মিয়াজাকি হ্যাশট্যাগ মালদা

কৌশিক সেন

 


মালদা থেকে মিয়াজাকি আম চাষ এবং সম্ভাব্য রপ্তানির জন্য চলমান প্রচেষ্টা চলছে। সফল রপ্তানি নিশ্চিত করার জন্য, আমের উচ্চ মান বজায় রাখা একান্ত প্রয়োজন, যা আন্তর্জাতিক বাজারের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তবে মালদার চাষিরা আগেও চ্যালেঞ্জ নিয়েছেন, এবারও তাঁরাই ভরসা। একদিন শুধু দক্ষিণ শিবগঞ্জ এলাকার একটি গাছে নয়, বহরু বা জয়নগরের মোয়ার মতো, ঘরে বসে বাঙালি পাত পেতে মিয়াজাকি চেখে দেখতে পারবে। এগ্রিকালচারাল অ্যান্ড প্রসেসড ফুড প্রোডাক্টস এক্সপোর্ট ডেভেলপমেন্ট অথরিটি (APEDA) এই বছর জাপানে এক হাজার টন আম রপ্তানি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে

 

আষাঢ় এসে গেছে, কিন্তু আষাঢ়ে গল্পকথা নয়। বাজারে কীটনাশক দেওয়া হিমসাগর, ল্যাংড়া আমে পচন ধরেছে দ্রুত। গরমের সূচনা থেকেই টিভির পর্দায় চোখ গেলেই দেখা যাচ্ছিল শীতল পানীয়। বলিউড অভিনেত্রী ক্যাটরিনা কাইফের ওষ্ঠ বেয়ে এক ফোঁটা আমের রস গড়িয়ে পড়ছিল এক বিজ্ঞাপনে, “এক বুঁন্দ বিশ্ববাণিজ্য কা।” ‘স্লাইস’-এর রসগ্রাহী হয়ে পড়েছিলাম ভাবনার সামিয়ানায়। তারপর ‘ফ্রুটি’র আলিয়া ভাট বলতে চাইলেন, আমরস মানেই জীবন। বা মুম্বাই ছেড়ে দক্ষিণি মহাতারকা হয়ে ওঠা পূজা হেগরে ‘মাজা’ বিজ্ঞাপনে জানালেন, আসল আমের মজা নাকি তাতেই। যাঁরা বোতল বা টেট্রাপ্যাকের পেছন দিক পড়তে পারেন, তাঁরা জানেন, ম্যাঙ্গো পাল্প দশ শতাংশ বা তার কম, এবং পঞ্চাশ শতাংশ চিনি, উপরন্তু আমের কেমিক্যাল ফ্লেভার দিয়ে তৈরি, সাধের আমরস। আরে বাবা, দশ-বিশ টাকায় যদি আসল আলফোনসো আমের স্বাদ পাওয়া যায়, মন্দ কী! তাও অসময়ে, বছরভর! তবে যাঁরা একটি আম কিনতে লাখ টাকার বেশি খরচ করেন, তাঁদের আমরা ডিস্টিঙ্কটিভলি প্রিভিলেজড ক্লাস বলব। নয় কি?

 

আম উৎপাদনের অনুকূল আবহাওয়া

ধান এবং সব্জির পাশাপাশি, কাঁচা আম দক্ষিণ ২৪ পরগনার অন্যতম অর্থকরী ফসল।

দক্ষিণবঙ্গের পাথরপ্রতিমা ব্লকের দক্ষিণ শিবগঞ্জ এলাকার এক ব্যক্তির সঙ্গে আলাপ রামগঙ্গা বাস স্ট্যান্ডে। বাসের অপেক্ষায় ছিলাম। মোবাইলে একটি বিশেষ ধরনের আমের ছবি দেখালেন। তাঁর রোপণ করা চারা থেকে পুষ্ট হয়ে উঠেছে। সুন্দরবনের আবহাওয়া আম উৎপাদনের ক্ষেত্রে তেমন সহায়ক না হলেও, তিনি অসম্ভবকে বাগে এনেছেন।

 

মাত্র এক বছর গাছের বয়স। আগামী বছরে খুব ভালো ফলন হবে, হাসিমুখে আশাবাদী মনে জানালেন। আমটি অতি বেগুনি রঙের, নজরকাড়া, নাম মিয়াজাকি।

 

