জীবন-জীবিকা-পরিবেশ ও দেশের সার্বভৌমত্ব বাঁচাতে সোনম ওয়াংচুকের আন্দোলন

অমর্ত্য বন্দ্যোপাধ্যায়

 


সোনমের সরাসরি বক্তব্য, লাদাখ বলতেই আমরা যে কুমারী, বিস্তীর্ণ, অদ্ভুত প্রাকৃতিক সৌন্দর্যময় অঞ্চলকে মনশ্চক্ষে কল্পনা করে নিতে পারি, ৩৭০ ধারা বিলোপের পরবর্তীতে, কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল হিসেবে ঘোষণার পরিপ্রেক্ষিতে সেই অঞ্চল ক্রমশই ‘বিকাশ’-এর কাণ্ডারী ধনাঢ্য শিল্পপতিদের মুক্তাঞ্চল হয়ে ওঠবার পথে এগিয়ে চলেছে। অপরিকল্পিতভাবে, পরিবেশ-সংক্রান্ত বিষয়গুলির কোনওরকম তোয়াক্কা না করেই ‘বিকাশ’মার্কা একাধিক বুলডোজার-প্রকল্পের ঘোষণা করা হয়েছে। আবার সেগুলিরই কয়েকটিকে পরিবেশ-বান্ধব সাজাতে গিয়ে, আরও বড় কোনও বিপর্যয়ের অভিমুখেই লাদাখের সংবেদনশীল পরিবেশকে ঠেলে দেওয়া হচ্ছে

 

২১ মার্চ। বৃহস্পতিবার। লাদাখে সোনম ওয়াংচুকের অনশন ১৬ দিনে পা রাখল। ইতিপূর্বে সোনম ঘোষণা করেছিলেন, জাতির জনক মহাত্মা গান্ধির দীর্ঘতম অনশনপর্বকে মাথায় রেখে তিনি ২১ দিন অবধি তাঁর এই অনশন চালাবেন। যদিও তিনি এও জানিয়ে রেখেছেন, প্রয়োজনে এই অনশনকে আমৃত্যু চালাতেও তিনি পিছপা হবেন না। নয় নয় করে এক পক্ষকাল পার হয়ে যাওয়ার পর, অবশেষে র‍্যামন ম্যাগসেসে পুরষ্কারে (২০১৮) সম্মানিত, এবং ‘থ্রি ইডিয়টস’ সিনেমায় আমির খান অভিনীত জনপ্রিয় ‘র‍্যাঞ্চো’ চরিত্রটি বাস্তবে যে মানুষটির আদলে অনুপ্রাণিত, সেই সোনম ওয়াংচুকের এই আন্দোলনের খবর মূলধারার সংবাদপত্রে জায়গা করে নিতে শুরু করেছে। যদিও এই আন্দোলনের সলতে পাকানো জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারি মাস থেকেই শুরু হয়েছিল। তদুপরি, এই আন্দোলনের পিছনে বহুদিনের যে পুঞ্জীভূত অসন্তোষ তারও ভিত রচিত হয়েছিল ২০১৯-এর আগস্ট মাস নাগাদ।

২০১৯-এর ৫ আগস্ট নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন কেন্দ্রীয় সরকার ৩৭০ ধারা বিলোপের মাধ্যমে জম্মু ও কাশ্মিরে রাষ্ট্রপতি শাসন জারি করে। একই সঙ্গে কাশ্মির ও লাদাখকে প্রশাসনিকভাবে আলাদা করে দিয়ে, সেই দুই অঞ্চলকে আলাদা দুইটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল হিসেবে ঘোষণা করা হয়। প্রাথমিকভাবে লাদাখের মানুষ এই ঘোষণার ফলে নিজেদের প্রশাসনিকভাবে স্বতন্ত্র মনে করে সন্তুষ্ট হয়েছিল। মোদি সরকারের তরফে তাঁদের এ-ও আশ্বাস দেওয়া হয় যে, অচিরেই লাদাখ অঞ্চলকে ষষ্ঠ তফশিলের অন্তর্ভুক্ত করা হবে এবং লাদাখবাসীকেও নিজস্ব প্রতিনিধিত্বের সুবিধা দেওয়া হবে। সেই থেকে আজ পাঁচ বছর অতিক্রান্ত। লোকসভা নির্বাচনের পর জম্মু-কাশ্মিরে বিধানসভা নির্বাচন হবে বলে সরকারের তরফে ঘোষণা করা হলেও, লাদাখে স্বায়ত্তশাসনের বিষয়ে সরকার হাত ঝেড়ে ফেলেছে। সোনমের বক্তব্য, লাদাখি মানুষ সরল বিশ্বাসে এতদিন বিজেপি প্রতিনিধিদের হিল কাউন্সিল নির্বাচনে অথবা লোকসভায় নির্বাচিত করে এলেও, এবারে সেই বিশ্বাসের বাঁধ ভেঙেছে। সোনম ওয়াংচুকের নেতৃত্বে লাদাখি মানুষের এই বৃহত্তর আন্দোলনের অন্যতম দাবিগুলি হল,

