রামরাজ্য: যা ছিল, যা হইল…

রামরাজ্য: যা ছিল, যা হইল… | অত্রি ভট্টাচার্য

অত্রি ভট্টাচার্য

 

এক অজানা কমরেড

‘কমিউনিজমের প্রকৃত উদ্দেশ্য হল, পৃথিবীর বুকে রামরাজ্য প্রতিষ্ঠা করা’— বলেছিলেন সত্যভক্ত, ১৯২৫-এর ২৬ ডিসেম্বর কানপুরে হওয়া প্রথম ইন্ডিয়ান কমিউনিস্ট কনফারেন্সের প্রধান আয়োজক ও সংগঠক। আজকের জয় শ্রী রাম ধ্বনিমুখর দাঙ্গা-দাবদাহের মুখোমুখি এই কথা শুনে আমরা আঁতকে উঠলেও, এই আধা-খ্যাচড়া লেটক্যাপিট্যালিস্ট ভারতবর্ষে, হিন্দুরাষ্ট্রের দোরগোড়ায় কড়া নাড়তে থাকা দেশে একজন কমিউনিস্ট যিনি নাকি ‘রামরাজ্য’-র কল্পনা করেছিলেন মার্ক্সবাদের আলোকে, সেই সত্যভক্তের কথা নবীন রাজনৈতিক কর্মীর কাছে আসেনি কখনও। নিছক রাজনৈতিক অ্যাপ্রোপ্রিয়শনের জন্য নয়, গান্ধির ‘রামরাজ্য’, সঙ্ঘের ‘রামরাজ্য’ ও কমিউনিস্ট সত্যভক্তের ‘রামরাজ্য’— পাশাপাশি রেখে ভাবনাবিশ্বে ‘বৈচিত্র্যের মধ্যে ঐক্য’ বিষয়টিকে আরও একবার আমাদের বুঝে নিতে হবে। গোঁড়া ইউরোপমনা-অ্যাথেইজম থেকে সরে সত্যভক্ত বলেছিলেন দেশজ অ্যাপোকেলেপটিকের কথা, আসন্ন ‘প্রলয়’-এর কথা, যার পরে ধংব্বসের মুখোমুখি হবে পুঁজিবাদ ও সাম্রাজ্যবাদ একত্রে, এবং কমিউনিস্ট ইউটোপিয়ার সঙ্গে তিনি দিলেন ‘রামরাজ্য’-এর রোমান্টিক উত্থানের মিশেল, দাবি করলেন পরবর্তীতে যে উপনিবেশের দাসশৃঙ্খল ভেঙে প্রলেতারিয়েত উত্থান ঘটবে তাই হবে পুনরায় ধরাধামে ‘সত্যযুগে’র আগমন। গণরাজনীতির বৃত্তে হিন্দু ধর্মের সাংস্কৃতিক চিহ্নাবলির কোনও প্রগতিশীল ব্যবহার, এমনকি নেহাত প্রতিরোধের জন্য ব্যবহার দেখলেই রে রে করে উঠছেন যাঁরা, তাঁরাই আবার ‘লিবারেশন থিওলজি’ শুনলে উৎসাহিত বোধ করেন। আদপে তাঁরা ভুলে যান, মার্ক্সবাদ গতিশীলতায় বিশ্বাসী, ছুৎমার্গের কোনও স্থান সেখানে নেই। সত্যভক্তের আরও একটি উল্লেখযোগ্য অবদান ছিল এই যে, প্রথম যুগের ভারতীয় মার্ক্সবাদীদের মধ্যে তিনিই মাতৃভাষায় কমিউনিজমের চর্চা শুরু করেন, বর্জন করেন সংস্কৃতঘেঁষা হিন্দি, লিখতে শুরু করেন সহজবোধ্য, কথ্য ভাষায়, ব্যবহার