প্রিমিয়াম আম

আলফোনসো আম হল ‘আমের রাজা’, স্বাদে সমৃদ্ধ এবং মিষ্টি। আলফোনসো আম, যা হাপুস নামেও পরিচিত, ভারতের সবচেয়ে প্রিমিয়াম জাতের আমের মধ্যে একটি হিসাবে বিবেচিত হয়। এর নাম এবং দাম আগেই শুনেছিলাম। এবং মুম্বাইতে পৈতৃক বাড়ি থাকার কারণে যে-সব মধ্যমবর্গীয় গুণের আম বিদেশে বাণিজ্য করতে যেত না, তার স্বাদগ্রহণের সুযোগ পেতাম। আঁটি ফেলার সময় ভাবতাম, স্বাদ গন্ধ রস তো বুঝলাম, এমন কী আহামরি। যত্তসব। শুধুই যেন প্রোপাগান্ডা। আমাদের বাংলার মালদা? হিমসাগর, লক্ষণভোগ এবং ফজলি জাতের আমের জন্য বিখ্যাত, যেগুলিকে ভৌগোলিক নির্দেশক (GI) ট্যাগ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া খুব কম করে বললেও, ল্যাংড়া, তোতাপুরী, আম্রপালি, লক্ষ্মীভোগ, দশেরি, বঙ্গনাপল্লি ইত্যাদি। সামগ্রিকভাবে, পশ্চিমবঙ্গ আমের একটি সমৃদ্ধ ঐতিহ্য নিয়ে গর্ব করে এবং বিভিন্ন জাতের আমের একটি উল্লেখযোগ্য উৎপাদকও বটে। তবে একটি-দুটি নামই সেমি প্রিমিয়াম হিসেবে বাজারে উঠছে। কেশর আর সিন্ধ্রি।

আলফোনসো-হিমসাগর-কেশর

 

মিয়াজাকির রূপ-গুণ-দাম

এই আম বেগুনি বা জ্বলন্ত লাল রঙের হয়, তাই ‘সূর্যের ডিম’ বা ‘তাইও-নো-তোমাগো’ নামে পরিচিত, সমৃদ্ধ সুগন্ধের জন্য বিখ্যাত, মিয়াজাকি আম। চিনির পরিমাণ ১৫ শতাংশ বা তার বেশি, যেখানে আলফোনসো আমের ক্ষেত্রে এটি ১২-১৪ শতাংশ। খুব ছোট হলেও প্রতিটি ৩৫০ গ্রামের বেশি হয়। প্রমাণ মাপের হলে, দুটিতেই এক কিলো। এবং দাম, ২.৭০ লক্ষ থেকে ৩.৫০ লক্ষ টাকা। তিনশো ডলার আকছার।

 

আমরা চমকে উঠলেও, বিজয় মালিয়ার কাছে এ আর এমন কী! বর্তমানে ফিলিপাইন, থাইল্যান্ড এবং ভারতের মতো অন্যান্য অঞ্চলেও এগুলি চাষ করা হচ্ছে। তবে খোদ বাংলায় বিদেশি পণ্যের রমরমা উৎপাদন শুনলে, গর্বে বুক ফুলে ওঠেই। যেমন ইংল্যান্ডের বিগ বেন, যার দর্শন আমরা লেকটাউন-ভিআইপি রোডের জংশনেই পেতে পারি, বা কাঁকুরগাছি রেলব্রিজের অনতিদূরে, স্মল বেন। বিদেশি অনেক নিদর্শন বা সামগ্রী, আজ আমরা আমাদের ঘরের কাছে এনে ফেলেছি। মালদা জেলা, তার প্রকৃষ্ট উদাহরণ। মিয়াজাকি এবার মালদায়।

 

প্রশ্ন হচ্ছে, কেন মালদা?

মালদা জেলা রেশম চাষের জন্য একটি ঐতিহ্যবাহী স্থান। মালদা জেলায় প্রায় সত্তর হাজার পরিবার রেশম চাষে নিযুক্ত। মালদার রেশম সম্প্রতি জিআই তকমা পেয়েছে, যা এর মান এবং ঐতিহ্যের স্বীকৃতি। এই চাষের মাধ্যমে প্রায় ৬ লাখ মানুষ প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জড়িত। কৌটিল্য তাঁর অর্থশাস্ত্র গ্রন্থে এর গৌরববর্ণনা করেছেন। প্রাচীন ও মধ্যযুগীয় সময়ে এই রেশমচাষ তুঙ্গে উঠেছিল। মুঘল আমলে এখানকার রেশমি কাপড় বাদশাহদের গায়ে উঠত৷ তার প্রামাণ্য নথিও রয়েছে৷

কিন্তু ইংল্যান্ডে শিল্পবিপ্লবের কারণে, গৌরব কিছুটা হারিয়ে যায়। ইতিহাসকে ফের বর্তমানে নিয়ে আসার লড়াই চলছে, এবং বাজার ফেরায় হাসি ফুটছে মুখ ফিরিয়ে নেওয়া মানুষজনের। বর্তমানে, প্রতি বছর গড়ে ১৭০০ মেট্রিক টন কোকুন উৎপাদিত হচ্ছে। এত আলোচনা এই কারণে, যে মালদার চাষিরা এবার মিয়াজাকি চাষে ব্যাপকভাবে ফলন করাতে উদ্যোগী। তাঁরা সফল হলে, লাখ টাকার আম নেমে আসবে হাজারে। ইলিশের সঙ্গে হাত মিলিয়ে পড়বে জামাই ষষ্ঠীর পাতে। এই কম্বো স্বাদে সমৃদ্ধ হবেন জামাই, শান্তি পাবেন শ্বশুর-শাশুড়ি। জয় বাংলা।

