সেই চাঁদের পাহাড়

সেই চাঁদের পাহাড় [৭] | অয়নেশ দাস

অয়নেশ দাস

 

পূর্ব প্রকাশিতের পর

উপসংহার

মহাপৃথিবীর মাঝখান দিয়ে চলে গিয়েছে তীক্ষ্ণ আলের মতো এক রেখা। দুইদিকে বেঁকেছে দুই পথ। একদিকে ক্রমাগত বদল, ক্রমাগত পরিবর্তনের উচ্চকিত উৎসবযাপন। সতত পরিবর্তনশীল তীব্র আকাঙ্খার মতো দ্রুতগামী সভ্যতার আলোয় একদিকে সূর্যের আলো পর্যন্ত প্রতিস্থাপিত হতে চলেছে, অন্যদিকে নক্ষত্র স্থির, অবিকল্প চাঁদের আলোয় একইভাবে ভিজতে ভিজতে সহস্র দিন, সহস্র রাত, সহস্র শতাব্দী সে শম্বুক পৃথিবীর কাল এগিয়ে চলে নিঃশব্দে, যেন লক্ষ ফোড়ের কাঁথা বোনার লয়ে— ‘আরণ্যক’-এর বিভূতিভূষণ যাকে বলেন— ‘জগতের যে পথে সভ্য মানুষের চলাচল কম, কত অদ্ভুত জীবনধারার স্রোত আপনমনে উপলবিকীর্ণ অজানা নদীখাত দিয়া ঝিরঝির করিয়া বহিয়া চলে সে পথে…’

দুই পথেই একই বিভূতিভূষণ পথ হেঁটে যান, আমরা কুয়াশায় দেখি দুই বিভূতিভূষণ। একদিকে লিভিংস্টোন, স্ট্যানলি, মাঙ্গো পার্কের অনুসরণে হাঁটতে থাকেন এক বিভূতিভূষণ। তাঁর পিছু পিছু অদম্য আলভারেজকে সঙ্গী করে হেঁটে যায় শঙ্কর— বাঙালি কৈশোরের নির্বিকল্প অল্টার ইগো।

সে পথে রক্তে মিশে যায় অজানাকে ক্রমাগত জানার নেশা, হীরার দ্যুতির মতো চোখে লেগে যায় ঐশ্বর্যের স্বপ্ন। অনবদ্য অধ্যাবসায়ে মানচিত্রে একের পর এক নাম হয়ে জুড়ে যায় নামহীন শূন্যস্থান। মাটির গভীর থেকে তারা উঠিয়ে আনে মাটির উপরকার আধুনিকতা যাপনের আকণ্ঠ স্বাছন্দ্যের আকরিক, বন্য নদীতে ভেসে আসা খোলামকুচি থেকে তারা ছেঁচে নেয় হীরা, কুঁদে নেয় সভ্যতার রত্নখচিত কণ্ঠহার। ক্রমে রহস্যমুক্ত হয় ‘চাঁদের পাহাড়’।

অন্য পথটিতে একা, এক অন্যতর উপলব্ধির, অন্যতর আবিষ্কারের ঝিরঝিরে ছাঁটে ভিজতে ভিজতে হেঁটে যান অপর বিভূতিভূষণ। তাঁকে অনুসরণ করে সত্যচরণ। ছায়ার মতো তাঁদের পেছন পেছন চলতে চলতে মহালিখারূপের সে ‘আরণ্যক’ ছাপিয়ে আমিও হাতড়াতে থাকি মহাসমুদ্রপারের আরেক ‘আরণ্যক’, যেখানে আরো সহস্র রাজা দোবরু পান্না, ভানুমতীরা তাদের স্থির নক্ষত্র যাপন নিয়ে লক্ষ বছর ধরে বসে আছে কঙ্গো নদীর মোহনায়, লুআলাবার তীরে, রোডেশিয়ার নির্জন ভেল্ডে, রিখটারসভেল্টের অগম্য শৈলশিরায়। কিন্তু কেন? কেন এই সময়ের উজান বাওয়া? আদিম বনভূমির মতো, লক্ষ্য বছরের ব্যাসল্টের স্তরের মতো, এই উজানী সময়ের যাপন? কেন?

সেই বুড়িটার কথা মনে পড়িল— এ অঞ্চলের বন্য সভ্যতার প্রতীক ওই প্রাচীন বৃদ্ধা— পূর্বপুরুষের এই বনজঙ্গলে বহু সহস্র বছর ধরিয়া বাস করিয়া আসিতেছে। যীশুখ্রীষ্ট যেদিন ক্রুশে বিদ্ধ হইয়াছিলেন, সেদিনও উহারা মহুয়াবীজ ভাঙিয়া যেভাবে তৈল বাহির করিত, আজ সকালেও সেইরূপ করিয়াছে। হাজার হাজার বছর ধরিয়া নিশ্চিহ্ন হইয়া গিয়াছে অতীতের ঘন কুজ্ঝ্বটিকায়, উহারা আজও সাতনলি ও আঠাকাঠি দিয়া সেইরূপই পাখি শিকার করিতেছে— ঈশ্বর সম্বন্ধে, জগৎ সম্বন্ধে উহাদের চিন্তাধারা বিন্দুমাত্র অগ্রসর হয় নাই।

