সমান্তরাল

সমান্তরাল -- সৌগত ভট্টাচার্য

সৌগত ভট্টাচার্য

 

“ওই শালা, কতক্ষণ লাগে একটা চাকা খুলতে?” শম্ভু পাংচার টিউবে লোহা ঘষতে ঘষতে গিয়ারকে বলে। “নিজেই তো দেখলি, মালটা কী শক্ত!” গুটকার পিক ফেলে লিভারের ওপর পা চাপ দিয়ে গাড়ির টায়ার খুলতে খুলতে গিয়ার উত্তর দেয়। “লোদর, তাড়াতাড়ি কর!” শম্ভু ধমকে বলে। গিয়ার ঠোঁটের কোণায় গড়িয়ে পড়া গুটকার পিক হাতের উপর দিয়ে মুছে রিং থেকে টিউব বের করে। লিক টিউবটায় হাওয়া দিয়ে জলে ডুবিয়ে লিক দিয়ে বের হওয়া বুদ্বুদগুলোর দিকে স্থিরদৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকে। “কী রে …” শম্ভুর ডাকে বুদ্বুদ থেকে চোখ সরিয়ে কোমর  থেকে কিছুটা নেমে যাওয়া বারমুডা তোলে গিয়ার!

রেলগুমটি থেকে স্টেশন পর্যন্ত কিলোমিটার খানেক রেললাইন ও বড় রাস্তা সমান্তরাল ভাবে চলে গেছে শহরের অন্য প্রান্তে। রাস্তার পাশে বিরাট বিরাট সবুজ গাছ। গাছগুলোর বয়স কেউ জানে না। রোদ উঠলে কালো পিচের রাস্তা জুড়ে কালো কালো আলপনা তৈরি হয় রাস্তার ওপর। বড় রাস্তার ধারের রেলের জমিতে যে বস্তি আছে সেখানে গিয়ারের ঘর। পুরানা পাকুড়গাছতলায় শম্ভুর লিক সারানোর টিনের ঝুপড়ি দোকান। “জয় মহাদেব, জয় বাবা… আমাকে একটা দারুর দোকান খুলে দাও, শুধু একটা দারুর দোকান… আজকের নম্বরটা যেন লাগে ঠাকুর!” বারমুডার পকেট থেকে একগোছা লটারি বের করে দুই হাত জোড় করে গিয়ার শম্ভুর দোকানের পাশের পাকুড়গাছের তলায় তেল-সিঁদুর মাখানো পাথরে একটা প্রণাম ঠুকে কাজে হাত দেয়। আগে শুধু চাকায় হাওয়া দিত, এখন বড় গাড়ির পাংচার সারিয়ে চাকা লাগাতে পারে গিয়ার, ডেইলি একশবিশ হাজিরা।

দোকানে এসেই বালটি নিয়ে কলের থেকে জল আনতে যায় গিয়ার। সকালের দিকে বস্তির কলে প্রচুর ভিড়। লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে হয়। এই সময় সকলেরই ব্যস্ততা। “আজকে বই দেখতে যাবি নাকি?” কলের পারে গিয়ারকে জিজ্ঞেস করে জ্যোতি। “শালা শম্ভু সন্ধ্যার আগে ছাড়বেনা!” বলে কলের মুখ বন্ধ করে গুটকার পিক ফেলে জলের বালটি নিয়ে দোকানের দিকে রওনা হয় সে। সকালের দিকে কাজের চাপ বেশি। তাই শম্ভুর চেঁচামেচিও বেশি।

 