এরপর আসি মাশরুমে।

মালদায় মাশরুম চাষের প্রতি আগ্রহ বাড়ছে, যা স্থানীয় স্ব-সহায়ক গোষ্ঠীগুলির (SHG) জন্য একটি নতুন অর্থনৈতিক সুযোগ তৈরি করছে। মালদা মাশরুম বীজ সরবরাহকারীদের একটি কেন্দ্রও বটে। মালদার জেলা ম্যাজিস্ট্রেট নীতিন সিংহানিয়া মাশরুম চাষের প্রশিক্ষণ এবং গুচ্ছভিত্তিক পদ্ধতির কথা উল্লেখ করেছেন। মালদা মাশরুম বীজ সরবরাহকারীদের একটি কেন্দ্রও বটে। বোতাম এবং ঝিনুক মাশরুম দুটোই জনপ্রিয় মালদায়। বহু পরিবার এই চাষে ঝুঁকছে। এই অঞ্চলে মাশরুম উৎপাদন বৃদ্ধি পেয়েছে, বিশেষ করে চাঁচলের মতো অঞ্চলে। ইংলিশবাজার ব্লকে, স্বনির্ভর গোষ্ঠীগুলি (SHG) মাশরুমচাষে সক্রিয়ভাবে জড়িত। উৎপাদনকারীরা নিয়ন্ত্রিত পরিবেশগত কৃষি এবং জৈব চাষ-সহ আধুনিক কৃষিপদ্ধতি বাস্তবায়ন করছে।

মালদার মাশরুমচাষ

 

মালদার আম-কথা এবং বাজার

মিষ্টি, অনন্য সুগন্ধ এবং পাতলা খোসার জন্য পরিচিত মালদার আম বা দুধিয়া মালদা এবং এখানকার আমসত্ত্ব জগদ্বিখ্যাত। কমলা রঙের, কম আঁশযুক্ত এবং তীব্র গন্ধযুক্ত মালদার আম, এইভাবেই চেনা সম্ভব।

দুধিয়া মালদা

মালদার আম বিদেশীয় বাজারে বেশ সমাদৃত। দিল্লিতে আয়োজিত এক এক্সপোতে কিছু আমের দাম বেশ বেশি উঠেছিল। পশ্চিমবঙ্গ সরকার আম উৎপাদন ও রপ্তানিতে সহায়তা প্রদান করে, যার মধ্যে রয়েছে রপ্তানি প্রণোদনা এবং আমের প্রচারের জন্য কর্মসূচি। মালদার আম জাপানে রপ্তানি করা হয়। তবে জাপানের মিয়াজাকি আম রেশম, মাশরুমকে টেক্কা দিয়ে ব্যাপকভাবে মালদায় চাষ করা হলে, বাণিজ্যে বসতে লক্ষ্মী হবেই।

২০২২ সাল থেকে মালদার মাটিতে, ইংরেজবাজার ব্লকে, মিয়াজাকি আম ফলানোর পরীক্ষামূলক উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। বাণিজ্যিকভাবেই চাষের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে কৃষিদপ্তর জানিয়েছে। একটি বেসরকারি সংস্থার সহায়তায় জাপান থেকে আনা মিয়াজ়াকি আমগাছের ৫০টি চারা দিয়ে শুরু। ভারতীয় টাকায় এক-একটি চারাগাছের দাম পড়েছে প্রায় এক হাজার টাকা। জেলার অর্থনীতি চাঙ্গা হচ্ছে, প্রশাসনের তরফে বলা হয়েছে। এই আমচাষের মূল উদ্দেশ্য হল বিদেশে রপ্তানি করা, জানিয়েছে কৃষিদপ্তর।

 

বহুমূল্যের মিয়াজাকি

বিভিন্ন কারণে এই আম দুর্মূল্য।

প্রতিটি ফল পৃথকভাবে মোড়ানো হয়, পর্যবেক্ষণ করা হয় এবং পরিপূর্ণতা অর্জনের জন্য লালন-পালন করা হয়। আম বিক্রির জন্য উপযুক্ত বলে বিবেচিত হওয়ার আগে কৃষকরা চিনির পরিমাণ, ওজন এবং রং সাবধানতার সঙ্গে পরীক্ষা করেন। বিশেষজ্ঞদের মতে, কটি কারণ অবশ্যই নির্ধারণ করা গেছে।

