হ্যারি বেলাফন্টে, প্রতিস্পর্ধী ক্যালিপসো

সন্দীপন গঙ্গোপাধ্যায়

 



পেশায় প্রযুক্তিবিদ্যার শিক্ষক। বিশ্বসাহিত্য, মার্গ সঙ্গীত আর সারা পৃথিবীর সিনেমার একনিষ্ঠ ভক্ত

 

 

 

ডে-ও, ডে-ও, ডেলাইট কামস অ্যান্ড মি ওয়ান্‌ গো হোম

সারারাত্তির জুড়ে কলার কাঁদির ভারী বোঝার জোয়াল ঠেলে নৌকায় বোঝাই করি। দেহ অবসন্ন, কোমর যন্ত্রণায় ধরে এসেছে, তবুও এই ভার বয়ে যাওয়াই আমার জন্মদাগ। আমি চেয়ে আছি পূবের সীমান্তরেখায়, কখন তাতে মিশবে লালের আভা, আমার ছুটি মিলবে তখন।

১৯৫৬ সালের ৫ ডিসেম্বর নাগাদ রোজা পার্কস্‌ নামে একজন তেতাল্লিশ বছর বয়সী আফ্রিকান-আমেরিকান সমাজকর্মীর গ্রেপ্তারকে কেন্দ্র করে এক অভূতপূর্ব আন্দোলন শুরু হয় মন্টগোমারি, আলাবামাসহ আমেরিকান সাদার্ন স্টেটগুলোতে। ক্রমে যা ছড়িয়ে পড়বে আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্রের চৌহদ্দি ছাড়িয়ে পৃথিবীর মুক্তিকামী মানুষের শিরা, ধমনীর শোণিতস্রোতে। রোজার ‘অপরাধ’ ছিল সাদা চামড়ার ঔদ্ধত্যের সামনে বাসে তাঁর হকের সিটকে না ছাড়া। এই নাটকের রঙ্গমঞ্চ হল খোলা বাজারের সভ্যতার পীঠস্থান আমেরিকা, যাকে নিয়ে চিলির বিখ্যাত কবি নিকানোর পাররা তাঁর ‘আর্টিফ্যাক্টোজ’ গ্রন্থে লিখেছিলেন,

United States: the country where liberty is a statue.

যাইহোক, সেই বছর মানে ১৯৫৬ সালেরই বসন্তকালে একটা অচেনা সাদার্ন কন্ঠস্বরে ফোন আসে হ্যারি বেলাফন্টের কাছে। ফোন করেছিলেন ডেক্সটার এভিনিউ ব্যাপ্টিস্ট চার্চের একজন ছাব্বিশ বছর বয়সী যাজক মার্টিন লুথার কিং জুনিয়র, যিনি তখন জড়িয়ে পড়েছেন মন্টগোমারি বাস বয়কট আন্দোলনের এক বৃহত্তর প্রেক্ষিতে। ওঁর শান্ত অথচ দৃপ্ত উচ্চারণ ততদিনে নতুন এক প্রেরণা দিতে শুরু করেছে আলাবামা সহ অন্যান্য অংশের সমাজ সচেতন মানুষকে যাঁরা আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্রের সমাজ-রাজনীতির স্তরে স্তরে চামড়ার রংকে ঘিরে শতাব্দীর বঞ্চনাকে মুছে ফেলার প্রত্যয় নিয়েছেন। বলে রাখা ভাল যে, ততদিনে ‘ক্যালিপসো’ এবং ‘বেলাফন্টে’ এই দুটো গানের অ্যালবাম মুক্তি পেয়েছে। সেই প্রথম কোনও একজন শিল্পীর একক অ্যালবাম হিসেবে ‘ক্যালিপসো’ এলপি রেকর্ড বিক্রি হয়েছে ১ মিলিয়ন কপি। তার ফলে বেলাফন্টে নামটা আমেরিকা তথা পাশ্চাত্যের সঙ্গীত দুনিয়ায় প্রবল আলোড়ন জাগিয়েছে। এই অ্যালবামের বেশ কিছু গান আবার মেন্টো নামে ত্রিনিদাদের এক লোকসঙ্গীতের আঙ্গিক থেকে সৃষ্ট। যেমন, অতি বিখ্যাত ‘বানানা বোট সং’ যাকে ‘ডে ও’ বলে চেনে সঙ্গীতপ্রেমীরা। একই সময় মুক্তি পেয়েছে জনি ক্যাশের ‘আই ওয়াক দ্য লাইন’, চাক বেরি-র ‘ব্লু সুয়েড শ্যু’ আর এলভিস প্রেসলির ‘হাউন্ড ডগ’। আমেরিকার সঙ্গীতমহল সাদরে বরণ করে নিয়েছে তারুণ্যের এই স্পর্ধিত উচ্চারণ। বেলাফন্টের গাওয়া ‘ম্যান পিয়াবা’ কিংবা ‘জামাইকা ফেয়ারওয়েল’ তখন মুখে মুখে ফিরছে আমেরিকার তরুণ প্রজন্মের। ওঁর শৈশবে শোনা জামাইকান মেন্টো এবং ত্রিনিদাদের ক্যালিপসো আত্তীকৃত হয়েছিল এইসব গানে, যার মধ্যে লুকিয়ে আছে আফ্রিকান-আমেরিকান জনবৃত্তের ওপর বহু শতাব্দীর শোষণের ইতিকথা। সেই কথা, সেই সুরে আকৃষ্ট হয়েছে বিরাট সংখ্যক সঙ্গীতপ্রেমী।