  1. লাদাখ অঞ্চলকে পূর্ণ রাজ্যের মর্যাদা দিতে হবে।
  2. অবিলম্বে ষষ্ঠ তফশিলে লাদাখকে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।
  3. লাদাখের নিজস্ব পাবলিক সার্ভিস কমিশন তৈরি করতে হবে।
  4. লাদাখি মানুষের প্রতিনিধিত্বের জন্য অন্তত দুইজন সাংসদ অথবা সেই হিসেবে মোট দুইটি লোকসভা আসন বরাদ্দ করতে হবে।

সোনম ও তাঁর সমর্থক লাদাখিরা মনে করেন, যেখানে ৫০ শতাংশের বেশি আদিবাসী-জনজাতি জনসংখ্যা থাকলেই কোনও অঞ্চল ষষ্ঠ তফশিলের অন্তর্ভুক্ত হতে পারে, সেখানে লাদাখের সম্পূর্ণ অঞ্চল, যে-অংশে মোট জনসংখ্যার ৯৭ শতাংশেরও বেশি মানুষ আদিবাসী-জনজাতি গোষ্ঠীভুক্ত, সেই অঞ্চলকে ষষ্ঠ তফশিলে অন্তর্ভুক্ত করতে সরকারি গড়িমসির পিছনে আদতে কোনও বৃহত্তর অন্য(?) উদ্দেশ্য কাজ করেছে। এই কারণেই তাঁরা নিজস্ব আইনসভার মাধ্যমে স্বায়ত্তশাসনের অধিকার চান। পূর্ণ রাজ্যের মর্যাদা দাবি করেন। দিল্লি থেকে নির্ধারণ করে দেওয়া কোনও বহিরাগত প্রশাসকের অধীনে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল হয়ে থাকতে তাঁরা অপারগ। তাঁরা স্পষ্টই জানিয়েছেন, বহিরাগত কোনও প্রশাসকের পক্ষে তিন বছরের ডেপুটি হিসেবে লাদাখের প্রশাসক হয়ে আসা কার্যত সরকারি খরচায় ভ্রমণেরই সমতুল। কারণ, তাঁদের অধিকাংশই লাদাখের ভূমিরূপ, জলবায়ু, অর্থনীতি ও সমাজ সম্পর্কে অচেতন, এবং তাঁরা কাজ করবেন কেন্দ্রীয় সরকারের বেঁধে দেওয়া মন্ত্র অনুসারেই। যে-মন্ত্রের মাধ্যমে কেবল অপরিকল্পিত একতরফা ‘বিকাশ’-এরই বুলডোজার, যা বিগত দশ বছর ধরে আমরা হাঁকডাকিয়ে সারা দেশ জুড়ে চলাচল করতে দেখেছি। লাদাখের এই আন্দোলন তাই দাবিগুলির দিক থেকে দেখলে যতখানি রাজনৈতিক, ভিতর থেকে অনুধাবন করলে তার পিছনে কিন্তু সততই খুঁজে পাওয়া যাবে পরিবেশ ও হিমালয় সংরক্ষণের মতো একেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।