–আরণ্যক, পৃ. ৫৭

কেন? সেই প্রশ্ন কুরে কুরে খেয়েছিল সত্যচরণকে। তার সভ্যতার বোধকে, তার এগিয়ে-পিছিয়ে যাওয়ার বোঝাপড়াকে।

বুঝি না কেন এক-এক জাতির মধ্যে সভ্যতার কী বীজ লুক্কায়িত থাকে, তাহারা যত দিন যায় তত উন্নতি করে— আবার অন্যজাতি হাজার বছর ধরিয়াও সেই একস্থানে স্থানুবৎ নিশ্চল হইয়া থাকে কেন? বর্বর আর্যজাতি চার-পাঁচ হাজার বছরের মধ্যে বেদ, উপনিষদ, পুরাণ, কাব্য, জ্যোতির্বিদ্যা, জ্যামিতি, চরক-সুশ্রুত লিখিল, দেশ জয় করিল, সাম্রাজ্য পত্তন করিল, ভেনাস দ্য মিলোর মূর্তি, পার্থেনন, তাজমহল, কোলোঁ ক্যাথিড্রাল গড়িল, দরবারী কানাড়া ও ফিফ্‌থ্‌ সিম্‌ফোনির সৃষ্টি করিল— এরোপ্লেন, জাহাজ, রেলগাড়ি, বেতার, বিদ্যুৎ আবিষ্কার করিল— অথচ পাপুয়া, নিউগিনি, অস্ট্রেলিয়ার আদিম অধিবাসীরা আমাদের দেশের ওই মুন্ডা, কোল, নাগা, কুকিগণ যেখানে সেখানেই কেন রহিয়াছে এই পাঁচ হাজার বছর?

–আরণ্যক, পৃ. ৫৭

একদিন একই প্রশ্ন উঠেছিল এমনকি সেই কাদামাটির স্থির নক্ষত্র মানুষগুলির থেকেও। মার্কিন ঐতিহাসিক জ্যারেড ডায়মন্ডের বিশ্বখ্যাত বই ‘গানস্‌, জার্মস্‌ অ্যান্ড স্টিল’। ডায়মন্ড বইটি লেখাই শুরু করেছিলেন এই প্রশ্ন দিয়ে। নিউ গিনির জনজাতি নেতা ইয়ালি তাঁকে প্রশ্ন করেছিল—

why is it that you white people developed so much cargo and brought it to New Guinea, but we black people had little cargo of our own?

সে প্রশ্ন কি কোনওভাবে তাড়া করেছিল আধুনিক ভূতত্ত্ববিদ্যার অন্যতম জনক অ্যাডাম সেজউইক-এর বিশ্ববিখ্যাত ছাত্রটিকে? এইচএমএস বিগ্‌ল-এর ডেক-এ চেপে পাঁচ বছর ধরে এ মহাপৃথিবীর আনাচ-কানাচ ধরে সন্ধানী চিলের দৃষ্টি নিয়ে জগতের যাবতীয় প্রাণসম্ভার ও তার ধীরতম সরণ আঁতিপাতি করে পর্যবেক্ষণে মেতে রইলেন ছাত্রটি, ইতিহাস যাঁকে চেনে চার্লস ডারউইন নামে। পৃথিবী পেল ‘অরিজিন অব স্পিসিস’। আবহমানের প্রজাতিগত স্বতস্ফুর্ত জীবনধারার অনুপম বিভিন্নতা সারণীভুক্ত হয়ে গেল এগিয়ে-পিছিয়ে থাকার হিসেবে, টিঁকে থাকার, মানিয়ে নেওয়ার, তার পরেও এই গ্রহটির যাবতীয় প্রকৃতি-জলবায়ুর প্রতি প্রভুত্ব এবং তাকে ব্যবহার করতে পারার ক্ষমতার নিরিখে হোমো সেপিয়েন্স-ও ঢুকে পড়ল নানান খোপে।

