কোভিড-১৯ অতিমারিতে পুষ্টির চালচিত্র

মধুমিতা দোবে

 



অধ্যাপক (জনস্বাস্থ্য), অল ইন্ডিয়া ইনস্টিটিউট অফ হাইজিন অ্যান্ড পাবলিক হেলথ

 

 

 

কোভিড-১৯ অতিমারি বিশ্বব্যাপী এক সন্ত্রাসের রূপ ধারণ করেছে। শুরু থেকেই এই নতুন ভাইরাসের সংক্রমণের প্রসার, নানাবিধ উপসর্গের প্রকাশ এবং সর্বোপরি মৃত্যু-মিছিল দেশদেশান্তরের সর্বস্তরের মানুষকে বিহ্বল, আতঙ্কিত ও দিশাহারা করে দিয়েছে।

অতিমারির এই ছবির সঙ্গে প্রাক্তন অতিমারিগুলির অনেক মিল ছিল, আবার অনেক নতুন সমস্যাও সামনে এল যা আজ বহুচর্চিত। আমরা এই রোগ নিয়ে অনেক আলোচনা করেছি। বিভিন্ন সময়ে রোগ নির্ণয় ও চিকিৎসার অপ্রতুলতা নিয়েও আলোচনা করেছি। কিন্তু যা নিয়ে ততটা চিন্তা বা চর্চা করছি না তা হল চোখের আড়ালে ঘটে যাওয়া কিছু অপূরণীয় ক্ষতির চিত্র। এমনই এক আপাত গোপন ছবি আঁকা হচ্ছে পুষ্টির ক্ষেত্রে।

পুষ্টি বললেই আমাদের প্রথম মনে হয় যথেষ্ট খেতে পাওয়া। সরকারি এই অতিমারিতে সাধ্যমত খাদ্যসুরক্ষা প্রকল্পগুলো (মিড ডে স্কুল মিল, অঙ্গনওয়াড়ি আহার) চালু রাখতে চেষ্টা করলেও দূরত্ববিধি মেনে, লকডাউনের বিধি মেনে এগুলো স্বাভাবিক সময়ের মতো চালু রাখতে পারেনি। যেসব কর্মীরা এইসব প্রকল্পে কাজ করতেন, তারাও কাজ করতে পারেননি। সাধারণ মানুষ এগিয়ে এসেছেন, তাঁরা খাদ্য বিতরণ করেছেন, কিন্তু এই বিশাল জনসংখ্যার প্রয়োজনের তুলনায় সেই সাহায্য খুবই সামান্য এবং অধিকাংশ ক্ষেত্রে অপরিকল্পিত। তথ্যভিত্তিক নয় আবেগভিত্তিক। অবশ্যই এই বিতরণে বাদ পড়ে যায় যাদের সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন অর্থাৎ শিশুরা, মেয়েরা, মায়েরা, বৃদ্ধ-বৃদ্ধারা এবং অসুস্থ মানুষ। অতিমারি দেখিয়ে দিয়েছে যে আপৎকালীন খাদ্য বিতরণের জন্য যথোপযুক্ত তথ্য আমাদের কাছে নেই।

এইখানে বলা প্রয়োজন যে সঠিক পুষ্টি মানে কিন্তু শুধু ক্ষুন্নিবৃত্তি নয়। পুষ্টির উদ্দেশ্য বিশেষত শিশুদের দৈহিক ও মানসিক বিকাশ, মেয়েদের ও মায়েদের আয়রন ও আয়োডিনের ঘাটতি রোধ, এবং বয়স্ক ও অসুস্থ মানুষের প্রতিরোধক্ষমতা বজায় রাখা। এর জন্য চাই নানা ধরনের খাদ্যসম্বলিত সুষম আহার। দীর্ঘদিন ধরে অতিমারির কবলে থেকে শুধু চাল, ডাল, আলু খেয়ে (তাও অনেক ক্ষেত্রে পাওয়া যায়নি) সুষম আহার হয় না। তাই এই অতিমারির প্রভাবে পুষ্টির ভিতটা নড়বড়ে হয়ে যাচ্ছে। ইউনিসেফের সাম্প্রতিক এক সমীক্ষা অনুসারে, কোভিড ১৯ অতিমারির সময়ে, আমাদের মতো দেশগুলোতে লকডাউন চলাকালীন, খাদ্য সুরক্ষা পরিষেবাগুলো ৭৫ থেকে ১০০ শতাংশ কমে গেছিল। পরবর্তী অধ্যায়ে চালু হলেও এখনও বহু সমস্যা বর্তমান।

