ফুল ফল মফস্‌সল

মৃদুল দাশগুপ্ত

 

কবি যখন গদ্য লিখতে কলম ধরেন, তখন সে গদ্যের স্বাদই আলাদা। আর সেই কবির নাম যদি হয় মৃদুল দাশগুপ্ত, তাহলে তো আর কথাই নেই। মহানগর কলকাতাকে লেখাপত্রে আমরা অনেক পেয়েছি, কিন্তু যেসব শ্যামল শান্ত জনপদ ঘিরে রেখেছে এই শহর কলকাতাকে, যাদের ঘাম-রক্ত ও অক্সিজেনে প্রতিদিন একটু একটু করে গড়ে উঠেছে এই আধুনিক শহর, সেইসব মফস্বলের যাপনকথা আমরা বিশেষ শুনিনি কোথাও। সে অভাব পূরণ করেছেন মৃদুল দাশগুপ্ত। তাঁর স্বাদু চিত্ররূপময় গদ্যে জীবন্ত হয়ে উঠেছে বালি থেকে বনগাঁও, ত্রিবেণী থেকে ঠাকুরনগর। সংবাদ প্রতিদিন সংবাদপত্রের 'রোববার’-এর পাতায় 'ফুল ফল মফস্‌সল' নামে ধারাবাহিকভাবে বেরোত যে লেখাগুলি, সেগুলি একত্রে সংকলিত করে প্রকাশ করেছেন 'পরম্পরা'। প্রথম প্রকাশ -- জানুয়ারি ২০১৮। বিনিময় মূল্য ২৫০ টাকা। বইটির 'বর্ধমান' অধ্যায় থেকে নির্বাচিত অংশ প্রকাশকের সহৃদয় অনুমতিক্রমে পুনঃপ্রকাশিত হল চার নম্বর প্লাটফর্ম-এর হুইলার্স স্টলে।

বর্ধমান

‘৭ টা ৩৫ ধরবে তো? চলো, চলো….’

এই বাক্যটি লিখে, এই রাতদুপুরে, সেই কণ্ঠস্বরটি কত যুগ পর যেন ফের কানে বাজল।

সুব্রতদা তাড়া দিচ্ছেন। শনিবার সন্ধেবেলা। কলেজ স্ট্রিট কফি হাউসে। প্রত্যেক শনিবার কফি হাউসে আসতেন বর্ধমান থেকে। ‘বিবিজান ও অন্যান্য কবিতা’, ‘বালক জানে না’ কাব্যগ্রন্থ দু’টির কবি সুব্রত চক্রবর্তী। ভাস্করদার পরম বন্ধু। তাঁকে নিয়েই, যেন তাঁকে চিঠি লিখছেন, বা মুখোমুখি বসে বলছেন, বড় মায়াবী একটি বই লিখেছিলেন কবি ভাস্কর চক্রবর্তী, পুস্তিকাকারে যে-বই বের হয়েছিল ‘প্রিয় সুব্রত’ নামে। রাজনীতিতে সেকালে তরুণ কংগ্রেসি দুই নেতা, আদতে গুরুশিষ্য প্রিয়রঞ্জন দাশমুন্সি-সুব্রত মুখোপাধ্যায়, ওই পুস্তিকার নামকরণ নিয়ে কিছু গুঞ্জন উঠল বটে, কিন্তু আদৌ ভাস্করদা সেসব ভেবে নামকরণ করেননি। সে যাই হোক, কফি হাউস থেকে ফেরার সময় প্রতি শনিবারই সুব্রতদা আমাকে ডেকে নিতেন — ‘চলো মৃদুল, ৭ টা ৩৫ ধরবে না?’