দুটি পথ আগেই আলাদা হয়ে গিয়েছিল। ষোড়শ শতকে দিওগো সাও বিষুবরেখা অতিক্রম করার পর সৃষ্টি হয়েছিল দুটির মধ্যে চলমান আরেকটি সমান্তরাল পথ। যে পথে হয়তো বিভূতিভূষণের হাঁটা হয়ে ওঠেনি। নিউ গিনির কাদামাটির ইয়ালি-র প্রশ্নের উত্তর সে পথেই লুকিয়ে আছে। কোথা থেকে ইউরোপ তৈরি করতে পারল এত কার্গো যা নিউ গিনির হতভাগ্যরা হাজার বছরে পারেনি! সে পথেই ইউরোপের ভাঁড়ারে, সভ্যতার ভাঁড়ারে জমা হয়েছে যাবতীয় ঐশ্বর্য। শতাব্দীর পর শতাব্দী গিয়েছে, নতুন সে পথটি হয়েছে আরও প্রশস্ত। সে পথের নীচে বালির গভীরে শুয়ে আছে তৃষ্ণায় শুকিয়ে যাওয়া হেরেরো কঙ্কাল, পথের ধারে জার্মান দড়িতে ঘাড় ভেঙে ঝুলছে হাজারে হাজারে দীর্ঘকায় হটেনটট লাশ, পরিত্যক্ত ক্যারাভেলের খোল ভেঙে উপচে উঠছে নিজেদের কামড়ে ক্ষতবিক্ষত গলায় ভারী শিকল বাঁধা মৃত অ্যাঙ্গোলান দাস, পথের ধারে পাহাড় হয়ে আছে পেট ফেটে নাড়িভুড়ি বেরিয়ে আসা দার্ভিশ মৃতদেহের স্তূপ, পথের ধারে খুঁটির ওপরে লিয়ন রোমের রুচিমতো টাঙানো রয়েছে শ্যুভেনির ফলকের মতো শুকিয়ে কাঠ নরমুণ্ডের সারি, পথের আলপনার মতো ইতিউতি ছড়িয়ে আছে কয়েক মিলিয়ন কঙ্গোবাসীর কেটে নেওয়া হাত— পথ জুড়ে ছড়িয়ে থাকা দমদম বুলেটের ফাঁকা খোল থেকে এখনও ভেসে আসছে ভরপুর বারুদের গন্ধ। আমি হাতড়ে যাই… হাতড়ে যাই… ক্রমে আমি চোখ দিয়ে দেখার শক্তি হারাই… আমার অন্ধ আঙুলের স্পর্শে আধুনিক সভ্যতার সুনিপুণ হাতের অনবদ্য ট্যাক্সিডার্মির মতো এসে ঠেকে স্থির পুকুরের জলে ভাসতে থাকা আমার সেই দিদিমার ফসিলায়িত দেহ— তাসমানিয়ার হারিয়ে যাওয়া জলকন্যা ত্রুগানিনির মতো।

আমার সেই দিদিমাকেই কি কয়েক যুগ আগে মহালিখারূপের পথের ধারে মহুয়া বীজ ভাঙতে দেখেছিলেন বিভূতিভূষণ? সেই প্রাগৈতিহাসিক বুড়ির দৈনন্দিন চিন্তার সারবস্তু জানার জন্য সত্যচরণ তার এক বছরের উপার্জন দিয়ে দিতে রাজি ছিল। দিদিমা নির্বিঘ্নে বেঁচে ছিল তার ছোট্ট বাগান নিয়ে। তার বাইরে তার জীবন অন্য কোনও পৃথিবীর খবর রাখত না। কেমন ছিল দিদিমার চিন্তাধারার স্রোত? সুখী ছিল কি দিদিমা? ফুলকিয়ার জয়পাল কুমার কেমন সুখী ছিল? ভাল লাগত তার সেভাবে বেঁচে থাকতে? সত্যচরণের প্রশ্নে প্রাচীন মানুষটির উত্তর ছিল— “কেন খারাপ লাগবে হুজুর? বেশ থাকি। কিছু খারাপ লাগে না।” আমিও সত্যচরণের মতো একই সভ্যতার মশালবাহী। আমাদের আজন্মের মানদণ্ডই আমাদের দিয়ে এই প্রশ্ন করায়, তাতে কোনও সন্দেহ নেই। জন হ্যারিসের ‘ডন ইন ডার্কেস্ট আফ্রিকা’ বইটিতে ছিল এক চমৎকার কথোপকথন। কাদামাটির এক আদিম জনজাতির মেয়েরা শরীরে এঁটে থাকা ভারি গয়না পরতে ভীষণ ভালোবাসত। সেই নিয়ে এক শ্বেতাঙ্গিনীর সাথে তাদের কথোপকথনটি ছিল এরকম—

White Woman: Why do you wear anklets which cause you so much pain?
African Woman: Beauty is worth pain.
White Woman: Surely you do not suffer such torture in order to appear beautiful? African Woman: Tell me then, white woman, why do you suffer pain by tying yourself so tightly in the waist, like a woman suffering the pangs of hunger?

