তারান্তিনো, সিজন দুই— তেত্রিশ

প্রিয়ক মিত্র

 

পূর্ব প্রকাশিতের পর

সন্ধে নামছে হালকা করে। বনিকে দেখছে অজিত ডাক্তার। রোহিতাশ্ব বাইরে দাঁড়িয়ে সিগারেট খাচ্ছিল একমনে। ভেতরে ছিল সাহেব।

এতক্ষণে বনির বাড়িতেও খবর গেছে। বনির দাদা বাপ্পা আর জিদান বসেছিল গঙ্গার ধারে। ঠিক সেই সময়েই বাপ্পার মোবাইলে ফোনটা আসে বাড়ি থেকে। পাড়াময় তখন রটে গেছে বনির ছোটখাটো অ্যাকসিডেন্টের খবরটা। একটা সাইকেল কোথা থেকে জোগাড় করে ওরা সঙ্গে সঙ্গে হাজির হয়েছিল পাড়ায়। সাহেব আর রোহিতাশ্ব যে অজিত ডাক্তারের কাছে নিয়ে এসেছে বনিকে, সেটা ওদের পাড়ার লোকই জানিয়েছে। দুজনেই এসে পৌঁছেছে তাই চেম্বারে। সাইকেলটা কোনওমতে দেওয়ালে হেলান দিয়েই প্রায় রণমূর্তি ধারণ করল বাপ্পা। চিৎকার করে ডাকতে শুরু করল সাহেবকে। রোহিতাশ্ব সিগারেট খেতে খেতে শান্তভাবেই লক্ষ করছিল বাপ্পাকে।

বাপ্পা আর সাহেবের ঝামেলাটা আজকের নয়। সেই ক্লাস টুয়েলভে পড়ে তখন ওরা। সেই সময়েই কোনও একটি কোচিংয়ে ঘটনাটা ঘটে। বিষয়টা এমন কিছু নয়। কেমিস্ট্রি কোচিংয়ের পাশেই ছিল একটি সাইবার ক‍্যাফে। আগের ব‍্যাচ শেষ হয়ে পরের ব‍্যাচ শুরু হওয়ার মাঝে থাকত ঘণ্টাখানেকের বিরতি। স‍্যার ওই সময়ে বিশ্রাম নিতেন, চা-সিগারেট খেতেন। তাই বাপ্পারাও ওই সময়টা সাইবার ক‍্যাফে-তে কাটাত। সাইবার ক‍্যাফে বিষয়টা উত্তরের এই এলাকায় জাঁকিয়ে বসেছে বছরকয়েক হল। পড়াশোনার জন্য ইন্টারনেট সার্ফিং করবে, এই অজুহাতেই মূলত আসত ওরা সাইবার ক‍্যাফে-তে। এই অছিলা আসলে ছিল গেম খেলার ছুতো। রোডর‍্যাশ, ভাইস সিটি, প্রোজেক্ট আইজিআই… কত রকমের খেলা। এরকমই একটা দিন প্রোজেক্ট আইজিআই খেলার সময় বাপ্পা আর জিদান চিৎকার করে ওঠায় সাহেব একটু আপত্তি করে। সাহেব জিম করে, মাসল আছে, ওর একটা মারকুটে ভাবমূর্তি ছিলই। বাপ্পা-জিদান‍রা চিরকালই ওকে একটা নির্বান্ধব মর্কট বলে মনে করে এসেছে। তাই ওরাও খড়্গহস্ত হয়ে পাঙ্গা নিয়েছিল। কিন্তু সাহেবের সঙ্গে সেই বিতণ্ডাটার ফল ভাল হয়নি। সেই সময় থেকেই গাঁজাখোর হিসেবে পরিচিতি তৈরি হয়েছে বাপ্পাদেরও। ফলে পাড়ার লোক স্বাভাবিকভাবেই সাহেবের পাশে দাঁড়িয়েছিল।

