ভারতের ডিজিট্যাল হেলথ মিশন অথবা ঘোড়ার আগে গাড়ির গল্প

স্বপন ভট্টাচার্য 

 


লেখক অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক, প্রাবন্ধিক

 

 

 

আগস্ট মাসের ৯ তারিখে এই প্ল্যাটফর্মে প্রকাশিত আমার একটি নিবন্ধে[1] আশঙ্কা প্রকাশ করে লিখেছিলাম অতিমারি রাষ্ট্রকে হয়তো সুযোগ এনে দিয়েছে চামড়ার তলায় ঢুকে নজরদারির, যেমন সুযোগ এনে দিয়েছে বিতর্ক বাইপাস করে নতুন শিক্ষানীতি, নতুন কৃষিনীতি প্রবর্তন করার। সে আশঙ্কা সত্যি প্রমাণে নরেন্দ্রভাই মোদি বেশি সময় নেননি তারপর। ১৫ আগস্টের শুভ লগনে ঘোষিত হয়ে গেছে ন্যাশানাল ডিজিট্যাল হেলথ মিশন (NDHM)। অতিমারি পরবর্তীকালের পৃথিবীটা কেমন হবে তা অনুমানসাপেক্ষ, কিন্তু দেখাই যাচ্ছে রাষ্ট্র কীভাবে অসুখকে সুযোগ হিসাবে ব্যবহার করে পার্লামেন্টকে এড়িয়ে, গণবিক্ষোভের সম্ভাবনাগুলোকে এড়িয়ে একের পর এক জাতীয় সংস্থাগুলিকে মায় রেলকে পর্যন্ত বিক্রি করে দেবার কর্মসূচি নিয়ে ফেলেছে। তেমন কোনও বিতর্ক ছাড়াই দেশের প্রধানমন্ত্রী যজমানি সেরে রামমন্দির গঠনের কাজ শুরু করে দিতে পেরেছেন এবং কোভিডের কারণে বিরোধিতার জায়গাটা ‘তিলেক না দিব জমি’ অবস্থান থেকে ‘কিছু কম পড়ে নাই’ অবস্থানে মসৃণভাবে স্থানান্তরিত হয়েছে। বোঝা যাচ্ছে, মানুষ পেটের থেকেও বড় পাপী ভাবে রোগকে। এবং সংক্রমণ চলে যাওয়ার পরেও মানুষ হয়ত অনেক কিছুই মেনে নেওয়ার বা মেনে চলার মত করেই ‘প্রোগ্রামড’ হয়ে থাকবে। শুধু এ দেশে নয়, বিশ্ব জুড়েই নানা পন্থায় এসে যাবে চামড়ার তলায় ঢুকে নজরদারির যুগ— এমন আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন অনেকেই। কোভিড পৃথিবীতে আন্ডার দি স্কিন সারভেইলেন্স শব্দবন্ধটি হল ইউভাল নোয়া হারারির অবদান[2] এবং প্রথম প্রথম তেমন মনে না হলেও যত দিন যাচ্ছে এ লব্জ আর হারারির হিব্রু বলে মনে হচ্ছে না। ঘটমান বর্তমানে দাঁড়িয়ে ভবিষ্যতের স্বাস্থ্য-নিরাপত্তা বেছে নিতে আমার আমিকে কতখানি রাষ্ট্রের হাতে সমর্পন করতে হবে আর রোগ-মারি তোয়াক্কা না করে কতটা স্বাধীন রাখা যাবে তা ভেবে দেখবার বিকল্পগুলি হরতন-চিড়েতনের মত টেবিলে পড়তে শুরু করেছে। সাধু সাবধান বলার আগেই অবশ্য সাধু প্রশ্ন তুলে দিয়েছেন— চামড়ার তাতে কী এল গেল?