করতেন জনতার নিজস্ব শব্দভাণ্ডার। মার্ক্সবাদী সমাজতত্ত্ব ও হিন্দু বিশ্ববীক্ষার মিশেলে তাঁর পুস্তিকা ‘সাম্যবাদ কে সিদ্ধান্ত’ বেরোয় ১৯৩৪-এ। যার প্রচ্ছদে বিদ্যমান ছিল, হিন্দুদর্শনের পবিত্রতম শব্দ— ‘ওম’। সত্যভক্ত নিজের হিন্দুসত্তা ও কমিউনিস্ট-সত্তাকে এক অদ্ভুত দড়িতে বাঁধলেন এবং বললেন, ‘কমিউনিজমের প্রগতির লক্ষ্যে কাজ করতে গিয়ে আমি সবসময় মাথায় রেখেছি ভারতীয়তার বিশেষত্বের কথা এবং ভারতীয় সংস্কৃতির মূলগত চরিত্রের কথা, যদি ভারতবর্ষের জনগণের মধ্যে আধ্যাত্মিকতার প্রভাব থেকে থাকে, তবে তাকে কমিউনিজমের প্রায়োগিক ক্ষেত্রে ব্যবহারে আমি কোনও ভুল দেখি না।’ আদপে, সত্যভক্ত যা চাইছিলেন তা হল, হিন্দু নীতিশাস্ত্রের কাঠামোর সঙ্গে কমিউনিজমের সামঞ্জস্য দেখিয়ে ভারতবর্ষের স্বাধীনতাকামী জনগণকে সমাজতান্ত্রিক রাজনীতিতে আকর্ষিত করতে। ‘ধর্ম’কে তিনি ধারণের, সহনশীলতার অনুশীলন হিসাবে দেখছেন, ‘সংস্কার’কে ব্যবহার করতে চাইছেন ইউরোকেন্দ্রিক সাম্রাজ্যবাদের বিরুদ্ধে সাম্যের রাজ্য প্রতিষ্ঠার স্বপ্ন বোনার জন্য। তবুও কিছু প্রশ্ন থেকেই যাবে নারীবাদী ও দলিত চিন্তকদের মহল থেকে। কারণ, রামায়ণ আখ্যানে সীতা ও শম্বুকের যে ‘রাজনৈতিক’ পরিণতি, তাদের লিঙ্গ ও বর্ণগত পরিচয়ের ফলে। এর উত্তর সত্যভক্ত খানিক নিজের জীবন ও নিজের কিছু লেখায় দিয়ে গেছেন। কর্মেন্দু শিশিরের ‘সত্যভক্ত অউর সাম্যবাদী পার্টি’ বইটির ২৯নং পৃষ্ঠায় জ্বলজ্বল করছে, সত্যভক্তের একজন দলিত মহিলাকে বিবাহের কারণে তৎকালীন সামাজিক মুরুব্বিদের জিভ ও চাবুকের দাগ। সত্যভক্ত নিজে তাঁর আরও একটি বই— ‘রামায়ণ মে স্ত্রী জাতি’তে স্পষ্টতই বলছেন, তুলসীদাসী রামায়ণে ‘স্ত্রী জাতি সম্পর্কে অনুচিত আক্ষেপ’ করা হয়েছে, এমনকি তুলসীদাসের নারীসমাজকে ‘ধূর্ত’ ও ‘কপট’ বলাকেও সত্যভক্তের ‘ক্ষমার অযোগ্য’ অপরাধ মনে হয়েছে। আজ এই মুহূর্তের রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে এক অন্য ভারতবর্ষের, অন্য সাম্যচিন্তার এই মানুষটিকে বড়ই প্রয়োজনীয় মনে হয়।

