“ছিল নেই— মাত্র এই”, এবারের পঞ্চায়েতেও দেখা গেল সেই হিংসারই সাধারণীকরণ

অমর্ত্য বন্দ্যোপাধ্যায়

 


সবদিক দিয়েই এখনও অবধি হিংসার নিরিখে ২০১৮ সালের শেষ পঞ্চায়েত নির্বাচনকে ছাপিয়ে গেল ২০২৩-এর হিসেব। শেষবারের সেই নির্বাচনে প্রাণ হারিয়েছিলেন ২৯ জন। ভোটের দিনে ১২ জনের মৃত্যু হয়েছিল। ২০২৩-এর নির্বাচনে এখনও অবধি মৃতের সংখ্যা ৩৩, ভোটের দিনে প্রাণ হারিয়েছেন অন্ততপক্ষে ১৩ জন। এক সংবাদমাধ্যমের সঞ্চালিকাকে নাকি খবরে পড়তে শোনা গিয়েছে, “মৃতের সংখ্যায় শীর্ষে মুর্শিদাবাদ। তবে পিছিয়ে নেই ভাঙড়ও!” বডিকাউন্টিংয়ের অলিখিত প্রতিযোগিতা চলেছে

 

৭৬, ৩৬, ৩৯, ২৯, ৩৩*…

কোনও ক্রিকেটদলের মাঝের সারির ব্যাটারদের রানের পরিসংখ্যান নয়। ২০০৩ সাল থেকে শুরু করে এইবারের পঞ্চায়েত নির্বাচন অবধি, এই হল মোট পাঁচটি নির্বাচনে মৃতের সংখ্যার খতিয়ান। ২০২৩-এর সংখ্যাটির উপর তারাচিহ্ন (*) বসিয়ে রেখেছি কারণ এই লেখা শুরুর সময়ে (সন্ধে সাড়ে ছটা অবধি) মোট মৃত্যুর সংখ্যা ৩৩। লেখা শেষ হতে হতে সেই সংখ্যা বেড়ে যাওয়ার প্রভূত আশঙ্কা ও সম্ভাবনা রয়েছে। সেই আশঙ্কা ভুল প্রমাণিত হলে আমি নিজেই যে সবচেয়ে বেশি খুশি হব, তা বলার অপেক্ষা রাখে না।

সবদিক দিয়েই এখনও অবধি হিংসার নিরিখে ২০১৮ সালের শেষ পঞ্চায়েত নির্বাচনকে ছাপিয়ে গেল ২০২৩-এর হিসেব। শেষবারের সেই নির্বাচনে প্রাণ হারিয়েছিলেন ২৯ জন। ভোটের দিনে ১২ জনের মৃত্যু হয়েছিল। ২০২৩-এর নির্বাচনে এখনও অবধি মৃতের সংখ্যা ৩৩, ভোটের দিনে প্রাণ হারিয়েছেন অন্ততপক্ষে ১৩ জন। এক সংবাদমাধ্যমের সঞ্চালিকাকে নাকি খবরে পড়তে শোনা গিয়েছে, “মৃতের সংখ্যায় শীর্ষে মুর্শিদাবাদ। তবে পিছিয়ে নেই ভাঙড়ও!” বডিকাউন্টিংয়ের অলিখিত প্রতিযোগিতা চলেছে। আরেকটি সংবাদমাধ্যমের রোলিং নিউজ-রিবনে চলমান বক্তব্য হিসেবে উঠে আসতে দেখেছি, “খড়গ্রামে কংগ্রেসকর্মী খুনের ঘটনায় মূল অভিযুক্তের বাবা খুন।“ সন্ত্রাস ও পালটা সন্ত্রাসের এই পরিস্থিতিকে এর চেয়ে স্পষ্টভাবে বোধহয় আর কোনও ঘটনারই পরিপ্রেক্ষিতে ব্যাখ্যা করা অসম্ভব। আমরা কেবল অসহায়ের মতো চ্যানেল পালটিয়ে গিয়েছি।