ন্যাশানাল হেলথ স্ট্যাক তৈরির অভিপ্রায় ব্যক্ত করে নীতি আয়োগ জাতীয় স্তরে মতামত আহ্বান করে ২০১৮-তে। তখন পলিসি ডকুমেন্টখানার নাম ছিল ন্যাশানাল ডিজিট্যাল হেলথ ব্লুপ্রিন্ট। এই অতিমারিকালে ৩রা আগস্ট সংবাদমাধ্যমে জানা গেল মন্ত্রীসভা তাতে সিলমোহর দিয়ে দিয়েছে। মতামত পর্যালোচনাটা ঠিক কোথায় হল এবং কীভাবে হল তা জানা যায়নি কিন্তু ১৫ আগস্ট জানা গেল যে আমরা পেতে চলেছি ন্যাশানাল ডিজিট্যাল হেলথ মিশন। জানা গেছে মিশন হবে চতুর্বাহু।[3] চারখানা বাহু হল যথাক্রমে, স্বাস্থ্য সনাক্তকরণ সংখ্যা (National Health iD), ব্যক্তিগত স্বাস্থ্যসংক্রান্ত তথ্য, ডিজি-ডক্টর এবং চিকিৎসাকেন্দ্রের পঞ্জিকরণ। উদ্দেশ্য সাধু— সরকার স্বাস্থ্যব্যবস্থার খোলনলচে বদলে দিতে এবার বদ্ধপরিকর। এতে আপনার স্বাস্থ্যসংক্রান্ত তথ্য এবং আপনার চিকিৎসকের দেওয়া আপনার চিকিৎসার যাবতীয় রেকর্ড একই সার্ভারে থাকবে। দরকারমত এবং আপনাকে বিশ্বাস রাখতে হবে যে আপনাদের উভয়ের অনুমতিক্রমে, সেই তথ্য আদানপ্রদান হতে পারবে। বলা হচ্ছে, তথ্যের মালিক থাকবেন আপনিই কিন্তু আপনাকে এর সুবিধাগুলি পুরোপুরি পেতে গেলে আপনার ইউনিক হেলথ আইডি থাকতে হবে এবং এটা হওয়া খুবই সম্ভব যে আপনার আধার সংখ্যার সঙ্গে এই আইডি জুড়তে হবে। একইভাবে হাসপাতাল, ডাক্তার, ডায়গোনিস্টিক ল্যাব সবাই এই প্ল্যাটফর্মে যুক্ত হবেন। ডাক্তারবাবুর পরামর্শ বা টেলিমেডিসিনের সুবিধাও এই মিশনের মাধ্যমে পাওয়া যাবে। মিশন হবে অবশ্যই অ্যাপভিত্তিক। ডাক্তারবাবুরা ডিজিট্যাল সিগনেচারের মাধ্যমে অ্যাপে প্রেসক্রিপশনও করতে পারবেন। দেশের একশো ত্রিশ কোটি মানুষকে এই ছাতার তলায় আনতে গঠিত হয়েছে ন্যাশানাল হেলথ অথরিটি (NHA) যারা হবে এই প্রকল্পের সমন্বয়সাধক সংস্থা। আপনাকে যথেষ্ট আশ্বস্ত করে বলা হচ্ছে এটি সম্পুর্ণভাবে ঐচ্ছিক, চাইলে আপনি এর বাইরেও থাকতে পারেন।

