রাষ্ট্র মাস্ক ব্যবহার করে না

নীলাঞ্জন দত্ত

 


লেখক মানবাধিকার কর্মী, সাংবাদিক

 

 

 

 

 

একসময় অতি নিন্দনীয় কিছু ঘটলে মুখে (সাধারণত কালো) কাপড় বেঁধে রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ জানানো হত। এখন মুখে কাপড়টা বাঁধাই আছে, কিন্তু প্রতিবাদ জানাতে রাস্তায় নামলেই পুলিশে ধরছে। মুখের কাপড়টাকে আজকাল বলে ‘মাস্ক’, বাবু বাংলায় ‘মুখাবরণ’। মাস্ক মানে আমরা আগে জানতাম মুখোশ। মুখোশ পরাটা সাধারণত শাসকের বা ক্ষমতাশালীদের আদত ছিল। তাদের ‘মুখোশ খুলে যাওয়া’ বা ‘মুখোশ খুলে দেওয়া’র কথাও মাঝে মাঝে শোনা যেত। হিন্দিতে মুখোশকে বলত ‘মুখোটা’। কোন নেতার কোনটা ‘মুখ’ আর কোনটা ‘মুখোটা’, তাই নিয়ে তরজা চলত। এখন মাস্ক আমরাও পরছি। পরতে বাধ্য হচ্ছি। না পরলেই বিপদ; হয় করোনা ভাইরাসের কবলে, নয়ত পুলিশের হাতে হেনস্থা হতে হবে, তা জেনে গেছি। না, কেবল ওদের কথাই বা বললাম কেন, আমারই সহনাগরিক বা সহ-পথিকের কাছ থেকেও তো ধমক খেতে হতে পারে। কারণ, মাস্ক পরাটাই নাকি আজ ‘নিউ নরম্যাল’ (কী বাংলা হবে কে জানে— ‘নতুন স্বাভাবিক’ কথাটা শুনতেও তো কেমন বিশ্রী লাগে। হয়ত, নব্য ন্যায়)। এটা সত্যিই এখন মুখোশেরও কাজ করে, মাস্কে ঢাকা মুখ দেখে কেউ জানতেও পারে না, ভেতরে ভেতরে আমরা রেগে উঠছি কিনা, প্রতিবাদ করতে আদৌ চাইছি কিনা। বরং মনে হতেই পারে, চারপাশে যা চলছে, সব মুখ বুজে মেনে নেওয়াটাই নিউ নরম্যাল।

করোনা ভাইরাস আমাদের সহনশক্তি অনেকটা বাড়িয়ে দিয়েছে। মারধর, অপমান, কান ধরে ওঠবোস তো জলভাত, রেললাইনে পরপর ঘরমুখী শ্রমিকের লাশ পড়ে থাকতে দেখলে অথবা সহনাগরিককে লকডাউনের জাঁতাকলে পড়ে সর্বস্বান্ত হয়ে সপরিবারে বিষ খেতে দেখলেও আমরা আর খেপে উঠি না, অথবা উঠি কিনা তা বোঝাই যায় না, যেহেতু কেবল শাসকের নয়, শাসিতেরও মুখ আজ মুখোটায় ঢাকা। বরং, আমরা এইসব লাঞ্ছিত ভাগ্যহতদের থেকে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখাটাই শ্রেয় মনে করি।

আর একদিকে, করোনা ভাইরাস আমাদের সহনশক্তি অনেকটা কমিয়ে দিয়েছে। তাই পাড়ার কোনও স্কুলে বেয়াক্কেলে বেতনবৃদ্ধি রদ করার আর্জি জানাতে আসা অসহায় অভিভাবকদের ওইটুকু বিশৃঙ্খলাও মেনে নিতে পারি না। তাঁদের কাছে গিয়ে একটু সহানুভুতি জানানো অথবা তাঁরা কী অবস্থায় দিন কাটাচ্ছেন জানতে চেষ্টা করা তো দূরে থাক, বরং রে রে করে তেড়ে যাই “আমাদের এখানে করোনা ছড়াতে এসেছেন!” বলে। প্রতিবাদ করবও না, করতেও দেব না— এটাই কি নিউ নরম্যাল হতে যাচ্ছে?