সোনমের সরাসরি বক্তব্য, লাদাখ বলতেই আমরা যে কুমারী, বিস্তীর্ণ, অদ্ভুত প্রাকৃতিক সৌন্দর্যময় অঞ্চলকে মনশ্চক্ষে কল্পনা করে নিতে পারি, ৩৭০ ধারা বিলোপের পরবর্তীতে, কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল হিসেবে ঘোষণার পরিপ্রেক্ষিতে সেই অঞ্চল ক্রমশই ‘বিকাশ’-এর কাণ্ডারী ধনাঢ্য শিল্পপতিদের মুক্তাঞ্চল হয়ে ওঠবার পথে এগিয়ে চলেছে। অপরিকল্পিতভাবে, পরিবেশ-সংক্রান্ত বিষয়গুলির কোনওরকম তোয়াক্কা না করেই ‘বিকাশ’মার্কা একাধিক বুলডোজার-প্রকল্পের ঘোষণা করা হয়েছে। আবার সেগুলিরই কয়েকটিকে পরিবেশ-বান্ধব সাজাতে গিয়ে, আরও বড় কোনও বিপর্যয়ের অভিমুখেই লাদাখের সংবেদনশীল পরিবেশকে ঠেলে দেওয়া হচ্ছে। এই কারণেই লাদাখের স্বায়ত্তশাসন জরুরি। এ-ধরনের প্রকল্প-পরিকল্পনার সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে লাদাখি মানুষের সরাসরি অংশগ্রহণ জরুরি। তদুপরি, ‘বিকাশ’এর নামে, সম্পূর্ণ অবৈজ্ঞানিকভাবে, পরিবেশ দূষণ ঘটিয়ে খনিজসম্পদ উত্তোলনের যে চক্রান্ত, তাঁকে রুখতে চাইলে ষষ্ঠ তফশিলের অন্তর্ভুক্তি সেখানকার জনজাতীয় মানুষের কাছে অন্যতম আইনি হাতিয়ার হয়ে উঠতে পারে। সেকারণেই সোনমের অনশনের দাবিগুলির মধ্যে ষষ্ঠ তফশিলে লাদাখের সরাসরি অন্তর্ভুক্তির বিষয়ে জোর দেওয়া হয়েছে।

কয়েকটি উদাহরণ দেওয়া যাক। পুনর্নবীকরণযোগ্য শক্তির উৎস হিসেবে ভূতাপশক্তির ব্যবহার পৃথিবীতে গুরুত্ব পেলেও এখনও সেই শক্তি নিষ্কাশনের বিষয়টি গবেষণাসাপেক্ষ ও নির্ভরশীলতার দিক দিয়ে তেমন পরীক্ষিত নয়। সে অবস্থায় লাদাখের পুগা উপত্যকা অঞ্চলে বেশ কয়েকটি উষ্ণপ্রস্রবণকে চিহ্নিত করে ২০২২ সাল নাগাদ সেগুলির কাছাকাছি জমিতে খননকার্য চালিয়ে ওএনজিসি-র তরফে ভূতাপশক্তি উৎপাদনের চেষ্টা করা হয়। কিন্তু ভূগর্ভ থেকে অধিক পরিমাণে পরিবেশ-দূষণকারী তরল সেই খোঁড়াখুঁড়ির ফলে বের হয়ে এলে, শেষ অবধি সেই প্রকল্প এখনও অবধি বন্ধ রাখা হয়েছে। এরফলে স্থানীয় জনজাতি, পশুপালক যাযাবর গোষ্ঠীগুলিকে যে উৎখাতের মুখে পড়তে হচ্ছে, সেই বিষয়ে স্বভাবতই কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিদের কোনও হেলদোল থাকে না। এছাড়াও, সৌরশক্তি উৎপাদনের নামে লাদাখের চাংথাং অঞ্চলে বিপুল পরিমাণে জমি অধিগ্রহণ করা হয়েছে। যা কিনা স্থানীয় চাংপা যাযাবর গোষ্ঠীর সদস্যদের পশুপালনের ক্ষেত্রে বিরাট বাধার সৃষ্টি করেছে। কারণ, এই চাংথাং অঞ্চলের বিস্তীর্ণ সবুজ অঞ্চলই চাংপা গোষ্ঠীর পশুপালকদের কাছে পশুচারণক্ষেত্র হিসেবে কাজ করত। তারও সঙ্গে মনে রাখতে হবে এই চাংপা গোষ্ঠীর মানুষেরাই তাঁদের পালিত ভেড়ার লোম থেকে পৃথিবীর শ্রেষ্ঠতম কাশ্মিরি পশম, পশমিনা উৎপাদন করে থাকে। ‘বিকাশ’-এর নামে এই যে দুটি আত্মধ্বংসী প্রকল্পের উদাহরণ দিলাম, সেগুলিও যে নেহাতই নগণ্য ও অতিশয় ‘নিরাপদ’ উদাহরণগুলিরই মধ্যে পড়ে, ওয়াকিবহাল পাঠককে আর সেই বিষয়ে আলাদা করে বলার প্রয়োজন দেখি না।