ডিজিট্যাল হেলথ মিশনের প্রধান অধিকর্তা ইন্দু ভূষণ সম্প্রতি একটি সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন[4] মিশনের কাজ হবে দেশ জুড়ে সমস্ত ডাক্তার ও স্বাস্থ্যকেন্দ্রের একটা রিপোজিটরি তৈরি করা। ষোলশো কোটি টাকা বরাদ্দ হয়েছে প্রত্যেক নাগরিকের হেলথ কার্ড তৈরির লক্ষে। এর সুফল কী তা জানাতে গিয়ে তিনি এ-ও জানিয়েছেন যে এতে ভারতের অর্থনীতির বেতো ঘোড়া তেজিয়ান হয়ে দৌড়াবে। ফেডারেশন অফ ইন্ডিয়ান চেম্বার্স অফ কমার্স তাতে সায় দিয়ে জানিয়েছে আগামী দশ বছরে নাকি কেবল এই কারণেই ভারতের জিডিপি-তে আড়াইশো কোটি ডলার যুক্ত হবে। বিষয়টাকে বণিকের দৃষ্টিভঙ্গি থেকে দেখতে অসুবিধে নেই তবে স্বাস্থ্যপরিষেবায় যুক্ত যারা তাদের দৃষ্টিভঙ্গি থেকেও দেখা দরকার। ড. অভয় শুক্লা হলেন চিকিৎসকদের সংগঠন ‘জন স্বাস্থ্য অভিযান’-এর যৌথ আহ্বায়ক এবং ড. সুরেশ মুনুস্বামী পাবলিক হেলথ ফাউন্ডেশন অফ ইন্ডিয়ার ইনফরমেটিকস ও টেকনোলজির শাখাপ্রধান। তাঁরা বলছেন[5], স্বাস্থ্যব্যবস্থাকে ডিজিটাইজ করাটা নীতিগতভাবে শুনতে বেশ, তবে এর জন্য দুটো জিনিস আগে থেকেই তৈরি হওয়া দরকার। অবশ্যই দরকার একটা ঠিকঠাক কাজ করা, ভরসা রাখার মত স্বাস্থ্যব্যবস্থা আর দ্বিতীয়ত, একটা ভরসা রাখার মত ইন্টিগ্রেটেড ডেটা ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম যেটা দেশের সমস্ত সরকারি ও বেসরকারি স্বাস্থ্যপরিষেবাকে বেঁধে বেঁধে রাখবে, নতুবা, এই পুরো ব্যবস্থাটাই যা হতে চলেছে তা হল ঘোড়ার আগেই গাড়ি জুতে দেওয়া। একথা বলার কারণ স্পষ্ট। আমাদের দেশে স্বাস্থ্যপরিষেবায় রাষ্ট্রের ব্যয় জিডিপির তিন শতাংশ মাত্র। দেশে প্রতি বছর প্রায় ষাট কোটি মানুষ চিকিৎসার খরচ সামলাতে না পেরে দারিদ্রসীমার নীচে নেমে যান কোনও না কোনও সময়। সরকারি ব্যবস্থা অপ্রতুল আর বেসরকারি ব্যবস্থায় কোনও স্বচ্ছতা নেই। প্রাইভেট হেলথ কেয়ার সিস্টেমের নিয়ন্ত্রণকে প্রাধান্য না দিয়ে কেবল ডিজিট্যাল হেলথ কার্ড করলে গরীব মানুষের কী কাজে লাগবে বেসরকারি হাসপাতালের খালি শয্যা? তাছাড়া, মুখে যতই বলা হোক না কেন মানুষের কাছ পাওয়া তথ্য (অনুমান করা যায় তথ্য কেবল স্বাস্থ্যসংক্রান্তই হবে না) গোপন থাকবে, মানুষটি না চাইলে কেউ তার হদিশ পাবে না, কিন্তু এত অ্যাক্ট দেখে ফেলবার পরেও, আমরা কি এখন অবধি কোনও ডেটা প্রোটেকশন অ্যাক্ট চালু হতে দেখেছি? কীভাবে বিশ্বাস করব যে, আমার স্বাস্থ্যকার্ড আমাকে কোনওদিন বিদেশি হিসাবে চিহ্নিত করবে না অথবা আমি তার আওতায় আসতে চাইলে পুনরায় নাগরিকত্বর ধুয়ো তোলা হবে না? নয় নয় করেও ডিজিট্যাল কার্ড তো আমরা কম পাইনি দেশে। প্যান, আধার, ব্যাঙ্ক, ড্রাইভিং লাইসেন্স— হরেক কিসিমের কার্ড নিয়ে আমাদের জীবন, এখন বলুন তো তার কোনটা আমাদের জীবনকে খুব চিন্তামুক্ত করেছে? কিছু সুবিধে নিশ্চয় হয়েছে, কিন্তু সবই তো সম্মতিনির্ভর অর্থাৎ অথেন্টিকেশননির্ভর স্বাচ্ছন্দ। হেলথ কার্ডের পরিষেবা পেতে গেলে ডাক্তারের প্রেস্ক্রিপশন, বেসরকারি হাসপাতালের বিল থেকে শুরু করে ক্রীত বা প্রাপ্ত ওষুধের বারকোড অবধি প্রতিটি ধাপকে একটি মাত্র ডিজিট্যাল ছাতার তলায় নিয়ে আসতে গেলে যে স্বচ্ছতা ও পারদর্শিতা দরকার পরিষেবাপ্রদানকারী ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের (পড়ুন প্রাইভেট হাসপাতালের) দিক থেকে, তা দরকার আগে না কার্ড পাওয়ার জন্য তথ্য সংগ্রহ করা দরকার আগে? বলা হচ্ছে কোথায় যে, বেসরকারি সমস্ত পরিষেবা ক্লিনিক্যাল এস্টাব্লিশমেন্ট অ্যাক্টের আওতায় আসবে, আস্তিনের তলায় কিছু লুকনো থাকবে না?