দুই

শম্ভুর গ্যারেজের ঠিক উল্টো পাশেই সুরজলালের দারুর দোকান, মাঝখানে বড় রাস্তা। এখন বন্ধ দোকানের মরচে ধরা টিনের ঝাঁপের ওপর সিনেমার পোস্টার লাগানো থাকে। গিয়ার কাজ করতে করতে কতবার যে সেই পোস্টারগুলো দেখে! একসময় স্টেশন এলাকায় সুরজলালের দোকানে দারু বিক্রি সবচেয়ে বেশি ছিল। সুরজের টিনের দোকান মাঝামাঝি দরমার বেড়ার দিয়ে ভাগ করা, সামনের দিকে নামমাত্র চা বিস্কুট বিক্রি হত। দরমার বেড়ার পেছনে চলত দারুর কারবার। সকালের দিকে খরিদ্দার কম। দুই-একটা রিক্সাঅলা আর বাজার করতে আসা অসিত রায় রোজ আসত। লছমি চাটের চানা আর মাংস নিয়ে দোকানে আসলে সুরজ ওঁর নম্বরপ্লেটহীন বাইক নিয়ে ভাটিখানার দিকে মাল আনতে বেরিয়ে যেত। ঘন্টাখানেক লছমি দোকান সামলাত। এই লাইনে অনেক লাফড়া। লোকজনের নজর ভালো না। যদিও সুরজকে সবাই ভয় করত ওর মেজাজ আর চেহারাছবি দেখে। লছমির সঙ্গে কোনও খরিদ্দার উল্টাসিধা মশকরা করার সাহস পায়নি কোনওদিন। সকালের দিকে সুরজ ভাটিখানায় গেলে লছমিই দারু বিক্রি করত। ভাটিখানা থেকে তিনটে বড় ব্যাগে দারুর বোতলগুলো সুরজ বাইক থেকে নামালে সেগুলো সাজিয়ে রেখে লছমি বাড়ি চলে যেত। এসময় তার অনেক কাজ। রান্না করা, এঁটো বাসন মাজা, ছেলেকে স্কুলের ভ্যানে তোলা। বস্তিতে লছমিদের অবস্থা বেশ ভালো ছিল তখন, বাড়িতে টিভি কেব্‌ল লাইন ফ্রিজ সব ছিল। বিশুর বয়েস আট, মেয়েটার বয়েস পাঁচের মতো।

“রোজ গিলে আসো কেন?” লছমি সুরজকে জিজ্ঞেস করত। সুরজের দারুর দোকান হলেও রোজ তাকে দারু খেতে কখনওই দেখেনি লাছমি। “ওই শালী, তোর বাপের টাকায় খাই নাকি!” টিভির আওয়াজ বাড়িয়ে মধ্যরাত অবধি গান শুনত সুরজ, গিয়ারের ঘুম ভেঙে যেত। সুরজের মধ্যে একটা পরিবর্তন লক্ষ করছিল লছমি। গিয়ারকে জড়িয়ে ধরে কাঁদত। বস্তির লোকের সঙ্গে মাঝে মধ্যেই ক্যাচাল লাগত সুরজের। লছমি বুঝতে পারত সুরজের বাজারে ধারদেনা বাড়ছে। ভাটিখানা থেকে হাওলাতে মাল পায় না।

গিয়ারের স্কুলের নাম ছিল বিশ্বনাথ রাউৎ, লাছমি আর সুরজ বিশু বলে ডাকত। বিশুকে সুরজ বাচ্চাদের যে স্কুলে ভর্তি করেছিল, যেখানে ভদ্দরলোকের ছেলেমেয়েরা পড়ে। “কি রে, তোর বাপ তো অন্য লড়কিকে নিয়ে পালাইছে!” বিশুকে বন্ধুরা বলত। আট বছরের বিশু ফ্যালফ্যাল করে তাকিয়ে থাকত। কিন্তু কোনও উত্তর দিতে পারত না। “ওই লড়কি কি তোর মা বনে গেল?” বিশু কিছু একটা বোঝে, সবটা না। বিশু মাকে বাবার কথা জিজ্ঞেস করলে লছমি নিরুত্তর থাকত। লছমি কীভাবে বোঝায়, সুরজ বাঙালি বস্তির পূজাকে নিয়ে শিলিগুড়িতে ঘর বেঁধেছে।