এর প্রভাব কাদের ওপর সবচেয়ে বেশি দেখা যাচ্ছে বা যাবে মনে হয়?

প্রথমেই প্রভাবিত হবে ছোট শিশুরা। তাদের খাবারের গুণগত মান কমে গেছে— সংসারে আয় কমে গেছে, বাজারে সবজি ফল মাছ ডিম নাগালের মধ্যে নেই কারণ চালান বিঘ্নিত। খাদ্য সুরক্ষার কবচ হিসেবে অঙ্গনওয়াড়ি থেকে বা স্কুল থেকে প্রাপ্য খাবারও বন্ধ। অথবা সেগুলো শুকনো খাবার হিসেবে বাড়ি-বাড়ি বিতরণ হচ্ছে। কোনও কোনও ক্ষেত্রে আবার কিছু টাকা বা ভাউচারও বিলি হয়েছে শিশুকে খাবার কিনে খাওয়ানোর জন্য।

কিন্তু সত্যিই কি তা হয়? বাড়িতে চাল ডাল এলে সেটা কি আলাদা করে শুধুই শিশুকে রেঁধে দেওয়া হয়, না দেওয়া যায়? তাই শিশুর ভাগে এক বা দুই গ্রাসই জোটে। আমাদের দেশে যে ৪৩ শতাংশ শিশু প্রি-প্রাইমারি শিক্ষাকেন্দ্রে যায়, তাদের একটা বড় অংশ দিনের খাবারটুকু সেখানেই পেত। করোনা অতিমারির ফলে স্কুল বন্ধ— তাই তাদের, বিশেষত অতি দরিদ্র পরিবারের শিশুদের খাবারে টান পড়েছে। সেভ দি চিল্ড্রেন সংস্থার একটি সাম্প্রতিক দেশব্যাপী সমীক্ষায় দেখা গেছে যে অতিমারিকালীন লকডাউনের সময় অঙ্গনওয়াড়ির রেশন পাননি তিনজনের মধ্যে একজন, মিড ডে মিলের রেশন পাননি পাঁচজনের মধ্যে দুজন, এমনকি পাঁচজনের মধ্যে একজন রেশন দোকান থেকেও রেশন পাননি।

যে দেশে পৃথিবীর অর্ধেক অপুষ্ট শিশুর বাস সেখানে, অর্থাৎ ভারতবর্ষে, এর প্রভাব তো ভয়ানক হবেই। ১৯৯২ সালে ফুড অ্যান্ড এগ্রিকালচার অর্গানাইজেশন (এফএও) বলেছিল যে ভারতবর্ষে গড়ে দৈনন্দিন ক্যালোরি ঘাটতির পরিমাপ হল ১৬৫ ক্যালোরি। খানিকটা কমে ২০১৬ সালে সেটা ১০৯ ক্যালোরি হয়েছিল। আশঙ্কা করা হচ্ছে যে এই অতিমারিতে এই ঘাটতি আবার অনেকটাই বেড়ে গিয়েছে।

আমাদের দেশের শিশুদের মধ্যে অপুষ্টির পরিসংখ্যান এখনও লজ্জাজনক স্তরে রয়েছে। ২০ শতাংশের বেশি শিশুর বয়স অনুপাতে ওজন কম। প্রায় ৩৮ শতাংশ শিশুর বয়স অনুপাতে দৈর্ঘ্য কম। বিশেষত দ্বিতীয় পরিসংখ্যানটি দীর্ঘকালীন অপুষ্টির ছবি তুলে ধরে এবং ছোট শিশুদের এই ঘাটতির ফলে মানসিক এবং শারীরিক বিকাশ ব্যাহত হয় যার বেশিরভাগটাই পরে আর চেষ্টা করেও শোধরানো যায় না।