হাওড়া থেকে ওই বর্ধমান লোকাল ছিল গ্যালপিং।

কয়েকটা স্টেশন দাঁড়িয়ে হুশ করে চলে যেত বর্ধমান। হাওড়া থেকে প্রথমেই থামত শ্রীরামপুর। ‘সামনের শনিবার আসবেন তো, সুব্রতদা?’ — এই বলে আমি নেমে যেতাম। সুব্রতদাকে নিয়ে ট্রেন চলে যেত বর্ধমান। পথে থামত চন্দননগর, ব্যান্ডেল… এরকম দু’চারটি স্টেশন।

ওইরকমই একটা শনিবার, আবার সামনের শনিবার আসবেন — এ কথা দিয়ে সুব্রতদা ৭ টা ৩৫-এর বর্ধমান লোকালে চলে যান। আর আসেননি। সেটা ১৯৮২ না ‘৮৪, এখন মনে পড়ছে না!

আকাশ যে নীল নয়, ঘুড়ি জানে, পাখি জানে
বালক জানে না

বর্ধমান রাজ কলেজের পদার্থবিদ্যার অধ্যাপক ছিলেন সুব্রতদা। মনে পড়ছে রুদ্র আর রুমনি, ওরা তখন ছোট, স্কুলে পড়ত। নিশ্চয়ই এখন অনেক বড় হয়ে গিয়েছে ওরা। মালা বউদিই-বা কেমন আছেন, কোথায় আছেন, আমি জানি না।

ভাস্করদাও অকালে প্রয়াত হয়েছেন, তখনও স্কুলের শিক্ষকতা থেকে অবসর নেওয়ার কয়েক মাস ছিল বাকি।

সুব্রতদা বর্ধমানে থাকতেন, বর্ধমান রাজ কলেজে পড়াতেন, এই কারণে সর্বদা আমার মনে হয়, বর্ধমান আমার গায়ে হাত বুলিয়ে দিচ্ছে। বর্ধমান লোকালে চড়লেই মনে হয়।

বর্ধমান লোকাল আমাদের বড় আদরের ট্রেন। এই লোকাল ট্রেনগুলির বেশ কয়েকটি ‘গ্যালপ’ অর্থাৎ সব স্টেশনে থামে না। চাকরি-জীবনে আমি যখন দিনের বেলায় অফিস যেতাম বর্ধমান লোকাল ধরতাম, সে-ট্রেন শ্রীরামপুরে পৌঁছনোর পর আর কোনও স্টেশন না-ধরে সোজা হাওড়া। আবার হাওড়া থেকে বিকেল-সন্ধ্যার বর্ধমান লোকাল সোজা শ্রীরামপুরে। এখন এই বয়সে কখনও হাওড়া থেকে ওই ট্রেনে এলে আকাশকুসুম ভাবতে থাকি, যাত্রীদলে ওই ভদ্রলোককে অনেকটা সুব্রতদার মতো দেখতে না? শ্যামলা বরন, সুঠাম দেহ, ভারী চশমায় উজ্জ্বল দু’টি চোখ, ইনিও অধ্যাপক নিশ্চয়ই, মনে হয়।

অগুণতিবার বর্ধমান গিয়েছি আমি। কারণে, অকারণেও। দুপুরবেলা ছুটির দিন, হঠাৎ মনে হল মেয়ের জন্য একটু মিহিদানা-সীতাভোগ কিনে আনি। ট্রেনে চেপে দু’ঘণ্টা-দু’ঘণ্টা, মাঝে আরও একঘণ্টা, মোট পাঁচ ঘণ্টা ব্যয় হল। কিন্তু একেবারে বাল্যে এই শহরটির নামের সঙ্গে কী করে পরিচয় ঘটেছিল, একেবারে মাথায় গিঁথে গিয়েছিল, তখনও অদেখা-অজানা বর্ধমান, শহরটির নাম, সে-কথা বলি। সে এক ঘটনা, যদিও সে-ঘটনার স্মৃতি আমার নেই, আমি তখন একেবারে দুধের শিশু৷ সে-ঘটনার কথা আমি বালকবয়সে পরিবারের মানুষজনের কাছে শুনেছি, আমার মাসিরা আমার বাবার সঙ্গে এ ঘটনা নিয়ে রসিকতা, হাসাহাসি করতেন।

