গাজা-অভিমুখে আন্তর্জতিক পদযাত্রা— ইজরায়েলের গণহত্যার বিরুদ্ধে সারা বিশ্ব আজ ঐক্যবদ্ধ

ওয়াহিদ বেন আলি

 

পঞ্চাশটিরও বেশি দেশের শ্রমিক ইউনিয়ন, সংহতি আন্দোলন এবং মানবাধিকার সংগঠনগুলির সমন্বয়ে গঠিত একটি আন্তর্জাতিক জোট গাজা উপত্যকায় পদব্রজে প্রবেশের লক্ষ্যে এক নতুন উদ্যোগের সূচনা ঘোষণা করেছে। হাজার হাজার আন্তর্জাতিক স্বেচ্ছাসেবক কায়রো থেকে রাফা সীমান্তচৌকির উদ্দেশে এক বৃহৎ পদযাত্রায় অংশ নেবেন। তাঁদের এই উদ্যোগের লক্ষ্য গাজায় ইজরায়েলের আরোপিত অবরোধের অবসান দাবি এবং তা একই সঙ্গে লাগাতার বোমাবর্ষণ ও দুর্ভিক্ষের মাঝে গাজার বাসিন্দাদের বিভীষিকাময় পরিস্থিতির প্রতি বিশ্বজনতার দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চায়।

গ্লোবাল মার্চ টু গাজা নামে পরিচিত এই প্রচারাভিযান প্যালেস্তাইনের সঙ্গে আন্তর্জাতিক সংহতি আন্দোলনের এক গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক। এই বৈশ্বিক পদযাত্রার আয়োজকরা যে প্রধান উদ্দেশ্যগুলি তুলে ধরেছেন তার মধ্যে রয়েছে— গাজায় চলমান দুর্ভিক্ষের অবসান ঘটানো, মাসের পর মাস ধরে রাফা সীমান্তচৌকিতে আটকে থাকা হাজার হাজার ত্রাণবাহী ট্রাকের প্রবেশ নিশ্চিত করা, একটি স্থায়ী ও নিরাপদ মানবিক করিডর প্রতিষ্ঠা, ইজরায়েলের অপরাধ প্রকাশ্যে আনা এবং দোষীদের জবাবদিহির আওতায় আনার জন্য জোরালো দাবি তোলা।

শ্রমিক ইউনিয়ন, অধিকার সংগঠন, চিকিৎসা পরিষেবা ও নাগরিক সমাজের সঙ্গে যুক্ত হাজার হাজার অংশগ্রহণকারী একটি সুস্পষ্ট বার্তা নিয়ে একত্রিত হয়েছেন— গাজার জনগণের বিরুদ্ধে ইজরায়েলের গণহত্যা নিয়ে আন্তর্জাতিক নীরবতার অর্থই হল এই অপরাধে অংশগ্রহণ করা, এবং বিশ্বের মানুষ এর বিরুদ্ধে কার্যকর পদক্ষেপ দাবি করছে। গত ২০ মাস ধরে ইজরায়েল যখন গাজার জনগণের বিরুদ্ধে গণহত্যা চালিয়ে যাচ্ছে, তখন বিশ্বজুড়ে কোটি কোটি মানুষ প্যালেস্তাইনের পক্ষে রাস্তায় নেমেছেন, ইজরায়েলের অপরাধের অবসান চেয়েছেন। এই বিপুল গণআন্দোলন বিশ্বজুড়ে প্যালেস্তাইন সংহতি সংগ্রামের ইতিহাসে এক অভূতপূর্ব জাগরণের নিদর্শন।