সারা পৃথিবীতে, বিশেষজ্ঞদের মতে, এই অতিমারিতে আরও প্রায় ১৪ শতাংশ শিশুর বয়স অনুপাতে ওজন কমে যাবে। আমাদের দেশে এই সংখ্যাটা বেশি বই কম হবে না। আমাদের মনে রাখা দরকার যে শিশুদের অপুষ্টি অল্প সময়ে হয় না। এটা অনেক দিনের অবহেলার ফল। ভ্রূণ অবস্থা থেকে জন্ম এবং তারপর প্রথম দুই বছর অবধি শিশুর শারীরিক বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে মস্তিষ্কের বিকাশ ঘটে। এই সময় থেকেই কিন্তু অবহেলা শুরু হয়।

শারীরিক পূর্ণতাপ্রাপ্তির আগেই অধিকাংশ মেয়েদের, বিশেষত যারা নিজেরাই দরিদ্র অবহেলিত পরিবারে অপুষ্টির শিকার, তাদের বিয়ে দেওয়া হয় এবং অচিরেই তারা ‘মা’ হন। গ্রামাঞ্চলে এই তরুণী মায়ের সংখ্যা প্রায় ১৪ শতাংশ এবং শহরাঞ্চলে প্রায় ৯ শতাংশ। অতিমারির সময়ে এই তাড়াতাড়ি বিয়ে দেওয়ার প্রবণতা নানা কারণেই বৃদ্ধি পেয়েছে।

এই অপরিণত মাতৃত্বের সময়ে মেয়েরা যথেষ্ট সুষম আহার পান না, অতিমারিতে আরওই পাননি। তাঁর নিজের এবং তাঁর গর্ভস্থ শিশুর পুষ্টির অভাবে ওজন বাড়ে না। গর্ভবতী হওয়ার সময় যেসব মায়েরা খুব রোগা থাকেন তাদের অন্তত ১২ থেকে ১৪ কেজি ওজন বাড়া উচিত। দুর্ভাগ্য যে আমাদের দেশে ৭ কেজিও বৃদ্ধি হয় খুব কম। জন্মের সময় এই সব মায়েদের শিশুরা অধিকাংশ ক্ষেত্রেই আড়াই কেজিরও কম ওজনের হয়, এবং পরবর্তী জীবনে এই অপুষ্ট শিশুদের দৈহিক ও মানসিক বিকাশ ব্যাহত হয়। নানা ধরনের রোগও বেশি হয়।

তরুণী অপুষ্ট মায়েরা তাদের শিশুদের স্তন্যদুগ্ধের অমূল্য পুষ্টিও ঠিক করে দিতে পারেন না। তার উপর অজ্ঞানতা ও অক্ষমতার ফলে নিজের এবং শিশুর আহারে যথোপযুক্ত পুষ্টিকর টাটকা ফলমূল শাকসবজি যোগ না করার ফলে ডায়েটারি ডাইভারসিটি অর্থাৎ নানান খাদ্যের সুষম আহার হয় না। এবং শরীরে প্রয়োজনীয় ভিটামিন ও খনিজ পদার্থ বিশেষত আয়রনের ঘাটতি দেখা দেয়। সাম্প্রতিক প্রকাশিত তথ্য অনুসারে মাত্র ৬ শতাংশ ভারতীয় শিশুর আহারে বয়সানুপাতিক বিভিন্ন রকমের খাবার থাকে— অতিমারিতে এই টাটকা ফলমূল ও টাটকা শাকসবজি আরও দুর্লভ ও দুর্মূল্য হয়েছে। তাই এদিকেও পুষ্টির অভাব হবে।