এরই পাশাপাশি রয়েছে লাদাখের সার্বভৌমত্বের প্রশ্নে কেন্দ্রীয় সরকারের সততার প্রসঙ্গ। সোনম ইতিমধ্যেই ঘোষণা করেছেন, ২১ দিনের অনশনের পর শরীরের অবস্থা বিবেচনা করে তিনি পায়ে হেঁটে লাদাখি মানুষদের সঙ্গে নিয়ে চিন সীমান্তের দিকে এগোবেন। তাঁর স্পষ্ট অভিমত, উত্তর সীমান্ত অঞ্চল থেকে কয়েক হাজার বর্গকিলোমিটার অঞ্চল এই মুহূর্তে চিনা অনুপ্রবেশকারী সেনার দখলে চলে গিয়েছে। সরকারের উদ্দেশ্যে সরাসরি চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়ে সোনম বলেছেন, সরকার তার দমনমূলক শাসনযন্ত্রকে ব্যবহার করে, সেনাবাহিনি নামিয়ে সোনমকে তাঁর এই সীমান্ত-অভিমুখে হেঁটে যাওয়ার সিদ্ধান্ত থেকে বিরত করার চেষ্টা করতে পারে। কিন্তু সে-কাজ করার অর্থই দাঁড়াবে, সরকার কোনও সত্যকে লুকোতে চায়। সরকার কোনও অপ্রিয় সত্যকে জনসাধারণের চোখের আড়ালে রাখতে বদ্ধপরিকর।

সোনম আরও জানিয়েছেন, সম্ভাব্য পরিকল্পনা হিসেবে লাদাখের মাটির তলায় ইউরেনিয়ম, লিথিয়মের মতো খনিজ সম্পদ উত্তোলনের বিষয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে। বলার অপেক্ষা রাখে না, এতদিনকার ট্র্যাডিশন অনুযায়ী সেই খনিজ সম্পদ উত্তোলনের ক্ষেত্রেও পরিবেশগত বিষয়গুলিকে এই সরকারের তরফে কোনওদিক থেকেই মাথায় রাখা হবে না। অর্থাৎ, কেন্দ্রের পুতুল প্রশাসকের আসনে একেকজন মনোনীত মানুষের দায়িত্বহীন অঙ্গুলিহেলনের মাধ্যমেই বিস্তীর্ণ লাদাখের সমস্ত বাস্তুতন্ত্র, পরিবেশ, জলবায়ু, বিপদের মুখে পড়বে। সেই কারণেই এখন লাদাখের মানুষ নিজেদের ভালটাকে নিজেরাই বুঝে নেওয়ার অধিকার চাইছেন।