ডারউইনীয় সভ্যতার নোমেনক্লেচার যাদের গায়ে সেঁটে দিয়েছে অলসতা-কর্মবিমুখতা-উদ্যোগহীনতা-প্রকৃতির প্রতি উদাসীনতার লেবেল, এমনকি যাদের নামের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে ক্যানিবালিজম, টোটেমবাদের বিবমিষাময় নির্মাণ, তাদের নিষ্পাপ কর্নিয়ার টলটলে আয়নায় আমি চোখ রাখি, সেখানে ভেসে ওঠে ইতিহাস যত প্রাচীন তার চেয়েও প্রাচীন প্রকৃতি-জলবায়ু ও মানুষের নিবিড় মিথস্ক্রিয়ার এক অনিন্দ্যসুন্দর প্রতিবিম্ব। সে প্রতিবিম্বকে ডারউইনীয় আতসকাচে দেখা সম্ভব নয়। পুঁজি সঞ্চয়নের গতি দিয়ে সেই জীবনস্রোতের গতিকে বিচার করা কীভাবে সম্ভব! সারা রাত ধরে স্ফটিকজল যেখানে চুঁইয়ে চুঁইয়ে শৈলশিরার ফাঁকফোকর খুঁজে নেমে আসে, ভোরের সঙ্গে যেখানে পিউপারা ডানা মেলে দেয়, ক্রান্তীয় রোদে নিঃশব্দে ফেটে যায় ম্‌পুন্দু গাছের ছাল; তার ভেতরে বাসা বাঁধে গর্ভবতী লিলাক রঙের রোলার, তার ডানা ঝাপ্টানোর শব্দে চমকে উঠে পায়ে পায়ে জোর খুঁজে নেয় সদ্যোজাত স্প্রিংবক, হরিণীর গন্ধে সাভানার সূর্যাস্ত ধাওয়া করে মাতাল নীলগাই, শিকার সেরে ফেরে আদিম তরুণ, আদিম তরুণীর নাচের ছন্দে শিরশির করে কেঁপে ওঠে তার উরুসন্ধির পেশি, সন্ধ্যার আগুনে জন্ম হয় আদিম শিশুর, অরণ্যবসতিতে তখন নেমে আসে ছায়া, প্রধান পুরুষের গল্পে নেমে আসে পূর্বপুরুষের আত্মারা, বিছিয়ে যায় কবোষ্ণ চাদরের মতো সেই সব আদিম শিশুর কপাল জুড়ে, সময়খণ্ড জুড়ে চলে নিবিড় যাপনচক্রের মায়াজাল, চরাচর জুড়ে নিরবধি চলে ভবিষ্যতের নিঃশব্দ গর্ভধারণ। আর খোলামকুচির মতো সেই অনুপম নকসি কাঁথার এখানে-ওখানে যখন পড়ে থাকে কিছু প্রাচীন চকচকে প্রস্তরখণ্ড; আমাদের, সভ্যতার সম্পদশকুনদের চোখ শুধু পড়ে সেখানেই; যতক্ষণ না সেই নকসি কাঁথা ছিঁড়ে আমরা তাদের উপড়ে ছিঁড়ে আনতে পারি, আমাদের শান্তি নেই।

চার্লস ডারউইনের শিক্ষক অ্যাডাম সেজউইক ‘অরিজিন অব স্পিসিস’ প্রকাশিত হওয়ার পরে ছাত্রের বিষয়বস্তু সম্পর্কে এই মত প্রকাশ করেছিলেন—

There is a moral or metaphysical part of nature as well as physical. A man who denies this is deep in the mire of folly. T’is the crown and glory of organic science that it does, thro’ final cause, link material to moral.

সত্যচরণ বুড়ির প্রাগৈতিহাসিক কর্নিয়ার গভীরে সে প্রতিবিম্ব দেখতে পেয়েছিল কিনা স্পষ্ট করে বলে যাননি বিভূতিভূষণ। শুধু তার এক আভাস রেখে যান—

“আমি পাকুড় গাছের ঘন ছায়ায় দাঁড়াইয়া যখন জয়পালের সহিত কথা বলিতাম, তখন আমার মনে এই সুবৃহৎ বৃক্ষতলের নিবিড় শান্তি ও গৃহস্বামীর অনুদ্বিগ্ন, নিস্পৃহ, ধীর জীবনযাত্রা ধীরে ধীরে কেমন একটা প্রভাব বিস্তার করিত। ছুটাছুটি করিয়া বেড়াইয়া লাভ কি? কি সুন্দর ছায়া এই শ্যাম বংশী-বটের, কেমন মন্থর যমুনাজল, অতীতের শত শতাব্দী পায়ে পায়ে পার হইয়া সময়ের উজানে চলিয়া যাওয়া কি আরামের!”

সে অনুপম প্রতিবিম্বে শ্বাপদের ছায়া পড়ে আরবদের হাত ধরে। তারপর তাতে প্রথম আঁচড় লাগে যখন ক্যারাভেলে চড়ে আফ্রিকার সমুদ্রতট স্পর্শ করে সাদা ভাম্বির দল। দাসব্যবসার নৃশংসতা সয়েও অভঙ্গুর ভাস্কর্যের মতো সে নিবিড় মিথস্ক্রিয়ার প্রতিবিম্ব অটুট থেকে যায় আরও কয়েক শতাব্দী। কিন্তু মুখে লেগে গিয়েছে কাদামাটির রক্তের স্বাদ। রহস্যময় মোড়ক খুলে বেরিয়ে পড়েছে অন্ধকার। বুভুক্ষু হায়নার মতো তক্কে তক্কে ছিল শ্বেত ভাম্বির দল।

Much has been done within that brief span. But much more still remains to be accomplished. Nine-tenths of Africa is undiluted savagedom, or barbarism so unqualified that it is difficult to assign it to a higher grade.

