ভয়

অমর্ত্য বন্দ্যোপাধ্যায়

 

একেকটা সময়ে মানুষ, ভয় পেয়ে কাজ করে। একেকটা সময়ে আবার, সেই মানুষটাই, ভয় পেতে ভুলে যায় হঠাৎ। যেমন হরিশচন্দ্রপুর গ্রামের ডাক্তার সত্যজিৎ শতপথী। জেলা: পশ্চিম মেদিনীপুর। ব্লক: গোয়ালতোড়, গড়বেতা। পশ্চিমবঙ্গ। লালমাটির মোরাম বিছোনো রাস্তা, শালবন— জঙ্গলমহল। সময়টা কিছুকাল আগের। গড়বেতার ব্লক ডেভলপমেন্ট অফিসার বা বিডিও হিসেবে তখন সদ্য বদলি হয়ে এসেছে সুখময়। সুখময় সেনগুপ্ত, প্রেসিডেন্সি কলেজ থেকে ইংরেজি অনার্স— সরকারি চাকরিতে বছর পাঁচেক কেটে গেছে। বয়স আন্দাজ বত্রিশ।

অপোজিশন পার্টির লোকটাই চিৎকার করছিল। “এরকমটা চলতে পারে না! কিছুতেই না! ডাক্তার একরকম রিপোর্ট দিয়ে দিয়েছে। তারপরে, এখন আবার এইসমস্ত সরকারি তদন্ত— হিসেবনিকেশ আমরা মানছি না, মানব না!” বাইরে থেকে ওর দলের দুচারজন চিৎকার করে, “মানছি না, মানব না!” সুখময় ফাঁপরে পড়ে যায়।

রুলিং পার্টির নেতা যিনি, তিনি আবার দু’বারের এমএলএ-ও বটে, তিনি উঠে এসে ওকে কানে কানে কিছু বলতে যান। সুখময় পাত্তা দেয় না। সুখময় জানে, এই সমস্ত জায়গাতে, ওকে এখন সবদিক বাঁচিয়ে কাজ করতে হবে। সুখময় অপোজিশনের লোকটাকে বোঝাতে চেষ্টা করে, “দেখুন, এরকম একটা সিরিয়াস অভিযোগ— তদন্ত না করে তো আমার আর কোনও উপায় নেই। আর তাছাড়া…,” ঢোক গেলে সুখময়, ওর টেনশনটাকে বাইরে বুঝতে দেওয়া যাবে না, “ডিএম সাহেব নিজে এনকোয়ারি অর্ডার করেছেন, আমার হাত পা বাঁধা, বিশ্বাস করুন!” অপোজিশন নাছোড়বান্দা, বাইরে থেকে আবার শ্লোগান ওঠে, “হরিশচন্দ্রপুর গ্রামে অনাহারে মৃত্যুর ঘটনাকে আত্মহত্যা বলে চালানোর চেষ্টা করা হচ্ছে কেন— পুলিশ-প্রশাসন জবাব দাও!” “জবাব চাই জবাব দাও!” সুখময় চেয়ারে বসে পড়ে, ল্যান্ডফোনটাকে হাতে তুলে নিয়ে, সে ডায়াল করে এবার। পুলিশ ডাকা ছাড়া আর কোনও উপায় নেই।

দারোগা অনিমেষ হেমব্রম, বছর পঞ্চাশ বয়স, পোড়খাওয়া মানুষ। ফোন পেতে না পেতেই, ছজন কনস্টেবলকে সঙ্গে নিয়ে ছুটে এসেছেন। তাদেরকে বাইরেটায় পোস্টিং করে দিয়ে কপালের ঘাম মুছতে মুছতে অনিমেষ সুখময়ের চেম্বারে ঢোকেন।