সবচেয়ে বড় কথা, এ সবই তো যারা সেই পরিষেবা কিনতে পারে তাদের কথা। আমার এসব দেখেশুনে আমাজন সেলের কথা মনে পড়ে। দেশের উপরের দিকের দশ-পনেরো-কুড়ি কোটি মানুষকে যে জালে টেনে নিয়ে আমাজনের মত কোম্পানি এ পোড়া দেশে প্যানডেমিককে ‘রোসো’ বলে বসিয়ে রেখে একশো শতাংশ ব্যবসা বাড়ায় তাও এক ডিজিট্যাল নেটওয়ার্ক। বাকি একশো দশ কোটির তাতে কী আসে যায়? দিনান্তে যার একমুঠো ভাত জোটে না বাপঠাকুর্দার তথ্য দিয়ে সে হয়ত কোনওদিন সত্যি সত্যিই কার্ডের মাধ্যমে ভিটামিন বড়ি পাবে কিন্তু তার স্বার্থে সরকার কি প্রাইভেট হাসপাতালের কর্পোরেট নাগাল নিজের হাতে নিতে পারবে,  না তাকে এই আশ্বাস দিতে পারবে যে অন্তত বিনা চিকিৎসায় তাকে মরতে হবে না? সব মানুষের খাদ্য নিশ্চিত করার আগে সব মানুষের জন্য একখানা করে হেলথ কার্ড— কিঞ্চিৎ বিলাসিতা হয়ে পড়ল না স্যার?