আজ এই অ্যাকসিডেন্টের খবরটা পেয়েই ওরা উত্তেজিত হয়ে উঠেছিল সাহেবকে একহাত নেবে বলে। সেদিনের সঙ্গে এদিনের আরেকটা মিল, আজও দুজনেই গাঁজার ধুনকিতে আছে। অজিত ডাক্তারের চেম্বারের বাইরে চিৎকার-চেঁচামেচির ফলও যদিও খুব একটা ভাল হল না। অজিত ডাক্তার বেরিয়ে এসে এক বাঁজখাঁই ধমকে থামিয়ে দিল দুজনকেই। এমনিতেই রাশভারী লোক অজিত ডাক্তার। তাই ধমক খেয়ে বাপ্পা আর জিদান দুজনেই চুপ করে গেল‌।

রোহিতাশ্ব পুরো ব‍্যাপারটাই দাঁড়িয়ে দেখল চুপচাপ। কিছু বলল না। ওর মাথায় একটা সম্পূর্ণ অন্য চিন্তা ঘুরছিল।

বনিকে কিছুক্ষণ পরীক্ষা করে ছেড়ে দিল অজিত ডাক্তার। ছাড়ার আগে শুধু একবার জানতে চাইল, নসিয়াস লাগছে না তো?

ফ‍্যালফ‍্যাল করে তাকাল বনি।

বিরক্ত হয়ে অজিত ডাক্তার বলল, কী ইংরেজি পড়ায় তোমাদের স্কুলে? নসিয়া মানে জানো না? বমি পাচ্ছে না তো? তাই জিজ্ঞেস করছি।

বনি গলা খাঁকরে শুধু একবার সজোরে মাথা নাড়ল।

এবার স‍্যাপির দিকে তাকিয়ে একবার আপাদমস্তক নিরীক্ষণ করল অজিত ডাক্তার। একটা তাচ্ছিল্যের হাসি হেসে বলল, বীরপুঙ্গব সব! রাস্তা দিয়ে বাইক চালানোর সময় কোনও জ্ঞান থাকে না, না?

স‍্যাপি মৃদু প্রতিবাদ করে বলতে চেষ্টা করছিল, বাইক ও চালায় না, কিন্তু তার আগেই অজিত ডাক্তার আবার খেঁকিয়ে উঠল।

—শাট আপ! ওই ভদ্রলোককে ডাকো।

রোহিতাশ্ব এল। অজিত ডাক্তার একটা প্রেসক্রিপশন লিখে রোহিতাশ্বর হাতে ধরিয়ে দিয়ে বলল, হি ইজ পারফেক্টলি ফাইন! আইবলসের মুভমেন্ট ঠিক আছে। নসিয়া নেই। অবস্থা বুঝে এই ওষুধটা দিয়ে দিতে বলবেন। আপনি তো বাড়ির লোক নন। বাড়ি থেকে কে এসেছে?

—বাইরে আছে, ওর দাদা, সাহেব বলল।
—ও ওই রাসকেলদুটো। উফফ! এই গোটা জেনারেশনটাই হোপলেস! যাই হোক, আপনি একটু দেখবেন।
—সত্যিই হোপলেস! যা বলেছেন, বলে একবার সাহেবের দিকে ফিরে চোখ মেরে নিল রোহিতাশ্ব।

সাহেব শুধু দেখল, অজিত ডাক্তারের কাছে রোহিতাশ্ব একবারও ফাঁস করল না, বাইকটা আদতে ওই-ই চালাচ্ছিল। আচ্ছা হারামি লোক তো!