এসব কথা লিখছি কেন? লেখার তো কথা ছিল এই করোনাকালে রাষ্ট্র কীভাবে আরও কঠোর হয়ে প্রতিবাদীদের দমন করছে, তা নিয়ে। লিখছি এইজন্যে যে, রাষ্ট্র তার দমনকারী ভূমিকাটা ঠিকই পালন করে চলেছে, এর মধ্যে নতুন কিছু নেই। কিন্তু জনসমাজ রাষ্ট্র এবং ক্ষমতাশালীদের অন্যায়ের বিরুদ্ধে তার প্রতিবাদী ভূমিকা থেকে সরে এসেছে, এটাই নতুন। করোনাজুজু আসার ঠিক আগের অবস্থাটা তো এরকম ছিল না। বরং, বহুদিন পরে প্রতিবাদের মরা গাঙে আবার জোয়ার এসেছে বলে মনে হচ্ছিল। করোনার কথাটা আমাদের মাথায় গেড়ে বসার পর কী পাল্টেছে? আমরা “ভয় পেয়েছি, ভীষণ ভয়, ভয় পেয়েছি ভীষণ/ আত্মারাম ছাড়তে চাইছে খাঁচার ইস্টিশন”। এর মধ্যে এক মনে রাখার মত কথোপকথনের অনুলিপি নজরে এল। ‘মিডল ইস্ট রিপোর্ট অনলাইন’-এ আমেরিকার টাফট্‌স বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আমাল বিশারা বেথলেহেমের বাদিল রিসোর্স সেন্টার ফর পালেস্তিনিয়ান রেসিডেন্সি অ্যান্ড রেফিউজি রাইটস-এর ডিরেক্টার নিদাল আল-আজ্জাকে প্রশ্ন করেছেন ইসরায়েল-অবরুদ্ধ ওয়েস্ট ব্যাঙ্কে প্রতিরোধ আন্দোলনের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে। নিদাল বলছেন:

পালেস্তিনীয়রা সামরিক কার্ফিউতে আটকে থাকতে অভ্যস্ত, তাই হয়ত তারা জানে কীভাবে তার মোকাবিলা করতে হয়। কিন্তু এই অবস্থাটা আলাদা। দখলদার বাহিনী যখন কার্ফিউ চাপিয়ে দেয়, পালেস্তিনীয়রা তাকে চ্যালেঞ্জ করে। ওরা কার্ফিউ জারি করে, আর আমরা তা ভাঙি। কিন্তু আজ সেই ইচ্ছেটাই নেই। এখন ঘরে থাকাটা আপনার পরিবার-পরিজনদের, প্রতিবেশীদের, আপনার নিজের সুরক্ষার জন্য জরুরি।

সব জায়গাতেই কথাটা সত্যি। অথচ অন্যদিকে, রাষ্ট্র এবং রাষ্ট্রের পরিচালনায় যারা রয়েছে, তারা তাদের ইচ্ছাপূরণে কোনও খামতি রাখছে না। বরং, এই সময়টা তাদের মনোবাঞ্ছা পূর্ণ করার পক্ষে যে এক অভাবনীয় সুযোগ এনে দিয়েছে, তা বুঝতে তারা এক মুহূর্তও দেরি করেনি। তাদের প্রথম বাসনা হল, রাষ্ট্রের শক্তি বাড়ানো এবং রাষ্ট্র কত শক্তিশালী, তা জনগণের মনে ভাল করে গেঁথে দেওয়া। তাকিয়ে দেখুন, ভারতে ইন্দিরা গান্ধির জারি করা জরুরি অবস্থার ৪৫ বছর পূর্তির সময় প্রায় সারা পৃথিবীতেই জরুরি অবস্থা চলছে। ভারতের জরুরি অবস্থাকে আচার্য বিনোবা ভাবে বলেছিলেন ‘অনুশাসন পর্ব’। সেই অনুশাসন পর্বের মর্ম এখন বিশ্বের অধিকাংশ মানুষ কত সহজেই বুঝতে পেরেছে! করোনা ভাইরাস নামক এক মহাশত্রুর বিরুদ্ধে এখন মানবসভ্যতাকে বাঁচানোর যুদ্ধ চলেছে। যুদ্ধের সময় যেমন দেশের সমস্ত নাগরিকের এক হয়ে রাষ্ট্রের প্রতি প্রশ্নাতীত আনুগত্য প্রকাশ করা কর্তব্য, তেমনি এই যুদ্ধেও আমাদের রাষ্ট্রের প্রতিটি নির্দেশ মেনে চলা ছাড়া পথ নেই। কারণ, আমরা জানিই না, এই বিপদের হাত থেকে বাঁচতে পারব কী করে। যদি কেউ বাঁচাতে পারে, তবে রাষ্ট্রই পারবে। তাই এসময়ে তাকে অমান্য করা পাপ।

