তিনটি কবিতা
১.
কজন ভাবে এইভাবে!
তাই তাকে, ডাকনামে ডাকি।
এইসব ভালোবাসার রূপ জানতে চেয়ে
একটা বেড়াল হাসে, জড়িয়ে ধরে পা!
কাঁচা মাছের গন্ধে, কিংবা উচ্ছিষ্টের লোভে, লেজ নাড়ে, মিলেমিশে মুখ তুলে দেখে
সারস্বত সমাজে, বোবা মানুষের ভিড় আজ আর নেই কোথাও!
দুর্বিপাকে, বোকাসোকা মোমবাতির আলো,
বিগত দিনের ঝড়ে সেই যে নিভে গেল…
দরজা ভেজিয়ে দিয়ে তবু,
আমরা দুজনে ভাবি,
নিরন্তর এ বেঁচে থাকা…
মরে যায় কতশত, কত কাব্যে কত অনটনে!
আচমকা দিন, সেই যে চলে গেল…
২.
এখন শুধু একলা বেরিয়ে পড়া। মন্থর কোনও ঘোড়ায় সওয়ারি হয়ে সেই নদীতীরে যাওয়া, যেখানে মৃত্যুর আগে স্নান করে গেছে শত শত মানুষ। অপরূপ সুখের সে সময়। উত্তাপহীন সূর্যের বিকিরণে জন্ম নেবে বলে অলক্ষে বড় হয়ে উঠছে বোধিসত্ত্বের বৃক্ষ। কোনও ছায়া নয়, আলোহীন এক এমনই স্থানুকথা, যার জন্য কতকাল অপেক্ষা করা যায়, কেউ জানে না! অধীর কোনও অখণ্ডে আলগোছে হাত রেখে বোঝা, “আশ্চর্য! কে এ?”
দূরাগত জলের শব্দে ভেসে আসে নিয়তির অক্ষয়লেখ! অদ্ভুত আকাঙ্ক্ষা নিয়ে স্থির থাকে তুষের আগুন, বাতাস লাগে,
নিরালোক বাতাসে ওইখানে বসে থাকে মা আর বাবা…
৩.
তাকে আমি দেখেছিলাম অকাল বর্ষণে। ক্বচিৎ হিমেল হওয়ার পর আবরণহীন, হঠাৎ যখন মেঘ করে! ভূষণবর্জিত শরীরকে ঢেকে নিতে একহাতে থাকে কাঁথা অন্যহাতে ক্লিষ্ট কিশলয়। যাবতীয় অসমাপ্ত সম্পর্কের সূচনায় অলক্ষ্যে সমুদ্রের শাঁখ আর শৈলে দেখা যায় সূর্যের আভা! অথচ পৌষের বৃষ্টি এমন এক দুর্দমনীয় ব্যাপার যাতে জোর খাটে না। অপেক্ষা করা ছাড়া আর যা থাকে তার আঁচে গরম হয়ে আসে পানদ্রব্য।
এর অনতিকাল পরেই আমি তাকে দেখেছিলাম… বাতাসে তখন ‘তস্য স্থিত্বা কথমপি পুরঃ কৌতুকাধানহেতো…’