এই গোটা ঘটনাটা যখন চেম্বারের মধ্যে ঘটছিল, সেসময় বাপ্পা আর জিদান ছিল বাইরে দাঁড়িয়ে। ছেনো আর বাবলু তখনও চোখ রেখে দাঁড়িয়ে ওদিকে। তাক করে আছে, কখন বেরবে রোহিতাশ্ব আর সাহেব। বস বলে দিয়েছে, এই দুজনকে নজরছাড়া করা যাবে না। মোড়ের চায়ের দোকানের বেঞ্চে বসে নজরটা রাখছিল দুজন।

প্রথমে চোখে পড়ল জিদানেরই।

বাপ্পা তখন নার্ভাসনেস এবং খোঁয়ারি কাটাতে পরের পর সিগারেট খেয়ে চলেছে। ডাক্তারের সঙ্গে যাবতীয় কথা রোহিতাশ্ব আর সাহেবই বলে চলেছে। বাড়ি ফিরে কী অবস্থা হতে পারে, তা নিয়ে বেশ কিছুটা ভাবিত তখন বাপ্পা। নিশ্চয়ই বাবা-মায়ের কাছে খবর গেছে। বনিকে হয়তো আজকে কিছু বলবে না ওর এই অবস্থায়, কিন্তু ওকে তো ছেড়ে কথা বলবে বলে মনে হয় না। ও নেশা কাটিয়ে সামলাবে কী করে?

এসব ভাবনার মাঝে হঠাৎই জিদান খোঁচা মারল।

—ভাই, ওই মালদুটোকে চিনিস?

বাপ্পা কিছুটা বিরক্ত হয়েই তাকাল ওদিকে। তাকিয়েই ওর বুকের ভেতরটা ছ‍্যাঁৎ করে উঠল।

এমনিতে দুজনের পরিচয় পাতি গুন্ডা হিসেবেই। তাও এ-পাড়ায় ওদের গুন্ডামির খুব একটা নিদর্শন দেখা যায় না। কোন একজন প্রোমোটারের হয়ে নাকি ওরা কাজ করে। কিন্তু এদের একটু এড়িয়ে যাওয়াই শ্রেয় বলে বোধ হয়।

অথচ ওরা দুজন ওভাবে তাকিয়ে কেন এদিকে? নজর রাখছে মনে হচ্ছে যেন!

ঠিক এই সময়টাই রোহিতাশ্ব আর সাহেব বেরিয়ে এসেছিল বনিকে সঙ্গে নিয়ে। বাপ্পা আর জিদানের দৃষ্টি অনুসরণ করে ওরাও তাকাল।

আর ওদের দেখেই সচেতন হল ছেনো আর বাবলু। গা ঝাড়া দিয়ে উঠে বাইকে চেপে বসল। কিন্তু এতটাই গোদা এদের কর্মপদ্ধতি, যে, রোহিতাশ্ব বাইক ছাড়লেই যে ওরা ওদের অনুসরণ করবে, সেটা এখান থেকেই বোঝা যাচ্ছে। আগের দুটো স‍্যাঙাৎকে যেভাবে বোকা বানিয়েছিল রোহিতাশ্ব, তাতে ছেনো-বাবলুও আর ঝুঁকি নিতে চাইছে না।

রোহিতাশ্ব গম্ভীর হল। কিন্তু চিন্তিত হল না। ও জানে, এরা চুনোপুঁটি। কিন্তু গঙ্গার ধারের আজকের হামলার নেপথ্যে আছে আরও বড় কোনও চক্রান্ত, আরও পাকা মাথার কেউ।

 

ভগা আর রাইটু প্রায় ঘুমিয়েই পড়েছিল গাড়ির মধ্যে। এমন সময় সচকিত হল হঠাৎ ভগাই।

একটা লরি এসে দাঁড়িয়েছে রেললাইনের ধারের পাঁচিল ঘেঁষে।

বেগুনিবাবুর একের পর এক রাবিশ উঠছে ওই লরিতে। ভগা রাইটুকে ডেকে দেখাল।

লরির খালাসিগুলো চারটে বস্তা তুলে নিয়ে, সন্ধের মৃদুমন্দ ঘাটের ভিড় উপেক্ষা করেই লরির পেছনের গেটটা বন্ধ করে দিচ্ছিল। কিন্তু হঠাৎই দুটো দানবের মতো ছায়ামূর্তি দরজার ফাঁক দিয়ে উঠে পড়ল লরিতে। লরির ভেতর কী ঘটছে, গঙ্গার ধারের আলতো আয়েশি ভিড় আর সেটা জানতে পারল না।

একটা খালাসি একটু তম্বি নিতে গিয়েছিল। লরির দেওয়ালে তাকে প্রায় ঠেস দিইয়ে তার গলায় একটা ক্ষুর ধরল ভগা।

—কে পাঠিয়েছে তোদের?