হয়েছিল কী, আমি যখন ওইরকম শিশু, বয়স সবে ৬-৭ মাস, সে-সময় একদিন সন্ধ্যা ঘন হতে আমাদের গৃহে কান্নাকাটি পড়ে যায়৷ আমার বাবার অফিস থেকে বাড়ি ফেরার সময় অতিক্রান্ত হয়ে যাওয়ারে প্রথমে উদ্বেগ, তারপর আমার মা এবং আমার ঠাকুমা কান্নাকাটি শুরু করেন। আমার কাকা তখন কৈশোরোত্তীর্ণ সদ্য তরুণ, শ্রীরামপুর রেল স্টেশনে অনেক রাত পর্যন্ত নজরদারির ঘোরাঘুরি করেন, শেষ ট্রেন চলে যায়। তখনকার দিনে মোবাইল তো নয়ই, ঘরে-ঘরে ল্যান্ডফোনও ছিল না। তবু কোনও একটি দোকান থেকে ফোন করে দেওয়া হয়েছিল, আমহার্স্ট স্ট্রিট থেকে আমার মেজোমামা ওই রাতে আমাদের বাড়িতে এসে যান। সম্ভবত ট্যাক্সিতে। সে-রাতে থানা, হাসপাতাল- এসবও হয়।

হাতে আমার খাদ্য বেবিফুডের টিন, ঘুমে ঢুলুঢুলু চোখ আমার বাবা গৃহে ফেরেন পরদিন সকালে। হাওড়া থেকে তিনি প্রতিদিন যেমন ফেরেন তেমনই গ্যালপ বর্ধমান লোকালে উঠেছিলেন, কিন্তু ট্রেনে ঘুমিয়ে পড়েন। ওই ট্রেন শ্রীরামপুরে থামলেও খেয়াল করেননি। ওই ট্রেন বর্ধমানে পৌঁছতে ঘুম ভাঙে। রাতে আর ফেরার ট্রেন ছিল না।

ছোটবেলায় এ কাহিনী আমোদের সঙ্গে একাধিকার শুনে  ‘অজানা’ বর্ধমান শহরটির নাম আমার মাথায় ঢুকে যায়, শহরটির সম্পর্কে কৌতুহল জন্মায়। মা-র জন্য বাবা মিহিদানা-সীতাভোগও এনেছিলেন, সহাস্যে আমার মাসিমারা সে-কথা একাধিকবার বলেছিলেন। ৬-৭ মাস বয়সে আমি বোধহয় ওই সীতাভোগ-মিহিদানা খাওয়ার উপযুক্ত ছিলাম না, নচেৎ আমার মনে থাকত।

বর্ধমান শহরটিতে প্রথমবার কোন বছর গিয়েছিলাম তা মনে আছে। সেটা ১৯৭১ সাল। সেবার তিনবার আমাদের হায়ার সেকেন্ডারি পরীক্ষা স্থগিত হয়ে তারপর পরীক্ষা হয়ে রেজাল্ট হল বিতিকিচ্ছিরি, আমাদের স্কুলের সবারই। সারা রাজ্যে সে বছরখানি ছিল অগ্নিগর্ভ। পাছে নকশালপন্থী হয়ে যাই, বাবা আমাকে বন্ধুদের থেকে বিযুক্ত করার জোর চেষ্টা চালালেন, একাকী করে দেওয়ার জন্য দূরবর্তী কোনও শহরের কলেজে ভর্তি করে দেওয়ার চেষ্টা চালালেন। কলকাতার কলেজগুলোতে কিছুতেই ভর্তির চেষ্টা করতে দিলেন না। বাবা-ই আমাকে নিয়ে গেলেন প্রথমে বর্ধমানে ভর্তি করাতে। বর্ধমানে কলেজে পড়া অবশ্য আমার হল না। উত্তরপাড়া প্যারীমোহন কলেজে তখন অধ্যক্ষ ছিলেন কিরণ গুপ্ত, বরিশালে বাবার পরিচিতজন, তাঁর জিম্মায় শেষতক আমাকে সোর্পদ করলেন বাবা। কিন্তু হল কী, উত্তরপাড়া প্যারীমোহন কলেজ ছিল তৎকালে ছাত্র রাজনীতির তীর্থক্ষেত্র।