The story of Africa and its explorers, Robert Brown, P.5

তারপর, যা করতে পারেনি আরব-দস্যু, যা করতে পারেনি ট্রান্স-আটলান্টিক দাসব্যবসা, অবশেষে তা করে ফেলেছিল পুঁজিবাদ। তার লালসার উদগ্রতায়, তার মারণাস্ত্রের মুহুর্মুহু আঘাতে, তার ‘সভ্য’ আইনের শৃঙ্খলে, তার প্রযুক্তির নাগপাশে চুরচুর হয়ে ভেঙে পড়ল সে প্রতিবিম্ব।

But what the partial occupation of his soil by the white man has failed to do; what the mapping out of European political “spheres of influence” has failed to do; what the maxim and the rifle, the slave gang, labour in the bowels of the earth and the lash, have failed to do; what imported measles, smallpox and syphilis have failed to do; what even the oversea slave trade failed to do, the power of modern capitalistic exploitation, assisted by modern engines of destruction, may yet succeed in accomplishing.

For from the evils of the latter, scientifically applied and enforced, there is no escape for the African. Its destructive effects are not spasmodic: they are per-manent. In its permanence resides its fatal consequences. It breaks the spirit. It attacks the African at every turn, from every point of vantage. It wrecks his polity, uproots him from the land, invades his family life, destroys his natural pursuits and occupations, claims his whole time, enslaves him in his own home.

The Black Man’s Burden, E. D. Morel. P.78

ই ডি মোরেল ছিলেন কঙ্গোয় ঘটে চলা লিওপোল্ডীয় অনাচারের বিরুদ্ধে সবচেয়ে উচ্চকিত, সাহসী মানুষগুলির মধ্যে একজন। বিভূতিভূষণ ‘চাঁদের পাহাড়’ লেখার আগেই ১৯২০ সালে এই বইটি লিখেছিলেন মোরেল। এরপর একশো বছর অতিক্রান্ত। আফ্রিকা আজও রক্তাক্ত। তার যাবতীয় হীরকসম্ভার থেকে আগেও যেমন, এখনও তেমন রক্ত চুঁইয়ে পড়ছে। নির্লজ্জ রক্তাক্ত হাতে নিজেই ডি বিয়ার্স তার গালভরা নামও দিয়েছে— ‘ব্লাড ডায়মন্ড’। সে প্রসঙ্গে যাব না, কারণ এ লেখা মূলত শঙ্করের সময় ধরেই চলেছে। তাই উহ্য থেকে গেল আজকের আফ্রিকা, উহ্য থেকে গেলেন প্যাট্রিস লুমুম্বা-রা। তবু বলতে পারি, একশো বছর আগে মোরেলের লেখা থেকেই আজকের আফ্রিকার বাস্তবতার একটা ধারণা করা সম্ভব, যা একশো বছরে একটুও পাল্টায়নি।

Thus the African is really helpless against the material gods of the white man, as embodied in the trinity of imperialism, capitalistic-exploitation, and militarism.

আমরা এখনও নির্দ্বিধায় হেঁটে চলেছি লিভিংস্টোন, স্ট্যানলি, শঙ্করের আলো দেখানো প্রথম পথটিতে। আমাদের বোধ আমাদের সত্যচরণের দ্বিতীয় পথটিতে পোঁছে দিতে পারেনি। আমরা ভেবে উঠতে পারিনি যে আমাদের বোধের প্রতিটি অক্ষর আসলে সরবরাহ করে ঔপনিবেশিক-পুঁজিবাদী দর্শনের বর্ণমালা। ডি বিয়ার্সের রাজকন্যা-রাজপুত্র হয়ে আমরা আহ্লাদে আটখানা হয়ে থাকি সে পথের সাততারা শরাবখানায়। ধ্বংস মাতাল হয়ে সেখানে ফেরি করে যায় উন্নয়নের রূপকথা। অভিভূত আমরা অরণ্য মাপি কিউবিক ফুটে, নদী মাপি বোতলবন্দি লিটারে, ভূগর্ভ মাপি পেট্রোলিয়াম আর হীরার ক্যারাটে। বিচ্ছিন্নতার কসাইখানায় দ্রুতগামী কনভেয়র বেল্টে কেটে টুকরো টুকরো হয়ে আমাদের কাছে এসে পৌঁছয় সেসব ক্যানবন্দি রূপকথারা। আমরা সভ্যতার হেমলকের মতো তা আকণ্ঠ শুষে নিই।