খসখসে গলায় প্রশ্নটা করল রাইটু।

বাকি খালাসিগুলোর তখন হাত-পা থরথর করে কাঁপছে। ওরা এতটাও বিপদ আশা করেনি। কেবল একটা পনেরো বছরের ছেলে ওদের মধ্যে একটু নির্বিকার ছিল।

যার গলায় ক্ষুর, সে মুখভর্তি পান নিয়ে তখন গোঙাচ্ছে। সেই অবস্থায় রাইটুরই চোখ পড়ল ওর ওপর।

রাইটু ওই ভ‍্যাপসা অন্ধকার লরির ভেতর যেন কিছুটা হামাগুড়ি দিয়েই গিয়ে বসল ছেলেটার সামনে।

—কে বরাত দিয়েছে?

ছেলেটা রাইটুর চোখে চোখ রাখল।

রাইটুর এই জীবনে প্রথম, কাউকে চমকাতে এসে এতটা অস্বস্তি হচ্ছে। কী একটা বেশ আছে এই ছেলেটার চোখে।

—শুধু বঙ্কাদাকে চিনি। আর কাউর নাম জানি না। টাকা দিয়েছিল, চলে এসছি।
—কার মাল তুলতে এসেছিস জানিস?

হুঙ্কার দিয়ে উঠল ভগা।

—আহ!

বিরক্তি সহকারে রাইটু থামাল ভগা-কে।

—দেখলে চিনতে পারবি?

মাথা নাড়ল ছেলেটা।

—চল আমাদের সঙ্গে।

রাইটু প্রায় একহাতে তুলে নিল ছেলেটাকে। ভগা একটু হুব্বা হয়েও পিছু নিল রাইটুর। শুধু যাওয়ার আগে বাকি খালাসিদের বলে গেল মালপত্র সঠিক জায়গায় রেখে দিতে।

 

বাপ্পা বনির কথা শুনে কিছুক্ষণ থম মেরে রইল। কী বলছে বনি এইসব?

—আজকের অ্যাকসিডেন্টের পর কি এটা মনে হচ্ছে তোর? হঠাৎ করেই?
—দাদা! আমি আজ এইজন্যই বেরিয়েছিলাম বাড়ির বাইরে, মাথাটা একটু হালকা করতে। আমি সেদিন থেকেই বুঝে উঠতে পারছি না একজ‍্যাক্টলি কী ঘটছে।
—বনি, তুই যা বলছিস তার মানে একটাই, হ‍্যালুসিনেশন। তুই সত্যি করে বল, সেদিন গাঁজা খেয়েছিলিস?

বনি কিছু বলতে গিয়েও চুপ কর‍ল। ও জানত, এই ঘটনাটা বললে এরকম একটা প্রতিক্রিয়াই আসবে বাপ্পার তরফ থেকে।

বাপ্পা ওকে একবার ভাল করে দেখল। তারপর পাশে গিয়ে বসল। বলল—

—শোন ভাই, আজ এরকম একটা ধকল গেছে তো। এখন মাথাটাকে চাপ দিস না। হতেই পারে সেদিন হয়তো কোনও কারণে মেঘ করে ছিল। তোর ওরকম মনে হয়েছে তাই।
—আর কম্পিউটারটা?
—কম্পিউটার তো চলছে ভাই! হয়তো কোনও কারণে শর্ট হয়েছিল কিছু। একবার লোক ডেকে দেখিয়ে নিলেই বোঝা যাবে। অত ভাবিস না। ঘুমিয়ে পড়।