–ব্যাপারটা কী হয়েছে একটু পরিষ্কার করে বলুন তো মশাই, অনিমেষ জিজ্ঞেস করেন।
–আর ব্যাপার! সুখময় চেয়ার টেনে দারোগাকে বসবার জায়গা করে দেয়।
–অরবিন্দ মাহাতো, বয়স আন্দাজ পঁয়ত্রিশ, পেশায় দিনমজুর। গত কয়েকমাস যাবৎ কাজ নেই, বাড়িতে দুটি ছেলেময়ে, ছোটটির বয়স সাত, বড়টির এগারো কি বারো, সঠিক জানা যাচ্ছে না। স্ত্রীর বয়স ঊনত্রিশ, নিবাস হরিশচন্দ্রপুর। কাজ না থাকার কারণে অপুষ্টিতে ভুগছিলো, গতকাল বাড়ির পিছনের একটা ডোবাতে তার বডি পাওয়া গেছে। ডাক্তার মৃত্যুর কারণ হিসেবে লিখেছেন, অপুষ্টি, অনাহার-জনিত দুর্বলতা এবং সেই থেকে মাথা ঘুরে জলে পড়ে যাওয়া ইত্যাদি। এই পর্যন্ত সব ঠিকই ছিল, কিন্তু, রুলিং পার্টির লোক এসে দাবি করছে যে— লোকটি মদ খেত। পরশু রাতেও লোকটিকে মদ খেতে দেখা গেছে, কাজেই এটা নেশার ঘোরে মৃত্যু— ‘অনাহার’ লেখাটা রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। এই নিয়েই যত ঝামেলা, কেলেঙ্কারি, অভিযোগ আর পালটা অভিযোগের পালা চলছে সকাল থেকে। পাগলা হয়ে যাচ্ছি। সুখময় অনিমেষের দিকে তাকায়।

অনিমেষ পুরো ব্যাপারটাকে মনে মনে সাজিয়ে নেন। তাঁর কাছে বিষয়টা ততটাও কঠিন বলে মনে হয় না। তিনি বলে ওঠেন, “পোস্টমর্টেম রিপোর্টেই তো সমস্তটা পরিষ্কার হয়ে যাবে। এই নিয়ে এত…” সুখময় তাঁকে থামিয়ে দেয়। “সমস্যাটা সেখানে নয় অনিমেষবাবু, বডি অলরেডি মেদিনীপুর মেডিক্যালে চলে গেছে। পোস্টমর্টেমও হয়েছে। কিন্তু প্রথমে জল ঢুকে, আর তারপর গরমে এতটা রাস্তা নিয়ে যেতে গিয়ে বডির ভেতরে যা রিয়্যাকশন হয়েছে— মদের কোনও কনক্লুসিভ প্রমাণ পাওয়া যাচ্ছে না— এখন,” সুখময় বলে চলে, “এখন ভিসেরা পরীক্ষা ইত্যাদি করা যেতেই পারে, সেসব হবেও— বডি বোধহয় কলকাতা নিয়ে যাওয়া হচ্ছে, অথবা স্যাম্পল অলরেডি পাঠানো হয়ে গেছে। কিন্তু, যেহেতু স্টার্ভেশন, মিডিয়া খবর পেয়ে যাবে আর কিছুক্ষণেই। এদিকে একটা কন্ট্রোভার্সিও শুরু হয়ে গেছে। সেই পরিস্থিতিতে ডিএম সাহেব একটা ব্লক লেভেলের এনকোয়ারি করে পাঠাতে বলেছেন। এখন, সেই খবরটা লিক হয়ে গিয়েই বিপত্তি।” অনিমেষ এবার ব্যাপারটা বুঝতে পারেন— সমস্যাটা ঠিক কোথায়।