আমরা কবেই ভুলে গিয়েছি অথবা জানিই না, প্রাকৃতিক সম্পদের সঙ্গে নিবিড় মিথস্ক্রিয়াকে যে ইউরোসেন্ট্রিক দর্শন কর্মবিমুখ, প্রাকৃতিক সম্পদ সম্পর্কে উদাসীন তকমায় জুড়ে দেয়, ডারউইনবাদের প্রাবল্যে যে দর্শন নিবিড় এবং আদিম প্রাকৃতিক বোঝাপড়াকে অনগ্রসরতার খোপে ভরে দেয়, সে দর্শন প্রকৃতি-জলবায়ুকে ভোগ ও মুনাফার উপকরণের বেশি কিছু ভেবে উঠতে পারে না। সে দর্শন নিঃশেষিত হয়, নিঃশেষিত করে। যুগে যুগে বিশ্ববন্দিত ঔপনিবেশিক অভিযাত্রীরা এই দর্শনকেই তাদের পিছু পিছু ডেকে নিয়ে গিয়েছে— পৃথিবীর অনাবিস্কৃত সমস্ত কোণে। প্রত্যক্ষ্ উপনিবেশের যুগ ফুরিয়েছে। আজ সেই দুঃসাহসী অভিযাত্রীরও প্রয়োজন ফুরিয়েছে। প্রযুক্তি-ই সে অভিযাত্রী এখন। সারা গ্রহটাই আজ বিস্তীর্ণ উপনিবেশ। কিন্তু সত্য আজও একই আছে। সেই কিম্বার্লি থেকে আজকের এই লেখা যাকে নিয়ে, আমাদের দেশের বক্সাওয়া অরণ্যের নিচের লুকোনো কিম্বারলাইট আবিষ্কারের গল্প একই বর্ণমালায় লেখা হয়ে চলেছে। বুন্দেলখণ্ডি বুড়াদেওর রাজ্যেও আজ মোড়ক খুলে ছড়িয়ে পড়েছে অন্ধকার। রিও টিন্টোর আধুনিক প্রযুক্তির আলভারেজ সেখানে হাজার বছরের আরণ্যক মায়াজাল ছিঁড়ে খুঁজে নিয়েছে সভ্যতার মহামূল্যবান চৌত্রিশ মিলিয়ন কারাট হীরা।

শঙ্করের হেঁটে যাওয়া প্রথম পথটি আজ আলোকিত ভিড়ে ভরা। দ্বিতীয় পথটি ক্রমে ক্ষীণ হতে হতে মধ্যের পথটিতে বিলীন হয়ে যাওয়ার উপক্রম। মহুয়াভাঙা বুড়ি অরূপদার শিকার করা বকটার মতো চিত হয়ে মরে কাঠ হয়ে পড়ে আছে। শঙ্করের হাতে সভ্যতার মহার্ঘ্য উইনচেস্টার। অরণ্যের আদিম পাহারাদার বুনিপ-কে তো হতেই হত তার শিকার। তার নল থেকে দুর্বার গতিতে ছুটে আসা দমদম বুলেটের আঘাতে বুড়ির বুনিপের মতো পেট ফেটে নাড়িভুড়ি উপচে বেরিয়ে এসেছে। পলকা ডটের নকশার মতো তাতে যেন লেগে আছে রক্তমাখা মহুয়া বীজ। তা থেকে কোনও মহাবৃক্ষের উদ্গম হবে কিনা আমি জানি না, এই অদ্ভুত, একান্ত নিজস্ব প্রত্নসন্ধানের শেষে শুধু এটুকু জানি আবার কখনও যদি হারিয়ে যাওয়া কৈশোর ফিরে পাই, আর শঙ্কর হতে চাইব না, বিভূতিভূষণের দিব্যি, চাইব কোনও যুগলপ্রসাদ হতে।

আফ্রিকা তুমি ক্ষমা করে দিও আমার কৈশোর

 