“গ্লোবাল মার্চ টু গাজা”-র আন্তর্জাতিক কমিটির সদস্য সাইফ আবু কেশক ব্রেকথ্রু নিউজ-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেন, এই পদযাত্রার লক্ষ্য হল প্যালেস্তাইনিদের উপর চলতে থাকা গণহত্যা বন্ধ করা, মানবিক ত্রাণের শর্তহীন ও তৎক্ষণাৎ প্রবেশ নিশ্চিত করা এবং গাজায় চাপিয়ে দেওয়া “অমানবিক” অবরোধ তুলে নেওয়ার জোরালো দাবি তোলা। তিনি জোর দিয়ে বলেন, এই উদ্যোগ সম্পূর্ণরূপে মানবিক, এর সঙ্গে কোনও রাজনৈতিক দল বা সরকারি পৃষ্ঠপোষকতার সম্পর্ক নেই। অংশগ্রহণকারীরা সবাই স্বেচ্ছায় ও নিজেদের খরচে এই পদযাত্রায় সামিল হয়েছেন— বিশ্বজুড়ে সংহতির শক্তি গড়ে তোলা এবং যে-সব দেশ ইজরায়েলের এই বর্বর অপরাধের সহযোগী কিংবা নীরব, সেইসব সরকারের উপর ব্যাপক গণচাপ সৃষ্টি করাই এই আন্দোলনের মূল উদ্দেশ্য।

 

কায়রো থেকে রাফা

বিভিন্ন দেশ থেকে আসা স্বেচ্ছাসেবকরা ১২ জুন মিশরের রাজধানী কায়রোতে পৌঁছাতে শুরু করবেন এবং সেখান থেকে আরিশ শহরের উদ্দেশে রওনা দেবেন। ১৫ জুন তাঁরা আরিশ থেকে পদযাত্রা শুরু করবেন রাফা সীমান্তচৌকির দিকে। আয়োজকরা স্পষ্ট করেছেন, এই পদযাত্রার উদ্দেশ্য শুধুমাত্র রাফায় পৌঁছনো নয়— সেখানে অবস্থান বিক্ষোভের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের উপর চাপ সৃষ্টি করা, যাতে সীমান্ত খুলে দেওয়া হয় এবং ত্রাণসামগ্রী প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হয়। তাঁরা জানিয়েছেন, গাজার জনগণের সঙ্গে সংহতির নিদর্শন হিসেবে তাঁরা স্বেচ্ছায় কষ্ট সহ্য করতে প্রস্তুত— যে গাজাবাসীরা গত কয়েক মাস ধরে খাদ্য, জল ও ওষুধের অভাবে মর্মান্তিক অবস্থার মধ্যে রয়েছেন এবং গত ২০ মাস ধরে নিরবচ্ছিন্ন বোমাবর্ষণের মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন।

জার্মান আইনজীবী মেলানি শ্ভাইটসার জোর দিয়ে জানিয়েছেন, এই পদযাত্রা সম্পূর্ণ শান্তিপূর্ণ এক নাগরিক উদ্যোগ। এই যাত্রা একটি ঐক্যবদ্ধ মানবিক বার্তা বহন করছে— যা রাজনৈতিক বা সাংস্কৃতিক সীমানার ঊর্ধ্বে।

আইরিশ অ্যাক্টিভিস্ট ক্যারেন মোয়নিহান জানান, আয়োজকরা মিশরের দূতাবাস এবং তাঁদের নিজ নিজ দেশের কূটনৈতিক মিশনের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলেছেন, যাতে অংশগ্রহণকারীদের জন্য নিরাপদ যাত্রাপথ নিশ্চিত করা যায়। তিনি জোর দিয়ে বলেন, এই উদ্যোগের লক্ষ্য মিশরের ওপর চাপ সৃষ্টি নয়, বরং তার সহযোগিতা চাওয়া এবং ইজরায়েলের উপর প্রকৃত আন্তর্জাতিক চাপ সৃষ্টি করা— যাতে অবরোধ তুলে নেওয়া হয়। তাঁর কথায়, যে রাষ্ট্রই এই ঘৃণ্য অপরাধগুলোর বিরুদ্ধে পদক্ষেপ না নিয়ে নীরব থাকছে, সেই রাষ্ট্রও গণহত্যার নীরব সহযোগী। ইতিহাস এমন নীরবতাকে ক্ষমা করবে না।