এমনিতেই আমাদের দেশে প্রায় ৭০ শতাংশ তরুণী রক্তাল্পতায় ভোগে। তার ওপর গর্ভাবস্থায় শিশুর শরীরের প্রয়োজনীয় আয়রন জোগাতে তার রক্তাল্পতা আরও বেড়ে যায়। রক্তাল্পতা প্রতিরোধের জন্য শিশু, তরুণী এবং গর্ভবতী মেয়েদের সরকারের প্রকল্পে আয়রন ট্যাবলেট দেওয়া হয়। এদেশে কৃমি সংক্রমণের ফলেও অপুষ্টি ও রক্তাল্পতা খুব বেশি দেখা যায়। বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়া সত্ত্বেও এখনও খোলা মাঠে পায়খানা করা একেবারে বন্ধ হয়নি এবং তার ফলশ্রুতি হিসেবে কৃমি সংক্রমণও অব্যাহত। সরকারি কর্মসূচিতে স্কুলে, গর্ভকালীন পরিষেবায় এবং বছরে ছয় মাস অন্তর কৃমির ওষুধ বিনামূল্যে বিতরণ করা হয়। এই পরিষেবাগুলিও অতিমারিকালে ব্যাহত। তাই আশঙ্কা ভবিষ্যতে আজকের শিশুরা আয়রন ঘাটতির ফলে আরও দুর্বল, রোগগ্রস্ত ও কর্ম-অক্ষম হবে, দারিদ্র বেড়ে যাবে। করোনাকালে পুষ্টির তাই সুদূরপ্রসারী প্রভাব।

এই ঘাটতিগুলি পূরণ করতে তাই সুষম আহারের সঙ্গে এই বিশেষ ওষুধগুলি সকলের কাছে পৌছানো প্রয়োজন।

কোভিড অতিমারি মোকাবিলায় যেমন আমরা রোগের সচেতনতা বৃদ্ধির দিকে নজর দেব, তেমনই আমাদের উচিত রোগপ্রতিরোধের সবচেয়ে জোরদার হাতিয়ার অর্থাৎ পুষ্টির উপর জোর দেওয়া।

এর জন্য প্রয়োজন:

১. বিশেষ করে শিশুদের ওজন নথিভুক্ত করা ও কমতে দেখলেই ব্যবস্থা নেওয়া। এই তথ্য সমস্ত অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে আছে কিন্তু অতিমারিকালীন এই পরিষেবাও ব্যাহত। তাই ভবিষ্যতে হয়তো অনেক শিশুর ওজন এত কমে যাবে যে শুধু ঘরে সুষম আহারে আর ঠিক করাই যাবে না। এখন অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীদের মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে এই কাজের সুবিধা করে দেওয়া হয়েছে। তাই অন্যান্য কাজ যেমন রেশন বিলি ইত্যাদির সুযোগে ঘরে ঘরে গেলে, সেই ঘরের শিশুদের ওজন নিয়মিত নথিভুক্ত করা এবং তার সুষম আহার সংক্রান্ত্র পরামর্শদান এখন আরও দরকার।

২. টিকাকরণ কর্মসূচি নিয়মিত চালু রাখা। নানান মারণব্যাধি প্রতিরোধ করে শিশুদের পুষ্টি ঠিক রাখতে টিকাকরণ কর্মসূচি আমাদের প্রধান হাতিয়ার। অতিমারির প্রাথমিক অবস্থায় এই কর্মসূচিগুলি কিছুটা ব্যাহত হলেও এখন প্রায় পূর্বাবস্থায় ফেরানো গেছে। এই কর্মসূচির মাধ্যমে এখনবিশেষ করে পুষ্টির ওষুধগুলো (আয়রন ট্যাবলেট, ভিটামিন এ তেল, কৃমির ওষুধ) বিতরণের পরিষেবা বজায় রাখার চেষ্টা চালানো যেতে পারে। তার সঙ্গে সঙ্গে আগত শিশুদের ওজন নথিভুক্ত করা ও আহারের পরামর্শদানের সুযোগ নেওয়া উচিত।