 

DJ BOX হিন্দুত্ব ও রামলালা

নাম লক্ষী দুবে, বয়স আঠাশের এই ভোপালী গায়িকা, একদা ভ্রাম্যমান স্টেজে ভজন গাইতেন, এখন তাঁর গেরুয়ারঞ্জিত মিউজিক ভিডিওতে, ইউটিউবে প্রায় ২০-মিলিয়ন ভিউ। তার সবথেকে হিট সেই ২০১৭-তে রিলিজ হওয়া গানটির নাম: ‘হর ঘর ভগওয়া ছায়েগা’। গানটির সবথেকে জনপ্রিয় লাইন ‘খুন সে তিলক করো, গোলিও সে আরতি’। বলা বাহুল্য, গানটি অযোধ্যার মন্দির নির্মাণের পক্ষে ও হিন্দুত্বের ‘শত্রু’বিনাশের প্রচারসঙ্গীত। দুবে নিজে মধ্যপ্রদেশের সঙ্ঘ ও বিশ্ব হিন্দু পরিষদের আয়োজিত অনুষ্ঠানে গেয়ে থাকেন, তাঁকে দেখা গিয়েছে বিজেপির ভোটপ্রচারে।

ইন্টারনেটের কল্যাণে সঙ্ঘের আর সাংস্কৃতিক কর্মীর অভাব নেই। যেমন, বিহারের ছাপরা জেলার ২৫-বর্ষীয় সৌরভ পান্ডে, এই কট্টরপন্থী হিন্দু যুবা, যার ইউটিউব চ্যানেল ‘দেবা মিউজিক চ্যানেলে’র সাবস্ক্রাইবার সংখ্যা ১ লক্ষ ৭০ হাজার ছাপিয়ে গিয়েছে। সৌরভ ও তার ভাই নিয়মিত বিভিন্ন ভোজপুরি গান, বিশেষত যেগুলোতে ‘পাকিস্তানি মোল্লা’দের কচুকাটা করার কথা বলা হয়ে থাকে সেগুলি আপলোড করে থাকে। যদিও রামনবমীর শোভাযাত্রায় মসজিদমুখী জুকবক্সের হিটলিস্টে সবথেকে উপরের দিকে থাকে, ঘোষিত বজরঙ্গী সন্দীপ চতুর্বেদীর ‘টোপিওয়ালা ভি সর ঝুকাকে জয় শ্রী রাম বোলেগা’ গানটি। বাংলা, বিহার ও তেলেঙ্গানার বিভিন্ন স্থানের গেরুয়া-জনসমাবেশ থেকে এই ইসলামোফোবিক গানটি বাজানো হয়েছে বলে, বহু প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ রিপোর্টে বলা হয়েছে। ‘হিন্দুত্ব আজ বিপদে’— এই ন্যারেটিভ জলহাওয়া তো অনেকদিনই পেয়েছিল, এখন নিজেদের জাতীয় সঙ্গীত ও গুণী সঙ্গীতজ্ঞও তারা পেয়ে গিয়েছে। ভারতের হিন্দু-ফ্যাসিস্টদের নয়া আবিষ্কার এই জেবিএল বক্সে বাজতে থাকা দাঙ্গার গান।