অথবা বলা ভাল, এমন সুন্দর, সুললিত, গোছানো শব্দ অথবা বাক্যের সমষ্টি সাজিয়ে নিজেদের ভদ্রলোকসুলভ মার্জিত রুচির যে প্রকাশ, সামাজিক মাধ্যমের আয়নাতে সেটিকেই তুলে ধরতে চেষ্টা করেছি। সেই আয়নাতে কেবল নিজেদেরই দেখা মেলে। আয়নার ধর্মই যেমন। সেখানে আমাদের মুখোশের আড়ালে নির্লিপ্ত, নিষ্করুণ, প্রতিক্রিয়াহীন, বিকারশূন্য অবয়বটিকে দেখতে পাওয়া যায় না। আমরা কোনও প্রতিক্রিয়া ছাড়াই কালকের রোববারে মাংস-ভাত খাওয়ার যে অনুষ্ঠান, তাকেই উদযাপনের প্রস্তুতি সাজাই। সামাজিক মাধ্যম, সামাজিক মাধ্যমের মতোই স্থবিরতায় বহমান থাকে। চূড়ান্ত এক স্ট্যাগন্যান্সির উদযাপন।

আগের লেখাতেই লিখেছিলাম, পঞ্চায়েত ভোটে হিংসার ঘটনা কোনও অস্বাভাবিক, অভূতপূর্ব, আকস্মিক ব্যাপার নয়। বিগত চারটি পঞ্চায়েত নির্বাচনের যে হিংসার খতিয়ান, তাও এবারের হিংসার ঘটনাগুলির সঙ্গে একেবারেই সামঞ্জস্যপূর্ণ। কেবল ২০০৩ সালের ৭৬-কে টপকিয়ে যাওয়া পরবর্তী নির্বাচনগুলির পক্ষে সম্ভব হয়নি। হ্যাঁ এভাবেই লিখতে চেয়েছিলাম। আমরা তো সংবাদমাধ্যমের শিরোনামগুলিতে এমনটাই দেখতে অভ্যস্ত বহু বছর। এখানে ‘নির্বাচন’ হয় না, ‘দখলের প্রতিযোগিতা’ হয়। নির্বাচন ঘোষণার দিন থেকেই আদতে শুরু হয়ে যায় ‘গ্রাম দখলের লড়াই’, অথবা ‘কার দখলে পঞ্চায়েত’! ‘দখল’ শব্দটুকুতেই প্রকাশিত হয়ে যায় আমাদের মানসিকতা। ‘নির্বাচন’ অনেক মিনমিনে উচ্চারণ।

রাজ্য অথবা কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশন, আদতে তারা স্বশাসিত সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান। কিন্তু বিগত বেশ কিছু বছর ধরেই দুটি সংস্থার মধ্যে কোনওটিকেই আর স্বশাসিত বলে মনে হয়না। ‘উচ্চতর কর্তৃপক্ষের’ অঙ্গুলিহেলনেই কার্যত তাদের কারবার চলে। এবারের নির্বাচনে শাসকদলকে দোষারোপের পাশাপাশি প্রশাসন ও কমিশনকেই কাঠগড়ায় তুলতে চাইব। তাদের এটা মনে রাখা উচিত, শত হলেও ‘শাসক দল’ আদতে একটি রাজনৈতিক অস্তিত্ব। সমস্ত হিংসা ও হত্যার প্রশাসনিক ও সাংবিধানিক দায় কিন্তু আইনত নির্বাচন কমিশন ও প্রশাসনের উপরেই বর্তাবে। শিরদাঁড়া সোজা রেখে যে তাঁরা কাজ করতে পারেননি, প্রশাসনিক ইতিহাসের পাতায় কিন্তু সেইটিই গোটা গোটা অক্ষরে লেখা থাকবে। টিএন শেষন অথবা মীরা পাণ্ডের মতো মানুষেরা সমষ্টির বিপরীতে ব্যতিক্রমী হয়ে থাকেন বলেই আজকে আমাদের এই হিংসাকে প্রত্যক্ষ করতে হয়। সমষ্টিগতভাবে শিরদাঁড়া মজবুত রাখার যে কিসেরই বা এত সমস্যা বুঝে উঠতে পারি না। হয়তো কেরিয়রের শেষলগ্নে এসে রাজীব সিংহ আরও উচ্চপদে ‘পুরস্কৃত’ হবেন। অনেক সম্মান ও অবসরকালীন সুযোগ-সুবিধায় ধন্য হবেন। কিন্তু এতগুলি প্রাণের দায় কি তিনি কোনওদিনও মন থেকে মুছে ফেলতে পারবেন? মুছে ফেলতে পারবেন তাঁর কেরিয়রগ্রাফ থেকে?