–হরিশচন্দ্রপুর মানে তো, ওই পশ্চিম দিকের ন্যাশনাল হাইওয়েটার ওপর দিয়ে গিয়ে— কমবেশি দু কিলোমিটার মতো– ওই গ্রামটার কথা বলছেন? কিন্তু ওখানে ওরা ডাক্তার পেল কোথায়? অনিমেষ জিজ্ঞেস করেন।
–ডাক্তার শতপথী না কে যেন আছেন ওখানে, পাশ করা ডাক্তার— রেজিস্ট্রেশন নম্বর দেওয়া আছে ডেথ সার্টিফিকেটের ওপরে। অলরেডি ভেরিফায়েড। সুখময় জবাব দেয়। পাশ থেকে অপোজিশনের একজন বলে ওঠে, “আমি তো সেটাই বলছি আপনাদের, একজন বোনাফাইড…” অনিমেষ তাকে থামিয়ে দেন, “সে তো বুঝতেই পারছি, কিন্তু এনকোয়ারি অর্ডার হয়েছে যখন, তখন কি আর কিছু করার থাকতে পারে? আপনারা বসুন। বিডিওসাহেব আপনি আমার সঙ্গে আসুন তো একবার,” অনিমেষ উঠে দাঁড়ান, “আপনি থানায় চলুন বরং আমার সঙ্গে।” অপোজিশনের আরেকটি লোকও উঠে দাঁড়াচ্ছিল, অনিমেষ এক ধমকে তাকে বসিয়ে দেন, “তুমি উঠছ কেন? বললাম তো বিডিও সাহেবের সঙ্গে থানায় কাজ আছে আমার। জাস্ট যাব আর আসব, তোমরা এখানেই থাকো ততক্ষণ। কনস্টেবলরাও থাকুক।” অনিমেষ সুখময়কে সঙ্গে নিয়ে জিপে ওঠেন। রুলিং-অপোজিশনের লোকেরা একে অপরের দিকে তাকায়।
–এ চাকরিতে কতদিন হল ভাই তোমার? অনিমেষ জিপ চালাতে চালাতে জিজ্ঞেস করেন, তুমি করেই বলছি, কিছু মনে কোরো না— বয়সে আমি খানিকটাই বড় তোমার থেকে— তাই…
–হ্যাঁ হ্যাঁ, একি! তুমি করেই বলুন, সুখময় বলে ওঠে, এই পাঁচ বছর হল আমার।
–হুমম, আসলে এইসব চাকরিতে অভিজ্ঞতা আর একটু দাপট রাখতেই হয় বুঝলে। পশ্চিম মেদিনীপুরে নয় নয় করে আমার প্রায় দশ বছর হতে চলল, অনিমেষ বলেন, মোটামুটি এ থানা ও থানা ঘুরতে ঘুরতে একটা পরিচিতিও তৈরি হয়ে গেছে। তাই নির্মল আমাকে আর ঘাঁটাতে সাহস করল না। অনিমেষ হাসেন।
–নির্মল?
–নির্মল পাটোয়ারী, অপোজিশনের লোক।

সুখময় ঘাড় নাড়ে এবার। অভিজ্ঞতার দাম আছে অনেক।

–এই শতপথী ডাক্তারকে আপনি চেনেন? জিজ্ঞেস করে সুখময়।
–চিনি বলে চিনি, তাই তো প্রথমটায় অবাক হলাম খানিকটা।

সুখময় অনিমেষের দিকে তাকায়, “তার মানে?” অনিমেষ গিয়ার পালটান। পালটাতে পালটাতে বলেন, “লোকটা বছর কুড়ি আগে একটা বিশ্রী কেসে ফেঁসে গিয়েছিল শুনেছিলাম। হেলথ সার্ভিসে ছিল তখন— ওই মেদিনীপুর মেডিক্যালেই।” সুখময় এক মনে শুনে যেতে থাকে। অনিমেষ বলে চলেন। “একটা বেআইনি অ্যাবরশন ক্লিনিকের সঙ্গে ওর নাম জড়িয়ে গেছল। রেজিস্ট্রেশনটা কোনওমতে বাঁচাতে পারলেও, চাকরিটা খোয়ায়। সেই থেকেই এদিকওদিক, একটাআধটা ছোটখাট প্র্যাকটিস করে দিন চালিয়ে আসছে। উচ্চাকাঙ্খী নয় বোধহয় খুব একটা— তাছাড়া একবার বদনাম হয়ে গিয়ে আর পাত্তা পায়নি। এখন তো তোমার কাছে শুনছি সে হরিশচন্দ্রপুরে এসে উঠেছে,” গাড়িটা মাটির রাস্তায় নামিয়ে দেন অনিমেষ, “আমরা এসে পড়েছি।”