ঋণস্বীকার

১. Shigley, Dr. James. Historical Reading List: The Diamond Fields of South Africa: Part 1 (1868-1893). GIA. May 29, 2017.
২. Holocaust and Genocide Studies. Project Muse.
৩. Colonial War Gaming.
৪. Janse, A. J. A. (Bram). A History of Diamond Sources in South Africa; Part I & Part II. GIA.
৫. McQuade, Joseph. Colonialism was a disaster and the facts prove it. The Conversation. Sep 27, 2017.
৬. Robinson, Nathan J. A QUICK REMINDER OF WHY COLONIALISM WAS BAD. Current Affairs. Sep 14, 2017.
৭. Nyoni, Philani A. What Africa had before colonisation. This is Africa. Mar 26, 2015.
৮. Conliffe, Ciaran. Henry Stanley, The Man Who Stole The Congo. Headstuff. Aug 15, 2018.
৯. Northern Cape.
১০. McQuade. Joseph. Earth Day: Colonialism’s role in the overexploitation of natural resources. The Conversation. Apr 18, 2019.
১১. Press, Steven. As Germany Acknowledges Its Colonial-Era Genocide in Namibia, the Brutal Legacy of Diamond Mining Still Needs a Reckoning. Time. Jun 10, 2021.
১২. Laniado, Ehud Arye. Diamond Mining in Namibia— Past and Present. All Diamond. Sep 24, 2015.
১৩. BERLIN FILM FESTIVAL SCREENS ‘SHOAH’. New York Times. Feb 20, 1986.
১৪. Ogden, Jack. THE HISTORY, HERITAGE AND HYPE BEHIND GOLCONDA DIAMONDS. Gem-A. Aug 18, 2019.
১৫. Heart in Diamond.
১৬. Bhardwaj, Tejprakash. Buxwaha diamond mining project will make Bundelkhand’s water scarcity worse: Experts. DownToEarth. Jul 6, 2021.
১৭. Svisero, Darcy P. et al. BRAZILIAN DIAMONDS: A HISTORICAL AND RECENT PERSPECTIVE. GIA. Spring 2017.
১৮. Family & Co. Jewelers since 1937.
১৯. Exploring Africa.
২০. Mannak, Miriam. Opinion: Why statues of King Leopold II must fall. africajournalist.org. Jun 15, 2020.
২১. Biography: human rights photographer Alice Seeley Harris. Monovisions. May 1, 2019.
২২. Mckinney, Mac. Congo: The Horror Crescendos. LAProgressive. Mar 1, 2012.
২৩. Clayton, Miles. Britain’s ‘Dark Past’: the atrocities of the British Empire and its legacy today. History Indoors. Jun 8, 2020.
২৪. Cleveland, Todd. Stones of contention: a history of Africa’s diamonds. Ohio University Press.
২৫. Isaacman, Allen & Roberts, Richard. Cotton, colonialism, and social history in sub-Saharan Africa. Portsmouth, NH: Heinemann. 1995.
২৬. Taithe, Bernard & Williams, Frank L’Engle. The Killer Trail: a Colonial Scandal in the Heart of Africa. Oxford: Oxford University Press. 2009.
২৭. Pimentel, Eddie. Civilization and the Congo Free State. Storymaps. Dec 13, 2019.
২৮. Boyd, James P. Stanley in Africa: The Wonderful Discoveries and Thrilling Adventures of the Great African Explorer and Other Travellers, Pioneers and Missionaries. Hardpress. 2016.
২৯. Gilad, Elon. Shoah: How a Biblical Term Became the Hebrew Word for Holocaust. Haaretz. May 1, 2019.
৩০. Zuern, Elke. Namibia’s Monuments to Genocide. Dissent. June 13, 2017.
৩১. Kersten, Mark. The “Forgotten Genocide” that was a Precursor to the Holocaust. Justice in Conflict. Jan 11, 2017.
৩২. Gochenour, Phil. The Mass Production Of Death: Richard Jordan Gatling Invents The Gatling Gun And Sir Hiram Maxim Invents The Maxim Machine Gun. Encyclopedia.
৩৩. Swinford, Dean. The Chinese Invention Of Gunpowder, Explosives, And Artillery And Their Impact On European Warfare. Encyclopedia.
৩৪. Raskin, Jonah. The mythology of imperialism: Rudyard Kipling, Joseph Conrad, E. M. Forster, D. H. Lawrence, and Joyce Cary. Random House. 1971.
৩৫. Nsaidzedze, Ignatius. British Colonization versus Belgian Colonization in Heart of Darkness: A Contrastive Textual Study of Imperialism/Colonialism in English Literature. International Journal of Language and Literature. Dec, 2019.
৩৬. Gandhi, M. K. The Zulu Rebellion. mkgandhi.org.
৩৭. Gillings, K. G. THE BAMBATA REBELLION OF 1906: NKANDLA OPERATIONS AND THE BATTLE OF MOME GORGE, 10 June 1906. Battlefields Route.
৩৮. Achebe, Chinua. An Image of Africa: Racism in Conrad’s Heart of Darkness. The Massachusetts Review. Spring, 2016.
৩৯. Thompsell, Angela. Why Was Africa Called the Dark Continent? ThoughtCo. Aug 26, 2021.
৪০. Duane, O. B. African Myths & Legends. Caxton Pub Group. Feb 29, 2004.
৪১. Diamond, Jared. Guns, Germs, and Steel: The Fates of Human Societies. W. W. Norton & Company. 2005.
৪২. Meredith, Martin. Diamonds, Gold, and War: The British, the Boers, and the Making of South Africa. PublicAffairs. 2008.
৪৩. Brockway, Lucile H. Science and colonial expansion: the role of the British Royal Botanic Gardens. American Ethnologist. Aug, 1979.