আমাকে মাফ করবেন। আদতে আমরা সত্যি করেই ‘ভদ্দরলোক’-শ্রেণির অন্তর্গত। এখানে অন্তর্বেদনার বড় একটা জায়গা থাকে না। ‘জামায় কালির দাগ’ অথবা ‘আয়নার দিকে তাকানো’র মতো একেকটি বাক্যবন্ধ, কেবল মঞ্চভাষণের জন্যেই উপযুক্ত। অচেনা, অপরিচিত কিছু মানুষের মৃত্যু, সমষ্টিগতভাবে যাঁরা প্রত্যেকেই একেবারে প্রান্তিক, অধিকাংশ ক্ষেত্রে সংখ্যালঘু অথবা নিম্নবর্গের প্রতিনিধি, এমন কিছু মানুষের মৃত্যুর কারণ, কখনওই ‘ভদ্দরলোকেদের’ অবসরকালীন বিনোদনযাপনে এতটুকুও অস্বস্তির কারণ হয়ে দাঁড়ায় না। আমরা বালিগঞ্জের বাসভবনে সাজানো কামরাতে বসে, সুস্বাদু খাবার ও পানীয় সহযোগে ভোট-উপভোগ করি।

সকাল ৭টায় ভোটগ্রহণ পর্ব শুরু হয়ে যাওয়ার পর, নির্বাচন কমিশনার তাঁর অফিসে পৌঁছন সকাল ১০টা বেজে ১ মিনিটে, কাঁটায় কাঁটায় অফিসটাইমের হিসেব মিলিয়ে। তখনই সকাল থেকে একাধিক মৃত্যুর খবর কমিশনের দপ্তরে এসে পৌঁছিয়ে গিয়েছে। সকাল সাড়ে এগারোটায় নির্বাচন কমিশনের তরফে জেলাশাসকদের কাছে নাকি হিসেব চেয়ে পাঠানো হয় কোথায় কত পরিমাণে কেন্দ্রীয় বাহিনি পাঠানো হয়েছে। চিঠিতে কমিশনার লিখেছেন, “আমি জানি এই মুহূর্তে ভোট ও ভোটজনিত হিংসার কারণে আপনারা বিশেষ ব্যস্ত রয়েছেন, কিন্তু আমার এখুনি এই বিষয়ে কিছু তথ্য প্রয়োজন।” সন্ধেয় সংবাদমাধ্যমের প্রশ্নের জবাবে যাতে অস্বস্তিতে পড়তে না হয়, তাই কি এই ‘পত্রাঘাত’? সেই চিঠিতে আরও জানতে চাওয়া হয় কোন এলাকাতে কত স্পর্শকাতর বুথ রয়েছে। তারও একটি পৃথক তালিকা চেয়ে পাঠানো হয়। ভোট শুরু হয়ে যাওয়ার চারঘণ্টারও বেশি সময় পর নির্বাচন কমিশনের তরফে স্পর্শকাতর বুথের সংখ্যা চেয়ে পাঠানো হচ্ছে, বাহিনি মোতায়েনের খতিয়ান চাওয়া হচ্ছে! এহ বাহ্য, আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী কমিশনের তরফে ৮২২ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনি চাওয়া হলেও, শেষ অবধি কেন্দ্রীয় বদান্যতায় এসে পৌঁছয় মাত্র ৬৫০ কোম্পানি বাহিনি। এখানেই শেষ নয়, নির্বাচন কমিশন ও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের মধ্যে গত প্রায় দুই সপ্তাহ ধরে এমনই চিঠি-বনাম-চিঠির যে পত্রালাপ চলে, তারই পরিপ্রেক্ষিতে ভোট শুরুর আগের দিন অবধি কেবল নয়, খবর অনুযায়ী ভোটের দিন— অর্থাৎ কিনা ৮ জুলাই, সকাল ১১টা অবধি বাহিনির আসা শেষ হয়নি। আমার এই