সত্যজিৎ শতপথীর বাড়িটা খুঁজে পেতে বেশি সময় লাগল না। লোকটার বয়স হয়ে গেছে, বছর ষাটেক তো হবেই। বয়সের তুলনায় আরও খানিকটা ভেঙেছে শরীর। কোটরে ঢুকে যাওয়া চোখে মোটা কাচের চশমা। উসকোখুসকো চুল, না কামানো দাড়ি কয়েকদিনের। বিডিওসাহেব এসেছেন শুনে মুখ তুলে তাকান।

–আপনি চিনতেন অরবিন্দকে? সুখময় জিজ্ঞেস করে।
–চেনা বলতে, ওই মুখে চেনা। আলাপ ছিল না, জবাব আসে শতপথীর।
–ওর ডেথ সার্টিফিকেটটা তো আপনিই লিখেছেন?
–আজ্ঞে হ্যাঁ, আমিই।
–ওখানে মৃত্যুর কারণ হিসেবে আপনি লিখেছেন অপুষ্টি, ম্যালনিউট্রিশন।
–লিখেছি।
–আপনি নিশ্চিত এই ব্যাপারে? সুখময় একটু কড়া গলায় জিজ্ঞেস করে।
–মানুষ খেতে পাচ্ছে না, সেটা কি সবসময় ডাক্তারি বিদ্যে দিয়ে বিচার করলে, তবেই ঠিক ঠিক বোঝা যায় বিডিওসাহেব? ঘোলা চশমার ওপারে ডাক্তার শতপথীর চোখদুটোকে কেমন যেন আরও ঘোলাটে বলে মনে হয়ে সুখময়ের।
–ওসব ফিলজফির কথা শোনবার সময় নেই আমাদের ডাক্তারবাবু, সুখময় আরও কড়া গলায় বলে, আমরা একটা এনকোয়ারিতে আছি— কাজেই, কোঅপারেট করুন।
–কিসের এনকোয়ারি বিডিওসাহেব?
–এমএলএ সাহেব এবং তাঁর দলের লোকেরা ক্লেম করছেন যে লোকটি মদ খেত, অর্থাৎ মাতাল। মৃত্যুর আগের দিন রাতেও তাকে মদ খেতে দেখা গেছে— মৃত্যুর কারণ অনাহার নয়, মদের নেশায় মাথা ঘুরে লোকটি ডোবায় পড়ে গিয়েছিল। সুখময় তীক্ষ্ণ চোখে তাকায়।
–খালি পেটে মদ পড়লে, এবং সেটা যদি দেশি মদ হয়— তার বিষক্রিয়াটা যে কি সাঙ্ঘাতিক হতে পারে আপনি জানেন, বিডিওসাহেব?

সুখময় অবাক হয়ে যায়। লোকটা কি তার সঙ্গে মস্করা করছে?

অনিমেষ ব্যাপারটাকে হাতে নেওয়ার চেষ্টা করেন, “দেখুন ডাক্তারবাবু, আমরা এখানে তাত্ত্বিক আলোচনা করতে আসিনি। মৃত্যু কিসে হয়েছে, কেবলমাত্র সেটা জানতেই আমরা এখানে এসেছি, কাজেই,” সত্যজিৎ শতপথী দারোগাকে হাত তুলে থামিয়ে দেন, “কাজেই কি দারোগাবাবু, আপনি কাকে ভয় দেখাচ্ছেন? এত চিন্তাই বা করছেন কেন? পোস্টমর্টেম রিপোর্টেই তো সমস্তটা পরিষ্কার হয়ে যাবে।

–সমস্তটা পরিষ্কার হয়নি ডাক্তারবাবু, সুখময় জবাব দেয়, স্যাম্পল এখন ভিসেরা পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে।