গোটা দেশ জুড়ে ডিজে-মিক্সে, রামনবমী উপলক্ষে ধ্বনিত হল হিন্দু-জাতীয়তাবাদী ঘৃণার সাউন্ডট্র্যাক: ‘মে হিন্দু জাগানে আয়া হু, মে হিন্দু জাগাকর যায়ুঙ্গা, মরতে দম তক আপনে মুখ সে জয় শ্রী রাম গায়ুঙ্গা’, অযোধ্যা-রামমন্দির আন্দোলনের বিখ্যাত স্লোগান, ‘রামলালা হাম আয়েঙ্গে, মন্দির ওহি বানায়েঙ্গে’র সঙ্গে রিমিক্সে বাজানো হল: ‘হিন্দুস্থান মে রেহেনা হোগা, জয় শ্রী রাম কেহেনা হোগা’। গণেশ চতুর্থী থেকে রামনবমী সকল হিন্দু-উৎসবে হটকেকের মত জনপ্রিয় এইসব গান তৈরি করে, প্রতিষ্ঠিত ডিজেরা গান প্রতি ৮০০-১০০০ টাকা রোজগার করছেন। কারণ, ডিজিটাল ভারতে ঘৃণার মূল্য, ঘৃণার জনপ্রিয়তা, ভক্তিভাবের থেকে বেশি। যেটা বুঝতে আমাদের একটু দেরি হয়ে যাচ্ছে, যে এই আসমুদ্র-হিমাচল ট্রান্স ও স্যাভি বিটে নাচতে থাকা হিন্দুত্ববাদী তরুণদের মিছিল, আসলে এক নতুন সাংস্কৃতিক রাজনীতির নির্মাণ করে ফেলেছে। যার শাব্দিক প্রভাব, কেবলমাত্র একজন সংখ্যালঘু মানুষই বুঝতে পারবেন। এখন দাঙ্গার জন্য কোনও রথ বের করতে হবে না, কোনও মার্গদর্শক আদবানির প্রয়োজন নেই আর, এখন একজন সুদক্ষ ডিজে আর একদল বেকারত্বে জর্জরিত, নিজের শ্রেণি-অবস্থান ও নিজের জাতিগত অবস্থান সম্পর্কে অসচেতন গর্বিত হিন্দু যুবকই যথেষ্ট, বর্ণাঢ্য ফ্যাসিস্ট মিলিশিয়া তৈরি করার জন্য। এই মিছিলগুলোতে আসা যুবকেরা কোনও বিশেষ রাজনৈতিক দলের সদস্য সবসময় এমনও নয়, আসলে তারা গণসংস্কৃতিতে লুকিয়ে থাকা সাম্প্রদায়িকতার সুপ্ত বীজ, যা এই ডিজে বক্স হিন্দুত্ব উসকে দিয়েছে মাত্র, এবং তারা দল বেঁধে নৃত্যরত, চলেছে মোল্লানিধন করতে। বিপ্লবকে উৎসবে পরিণত করা ছিল সমাজতান্ত্রিক শক্তিগুলির কর্তব্য, তা না ঘটায় ফ্যাসিস্ট শক্তিগুলি জনসংস্কৃতি ও শিল্পের টেকনোক্র্যাট প্রয়োগের মিশেলে মুসলিম-বিদ্বেষকে নয়া-ভারতের উৎসবে পরিণত করেছে।

 

আপাতত কাটিহার ও বাপুর চশমা

ন্যায় ও সমতার প্রতিভূ হিসেবে রামরাজ্যের ভাবধারাকে ঔপনিবেশিক ভারতবর্ষে প্রতিষ্ঠিত করেছিলেন মহাত্মা গান্ধি। গান্ধি, যিনি নিজের আদর্শ হিন্দু সত্তাকে খুঁজে পেয়ে ছিলেন অহিংসার রাজনৈতিক প্রয়োগে, তাঁকেও আজকের হিন্দুত্ববাদীরা দাগিয়ে দিচ্ছে ‘হিন্দুবিরোধী’ হিসেবে। অসহযোগ আন্দোলনই হোক, ভারত ছাড়োই হোক অথবা গান্ধির সত্যাগ্রহ— সবই ছিল ‘পদযাত্রা’, এতটাই গান্ধির রাজনীতিতে ও জনসংযোগে প্রভাব ছিল রামকথার। গোলওয়ালকর-সাভারকরদের মতো সঙ্ঘী গুরুদের শিক্ষায় শিক্ষিত নাথুরাম গডসের গুলি খেয়ে উচ্চারিত হয়েছিল তার মুখ থেকে দুটি শব্দ— ‘হে রাম’!

জীবনের শেষপ্রান্তে রাজনৈতিকভাবে কোণঠাসা সেই ‘নগ্ন ফকির’ গান্ধি যখন হাঁটছেন নোয়াখালির দাঙ্গা থামাতে, সেই ঐতিহাসিক মুহূর্তে তাকেই মানবতার প্রতীক মনে হয়। তার প্রিয় ভজন— ‘রঘুপতি রাঘব রাজা রাম’ পরবর্তীতে আমেরিকার বামপন্থী সিভিল রাইটস অ্যাক্টিভিস্ট, বিশ্বশান্তির ধ্বজাধারী পিট সিগারের গলাতেও আমরা শুনেছি। মানুষকে একাত্ম করা, এবং ঈশ্বরকে এক মঙ্গলময় শান্তিকামী অস্তিত্ব হিসাবেই দেখা, তার শত সীমাবদ্ধতা সম্পর্কে শিখিয়েছেন গান্ধি।