আর একবার বর্ধমান সফরের কথা মনে পড়ছে। আটের দশকের গোড়ায়। তখন আমি একটি সংবাদ সাপ্তাহিকের  সাংবাদিক। সংবাদপত্রে বের হয়েছিল, বর্ধমান মেডিকেল কলেজে শিশু চিকিৎসা বিভাগে একই দিনে কয়েকজন শিশুর আকস্মিক মৃত্যু ও সংকটাপন্ন হওয়ার খবর। কেন এমন কাণ্ড- তা বিস্তারিত জানতে পরদিনই পৌঁছই। কিন্তু বিষয়টি অতি তৎপরতায় দ্রুত আড়াল করে ফেলেছিলেন তৎকালীন কর্তৃপক্ষ। আমি দু’-তিনজনকে পেয়েছিলাম, সন্তানহারা মা-বাবা। কিন্তু তাঁরা ভয়ে সিঁটিয়েছিলেন, কোনও অভিযোগ করতে তাঁরা অস্বীকার করেন। সারা দিন রোদে-রোদে সারা শহর ঘুরে বেড়িয়েছিলাম, শেষে বিকেলে কালনা রোডে বন্ধু শ্যামলবরণ সাহার বাড়ি গিয়ে স্নান করে প্রায় সন্ধেবেলা খাওয়াদাওয়া করেছিলাম, মনে পড়ে। শ্যামলবরণ কবি-ই শুধু নয়, সে শিল্পীও, তার ছবি মুগ্ধ করে দেয়। এই সেদিন কলকাতায় তার ছবির প্রদর্শনী হল, এবার তার চিত্রপ্রদর্শনীতে যেতে পারিনি, আগেরবার গিয়েছিলাম। শ্যামলের ডাকে৷ অংশুমানের ডাকে একাধিকবার বর্ধমান শহরে গিয়েছি। অংশুমান কর ন’য়ের দশকের উজ্জ্বল কবি, ‘কৃত্তিবাস’ (আসল) পত্রিকা সম্পাদনার সঙ্গে অংশুমান যুক্ত, বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের সে ইংরেজির নামী অধ্যাপক। সাহিত্য অকাদেমির পূর্বাঞ্চলীয় দপ্তরটির, কলকাতায়, সচিবের দায়িত্বও অংশুমান কিছুকাল সামলেছে। আমার বন্ধু রাজকুমার রায়চৌধুরী, যদিও সে কাটোয়ার মাথরুন গ্রামে থাকে, তার ডাকেও আমি একাধিকবার বর্ধমানে গিয়েছি বা আমি বর্ধমান পৌঁছলে, সেও বর্ধমান চলে এসেছে। আমাদের সময়ের দুর্দান্ত লিটল ম্যাগাজিন ‘প্রতিবিম্ব’, যা এখনও মাঝেমাঝে বের হয়, বর্ধমান থেকেই বের করতেন প্রশান্ত মাজী।

দক্ষিণবঙ্গের সম্পন্ন সমৃদ্ধ বড় শহর বর্ধমান। কৃষিতে, শিল্পে নিজের পায়ে দাঁড়ানো গোটা বর্ধমান জেলাই। যুক্তবঙ্গের আমলে তামাম বাংলার ‘ধানের গোলা’ বলা হত বর্ধমান জেলাকে। আমি নিজে একসময় বর্ধমানে জিটি রোডের ধারে-ধারে চটের ওপর বিছিয়ে দেওয়া ধান রোদে শুকোতে দেখেছি। শহরের ভেতরেই কোনও কোনও বাড়ির অভ্যন্তরে উঠোনে দেখেছি ধানের গোলা। ঢেঁকিও। এখন নানারকম মেশিনপত্র এসে গিয়েছে, ধান শুকোনো, গোলা এখন চোখেই পড়ে না।

