বাইশে আগস্ট, দু’হাজার সতেরো

ফ্যাতাড়ু-বজরা ঘোষ

 

বাজার গরমে গ্যাচে। সিসুমিত্যু, বোন্যা, তালাক, কানাই কুমার ও আরেসেস নিয়ে ভাদুরে হিটিয়াল।
পথমটা রাজ্যের বাইরের পবলেম, আমাদের গরমেন্ট দায় নেবেনা ও নিয়ে কিচু বলা বারণ। আর জানেনতো আমি দেসদ্দোহী নই। ওই নিজের ছেলের নাম পাকিস্তান রাকা দেসপ্পেমিক (কারনটা আর বলবনা)।
তবে গোরক্ষপুরে সিসুমিত্যু সাভাবিক ঘটনা, য্যামন এককালে সুয্যদা বলেচিল।
যাদের মেমোরি লুজ (জানার পরে হাল্কা মোসন লুজ হলে খিস্তাবেন) এট্টু মনে করাই ২০০২ সালে বিদান চন্দ রায় হাসপাতালে ১৮ জন বাচ্চা মরে যায়। স্বাস্থ্য মন্তী সূয্যদা তকন বোলেচিলেন দশ টার মৃত্যু তো নেহাতই সাভাবিক। লে লুল্লু, সুনেচি মুক্যমন্তী ঝেড়েচিলেন দাদাকে।
ধরে নিন এও সেরমই সাভাবিক। গোরক্ষপুরে গোরুদের রক্ষা করা হবে বোলেই তো এরম নাম! আর সত্যি বলতে কি অক্সিজেন এর এক্সটা সাপ্লাই হনুব্বতদের মাতায় চালান হচ্চিল, এট্টু ভুলচুক হয়ে যায়। সব রাজ্যেই অমন হনুব্বত থাকে।

ওসব পুরোনো কাসুন্দি ছেড়ে নতুন কতায় আসা যাক। বোন্যায় ভেসে গ্যাচে চাদ্দিক। লোকে ধুঁকচে, কাঁদচে, মরচে, খাবার, পরনের কাপড়, মাতার ওপর তেরপল, কিচ্চু নেই আর একদল সেঁগোমারানীদের দ্যাকো, মোচ্ছব কচ্চে। ইলিস উতসবের ঠেকা নিয়েচে। যেভাবে গিলচে মনে হচ্চে হাভাতেদের জোড়া পাকস্থলী। ধাড়ি সাইজের ষাঁড়ের নাকি থাকে। আনন্দোচ্চবে ইন্দনীলের গান সুনে ইস্তক মা ডাকতে ভুলে গ্যাচি। গানের কি কলকে ফাটা টান! মা.. মাআ.. মাআআ মাআআআআ। ছাগল দলছাড়া হলে এভাবেই ডাকে। তাপ্পর লোক দেকাতে গিয়ে এট্টু জলকেলি হল। যেমন বেনী তেমনিই থাকলো সুদু চটি ভিজলো।

একবার খুব বোন্যায় ইন্দিরা গান্দি দেকতে বেরিয়েচিলেন পরিস্থিতি। অনেক উপরে হেলিকপ্টার থেকে দেকলে লোকজন বোজা যায়না। জল আর জল। কাব্যি ফাব্যি চলে আসে। উনি নাকি বোলেচিলেন আহা কি সুন্দর লাগচে উপর থেকে….

একন কালি মাকানো চলচে। মাজে ছিল জুতো ছোঁড়ার হিড়িক। সেই জর্জ বুসকে কে ছুড়েচিল।
তারপর চিদুদা মানে চিদাম্বরমকে.. তারপর যে যাকে পারচে তাকেই!
আমাদের পাড়ায় রঙ দোলের দিন অসভ্যতামি হতো। পাড়ার বৌদিদের রঙ মাকাতে যেত বখাটে ছেলেছোকরারা। মাল খেয়ে টাল শালাদের ধান্দা তো খারাপ। তারপর দুই পাড়ায় রঙ দেওয়া নিয়ে রঙদেহি মানে রনঙদেহি থোবড়া। এবং থানা পুলিশ ক্যাওড়ামির একসেস।

সেরকমই দেকচিলাম কে বা কারা কানাই কুমারকে রঙ লাগিয়ে দিয়েচে। রঙ মানে ভুসো কালি। বেস করেচে। কালি লাগাতে আসচে? ক্যালাতে পারোনা বিপ্লবীরা? তোমাদের লোকবল নেই! ইল্লি আর কি। ওই দ্যাকো দিলিপ ঘোশের দল আমায় কালি মাকাচ্চে। কেঁদে ককিয়ে পুলিশ ডাকবে? ভাই সুনবেনা। পুলিস যদি সব কত্ত তবে তাদের চাকরি থাকবে? ভাই জাল নোট যারা বানায় তারা পাল্লে সবটাই জাল কত্তে পারে এট্টু তফাৎ রাকে! জিগান ক্যানো।
নইলে যে নিজেই ঠকে যাবে কোনটা জালি আর কোনটা আসল। তেমনি পুলিস যদি সব অপরাদ বন্দ করে দিতো আর পুলিস নিয়োগ হতো? চাকরি বাকরি হতো? যেদেসে অপরাদই নেই সেকানে কিসের ল্যাওড়া করবে পুলিস? 

তোমায় গালে কালি মাকাচ্চে তুমি ওর পেন্টুল খুলে বিচুটি ঘসে দাও। তোমায় পচা ডিম মারচে তোমাদের থান ইঁট নেই? দশজন মিলে ঠেঙাতে আসচে তুমি কুড়িজন নিয়ে পালটা ঠাপ দাও।
গ্রামদেশে জানবেন থানা পুলিস হয় শেষবেলায়। দু চাট্টে বডি পল্লে। তার আগে সালিসি সভা, সেখানেই হাফ মার্ডার হয়ে যেত অনেকসময়।
তোমায় মারতে আসচে? তোমাকে বাঁচাবার লোক যদি না থাকে, তোমার দলবল, কাচের মানুশ যদি তোমায় না বাঁচায় তো ক্যাল খেতে হবে। সিম্পল। যদি তোমার জন্যে লোক না আসে তবে বুজবে গলতা আচে ভাই। বাহুবলীদের ক্যালাতে বাহুবলের দরকার।

এই য্যামন কারা এইমাত্তর আপডেট মারিয়েচে দেখলাম, আরেসেস পেটানো হয়েচে। মেরে ফাটিয়ে ফুটিয়ে দিয়েচে দেকলাম কটাকে। বেস করেচে। বেএশ করেচে।
বিপ্লবী দাদারা, শোলে তো দেকেচেন?
সেই থিয়োরিতে যান, ওসব সাইজ হয়ে যাবে। জয় আর বীরু পুলিশ ডেকেচিল? উঁহু।

গব্বর তুম এক মারোগে তো হাম চার মারেঙ্গে।

About চার নম্বর প্ল্যাটফর্ম 4658 Articles
ইন্টারনেটের নতুন কাগজ

Be the first to comment

আপনার মতামত...