১৯৮৯-তে প্রয়াত প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধি, কংগ্রেসের ইলেকশন ক্যাম্পেনে গান্ধিবাদী দ্যোতনায় ‘রামরাজ্য’ কথাটির পুনরায় রাজনৈতিক প্রয়োগ ঘটান। যদিও, পরবর্তীতে শাহবানু মামলায় কোণঠাসা জাতীয় কংগ্রেস, পপুলিস্ট রাজনীতি করতে গিয়ে সঙ্ঘের রামমন্দির আন্দোলনকে নিজেরাই রাস্তা ছেড়ে দিয়েছিল। এরপর থেকে ‘রামলালা’ হয়ে ওঠেন ভারতীয় জনতা পার্টির রাজনৈতিক প্রতীক, এবং গান্ধির নিজের দলই তার উত্তরাধিকার হারায়। আজ সারা দেশের ধনসম্পত্তি গিয়ে জড়ো হয়েছে এক শতাংশ পুঁজিপতিদের হাতে, আর সঙ্ঘীরা গান্ধির ছবি টাঙিয়ে এই অসম বর্বরতাকে রামরাজ্যের নাম দিয়ে চালাচ্ছে, এর দায় জাতীয় কংগ্রেসের দীর্ঘ দুনীর্তিগ্রস্ততা ও ভোটমুখী-পুঁজিবান্ধব রাজনীতির কাঁধেই বর্তায়।

একদা, গান্ধি একদল সন্তকে বলেছিলেন, যদি কেউ শুধু নিজের ভালো চেয়ে ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করেন, আর দুর্বল মানুষের সুরক্ষার জন্য না করেন, তবে তা পাপ। শাসক ও জনতার, ধনী ও গরিবের সমঅধিকারের ভূমিকেই, গান্ধি রামরাজ্য বলেছিলেন। গান্ধি ১৯২৯-এ ‘ইয়ং ইন্ডিয়া’ প্রবন্ধে লিখছেন—

‘রামরাজ্য বলতে আমি কখনওই হিন্দুদের একচ্ছত্র আধিপত্যময় রাষ্ট্র বোঝাই না। আমার কাছে প্রভু রামের শাসনের অর্থ হল, ঈশ্বরের সাম্রাজ্য। আমার জন্য রাম ও রহিম, এক ও অভিন্ন। আমি সেই পরম সত্য ও সদাচার ব্যতীত আর কোনও ঈশ্বরকে মানি না।’

অথচ এত দোলাচলেও খবর আসে বুদ্ধদেবের বোধিলাভের মাটি বিহার থেকেই, যেখানে রামনবমীতে কাটিহার প্রদেশের সাধারণ হিন্দু জনতা মানববন্ধন তৈরি করে পাহারা দিলেন মসজিদ, উন্মত্ত হিন্দুত্ববাদীদের হাত থেকে মুসলিম জনসম্প্রদায়কে রক্ষা করার জন্য। এই ঘটনার ভিডিও টুইট করে এখনও মানবতার দৃষ্টান্ত স্থাপনের জন্য ধন্যবাদ জানিয়েছেন সহনাগরিক ওয়াইস সুলতান খান। নিজের জীবন দিয়ে রাম-রহিমকে ভ্রাতৃঘাতী দাঙ্গা থেকে বিরত করতে পেরেছিলেন যিনি, যিনি আজ স্বচ্ছ ভারতের বিজ্ঞাপনের একটি চশমায় পর্যবসিত হয়েছেন, সেই বাপু জীবিত থাকলে হয়তো বলতেন, বেঁচে থাকো কাটিহার, দীর্ঘায়ু হও, সবকো সম্মতি দে ভগবান!

 

About চার নম্বর প্ল্যাটফর্ম 4888 Articles
ইন্টারনেটের নতুন কাগজ

Be the first to comment

আপনার মতামত...