তবে মানতে চেয়েও যারা কোনও না কোনও কারণে মানতে পারে না, অথবা ভুল করেও যদি কেউ অমান্য করে বসে, তাদের মানানোর জন্য রাষ্ট্রকে কিন্তু নতুন কোনও চিন্তা করতে হয়নি। অবাধ্যকে বাধ্য করানোর যে প্রথাগত প্রকরণ তার হাতে আছে, অর্থাৎ পুলিশ এবং কোনও কোনও দেশের ক্ষেত্রে মিলিটারি, তাদের অবাধ ক্ষমতা দিয়েই কাজ সারা হয়ে গেছে। আগেই বলেছি, আমাদের মুখ বাঁধা ছিল; কেউ প্রশ্নও করিনি, ‘লকডাউন’ লঙ্ঘন করলে কোন আইনে বিচিত্র এবং বীভৎস সব শারীরিক শাস্তি দেওয়া যায়, যে শাস্তিগুলো সভ্য জগতের সমস্ত প্রতিষ্ঠান থেকে উঠে গেছে বলেই আমরা এতদিন জেনে এসেছি। আমাদের দেশের কথা তো ছেড়েই দিলাম, এমনকি “সুশীল” লন্ডন পুলিশও এতটা ফ্রি হ্যান্ড পেয়ে হাতের সুখ করার লোভ সামলাতে পারেনি। ফিলিপিন্স-এর স্ট্রংম্যান প্রেসিডেন্ট দুতের্তে, যিনি আগে কমিউনিস্ট বিপ্লবী মেয়েদের দুপায়ের মাঝখানে নিশানা করবার নিদান দিয়েছিলেন, তাঁর মুখে যে করোনা-কার্ফিউ ভাঙলে গুলি করার হুমকি শোনা যাবে তাতে আর আশ্চর্যের কী আছে, কিন্তু আমাদের গণতান্ত্রিক দেশের তেলেঙ্গানা প্রদেশের “জনপ্রিয়” মুখ্যমন্ত্রী কেসিআরও তো বলেছেন, লোকে এই সময় রাস্তায় বেরোলে ‘শুট অ্যাট সাইট’ অর্ডার দেওয়া হবে। কোনও ক্ষেত্রেই কেউ কিছু বলেনি। কেন বলেনি, জিজ্ঞাসা করলে শুনবেন, “আহা, এসব কি আর সিরিয়াসলি বলেছে, এ তো ভয় দেখানোর জন্যে বলা।” ডান্ডা যাদের পিঠে পড়েছে, একমাত্র তারাই জানেন, কোনটা সিরিয়াস আর কোনটা সিরিয়াস নয়। যেমন জীবন দিয়ে জেনেছিল হাওড়ার সেই ৩২ বছরের বাবা, যে তার সন্তানের জন্য দুধ কিনতে বেরিয়ে পুলিশী হিংস্রতার শিকার হয়েছিল।

আরও দেখুন, এই সময়ে আপনার অনেক সাধপূরণ মুলতবি রাখতে হলেও, রাষ্ট্রকে তা রাখতে হয়নি। ভীমা কোরেগাঁও-এর মত পুরনো মামলায় আনন্দ তেলতুম্বড়ে আর গৌতম নওলাখাকে ধরতে বাকি ছিল, তাদের এর মধ্যেই ঠিক হাজতে পোরা গেছে। করোনার অন্ধকার ঘন হয়ে আসবার ঠিক আগে বিশেষত দিল্লির বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে যে ছাত্রবিক্ষোভ দেখা গিয়েছিল, তার কর্মীদেরও এই সুযোগে টপাটপ তুলে নেওয়া হল। আর এখন তো কোনও কথাই নেই, ক্ষোভ-বিক্ষোভ জানাতে কোনওখানে মানুষ রাস্তায় নেমে মুখ খুললেই বলা হচ্ছে, “চোপ! ডিএম অ্যাক্ট চলছে!” এই রাজ্যেও সোনারপুর থেকে মেদিনীপুর, দেগঙ্গা থেকে ধর্মতলা, সর্বত্র একই বয়ান।