“বাসাবাড়িতে কাজ ধর! কতদিন আর ঘরের জিনিস বেচে খাবি!” একই বস্তির শম্ভুর মা কমলা একদিন লছমিকে বলেছিল। “বিশুর ইস্কুল কী হবে?” জিজ্ঞেস করে লছমি কমলাকে। কমলা মেয়েটাকে আদর করতে করতে বলে, “বস্তির মানুষের মধ্যে পড়াশোনা নাই!” চোখের জল ফেলতে ফেলতে শুকিয়ে গেছে লছমির। “আমি শম্ভুকে বলে দিব, তুই বিশুকে শম্ভুর দোকানে দিয়ে দে, হেল্পারির কাজ করবে!” বিশু পাশে দাঁড়িয়ে কথাগুলো শোনে আর কেউ কিছু না বলে দিলেও বুঝতে পারে, স্কুলের বন্ধুদের সঙ্গে আর কোনওদিন দেখা হবে না!

লছমি বাসাবাড়ি কাজে যাওয়ার সময় শম্ভুর দোকানে বিশুকে রেখে যেত। মেয়েটাকে কমলার কাছে। লাল প্যান্ট পরে আর স্কুলে যাওয়া হবে না, তাই স্কুলের লাল প্যান্টটা পরেই বিশু গ্যারেজে আসত। “শালা শুয়োরের বাচ্চাকে দেখে রাখাই একটা কাজ, বাপ শালা ফুর্তি মারাচ্ছে, আমি বাচ্চা দেখছি!” শম্ভু বলত। গ্যারেজের যন্ত্রপাতি নিয়ে বিশু খেলে। শম্ভুর বিশুর ওপর মায়া স্নেহ সবই বেড়ে যায়। শম্ভু বন্ধুদের মধ্যে চ্যালেঞ্জের সুরে বলে, “এই শালাকে আমি সবচেয়ে ভালো চাকার ফিটার বানাব!” গ্যারেজের যন্ত্রপাতি নিয়ে খেলতে খেলতে কবে যে বিশু নামটা লিক হওয়া টিউবের হাওয়ার মতো মিলিয়ে গিয়ে নতুন নাম গিয়ার হয়ে গেল, কেউ জানে না!

 

তিন

“কি কাকু, অনেক দিন পর আসলা?” গিয়ার ওর দোকানে আসা গৌতম সাহাকে জিজ্ঞেস করে। “তোমার আগের ফোর নাইন নাম্বারের গাড়িটা কী করলা?” গিয়ার গৌতমকে জিজ্ঞেস করে। “বিক্রি করে দিয়েছি কবে!” গৌতম বলেন। “কত দিয়ে বিক্রি করলা?” হাতে হাওয়া মাপার মিটার নিয়ে গৌতমের মুখের দিকে তাকিয়ে থাকে। “কাকু, যদি লটারি নম্বর খেলে আর আমি যদি দারুর দোকান খুলতে পারি, তাহলে একটা দেড়শো সিসির বাইক কিনব!” “কী!” দারুর দোকানের কথা শুনে গৌতম অবাক হয়ে যায়। গিয়ার শম্ভুর গ্যারেজে আসা গাড়ির শেষ নম্বরগুলো দেখে দেখে কিছু একটা হিসেব করে হাই মিডিয়াম বা লো সিরিজের টিকিট কাটে। ওর বিশ্বাস, সেখান থেকেই নম্বর মিলিয়ে একদিন বড় নম্বর খেলবে। সেদিন ও বাপের মতো দারুর দোকান বানাবে। বাপের বন্ধ হয়ে যাওয়া দোকানের দিকে তাকায় সে। এখন সেই দোকানের ঝাঁপে একটা পোস্টার যেখানে একটা মেয়ে গিয়ারের দিকে তাকিয়ে আছে রাস্তার ওই পার থেকে। গিয়ার বাইকে হাওয়া দিয়ে গৌতমের বাইকের লুকিং গ্লাসে কালি পড়া হাতের আঙুল দিয়ে চুলটা আঁচড়ে নিয়ে পোস্টারের মেয়েটার দিকে তাকায়। পকেট থেকে গুটখা বের করে দাঁত দিয়ে ছিঁড়ে মুখে ঢালে। নেশা বলতে এই গুটকা আর নম্বর খেলা, জ্যোতিদের মতো দারু বা শুকনা নেশা করে না সে।