বনির ঘরের আলোটা নিভিয়ে বেরিয়ে যাওয়ার আগে একবার ওর দিকে ফিরল বাপ্পা, চাপা গলায় বলল, সাহেব আর ওই লোকটার কিন্তু গোলমাল আছে। ওদের সঙ্গে বেশি যোগাযোগ রাখতে হবে না।

বনি একমনে দীর্ঘশ্বাস ফেলে শুয়ে পড়ল খাটে। কিন্তু বনি হঠাৎই বুঝতে পারছে, এতকিছুর পরেও ওর শরীরে কোনও ক্লান্তি নেই। বরং যেন একটা আশ্চর্য জোর পাচ্ছে ও গায়ে।

 

অনেকক্ষণ ধরে খাটের পাশের পড়ার টেবিলে আনমনে বসে ছিল দেবদত্তা। কোনও কারণ নেই। সদ‍্য মাধ্যমিক ফুরিয়েছে। এখনই পড়ার কোনও ব‍্যস্ততা নেই। তাও কী ভেবে যাচ্ছিল ও আনমনে।

ঘরে চল্লিশ পাওয়ারের বাল্ব না জ্বলার মতো করে জ্বলছে। বাকিটা আলোআঁধারি। টিউবলাইট ও ইচ্ছে করেই জ্বালায়নি। চাঁদের সামান্য আলো নেমে আসছে ঘরে। উঠে জানলার ধারে গেল দেবদত্তা। ঠান্ডা গ্রিলদুটো দু-হাতে ধরে সেই গ্রিলের ফাঁকেই ও গালদুটো ঠেকাল।

মার্চ শেষ। বসন্ত ফুরোবে। গরম প্রায় পড়ে যাচ্ছে। শুধু সন্ধেবেলার হাওয়া খুব সূক্ষ্ম স্পর্শে ছুঁয়ে যাচ্ছিল দেবদত্তার নাকমুখ। ওর মনে পড়ছিল এতদিন টানা একটা আদর্শবাদী গার্লস স্কুলে পড়ার নানা রকমের স্মৃতিগুলো। এতদিন পর্যন্ত বাড়িতে ওকে পড়াতে আসত নানা কিসিমের গৃহশিক্ষক। মাধ‍্যমিকের পর, এই প্রথম একটা ইংরেজি কোচিংয়ে ভর্তি হল ও। আশ্চর্য লাগছিল ওর কাল! একগাদা ছেলেমেয়ে পাশাপাশিই বসে দিব‍্যি। স‍্যারও কাউকে সরে বসতে বলছেন না একে অপরের থেকে।

দেবদত্তা এই অন‍্যমনস্কতার মধ‍্যেও হঠাৎই বুঝতে পারল, ওর দু-হাত চেপে ধরেছে গ্রিল। আর হঠাৎই দু-খানা গ্রিল সরতে শুরু করেছে।

কয়েক সেকেন্ড। গ্রিলদুটো বেঁকে একে অপরের থেকে ছিটকে গেল।

ছিটকে সরে এল দেবদত্তাও।

সেদিন দুপুরে ঘুমের মধ্যে দেবদত্তা বুঝেছিল, কিছু একটা ঘটছে। যেন অদ্ভুত অন্ধকার চারপাশে। এক মুহূর্তের জন্য চারপাশ ভরে উঠেছিল একটা কানফাটানো তীব্র আওয়াজে।

ঘুমের মধ্যেই কি সত্যি এই ঘটনাটা দেখেছিল দেবদত্তা? না কি ঘটনাটা ঘটেছিল সত্যি?

 

[আবার আগামী সংখ্যায়]

 

About চার নম্বর প্ল্যাটফর্ম 4664 Articles
ইন্টারনেটের নতুন কাগজ

1 Trackback / Pingback

  1. তারান্তিনো, সিজন দুই— চৌত্রিশ – ৪ নম্বর প্ল্যাটফর্ম

আপনার মতামত...