এই প্রসঙ্গের অবতারণা করা এই জন্য যে প্রথম যৌবনের এই বিপুল খ্যাতি কিন্তু তাঁকে বিযুক্ত করে দেয়নি বর্ণবিদ্বেষ বিরোধী আন্দোলনের কণ্টকাকীর্ণ সমাজবাস্তবতা থেকে। এই সময় সঙ্গীত-চলচ্চিত্রজগতের অন্যতম অন্যতম এক শিল্পী হিসেবে বেলাফন্টের যেমন নাম ছড়াচ্ছে, ওই জগতের আঙ্গিনায় তাঁর প্রতিভা যেমন বিকশিত হচ্ছে, তেমনই তখনই আবার দেখি গাত্রবর্ণের ভিত্তিতে মানুষকে বিচার করার বা দাবিয়ে রাখার বিরুদ্ধে তাঁর সোচ্চার পদক্ষেপ। এইক্ষেত্রে তাঁর অভিন্নহৃদয় বন্ধু মার্টিন লুথার কিং জুনিয়র ছাড়াও আর যাঁরা তাঁকে প্রেরণা জুগিয়েছিলেন তাঁদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন ‘দ্য সোলস অফ ব্ল্যাক ফোক’-এর লেখক এবং সমাজতাত্ত্বিক উইলিয়াম এডওয়ার্ড দ্যু বোয়া এবং বিখ্যাত গায়ক এবং অভিনেতা পল রোবসন। বিশেষ করে রোবসনের গানে কালো মানুষের মুক্তির যে এষণা ফুটে উঠেছিল তা বেলাফন্টেকে জারিত করে এক নিবিড় বোধে। এছাড়া লেড বেলি, পিট সিগারের মত গায়কেরাও ছিল ওঁর গভীর প্রেরণা। এই প্রসঙ্গে একটা তথ্য বলা অপ্রাসঙ্গিক হবে না যে ১৯৯৬ সালে পিট সিগারকে রক অ্যান্ড রোল হল অফ ফেমে অন্তর্ভুক্তি করার সময় উডি গাথরির ছেলে আর্লোকে পাশে রেখে হ্যারি বেলাফন্টে মন্তব্য করেছিলেন, “If I have given the opportunity to pick fifth face on Mt Rushmore, I shall nominate Pete Seeger!”