১. এই আমের উৎপাদন বেশ পরিশ্রমের এবং সময়সাপেক্ষ।
২. এই আমে ক্যানসারের ঝুঁকি কমানোর উপাদানও রয়েছে।
৩. এই আম বিরল, এবং এর প্রাপ্যতা সীমিত।
৪. কর্পোরেট উপহার, বিয়ে এবং গুরুত্বপূর্ণ দিন উদযাপনের জন্য গিফট্ হিসেবে, জাপানিদের পছন্দের সামগ্রী।
৫. প্যাকিং অ্যান্ড ব্র্যান্ডিং-এর কারণে, এই আম বিলাসবহুল হয়ে ওঠার মর্যাদা পায়।
৬. খুব উচ্চ গুণমানের রেস্তোরাঁতে, এবং বুটিক দোকানগুলোতে এই আম সযত্নে পরিবেশন করা হয়।

 

মালদার মিয়াজাকি শাসন

মালদা সক্রিয়ভাবে জাপানের মতো নতুন বাজার অনুসন্ধান করছে এবং মান নিয়ন্ত্রণ এবং আন্তর্জাতিক মান মেনে চলার উপর মনোযোগ দিচ্ছে। বিশ্বের বৃহত্তম আম রপ্তানিকারক দেশ হল মেক্সিকো। ভারতের আম-রপ্তানি মূল্য মেক্সিকোর তুলনায় উল্লেখযোগ্যভাবে কম।

তবে আশার আলো, মুকেশ আম্বানির নেতৃত্বে রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজ এশিয়ার বৃহত্তম আম রপ্তানিকারক। জামনগরের ৬০০ একর জমিতে, বার্ষিক ৬০০ টনেরও বেশি আম উৎপাদন করা হয়। মালদার জলবায়ু এবং মাটি মিয়াজাকি আমের জন্য উপযুক্ত বলে মনে করা হলেও, কৃষকদের এই জাতের জন্য প্রয়োজনীয় নির্দিষ্ট কৌশল সম্পর্কে প্রশিক্ষণ দেওয়া প্রয়োজন। মালদা থেকে মিয়াজাকি আম চাষ এবং সম্ভাব্য রপ্তানির জন্য চলমান প্রচেষ্টা চলছে। সফল রপ্তানি নিশ্চিত করার জন্য, আমের উচ্চ মান বজায় রাখা একান্ত প্রয়োজন, যা আন্তর্জাতিক বাজারের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তবে মালদার চাষিরা আগেও চ্যালেঞ্জ নিয়েছেন, এবারও তাঁরাই ভরসা। একদিন শুধু দক্ষিণ শিবগঞ্জ এলাকার একটি গাছে নয়, বহরু বা জয়নগরের মোয়ার মতো, ঘরে বসে বাঙালি পাত পেতে মিয়াজাকি চেখে দেখতে পারবে। এগ্রিকালচারাল অ্যান্ড প্রসেসড ফুড প্রোডাক্টস এক্সপোর্ট ডেভেলপমেন্ট অথরিটি (APEDA) এই বছর জাপানে এক হাজার টন আম রপ্তানি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। মালদা আম ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি উজ্জ্বল সাহা বলেন: “জাপান ছাড়াও, আমরা ইতালি, বেলজিয়াম, জার্মানি এবং অন্যান্য দেশ থেকেও প্রস্তাব পেয়েছি। রপ্তানির জন্য প্রয়োজনীয় সার্টিফিকেট দ্রুত সংগ্রহের বিষয়ে আমরা উপযুক্ত কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করছি।”

 

সারকথা

পরিশেষে বলি, “ঘ্রাণ মাখা পাকা আম, স্বাদ তার যেন অমৃত নাম”। জাতীয় উদ্যান গির ফরেস্টের থেকে তিন কিলোমিটার দূরে, সুনীল ঝাড়িয়ার আমবাগিচা। বিস্তর চাষ। অন্যান্য আমচাষের পাশাপাশি, মিয়াজাকি আমের ফলনে, তাঁরা কিলো প্রতি ২.৭৫ লক্ষ টাকা আয় করেন। অর্থাৎ, মালদার হাত ধরে, বঙ্গে, আমের সুদিন আসছে, “এক্সোটিক ফ্রুট” হিসেবে। ফুলহার নদীর তীরে অবস্থিত মালদার আম পর্যটন, এবং প্রায় ৩১,৮১২ হেক্টর জমিতে আমবাগান, এই দুই স্ট্যাটাস মালদার প্লাস পয়েন্ট।

About চার নম্বর প্ল্যাটফর্ম 5094 Articles
ইন্টারনেটের নতুন কাগজ

Be the first to comment

আপনার মতামত...