এখানে একটা কথা বলা দরকার। কোভিড অতিমারি কিন্তু পুষ্টিকে ব্যবসায়িক সাফল্য এনে দিয়েছে। জনমানসে শারীরিক প্রতিরোধক্ষমতা বাড়ানোর জন্য নানা ধরনের ভেষজ ওষুধ ও দুষ্প্রাপ্য গাছগাছড়ার ব্যবহার খুবই জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। এইসব দুর্মূল্য জিনিস অল্পদিন সেবন করে যে উপকার হয়তো হবে, সেই পয়সায় টাটকা ফল সবজি মাছ ইত্যাদি নিয়মিত খেলে প্রতিরোধক্ষমতা বাড়বে, বাড়বে পুষ্টিও।

৩. এই বিপুল জনসংখ্যার সবাইকে যদি সমানভাবে পরিষেবা নাও দেওয়া যায় সরকারি এবং বেসরকারি পরিষেবা বিশেষ করে তাদের দিতে হবে যারা অপুষ্টির শিকার বা সম্ভাব্য শিকার— যেমন অতিদরিদ্র পরিবারের মহিলা ও শিশুরা, গৃহহীন পরিবার, অভিবাসী শ্রমিকদের পরিবার, প্রান্তবাসী পরিবার— যাদের কাছে পরিষেবা স্বাভাবিক সময়েও পৌঁছয় না। এর জন্য চাই সঠিক তথ্য। অতিমারি মোকাবিলার নীতিতে এই তথ্যভিত্তিক সমাধানের খসড়া থাকা জরুরি।

৪. আমাদের খাদ্যবণ্টন ব্যবস্থার দুর্বলতাগুলো অতিমারিতে আরও প্রকট হয়েছে। সকলের কাছে সবরকম প্রয়োজনীয় খাদ্য নিয়মিত সুলভ ও সহজলভ্য করতে সরকার এবং বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর একসঙ্গে কাজ করা দরকার। একসঙ্গে বসে, একই কাজ সকলে না করে, নিজেদের মধ্যে ভাগ করে পুষ্টির এই নানান পরিষেবা চালু রাখতে সচেষ্ট হওয়া দরকার।

৫. কোভিডকালীন অপুষ্টি কিন্তু শুধুমাত্র পুষ্টির ঘাটতি হিসেবেই দেখা যাচ্ছে না। ঘরে আটকে থাকা সব বয়সের মানুষেরই খাদ্যাভ্যাসেরও পরিবর্তন হয়েছে। মানুষ লকডাউনে ঘরে থেকে যা খেয়েছেন তার অধিকাংশই হয় বেশি দিন রাখা যায় এমন খাবার অথবা সস্তা খাবার। সাধারণত এই সব ধরনের খাবারে বেশি নুন, চিনি, চর্বি বা তেল থাকে। এর ফলশ্রুতি হিসেবে অপুষ্টির অন্য মেরুর ছবি, অর্থাৎ শারীরিক ওজন বৃদ্ধি (স্থূলতা) পাচ্ছে। তার সঙ্গে বাড়ছে ডায়াবেটিস, উচ্চরক্তচাপ ইত্যাদি বেঠিক খাদ্যাভ্যাসজনিত রোগ বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা।

হয়তো এই অতিমারি অদূর ভবিষ্যতে প্রশমিত হবে, কিন্তু পুষ্টির ক্ষেত্রে এর থেকে প্রাপ্ত তথ্য ও তার থেকে পাওয়া শিক্ষাগুলোকে কাজে লাগিয়ে আমরা আগামীর জন্য প্রস্তুত হতে পারি। পৃথিবী বদলে যাচ্ছে। ভবিষ্যতে হয়তো আমাদের আরও নানান অতিমারির সম্মুখীন হতে হবে। তাই গড়ে তোলা দরকার আপৎকালীন পুষ্টি-পরিষেবা এবং দৈনন্দিন সঠিক খাদ্যাভ্যাসের সচেতনতা যা পুষ্টির চালচিত্রটি ঠিক রাখতে সাহায্য করবে।

 

About চার নম্বর প্ল্যাটফর্ম 4593 Articles
ইন্টারনেটের নতুন কাগজ

Be the first to comment

আপনার মতামত...