দুজন অভিন্নহৃদয় বন্ধু, মুক্তিকামী মানুষের জন্য দুই আলোকবর্তিকা হ্যারি বেলাফন্টে এবং মার্টিন লুথার কিং জুনিয়র

এই মন্তব্য এক নিবিড় শ্রদ্ধাবোধের পরিচয় দেয়। যে প্রসঙ্গ দিয়ে এই ক্ষুদ্র প্রবন্ধ শুরু হয়েছিল, সেই মন্টগোমারি বাস অধ্যায় আমেরিকা তথা সারা পৃথিবীর বর্ণবিদ্বেষী আন্দোলনের ক্ষেত্রে ছিল একটা স্ফুলিঙ্গ, একটা সমাজ-উদ্দীপক ক্যাটালিটিক এজেন্ট। ওই আন্দোলনে বেলাফন্টের সংযোগ ঘটে মার্টিন লুথারের অনুরোধে, কিন্তু তারপর কোনওদিনই তাঁর প্রভূত স্টার ইমেজ রক্ষার জন্য নিরাপদ দূরত্ব থেকে এই আন্দোলনকে কেবল সমর্থন করেননি বেলাফন্টে, প্রভূত ক্ষমতাশালী অন্ধকার রাষ্ট্রশক্তির বিরুদ্ধে একটা আন্দোলন চালিয়ে যাবার জন্য একটা বিরাট পুঁজির জোগান দিয়ে গেছেন তিনি। কখনও গানের কনসার্ট করে, কখনও বা নিজের এবং সমমনস্ক চিন্তাশীল বন্ধুমহল থেকে বিরাট পরিমাণ টাকা জোগাড় করে। সেই সময়ের প্রবল দক্ষিণাবর্ত রাজনীতি কিন্তু সম্পূর্ণ প্রতিকূল, সেনেটার জো ম্যাকার্থি, এফবিআই-অধ্যক্ষ জে এডগার হুভার সেই সময় আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্রের দুজন মূল চালিকাশক্তি। উইচ হান্টিং-এর মত দলে দলে সমাজতান্ত্রিক তথা কম্যুনিস্ট চিহ্নিতকরণ এবং তাঁদের ব্ল্যাকলিস্ট করে দেওয়া ছিল সেই সময়ের একটা নিত্যকার ঘটনা। বর্ণবিদ্বেষী আন্দোলনের ক্ষেত্রে কম্যুনিস্টভাবাপন্ন মানুষজনের যোগের কারণে প্রথম দিন থেকে এই আন্দোলনকে বানচাল করার জন্য ওই মহলের উদ্যোগের কোনও ঘাটতি ছিল না। কিন্তু কিং-এর মানসিক জোর, তাঁর প্রতিস্পর্ধী চেতনার ওপর বেলাফন্টে প্রথম থেকেই শ্রদ্ধাশীল ছিলেন যা তাঁকে এই আন্দোলনের পাশে থাকার জন্য অনেকটা প্রেরণা জুগিয়েছিল। তাঁর আত্মজীবনী ‘মাই সং’ বইতে কিং-এর সঙ্গে তাঁর প্রথম আলাপের মুহূর্তটা বড় নিবিড় এক শ্রদ্ধাবোধ নিয়ে লিখেছেন হ্যারি। দুই বিরাট সংগ্রামী সত্তার এই প্রথম আলাপ ঘটেছিল হার্লেমের আবিসিনিয়ান ব্যাপটিস্ট চার্চে, এক জনসভায়। ততদিনে ক্যু ক্যুক্স ক্ল্যান-এর সৌজন্যে মার্টিন লুথার কিং-এর বাড়িতে বোমা বিস্ফোরণ হয়েছে, কোনও সঙ্গত কারণ ছাড়াই তাঁকে ধরা হয়েছে দুবার। এইসব ঘটনা থেকে তিনি মুক্তিকামী মানুষের জাগ্রত বিবেক হিসেবে উঠে এসেছে আমেরিকান সমাজে। ওঁর অনুরোধে তখনই বেলাফন্টে বেশ কিছুটা টাকার জোগান দেন ওই আন্দোলনকারীদের গাড়ির জ্বালানি গ্যাস কেনার জন্য, যে গাড়িগুলো তখন ওই বাস বয়কটকারীদের নিরাপদে পৌঁছে দেওয়ার চেষ্টা করত তাঁদের কর্মস্থলে। নিজে বিরাট অঙ্কের চেক লেখা ছাড়াও ওঁর বন্ধু এবং বিখ্যাত গায়ক ফ্রাঙ্ক সিনাত্রাকে নিয়ে ম্যাডিসন স্কোয়ার গার্ডেনে একটা বিরাট কনসার্টে গান গেয়েও সেই আন্দোলনের চালিকাশক্তি ‘মন্টগোমারি ইম্প্রুভমেন্ট অ্যাসোসিয়েশন’-এর জন্য অনেকটা ফান্ড তুলে দিয়েছিলেন বেলাফন্টে। এই কাজে তাঁর সঙ্গী হিসেবে পরবর্তীকালে আমেরিকান সংস্কৃতি জগতের অনেককেই পাশে পেয়েছিলেন তিনি। যেমন, মার্লন ব্রান্ডো, সিডনি পয়েটিয়ার, জেমস বলড্যুইন, লেনা হর্ন, হেনরি ফন্ডা, জোন বায়েজ প্রমুখ।