হিসেব শুনে অবধি শিবরাম চক্রবর্তীর লেখা ‘পিগ মানে শুয়োরছানা’ গল্পের একটি দৃশ্যের কথা মনে পড়ে গেল। সেখানে মালগাড়ির কামরাতে চাপিয়ে বহুল পরিমাণে গিনিপিগের বাচ্চা চালান দেওয়ার একটি মজাদার বর্ণনা ছিল। ভোট করাতে আসা কেন্দ্রীয় বাহিনিরও বোধহয় আজ শেষমেশ তেমনই অবস্থা হয়েছিল। কারণ, খবর অনুযায়ী জানা যাচ্ছে— সকাল ১১টা অবধি বিভিন্ন রেলস্টেশনে ও আরও বিভিন্ন যানবাহনের মাধ্যমে বিভিন্ন এলাকাতে যেমন যেমন সংখ্যাতে কেন্দ্রীয় বাহিনি এসে পৌঁছিয়েছে, তাদেরকে এসে পৌঁছনো মাত্র সেই সেই এলাকাতেই কোনও মতে মোতায়েন করে দেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছে। অর্থাৎ কিনা বাহিনি মোতায়েনের বিষয়ে সামান্যতম পরিকল্পনারও কোনও আভাস দেখা যায়নি।

কোন কোন বুথে বাহিনি পাঠানো প্রয়োজন, কোনটিই বা তার মধ্যে স্পর্শকাতর, কোন এলাকাতেই বা অতিরিক্ত বাহিনি পাঠালে ভাল হয়, এই নিয়ে কোনও ধারণা বা পরিকল্পনারই চিহ্নমাত্র দেখা যায়নি। উত্তর-পূর্ব ভারত থেকে নিয়ে আসা বাহিনিকে মোতায়েন করা হয় উত্তরবঙ্গে। কিন্তু আগে তাদেরকে কলকাতায় নিয়ে আসা হয়, পরবর্তীতে তাদেরকেই আবার উত্তরবঙ্গে পাঠানো হয়। এই কারণে দুইদিন আগেই সেই বাহিনি কলকাতায় এসে পৌঁছলেও, ৮ জুলাই সকালে ভোট শুরুর মাত্র কিছুক্ষণ আগে, শেষ অবধি কোনওমতে তারা নির্দিষ্ট এলাকায় পৌঁছতে পারে। ভোট শুরুর আগের দিন, ৭ জুলাই শেষলগ্ন অবধি লাদাখ থেকে বাহিনি উড়িয়ে নিয়ে আসা হয়। কোনও এলাকাতে ভোট করাতে গেলে, সেই এলাকা সম্পর্কে কিছুটা ওয়াকিবহাল হওয়ার প্রয়োজনে বাহিনির তরফে যে ‘রুট মার্চ’ বা নূন্যতম ‘রেইকি’টুকু করা প্রয়োজন, সেই বিষয়ে প্রশাসনের তরফে কোনও তোয়াক্কাই করা হয়নি। অব্যবস্থা, চূড়ান্ত স্তরে পরিকল্পনার সার্বিক অভাব ও সর্বোপরি, এই সবকিছুরই বিপরীতে অবাক করা এক গা-ছাড়া মনোভাব যেন বা অনেককাল আগের, আমাদেরই এক ভূতপূর্ব মুখ্যমন্ত্রীর আলগা মন্তব্যকেই মনে পড়িয়ে দিল। জঘন্য এক গণধর্ষণের ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে যিনি সংবাদমাধ্যমে মন্তব্য করেছিলেন, “অমন তো কতই হয়!” পঞ্চায়েতে হিংসার ঘটনাও কার্যত যেন তেমনই সাধারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। নিয়তির পরিহাসে আজ, ৮ জুলাই সেই প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীরই জন্মদিন।