এই পদযাত্রা এমন এক সময়ে অনুষ্ঠিত হচ্ছে, যখন বিশ্বজুড়ে ইজরায়েলের অব্যাহত অবরোধ ও মানবিক ত্রাণপ্রবেশে বাধার বিরুদ্ধে ক্ষোভ ক্রমশ বেড়ে চলেছে। একই সঙ্গে সমালোচনা হচ্ছে একটি মার্কিন বেসরকারি সংস্থা “গাজা হিউম্যানিটারিয়ান ফাউন্ডেশন” (GHF)-এর হাতে ত্রাণ ব্যবস্থাপনার দায়ভার তুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েও। ইজরায়েল এই সংস্থাকে জাতিসংঘের রিলিফ এজেন্সি UNRWA ও অন্যান্য ত্রাণ সংস্থার বিকল্প হিসেবে প্রতিষ্ঠা করেছে, এই অভিযোগে যে ওই সংস্থাগুলি নাকি হামাসের সঙ্গে যুক্ত। অথচ রাফায় GHF-এর ত্রাণ বিতরণ কেন্দ্রগুলো কার্যত ত্রাণ পৌঁছানোর ক্ষেত্রে খুব সামান্যই ভূমিকা রেখেছে, বরং সেখানে দুই দফায় ত্রাণের জন্য ভিড় করা প্যালেস্তিনীয়দের উপর ইজরায়েলি সেনারা গুলি চালায়। ফলে কার্যত ওই ত্রাণ বিতরণ কেন্দ্রগুলি ইজরায়েলের গণহত্যা চালানোর এক-একটি নির্বিঘ্ন ক্ষেত্র হয়ে উঠেছে।

GHF-এর ত্রাণ বিতরণ পদ্ধতি ব্যাপক ক্ষোভের জন্ম দিয়েছে। UNRWA-র প্রধান ফিলিপ লাজারিনি রাফায় ঘটে যাওয়া ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে বলেন, “ক্ষুধার্ত মানুষজন খাদ্যের জন্য মরিয়া হয়ে বেড়া ঠেলছে— স্তম্ভিত করার মতো দৃশ্য! চূড়ান্ত বিশৃঙ্খল, অবমাননাকর এবং নিরাপত্তাহীন এক পরিস্থিতি।” তিনি সাফ জানিয়ে দেন, “মানবিক ত্রাণকে অস্ত্র বানিয়ে গাজার সংকট সমাধান করা যাবে না।”[1]

ইজরায়েলের অবরোধের কারণে গাজার অবধারিত দুর্ভিক্ষ-পরিস্থিতি ও মানবিক বিপর্যয় ঘিরে বিশ্বজুড়ে ক্ষোভ যখন ক্রমশ বাড়ছে, সেই প্রেক্ষিতেই গ্লোবাল মার্চ টু গাজা এবং সদ্যসমাপ্ত ফ্রিডম ফ্লোটিলা-র অভিযান[2] এমন একটি উদ্যোগ গ্রহণ করেছে, যা বিশ্বের অধিকাংশ রাষ্ট্রনেতাই নিতে অস্বীকৃতি জানিয়ে এসেছেন। এই আন্দোলনগুলি গাজার জনগণকে জানিয়ে দিতে চায়— তাঁরা একা নন।

 

তিউনিস থেকে রাফা

গ্লোবাল মার্চ টু গাজা আন্তর্জাতিক উদ্যোগটি যখন শুরু হতে চলেছে, ঠিক সেই সময়ে আঞ্চলিক স্তরেও তৃণমূল পর্যায় থেকে নানা ধরনের কর্মসূচি সংগঠিত হচ্ছে— এর মধ্যে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য হল তিউনিসিয়ার উদ্যোগ। মে মাসের মাঝামাঝি থেকেই তিউনিসিয়ার অসংখ্য নাগরিক সংগঠন, বৃহৎ শ্রমিক ইউনিয়ন, ছাত্র সংগঠন এবং যুব আন্দোলনের সদস্যরা একটি কনভয় প্রস্তুত করছেন, যা তিউনিস থেকে যাত্রা শুরু করে কায়রো পেরিয়ে গ্লোবাল মার্চের সঙ্গে রাফা সীমান্তে মিলিত হবে এবং তাদের দাবির প্রতি সংহতি প্রকাশ করবে।

এই মুহূর্তে হাজার হাজার তিউনিসিয়ান নাগরিক বাসে করে মিশরের উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন। আয়োজকেরা জানিয়েছেন, এই কনভয় কিছু প্রতীকী মানবিক সাহায্য বহন করলেও, তার প্রধান বার্তা একান্তই রাজনৈতিক ও স্পষ্ট:

অবরোধ বন্ধ করো; সম্পর্ক স্বাভাবিককরণের নাটক বন্ধ করো; প্যালেস্তাইনের স্বাধীনতার পক্ষে দাঁড়াও।

তিউনিসিয়ান ও আন্তর্জাতিক পক্ষগুলির মধ্যে সমন্বয় গত কয়েক সপ্তাহ ধরে চলেছে, বিশেষ করে ম্যাগরেব এবং দক্ষিণ ইউরোপের বিভিন্ন দেশ— যেমন ইতালি, স্পেন ও ফ্রান্স— থেকে আগত অংশগ্রহণকারীদের সঙ্গে যৌথ মিডিয়া ও লজিস্টিকাল কমিটিগুলির মাধ্যমে। তিউনিসিয়ার আয়োজকেরা এই কনভয়কে গ্লোবাল মার্চ টু গাজা-র “ম্যাগরেব শাখা” বলে অভিহিত করেছেন— যা উত্তর আফ্রিকা থেকে গাজার দুয়ারে পৌঁছনো এক বিস্তৃত তৃণমূল স্তরের আন্দোলনের ভিত গড়ে তুলছে।

এই কনভয়টি ৯ জুন তিউনিস শহর থেকে যাত্রা শুরু করেছে। এতে রয়েছেন বিভিন্ন স্তরের মানুষ— শ্রমিক সংগঠনের সদস্য, চিকিৎসক, ছাত্রছাত্রী, সাংবাদিক এবং অধিকারকর্মীরা— যাঁদের অনেকেই এর আগে লেবানন বা গাজায় বিভিন্ন সংহতি মিশনে অংশ নিয়েছেন।

তিউনিসিয়ার সমন্বয় কমিটিগুলি এখন অর্থ সংগ্রহ, রসদ সংক্রান্ত চূড়ান্ত প্রস্তুতি এবং মিশরের দূতাবাস থেকে যাতায়াতের অনুমতিপত্র নিশ্চিত করার কাজে ব্যস্ত রয়েছেন। রাজধানী তিউনিস-সহ যে শহরগুলি দিয়ে কনভয় অগ্রসর হয়েছে, সেখানে প্রতীকী বিদায় অনুষ্ঠান এবং রাস্তায় সাধারণ মানুষের অভিনন্দন এই উদ্যোগের প্রতি ব্যাপক জনসমর্থন ও সক্রিয় গণ-অংশগ্রহণের ইঙ্গিত দিয়েছে।

প্রতিবেশী দেশগুলির অংশগ্রহণকারীরাও এই কনভয়ে যুক্ত হয়েছেন— এদের মধ্যে রয়েছেন এমন কিছু মানুষ, যাঁরা এর আগে মাল্টার উপকূলে ইজরায়েলি হামলার শিকার হওয়া ফ্লোটিলার সঙ্গেও যুক্ত ছিলেন। তিউনিস থেকে রাস আজদির সীমান্ত ক্রসিং পর্যন্ত পথে প্রায় ২,০০০ তিউনিসিয়ান একত্রিত হন, সেখান থেকে তাঁরা লিবিয়ার ভূখণ্ডে প্রবেশ করেন। পরবর্তী কয়েকদিন ধরে এই কনভয় লিবিয়া অতিক্রম করে মিশরে প্রবেশ করবে, কায়রো পৌঁছে সেখান থেকে আরিশ হয়ে শেষপর্যন্ত রাফা সীমান্তে পৌঁছবে।