শতপথী ডাক্তার হেসে ওঠেন এবার, “যাক, কিছুদিন আরও সময় পাওয়া গেল,” তাঁর মুখে একটা অদ্ভুত তাচ্ছিল্যের হাসি লেগে থাকে।

–তার মানে? সুখময় অবাক হয়ে যায়, আপনি জানেন রিপোর্টে কী আসবে?
–মদের উল্লেখ পাওয়া গেলেও যেতে পারে, এটুকু বলতে পারি…
–আপনি জানতেন লোকটি মদ খায়, সে মদ খেয়েছিল আগেরদিন? অনিমেষ আশ্চর্য হয়ে যান লোকটার ধৃষ্টতা দেখে।

“জানতুম,” শতপথী আবার হাসেন, “যেমন জানতুম যে, নার্সিংহোমের পিছনে বেআইনি অ্যাবরশন ক্লিনিকের আসল মালিকানাটাও, অন্তত কাগজপত্র অনুযায়ী— সেদিন অফিশিয়ালি কার নামে ছিল। আর কাদেরকে বাঁচানোর জন্যই বা আমাকে ফাঁসানো হয়েছিল সেদিন।” অনিমেষ আরও অবাক হয়ে তাকান। বিরক্তি-মেশানো স্বরে জিজ্ঞেস করেন, “অদ্ভুত তো! এতদিন পরে এসব কথা বলবার কী মানে হতে পারে? আজকে দাঁড়িয়ে এগুলো তো একেবারেই অবান্তর। সেদিন তাহলে আপনি কিছু বলেননি কেন? যতদূর আমার জানা আছে, আপনি কিন্তু আপনার দোষ স্বীকার করেছিলেন। আপনি কথা ঘোরাবার চেষ্টা করছেন।”

শতপথী আবার হেসে ওঠেন।

–কখনও ভয় পেয়েছেন আপনারা? সত্যিকারের ভয়— প্রাণে মারা যাবার ভয়? শতপথী বাইরের তেঁতুলগাছটার দিকে তাকিয়ে আছেন, অনেক বড় বড় নাম জড়িয়েছিল যে ক্লিনিকটার সঙ্গে, চাকরিটা রাখতে গিয়ে সবেধন প্রাণটুকুই যে হারাতে বসেছিলাম।
–আজ আপনার ভয় করছে না? সুখময় জিজ্ঞেস করে।
–কিসের ভয়? আর কিইবা হারানোর আছে আমার? উদাস চোখে শতপথী তাকান, কেন স্টার্ভেশনের কথা লিখেছিলাম জানেন? সুখময় সপ্রশ্ন দৃষ্টিতে তাকায়।
–যাতে মিডিয়াতে খবরটা গিয়ে পৌঁছোয়, দু পাঁচটা লোক গ্রামে আসে। শহরের দু চারটে কাচঢাকা কালো সাদা গাড়িতে চেপে বাবুরা দু একজন আসেন। লোকে যাতে জানতে পারে রেশন নিয়ে কী কাণ্ডটাই না ঘটে চলেছে এখানে।
–লোকটা তিনবার করে সেদিন রেশন দোকানে গিয়ে ফিরে এসেছিল জানেন? তিনমাস ধরে ওরা, ওদের বরাদ্দ চালটুকুও পায়নি, শতপথীর গলা বুজে আসে, চালটুকুও না। ধারের বোঝায় আর কতদিনই বা চালাবে বলুন, আর কতদিনই বা কেউ ওদের ধারে চাল দেবে!

সুখময় অনিমেষের দিকে হতাশ চোখে তাকায়। অনিমেষ মাথা নাড়েন।

–আর ফিরতে ফিরতে একটু খবর নিয়ে যাবেন, মদের ঠেকগুলোর মালিকানা এখানে কাদের! শতপথী ডাক্তার পিছন থেকে চিৎকার করেন। সুখময়রা গাড়ির দিকে এগিয়ে যায়।

About চার নম্বর প্ল্যাটফর্ম 4660 Articles
ইন্টারনেটের নতুন কাগজ

Be the first to comment

আপনার মতামত...