ভাববেন না যেন লকডাউন সফল করা আর মাস্কের ব্যাপক প্রচলনই শাসকদের মোক্ষ। করোনা ভাইরাস নিয়ে আমরাই বোধহয় বেশি চিন্তিত। শাসকেরা যেখানে যেমন, যখন যেমন, তেমনি কাজ করে। ভারতে ট্রাম্পকে ডেকে এনে মেলা বসানো বা একটা রাজ্যের বিধানসভায় ঘোড়া কেনাবেচা শেষ না হওয়া পর্যন্ত লকডাউন নিয়ে কোনও তাড়াহুড়ো ছিল না। আবার টানতে হবে যখন রথের দড়ি, তখন কোথায় “দো গজ কি দূরি”! আমেরিকার বর্ণবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সমর্থনে ‘প্রতিবাদের অধিকার মঞ্চ’ নামে একটা ছোট্ট সংগঠন কলকাতার মার্কিন দূতাবাসে মিছিল করে স্মারকলিপি দিতে যেতে চাইলে তাদের পুলিশ দিয়ে আটকে দেওয়া হল, বারাসতে প্রতিবাদীদের ধরপাকড়ের বিরুদ্ধে মিছিল আর পথসভারও একই দশা— সব ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট অ্যাক্টের অজুহাতে। অথচ কদিন ধরে লাগাতার রাস্তায় রাস্তায় কত যে চিনবিরোধী বিক্ষোভ হল, তার ওপর এই আইন লাগু হল না। আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তো প্রথম থেকেই মাস্ক আর লকডাউনকে ব্যঙ্গবিদ্রূপ করে গেছেন, যেহেতু তাঁর অন্যতম ভোটব্যাঙ্ক উগ্র দক্ষিণপন্থীরা এসবের বিরুদ্ধে, এবং সামনে নির্বাচন। তা সত্ত্বেও স্বাস্থ্য উপদেষ্টাদের চাপে তাঁকে এগুলো মেনে নিতে হয়েছিল। কিন্তু প্রথম নির্বাচনী জনসভাতেই মাস্ক পরা ‘ঐচ্ছিক’ করে দেওয়া হল, সে সময় আমেরিকায় করোনা প্রকোপ বাড়তে থাকা সত্ত্বেও। আর ট্রাম্প তো বলেই দিলেন, এসব স্বাস্থ্যবিধির থেকে তাঁর প্রিয় প্রোজেক্ট— মেক্সিকো সীমান্তে শরণার্থীদের রোখার জন্য স্টিলের দেওয়াল তোলা— করোনা মহামারি ঠেকাতে অনেক বেশি কাজে লেগেছে।

পৃথিবীর সমস্ত রাষ্ট্রের আরেকটা বহুদিনের ইচ্ছে, দেশের প্রত্যেকটা লোকের প্রতিটি পদক্ষেপ— নড়াচড়া, কথা বলা— সবসময় তার নখদর্পণে থাকবে। সেই ইচ্ছেটাও এবার পূরণ হতে চলেছে। বলা হচ্ছে, করোনা আক্রান্ত কোন মানুষ কার কার সঙ্গে মিশছে, তা জানা একান্ত দরকার ‘কনট্যাক্ট ট্রেসিং’-এর জন্যে। চিন তো আগেই বানিয়ে ফেলেছে এমন এক ডিজিটাল নজরদারি ব্যবস্থা, যা দিয়ে এটা করা সম্ভব। এবার সেইরকম ব্যবস্থা দেশে দেশে ছড়িয়ে পড়ছে নানা চেহারায়। আমাদের দেশে ‘আধার’ তো তৈরিই ছিল, এবার তার সঙ্গে যোগ হল ‘আরোগ্য সেতু’— দুটোই প্রথমে ঐচ্ছিক, তারপর হয়ে দাঁড়াচ্ছে আবশ্যিক। আপনার ফোনে এই ‘অ্যাপ’ না থাকলে আপনি এমনকি আপনার নিজের অফিসেও ঢুকতে পারবেন না।

তবে কেবল নজরদারির ক্ষেত্রেই নয়, ডিজিটাল ব্যবস্থা আমাদের জীবনে সর্বব্যাপী হয়ে দাঁড়াচ্ছে ধীরে ধীরে। টাকার লেনদেনের বদলে ডিজিটাল লেনদেন এখন লগ্নিপুঁজির সাম্রাজ্যবিস্তারের পক্ষে অনেক বেশি সহায়ক, এবং ২০১৭ সালের নোটবাতিলের সময় থেকেই তার জয়ঢাক যেভাবে পেটানো হচ্ছে, সে আলোচনা অন্যত্র করা হয়েছে। এবার করোনার জলহাওয়ায় তার তরতর করে বেড়ে ওঠা রোখে কে?

এভাবেই জরাগ্রস্ত, মড়ক ডেকে আনা পুঁজিবাদ নতুন করে বাঁচতে চাইছে। বিশ্বায়ন ফেল পড়ে গেছে। এখন আবার রুদ্ধ সীমান্তের ভেতরে শুরু হবে নানান পরীক্ষানিরীক্ষা। পুঁজিপতিরা “সকাতরে ওই কাঁদিছে সকলে”। কে তাদের বাঁচাবে, রাষ্ট্র যদি না শক্ত হাতে হাল ধরে? করোনার দুর্দশামুক্তির প্যাকেজের মধ্যে তাই সুকৌশলে ঢুকিয়ে দেওয়া হয় শ্রমিকশ্রেণির বহুদিনের লড়াই করে পাওয়া অধিকারগুলো একের পর এক কেড়ে নেওয়ার পরোয়ানা। প্রতিবাদীদের মুখ তো মুখোশে বাঁধা পড়েছে।

কেউ বলবে না, “গো করোনা, গো! গো ক্যাপিটালিজম, গো!”?

 

About চার নম্বর প্ল্যাটফর্ম 4658 Articles
ইন্টারনেটের নতুন কাগজ

1 Comment

Leave a Reply to Partha Basu Cancel reply