তিউনিসিয়া-প্যালেস্তাইন সংহতি কনভয়। ছবি: তিউনিসিয়া ল্যান্ড কনভয়

তিউনিসিয়ান কনভয় এবং গ্লোবাল মার্চ টু গাজা-র অংশগ্রহণকারীদের রাফা সীমান্তে সমবেত হওয়া— যা আশা করা যাচ্ছে ১৫ জুনের আশেপাশে ঘটবে— শুধু একটি প্রতীকী মিডিয়া ঘটনার মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকবে না, বরং তা রূপ নেবে এক মুক্ত আন্তর্জাতিক প্রতিবাদ শিবিরে। সীমান্তে অবস্থান ধর্মঘট চলবে, ব্যানার উড়বে, স্লোগান উঠবে। বিভিন্ন দেশের সরকারকে তাঁদের নৈতিক ও রাজনৈতিক দায়িত্ব গ্রহণের আহ্বান জানানো হবে। একটি ঐক্যবদ্ধ আন্তর্জাতিক দাবিপত্র তুলে দেওয়া হবে মিশরের কর্তৃপক্ষ ও অঞ্চলটিতে নিযুক্ত জাতিসংঘ প্রতিনিধিদের হাতে— তাতে দাবি জানানো হবে রাফা সীমান্ত অবিলম্বে ও নিঃশর্তভাবে খুলে দেওয়া হোক এবং খাদ্য, ওষুধ ও জ্বালানি বহনকারী ৩,০০০-এরও বেশি ত্রাণবাহী ট্রাককে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হোক।

তিউনিসিয়ান অংশগ্রহণকারীরা রাফা সীমান্তে সাংস্কৃতিক ও জনসচেতনতা বৃদ্ধির বিভিন্ন কর্মসূচিও আয়োজন করার পরিকল্পনা করেছেন। এর মধ্যে থাকবে আলোচনাচক্র, শিল্প পরিবেশনা এবং সরাসরি সম্প্রচারিত গণমাধ্যমভিত্তিক প্রচারাভিযান— যার উদ্দেশ্য হল আন্তর্জাতিক জনসমর্থন আরও প্রসারিত করা এবং ইজরায়েলের অপরাধগুলিকে বিশ্ব-জনতার সামনে তুলে ধরা। বিশেষত, এই কর্মসূচিতে বিশ্বের প্রধান প্রধান আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলির উপস্থিতি প্রত্যাশিত বলেই আয়োজকেরা এই দিকে বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছেন।

সারসংক্ষেপে বলা যায়, গ্লোবাল মার্চ টু গাজা এবং তিউনিসিয়ান কনভয়ের সংযুক্তি প্যালেস্তাইনের প্রতি তৃণমূলস্তরে আন্তর্জাতিক সংহতির ইতিহাসে এক গুরুত্বপূর্ণ সূচকের প্রতিনিধিত্ব করে। এটি কেবল একটি সীমান্ত অভিমুখে পদযাত্রা নয়, বরং সমগ্র বিশ্বের বিবেকের উদ্দেশে যাত্রা— যেখানে প্রত্যক্ষ আন্দোলনের শক্তিকে নতুন করে জাগিয়ে তুলে গাজার অবরুদ্ধ মানুষের কাছে একটি স্পষ্ট বার্তা পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে: তোমরা একা নও।

প্যালেস্তাইন ও ইরানে ইজরায়েলি হানাদারির বিরুদ্ধে ভেনেজুয়েলার কারাকাসে প্রতিবাদ মিছিল

তিউনিস থেকে ডাবলিন, কেপটাউন থেকে ক্রাকোভ— বিশ্বের নানা প্রান্তে মানুষ উঠে দাঁড়াচ্ছে গাজার পাশে, অবরোধ ও অন্যায়ের বিরুদ্ধে গড়ে তুলছে সংহতি ও প্রতিরোধের পথ।

 


[1] Everything You Need to Know About the Gaza Aid Massacre at a US-Israeli Distribution Point. QNN. May 28, 2025.
[2] বন্দ্যোপাধ্যায়, অমর্ত্য। আমরা ক্লীব হয়ে বেঁচে আছি। চার নম্বর প্ল্যাটফর্ম। জুন ১১, ২০২৫।


ওয়াহিদ বেন আলির এই প্রতিবেদনটি গত ১০ জুন পিপলস ডিসপ্যাচ.অর্গ-এ ইংরেজিতে প্রকাশিত হয়। বিশ্বজুড়ে যুদ্ধদামামার অশ্লীল হুঙ্কারের আবহে আমরা আমাদের জুলাই সংখ্যার ভালো খবর হিসেবে বেছে নিয়েছি এই খবরটিকেই।

 

About চার নম্বর প্ল্যাটফর্ম 5217 Articles
ইন্টারনেটের নতুন কাগজ

Be the first to comment

আপনার মতামত...