৪৪. Daley, Paul. Truganini’s story has always been told as tragedy. She was so much more than that. The Guardian. Mar 15, 2020.
৪৫. Drayson, Alfred Wilks, 1827-1901. The diamond hunters of South Africa. Legare Street Press. Sep, 2021.
৪৬. K. [from old catalog]. The diamond fields of South Africa; 1872. Facsimile Publisher. Jan, 2013.
৪৭. Haggard, H. Rider (Henry Rider). King Solomon’s Mines. Project Gutenberg.
৪৮. Draper, David; Frames, Minett E. The diamond a pamphlet describing the most reliable indications and the principal minerals associated with the diamond in South Africa, with hints to prospectors in search of these gems; illustrated with map and sections. University of South Carolina.
৪৯. Deb Roy, Rohan. Science Still Bears the Fingerprints of Colonialism. Smithsonian Magazine. Apr 9, 2018.
৫০. McKie, Robin. Jared Diamond: what we can learn from tribal life. The Guardian. Jan 6, 2013.
৫১. Jack, Ian. The sun may never set on British misconceptions about our empire. The Guardian. Jan 6, 2018.
৫২. Drayton, Richard. The wealth of the west was built on Africa’s exploitation. The Guardian. Aug 20, 2005.
৫৩. Dalrymple, William. One sure way for Britain to get ahead— stop airbrushing our colonial history. The Guardian. Sep 2, 2015.
৫৪. Dorman, Marcus R. P. A Journal of a Tour in the Congo Free State. Project Gutenberg.
৫৫. Lindley, Augustus F. Adamantia: the truth about the South African diamond fields, or, A vindication of the right of the Orange free state to that territory, and an analysis of British diplomacy and aggression which has resulted in its illegal seizure by the governor of the Cape of Good Hope. London: W. H. and L. Collingridge. 1873.
৫৬. Hess, Penny. All diamonds are blood diamonds: The truth about the diamond trade. apscuhuru.com.
৫৭. Johnston, Sir Harry Hamilton. The Backward Peoples and our relations with them. Creative Media Partners, LLC. 2018.
৫৮. Morel, E. D. The Black Man’s Burden. National Labour Press Ltd. 1920.
৫৯. Jenks, Tudor. The Boys Book of Explorations: True Stories of the Heroes of Travel and Discovery in Africa, Asia and Australia; From the Dark Ages to the Wonderful Century. Forgotten Books. May, 2017.
৬০. Bleek, W. H. I.; Lloyd, L. C. Specimens of Bushman Folklore. Forgotten Books. Nov, 2007.
৬১. Case of the Vigilante, a ship employed in the slave-trade: with some reflections on that traffic. London: Harvey, Darton & Co. 1823.
৬২. Morel E. D. CONGO FREE STATE.
৬৩. Breasted, James Henry. The Conquest of Civilization. Harper & Row. Jan, 1954.
৬৪. Roberts, Thomas. The Cruel Nature and Injurious Effects of the Foreign Slave Trade: Represented in a Letter, Addressed to the Right Hon. Lord Brougham and Vaux. Forgotten Books. Dec, 2018.
৬৫. Harris, John H. Dawn in Darkest Africa. London: Smith, Elder. 1912.
৬৬. Baines, Thomas. Explorations in South-West Africa, Being an Account of a Journey in the Years 1861 and 1862 from Walvisch Bay, on the Western Coast, to Lake Ngami and the Victoria Falls. Andesite Press. Aug, 2017.
৬৭. Lindqvist, Sven. Exterminate All the Brutes. Granta Books. Apr, 2002.
৬৮. Fanon, Frantz. THE WRETCHED OF THE EARTH. New York: Grove Press.
৬৯. Cornell, Frederick C. The Glamour of Prospecting: Wanderings of a South African Prospector in Search of Copper, Gold, Emeralds, and Diamonds. Andesite Press. Aug, 2015.
৭০. Rodney, Walter. How Europe Underdeveloped Africa. Howard University Press. Jan, 1981.
৭১. Stanley, Sir Henry M. How I Found Livingstone. Gutenberg.
৭২. Stanley, Sir Henry M. In Darkest Africa: Or, the Quest, Rescue, and Retreat of Emin Pasha, Governor of Equatoria. Narrative Press. Jul, 2001.
৭৩. Jean-Aubry, G. Joseph Conrad in the Congo. Hassell Street Press. Sep, 2021.
৭৪. Hochschild, Adam. King Leopold’s Ghost: A story of Greed, Terror, and Heroism in Colonial Africa. Houghton Mifflin. Nov, 1999.
৭৫. Calvert, Albert F. South-West Africa During the German Occupation 1884-1914. General Books. Jan, 2010.
৭৬. Douglas, M. With Stanley on the Congo. Cornish Books.
৭৭. Weikart, Richard. From Darwin to Hitler: Evolutionary Ethics, Eugenics, and Racism in Germany. Palgrave Macmillan; 2004th Edition. Apr 20, 2006.
৭৮. ভট্টাচার্য, পরিমল। সত্যি রূপকথা। কলকাতা: অবভাষ।
৭৯. বন্দ্যোপাধ্যায়, বিভূতিভূষণ। আরণ্যক। কলকাতা: মিত্র ও ঘোষ পাবলিশার্স প্রাঃ লিঃ।
৮০. বন্দ্যোপাধ্যায়, বিভূতিভূষণ। চাঁদের পাহাড়। কলকাতা: সিগনেট প্রেস।

About চার নম্বর প্ল্যাটফর্ম 4664 Articles
ইন্টারনেটের নতুন কাগজ

Be the first to comment

আপনার মতামত...