হিমাঙ্কের নিচে উষ্ণতায় বাস্তবের ‘র‍্যাঞ্চো’ সোনম ওয়াংচুকের অনশন জারি রয়েছে। তাঁর শরীর এখনও অবধি সচল থাকলেও, এমন পরিবেশ-পরিস্থিতিতে যে কোনও সময়েই বিপদের আশঙ্কা রয়েছে। অথচ সংবাদমাধ্যম থেকে সামাজিক পরিসর, কোনও ক্ষেত্রেই আর বাস্তবের ‘র‍্যাঞ্চো’র এই অনশনকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা দেখা যাচ্ছে না। আমাদের মতো কেউ কেউ কেবল আশঙ্কিত হয়ে পড়ছি, গঙ্গা-বাঁচাও আন্দোলনের অন্যতম কাণ্ডারী গুরুদাস অগ্রবালকে কিন্তু শেষ অবধি অনশনেই মৃত্যুবরণ করতে হয়েছিল। একজনও কেউ তাঁর পাশে দাঁড়াতে তখন এগিয়ে আসেনি। পর্দার ‘র‍্যাঞ্চো’কে নিয়ে আমরা যতই হইচই করি না কেন, অথবা সামাজিক মাধ্যমে আত্মপ্রচারের উদ্দেশ্যে যতই আমরা লাদাখ-ভ্রমণের দুর্ধর্ষ সব ছবি প্রচার করতে ব্যস্ত হয়ে পড়ি না কেন— সেই অঞ্চলের সাধারণ মানুষ, প্রান্তিক মানুষ, তাঁদের জীবন, জীবিকা, পরিবেশ, এর কোনও কিছুই আমাদের কাছে বোধহয় বাস্তবে ততটাও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠতে পারে না। সোনমের বদলে আমরা বম্বের কোনও অভিনেতাকেই তখন, ‘নকল সোনম’ হিসেবে মনে রাখতে ভালবাসি। বাস্তবের লাদাখ অথবা এমন আরও কোনও জায়গার পরিবেশ, অথবা সেখানকার মানবাধিকার-সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলির প্রসঙ্গে, আদতে আমাদের আর এতটুকুও আগ্রহ নেই এখন।


*মতামত ব্যক্তিগত

About চার নম্বর প্ল্যাটফর্ম 4662 Articles
ইন্টারনেটের নতুন কাগজ

2 Comments

  1. অমর্ত্য আমার প্রিয় একজন লেখক। বয়সে নবীন অথচ ভাবনা ও চিন্তার পরিপক্কতার বিচারে বেশ প্রাজ্ঞ এবং প্রবীণ। এই বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করব বলে ভাবছিলাম ঠিক তখনই অমর্ত্যর লেখাটি এসে দরজায় কড়া নাড়লো। নিজেকে নিবৃত্ত করলাম পরম স্বস্তিতে যে যোগ্য মানুষের হাতেই আলোচনার ভার পড়েছে। সোনমের আন্দোলন অনেক নতুন প্রশ্ন তুলে ধরছে। রাষ্ট্রনায়করা আমাদের চাওয়া পাওয়াকে উপেক্ষা করে যান। তাই কয়েকজন বিশ্বস্ত সহচরকে সঙ্গে নিয়ে মাঠে নেমেছেন সোনম। লাদাখের মানুষের কাছে সরকারের দায়বদ্ধতাকে এড়িয়ে যাওয়া কখনোই সমীচীন নয়।
    অমর্ত্যর সঙ্গে সুর মিলিয়ে আমরাও দ্রুত লাদাখের মানুষের সঙ্গত দাবীর সুষ্ঠু সমাধান দাবি করছি।

    • সোমনাথবাবু, আপনার কাছ থেকে এই মন্তব্য আমার কাছে বড় প্রাপ্তি। অভিজ্ঞতায়, শিক্ষানবিশিতে আরও লিখতে চাই। পরিবেশ, মানুষের বিষয়ে লিখতে চাই। লাদাখে যে ঘটনা ঘটে চলছে, তারও আগে উত্তরাখণ্ড হিমালয়ের একাধিক ঘটনায় আমাদের সরকারের যে চরম হৃদয়হীন মনোভাব, তাতে আশঙ্কিত বোধ করি। আরও আশঙ্কা হয় গড়পড়তা সাধারণ মানুষের চরম unperturbed মনোভাব দেখে। আমরা তবুও কেবল লেখার মধ্যে দিয়ে চেষ্টা করতে পারি। আশীর্বাদ করবেন। সকলে সবকিছু পড়ুক, জানুক। এটুকুই চাওয়া আমাদের।

আপনার মতামত...