২৩ আগস্ট, ১৯৬৩ সালে মার্চ অন ওয়াশিংটন সমাবেশে প্রথম সারির বাঁদিক থেকে চার্লটন হেস্টন, জেমস বলড্যুইন এবং মার্লন ব্র্যান্ডোর সঙ্গে হ্যারি বেলাফন্টে

১৯৬৪ সালে এই আন্দোলন এক তীব্র আকার ধারণ করে। সেই বছর আগস্ট ৪ নাগাদ রাতের বেলা এক আকস্মিক ফোন আসে বেলাফন্টের কাছে। মিসিসিপি পুলিশ সেই সময় ক্যু ক্যুক্স ক্ল্যান-এর এজেন্টে ভর্তি, কোনও সামান্য ছুতোয় তারা সিভিল রাইট অ্যাক্টিভিস্টদের ধরতে চাইছে। সেই ধরা পড়ার পর হয়ত ছেড়েও দেওয়া হবে শিগগির কিন্তু থানার বাইরে তখন ছিনে জোঁকের মত অপেক্ষা করবে এক ঝাঁক ক্ল্যান মেম্বার, যাদের হাতে শানিত অস্ত্র অথবা জ্বলন্ত মশাল। পুলিশ সেই সময় অন্ধ এবং মূক। এর কিছুদিন আগেই বেশ কিছুদিন ধরে নিখোঁজ তিনজন আন্দোলনকারীর বিকৃত মৃতদেহের সন্ধান মেলে ফিলাডেলফিয়া, মিসিসিপির এক অগভীর কুয়োর মধ্যে। সেই বিপদের মুখে সিভিল রাইট মুভমেন্টের এক সহযোগী সংস্থা ‘স্টুডেন্ট ননভায়োলেন্ট কোঅর্ডিনেটিং কমিটি’ কর্মকর্তা জিম ফোরম্যান-এর সেই ফোন পেয়ে এক মুহূর্ত দ্বিধা না করে আন্দোলনের প্রয়োজনে প্রায় পঞ্চাশ হাজার ডলার জোগাড়ের চেষ্টা করেন বেলাফন্টে। ওঁর স্ত্রী জুলির সঙ্গে নিউ ইয়র্ক ওয়েস্ট এন্ডে ওঁদের অ্যাপার্টমেন্টে একটা প্রাথমিক ফান্ডরেইজার থেকে কিছুটা টাকা উঠে আসে, এরপর বেলাফন্টে ছোটেন শিকাগোতে, আন্দোলনের জন্য আরও অর্থের জোগান করতে। শেষমেশ প্রায় সত্তর হাজার ডলার নিয়ে গ্রিনউড এয়ারপোর্টে পৌঁছন তিনি, সেই সফরে তাঁর সঙ্গী তখন বিখ্যাত অভিনেতা এবং বেলাফন্টের একেবারে প্রথম জীবনের সংগ্রামের সাথী সিডনি পয়েটিয়ার। সেই সফরটা ছিল প্রচণ্ড বিপদসঙ্কুল, একেবারে দক্ষিণপন্থী শ্বাপদের ডেরাতেই যেতে হয়েছিল ওঁদের। ওঁর আত্মজীবনীতে জেমস ওয়েল্ডন জনসনের লেখা ‘দ্য ক্রিয়েশন’ কবিতার এক পংক্তির সঙ্গে বেলাফন্টে তুলনা করেছেন সেই অভিজ্ঞতার।

