেও
কেউ ব’লে না- আয়না, ভালো আছো ?
১৫.০১.২০
বুক সাঁতার
আগচি গাছের বাকলে লিখে রেখে এসেছিলাম
তোমার নাম …সে বাকল এখন খসে পড়ে গ্যাছে
গোবর লেপা ঘরের দেওয়ালে এঁকেছিলাম তোমার চোখ
আরো লেপালেপির পর মুছে গ্যাছে সেই চোখ-ও
এখন তোমার আমার স্মৃতি বলতে-
পুকুরে হাঁস হাঁস খেলা; দুজনের বুক সাঁতার
১৬.০১.২০