সৌভাগ্যবশত, রাত সাড়ে নটা এখন। এখনও অবধি ৩৩/১২-তেই এবারের মৃত্যুর খতিয়ান আটকিয়ে রয়েছে। এখনও রাত বাকি। ভোট-পরবর্তী পর্ব বাকি। বাকি ফল-ঘোষণা ও তার পরবর্তীতে সন্ত্রাস। যেন মৃত্যু না ঘটে, প্রার্থনা থাকবে। দেখতে অবাক লাগছিল, এত মৃত্যুর পরেও টেলিভিশন চ্যানেলগুলিতে প্রত্যেক দলের মুখপাত্রেরাই কেমন ধোপদুরস্ত পোশাকে, একেকসময়ে হাসিমুখে, কখনও বা রেগে উঠে ‘তর্কে’ সামিল হচ্ছিলেন। তিনমাস পর, এই যে ১৩ জন অথবা ৩৩ জন চলে গেলেন, তাঁদের বাড়িতে গেলে পরে, হয়তো বা নিস্তব্ধতাটুকু আরেকটু বেশি করে তখন টের পাওয়া যাবে। কেউ কোত্থাও নেই। মুর্শিদাবাদ জেলায় আহতের সংখ্যা ২০০ ছাড়িয়েছে। পরিস্থিতি এমনই যে, জেলা হাসপাতালের তরফে শয্যা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তিনমাস পর, চলে যাওয়া অথবা পঙ্গু হয়ে বাড়ি ফেরা সেই একেকজন ‘রাজনৈতিক কর্মী’ অথবা সাধারণ ভোটারেরই বাড়িতে যখন গিয়ে দাঁড়াবেন কেউ, যদি দাঁড়ান— একটা ঝোলানো ছবি দেখবেন হয়তো। অথবা তাও দেখবেন না। ক্রাচ নিয়ে কারও খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে চলা দেখবেন। নিষ্পলক কড়িকাঠের দিকে ভাবলেশহীন চোখে তাকিয়ে কারও শুয়ে থাকা দেখবেন। মৃতজনেদের পরিজনের কানের কাছটুকুতে মুখ নিয়ে গিয়ে তখন, ফিসফিস করে আউড়িয়ে দেবেন,

“ছিল, নেই— মাত্র এই!”

আরও দেখবেন, এমনভাবেই ‘সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ অবাধ নির্বাচন করিয়ে’ টিভির পর্দাতে মুখপাত্র হিসেবে যাঁরা ক্ষমতায় উঠে এসেছেন, ক্ষমতার চূড়ান্ত উপরতলাতে যাঁরা শুরু থেকে শেষ অবধি বিরাজমান, তাঁরা যে দলেরই হোন না কেন— তাঁদের ব্যক্তিগত জীবনে কিন্তু এতটুকুও ফারাক নেই!


*মতামত ব্যক্তিগত

About চার নম্বর প্ল্যাটফর্ম 4664 Articles
ইন্টারনেটের নতুন কাগজ

Be the first to comment

আপনার মতামত...