স্বভাবগত একটা নীরব দাপট আছে খাঁটি বর্ধমানের মানুষজনের, যাঁরা উৎসে বর্ধমানেরই। সে-দাপটে অহং নেই। হাওড়া থেকে বর্ধমানের ট্রেনে হুগলি জেলা ফুরলেই বর্ধমান শুরু। হুগলি আর বর্ধমান পাশাপাশি জেলা। আমি বহুকাল থেকেই এসব ট্রেনে যাত্রীদের শরীর কাঠামো, গাত্রবর্ণ, মুখমণ্ডল খুঁটিয়ে দেখে মনে মনে বিচার-বিশ্লেষণ করে বোঝার চেষ্টা করি — এঁরা হুগলি, ওঁরা বর্ধমান। কথাবার্তা, চালচলন, ভঙ্গি, রসিকতায় টের পাই, মিলে যায়। গা থেকে ধানের গন্ধ আসে যেন বর্ধমানের মানুষজনের — বিশেষত, খাঁটি যাঁরা বর্ধমানি। সেই আমলে, অবিভক্ত বাংলায়, প্রবচন ছিল ‘বর্ধমানের বর, বরিশালের কনে’। মসৃন দাপটের কারণেই, সেয়ানে-সেয়ানে। ধান-চালের কারণেই সেই আমলে বর্ধমান যেমন প্রাচুর্যে, বরিশালের কদর ছিল শ্রেষ্ঠত্বের, সুবিখ্যাত ছিল বরিশালের বালাম চাল।

দূর অতীতে, আজকের বর্ধমান মহাশহরটি যেখানে, সেই অঞ্চলের নাম ছিল ‘অষ্টিকাগ্রাম’। খ্রীষ্ট পূর্ব ষষ্ঠ শতাব্দীতে জৈন ধর্মের ২৪ তম তীর্থঙ্কর এসেছিলেন এই জনপদটিতে। জৈন ধর্মের তিনি মহাবীর, তাঁর আর-এক নাম ‘বর্ধমান’। জৈন সম্প্রদায়ের কল্পসূত্রে এই বিবরণ আছে। কথিত আছে, নগ্ন ওই তীর্থঙ্করকে দেখে তৎকালীন জনপদবাসীরা ঢিল ছুড়েছিলেন, কুকুর লেলিয়ে দিয়েছিলেন। ২৪ তম ওই তীর্থঙ্করের নামেই এ শহরের নাম- ‘বর্ধমান’। এ কথা লিখতে-লিখতেই মনে পড়ল, শ্রীরামপুর রেল স্টেশনের বুক স্টলটির অশোক জৈনের বাড়িতেও আমি বর্ধমান গিয়েছি। আমার বন্ধু অশোক কয়েক পুরুষ ধরে বাংলায় রয়েছেন। বর্ধমান স্টেশনে, ব্যান্ডেল স্টেশনেও ওঁদের বুক স্টল আছে। ওঁদের আদি বাড়ি আগ্রার কাছে অম্বায়, চম্বল উপত্যকার শুরু যেখানে। মনে পড়ছে, বর্ধমানে আমার বন্ধু অশোকের বাড়িতে গিয়েছিলাম যখন, গোটা পাড়াটিকেই মনে হয়েছিল আগ্রা শহরের গলির মতো, একটা দু’টো পুরনো হাভেলি, কাঠের জাফরি দেওয়া অট্টালিকা…। ওঁরা নিরামিষাশী, মধ্যাহ্নভোজে ভাতের সঙ্গে একটা রুটি, আচার, পাঁপড় দিয়েছিলেন, ঘিয়ে জবজবে রুটি।

 

About চার নম্বর প্ল্যাটফর্ম 4667 Articles
ইন্টারনেটের নতুন কাগজ

2 Comments

  1. কবি সব্যসাচী ! এই নির্মেদ, ব্যঞ্জনারহিত গদ্যের কি টান !

  2. এ বইটির মাধ্যমেই কবির গদ্য পড়া আমার, এবং এখন অবধি এর বাইরে উনার গদ্য আর পড়বার সুযোগও হয়নি। এ বইটি পড়তে গিয়ে চমকৃত হয়েছি, একটা ভ্রমণস্মৃতির ভেতর যেন পাঠক হিসেবে আমিও থাকি।

Leave a Reply to prativa sarker Cancel reply