ইন্দু ভূষণের কথা থেকে জানা যাচ্ছে গত একমাস ধরে NDHM- এর ডেটা ম্যানেজমেন্ট পলিসি সর্বসাধারণের বিবেচনার জন্য পাবলিক ডোমেইনে আছে। সাত হাজারের ওপর (১৩৫ কোটির দেশে বিষয়টা কত কম আলোচিত এবং বিবেচিত তা এই সংখ্যাটা দেখেই মালুম হয়) মন্তব্য এসেছে তার উপর এবং এর বেশিটাই ডেটা ম্যানেজমেন্ট এবং ডেটা সিকিউরিটি সম্পর্কে উদ্বেগ প্রকাশ করে। আশ্বাস দিয়ে বলাও হচ্ছে বিল পাশ হবার আগে এসব বিবেচনা করে তথ্যের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করা হবে। কিন্তু একবারও আশ্বাস মিলছে কি যে স্বাস্থ্যখাতে ব্যয় বাড়িয়ে অন্তত দ্বিগুণ করা হবে? চিকিৎসার খাতিরে আয়ুষ নির্ভরতা বাড়তে পারে। অন্ধের কিবা দিন কিবা রাত্রি, তা হলেও তো কিছু একটা হবে অন্তেবাসীর, যদি ব্যবস্থা দুর্নীতিমুক্ত থাকে। স্বাস্থ্যপরিষেবার ক্ষেত্রে দুর্নীতি তো লাইসেন্সড। প্রকল্পটি যে জিও হেলথে পর্যবসিত হবে না তার কোন নিশ্চয়তা অন্ততপক্ষে অতীত রেকর্ড দেখে হলফ করে বলা যাচ্ছে না। ওষুধ কোম্পানি আর কর্পোরেট হাসপাতালের হাঙরদের জন্যই এই বিল, না কি তাদের হাত থেকে বাঁচানোর জন্য, সত্যি কথা বলতে কী, সেটাই বোঝা যাচ্ছে না। তাছাড়া, যদি ধরেও নেওয়া যায় যে হেলথ কার্ডের জন্য তথ্য কেবল স্বাস্থ্যনির্ভরই হবে, বলুন তো আপনি যদি চাকরিপ্রার্থী হন, আপনি যদি চাকরিজীবী হন, কতটা নিশ্চিন্তে আপনার স্বাস্থ্যসংক্রান্ত কতটা তথ্য আপনার ভাবী বা বর্তমান চাকুরিদাতা সংস্থা, আপনার ইন্সিওরেন্স কোম্পানি বা আপনার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সঙ্গে আপনি শেয়ার করতে চাইবেন? মানুষের রোগ-বালাই থাকবে না তা যেমন হয় না তার চিকিৎসার অনুপুঙ্খ বিবরণ কারণ ছাড়া তৃতীয় কোন পক্ষকে জানাতে হবে তা’ও হওয়া উচিত নয়। তাছাড়া, কতটা তথ্য এবং আপনার স্বাস্থ্য সম্পর্কিত কোন কোন তথ্য এমনকি আপনার ডাক্তারবাবুকেও আপনি নিশ্চিন্তমনে শেয়ার করতে দেবেন সরকারি নিয়ন্ত্রকের সাথে? যারা মনোরোগী, যারা সম্পূর্ণ সুস্থ দেহের অধিকারী হলেও সময়ে সময়ে কাউন্সেলিং-এর সহায়তা নিয়ে থাকেন তাদের চামড়ার নীচের তথ্য চিকিৎসক হয়ে, অ্যাপ হয়ে, আধার হয়ে, সরকারের হাতে পৌঁছলে আমার দেশ কি তাকে নিশ্চয়তা দিতে পারে যে সে বা তারা তার পরেও সর্বস্তরে সম্পদ— মানবসম্পদ বলে বিবেচিত হব? দেশের সব মানুষকে জুড়ে নিয়ে স্বাস্থ্য-প্রকল্প ব্যাপারটা শুনতে বেশ লাগে কিন্তু ঘর পুড়েছে বলেই না গরু মেঘে ভয় পায়! এনআরসি, সিএএ ছেড়ে দিয়ে জল মাপা চলছে। তার সঙ্গে এসে জুড়ে যেতে চলেছে আপনার স্বাস্থ্য পরিষেবা পাওয়ার অধিকার। এ অধিকার কী সমানাধিকার হতে চলেছে, না কী সেই বাপের নাম, বাপের জন্মস্থান, আধার, নাগরিকত্বের পুরনো ইস্যুকে আর একবার ঝালাই করে নেওয়ার সুযোগ তা সত্যিই বোঝা যাচ্ছে না। যাচ্ছে না কারণ স্বচ্ছ ভারতে সবই স্বচ্ছ, তথ্য ছাড়া। তথ্যে নিরাপত্তা ও অপব্যবহার নিশ্চিত করার আগে এ সব করতে চাইলে গরু তো ডরাবেই। কৃত্রিম মেধার যুগে আপনার আপাতনিরীহ ডিজিট্যাল আইডি যে আপনাকে জাতীয় স্বার্থের নিরিখে মাপতে শুরু করবে না সে কথা আজকের দিনে দাঁড়িয়ে বলা অসম্ভব।


[1] চামড়ার তলায় নজরদারি, স্বপন ভট্টাচার্য, চার নম্বর প্ল্যাটফর্ম, ৯ আগস্ট ২০২০
[2] The world after coronavirus. Yuval Noah Harari, FT. March 20, 2020
[3] https://www.businesstoday.in/current/economy-politics/personal-health-ids-e-records-doctors-registry-part-of-centres-digital-health-ecosystem-plan/story/411812.html?utm_source=whatsapp&utm_medium=WEB
[4] A digital medical ID for everyone: India prepares ground for unique healthcare revamp – http://www.ecoti.in/j6OeRY63
[5] https://www.thehindu.com/opinion/op-ed/can-a-digital-id-aid-indias-primary-health-ecosystem/article32460458.ece

About চার নম্বর প্ল্যাটফর্ম 4658 Articles
ইন্টারনেটের নতুন কাগজ

1 Comment

  1. মুশকিল কি জানেন দাদা, আমরা এমনই একটা সময়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছি যে চেনা মানুষও অচেনা হলে যাচ্ছে। রোজ যাচ্ছে, দিনের পর দিন যাচ্ছে। তাই আপনার এই লেখা আমি শেয়ার করব দশজনের সাথে, তারপর দেখবো তাদের মধ্যেই আটজন কোমর বেঁধে তর্ক করতে আসছে। আজকাল বড় ক্লান্ত লাগে।

    তাও যা করার তা তো করতেই হবে। অনেক ধন্যবাদ আপনার লেখার জন্য। যথাসম্ভব শেয়ার করব। নমস্কার।

Leave a Reply to অভি বিশ্বাস Cancel reply