জ্যোতি বলছিল বই দেখতে যাওয়ার কথা। সুরজের দোকানে চিপকানো পোস্টারের মেয়েটাকে হেব্বি লাগছে গিয়ারের। শহরে এখন নতুন হল হয়েছে। সেখানে টিকিটের দাম দুই দিনের ধান্দা। পুরানো হলে টিকিটের দাম কম কিন্তু নতুন বই লাগায় না। সবাই বলে, নতুন হলে নাকি এসি, সিটগুলো হেলান দেওয়া গদির। খুব গরমে এসি চালিয়ে গাড়িগুলো যখন শম্ভুর গ্যারেজে হাওয়া দিতে আসে, পেছনের স্টেপনির চাকায় হাওয়া দেওয়ার বা টাকা দেওয়ার সময় গিয়ারের এক শিরশিরানি আরাম লাগে। গিয়ার আজ সকালে গাছের সামনে প্রণাম করতে এসে দেখে ল্যাম্পপোস্টের গায়ে একটা নতুন বইয়ের পোস্টার লাগানো। “বইয়ের লড়কিটা দেখতে মস্ত। সেই মাল!”

সন্ধ্যার শোতে আজ গিয়ার জ্যোতির সঙ্গে বই দেখতে এসেছে। কাউন্টারে টিকিট কাটতে গিয়ে গিয়ার হাঁ করে পোস্টারের লড়কিটাকেই দেখছিল। এমন হলে গিয়ার আগে কখনও আসেনি। এত নরম চেয়ার— হেলান দিলে পেছনে চলে যাচ্ছে, পায়ের কাছে নরম লাল আলো। বাইরে গুমোট গরম হলেও হলের ভেতর দারুণ আরাম। দুইবার গুটখার পিক গিলে ফেলেছে সে। যতটা সিনেমা দেখছে, তারচেয়ে বেশি মাথা ঘুরিয়ে হলটাকে দেখছে সে। সিনেমা দেখতে দেখতে এই হলের আরামে গিয়ারের কখন যে ছোটবেলার কথা মনে পড়ে যায়! বাপের দারুর দোকান, সকালে উঠে লছমির পাঁঠার ছাঁট দিয়ে চাট রান্নার গন্ধে ঘুম ভাঙত তার। বাবা দোকান খুলত, মা ওকে তৈরি করে স্কুলে পাঠাত। বোন তখনও ঘুমাত। হলের আমেজ ছোটবেলার জীবনের আরামের সমার্থক হয়ে ওঠে গিয়ারের কাছে।

“নম্বর লাগলেই দারুর দোকান খুলে বোন আর মাকে নিয়ে এই হলে বই দেখতে আসব!” এই হলে বই দেখাই জীবনের সবচেয়ে বড় সুখ বলে গিয়ার মনে করে। গিয়ার হল থেকে হেঁটে ফেরার সময় জ্যোতিকে বলে,

–ভাটিখানা থেকে আমাকে হাওলাতে মাল দিবে?
–আমি চিনায়ে দিব তোকে, বলব তুই সুরজের ব্যাটা।
–বাপের নাম বললে আর আমাকে দারু দিবে না ওরা, বাপের অনেক টাকা লোন।
–তুই শালা দারুর দোকান খুললে আমাকে তো তখন মুফতেই দারু খাওয়াবি…
–দারুর দোকান খুললে আর মাকে বাসাবাড়ি কাজ করতে দিব না!
–তোর বাপটাই শালা বেইমান!
–বোনকে আমার ছোটবেলার ইস্কুলে ভর্তি করে দিব, মা ওকে রেডি করে আমার দোকানের জন্য চাট বানায়ে আনবে! আমি দারু আনতে তখন বাইক নিয়ে ভাটিখানায় যাব!