…far as the eye of god
could see
Darkness covered
everything,
Blacker than a hundred
midnights
Down in a cypress swamp.

প্রতি পদক্ষেপে ক্ল্যান মেম্বারদের শিকারি দৃষ্টি সামলে তাঁরা যখন গ্রিনউডের এল্কস্‌ হলে গিয়ে পৌঁছলেন তখন সেখানে আগে থেকে অপেক্ষা করেছিলেন শয়ে শয়ে ভলান্টিয়ার, যারা গত কয়েক মাস ধরে প্রতি মুহূর্তের মৃত্যুভয়কে তুচ্ছ করে এই আন্দোলনের সঙ্গে সম্পৃক্ত হয়েছিলেন। আফ্রিকান-আমেরিকার জাতিগোষ্ঠীর দুজন প্রথম সারির শিল্পী এই আন্দোলনের সঙ্গে প্রত্যক্ষভাবে জুটে যাওয়াটা ইতিহাসের ওই সন্ধিক্ষণে খুব বড় একটা অনুঘটক হিসেবে কাজ করেছিল। বানানা বোট সং-এর লাইন, “Day-o, Day-o/ Daylight come an’ me wan’ go home” তখন সেই সংগ্রামী জনজোয়ারে হয়ে দাঁড়ায়, “Freedom, freedom,/ freedom come an’ it won’t be long.”

এই লাইনগুলো আক্ষরিকভাবেই সেই বর্ণবিদ্বেষ বিরোধী আন্দোলনের মুক্তিসঙ্গীত হয়ে গেছিল সেইসময়। শিল্পী বেলাফন্টের চেতনার তান বাঁধা পড়েছিল মুক্তিগামী মানুষের জীবনরাগের তন্ত্রীতে। পরবর্তীকালেও ইথিওপিয়া দুর্ভিক্ষে, রোয়ান্ডা গণহত্যায়, দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে অ্যাপার্থিডের অপসারণে বারবার এমনভাবেই ছুটে গেছিলেন হ্যারি বেলাফন্টে, তাঁর সুরের স্ফুলিঙ্গ বারবার সেই অত্যাচারিত মানুষের বিষাদে আলো হয়ে জ্বলেছে।

সূর্যের এই তৃতীয় গ্রহে অনেক প্রতিভাধর গায়ক, শিল্পী এসেছেন। যাঁরা তাঁদের শিল্পনৈপুণ্যে মানুষকে মুগ্ধ করেছেন, হয়তো বা প্রতিদিনের অস্তিত্বের নানা ক্ষণে তাঁদের শিল্প থেকে মানুষ বাঁচার আশ্বাস পেয়েছেন। কিন্তু হ্যারি বেলাফন্টের মত শিল্পীরা সবযুগে, সবকালেই দুর্লভ, যাঁরা রাষ্ট্র এবং প্রবল ক্ষমতার চোখ রাঙ্গানিকে ভয় না পেয়ে ‘জনতার মুখরিত সখ্যে’, সংগ্রামী মানুষের কোরাসে মিলিয়ে দেন তাঁদের প্রতিস্পর্ধী ‘কোমল গান্ধার’।


তথ্যঋণ:
  • মাই সং আ মেমোয়ার: হ্যারি বেলাফন্টে
  • শ্রী অনির্বাণ বিশ্বাস
  • অন্তর্জালে প্রকাশিত কিছু প্রবন্ধ
About চার নম্বর প্ল্যাটফর্ম 4647 Articles
ইন্টারনেটের নতুন কাগজ

Be the first to comment

আপনার মতামত...