গিয়ারের চোখ উজ্জ্বল হয়ে ওঠে। বাবার বন্ধ হয়ে যাওয়া দোকানে শম্ভু যতই বলুক পাংচার বানানোর গ্যারেজ খুলে দেবে গিয়ারকে, গিয়ার ওইখানে দারুর দোকানই খুলবে।

সন্ধেবেলা হল থেকে ফেরার সময় শিরশিরে হাওয়া গায়ে লাগে দুজনের, খুব কাছেই কোথাও বৃষ্টি হচ্ছে। গুমটির সামনে এসে জ্যোতি একটা দারুর দোকানে ঢোকে। “এই নে, ধর!” গিয়ারকে বলে জ্যোতি। কাচের গ্লাসের কাছে নাক আনতেই গিয়ার সুরজের মুখের সেই চেনা গন্ধ পায়। যে গন্ধ সুরজের দোকানে বাড়িতে ছোটবেলায় পেত। এই গন্ধ যতদিন ছিল, মাকে বাসা বাড়ির কাজ করতে যেতে হত না, গিয়ারের শম্ভুর দোকানে যাওয়া ছিল না। এক গ্লাস দারু গিলে গ্লাসটা নামিয়ে রাখে গিয়ার। খুব বমি পায় গিয়ারের। দুটো গুটকা এক সঙ্গে মুখে পুরে নেয়।

গুমটি থেকে স্টেশন পর্যন্ত রাস্তাটা সন্ধের পর নির্জন হয়ে যায়। বিকেলের পর দু-এক পশলা বৃষ্টি হয়ে গেছে এর মধ্যে, সঙ্গে ঝোড়ো হাওয়া নির্জনতাকে আরও বাড়িয়ে তুলেছে। গিয়ার সদ্য দেখে আসা বইয়ের গান গুনগুন করতে করতে টলমল পায়ে হাঁটা শুরু করে বাড়ির দিকে। ঝিরিঝিরি বৃষ্টির মধ্যে শম্ভুর দোকানের সামনে এসে দাঁড়ায় সে। আজ শম্ভুর দোকান সন্ধেবেলায় বন্ধ হয়ে গেছে। রাস্তার উল্টোদিকে সুরজের দারুর দোকান কবে শেষ খুলেছিল, গিয়ারের সেকথা আর মনে পড়ে না। সে বড় রাস্তা পেরিয়ে সুরজের ঝাঁপবন্ধ দারুর দোকানের সামনে দাঁড়ায়। টিনের ঝাঁপের ওপর সাঁটানো বইয়ের পোস্টার, যে বইটা এইমাত্র গিয়ার দেখে আসল। বইয়ের লড়কির মুখটা পোস্টারে। গিয়ার ওর হাতটা পোস্টারের মেয়েটির গালে বুলায়। ঝিরঝিরে বৃষ্টিতে গিয়ার ঝাপসা চোখে পোস্টারটাকে অপলক দেখে, পোস্টারের লড়কিটা একদম বাঙালি বস্তির পূজার মতো দেখতে! আবার চোখ কচলে তাকায়, সুরজের বন্ধ দোকানের ঝাঁপের ওপর বাঙালি বস্তির পূজা যেন পোস্টার থেকে গিয়ারের দিকেই তাকিয়ে আছে! চোখের জল যেন পাংচার টিউবের মত বুদ্বুদ হয়ে বেরিয়ে আসে, বৃষ্টির জলে তা মিলিয়েও যায় নিমেষে। দূরের রাস্তাটা ঝাপসা হয়ে যায়!

About চার নম্বর প্ল্যাটফর্ম 4664 Articles
ইন্টারনেটের নতুন কাগজ

Be the first to comment

আপনার মতামত...