![prasanta](https://i2.wp.com/www.4numberplatform.com/wp-content/uploads/2021/05/prasanta.jpg?resize=678%2C381&ssl=1)
প্রশান্ত ভট্টাচার্য
কবি, প্রাবন্ধিক, সাংবাদিক
১৯৪৬ থেকে এই প্রথম বামহীন বিধানসভা। কংগ্রেসহীনও। কমিউনিস্ট পার্টির বয়স ১০১, আর কংগ্রেসের ১৩৬। বিধানসভার ভিতরের চেহারা দেখে সত্যিই মনে হবে, বামপন্থা বুঝি বা করোনাদষ্ট হয়ে মহাপ্রস্থানে। আর সিপিআইএম একাই তো শূন্য হয়নি। একই সঙ্গে সিপিআই শূন্য হয়েছে, আরএসপি শূন্য হয়েছে, ফরওয়ার্ড ব্লক শূন্য হয়েছে, এসইউসিআই (কমিউনিস্ট) শূন্য হয়েছে।
তবু বলব, বাংলায় তথাকথিত বামপন্থীদের বিপর্যয় ঘটেছে ঠিকই, কিন্তু মানুষ জিতিয়েছেন বামপন্থাকে— ফ্যাসিবাদ-বিরোধী রাজনৈতিক মানসকে। বলা বাহুল্য, রাজ্যের পক্ষে প্রধানতম বিপদকে ঠেকাতেই এই ভোট। অথচ ‘বিজেপিকে একটি ভোটও নয়’ স্লোগানের সবচেয়ে বেশি বিরোধিতা হতে দেখা গেল সিপিআইএম-এর তরফেই। এমনকী, একদা ‘আগুনখোর’ নকশালপন্থী আজিজুল হককে দিয়েও বলানো হল, “লেনিন ‘হোয়াট ইজ টু বি ডান’ লিখেছেন, হোয়াট ইজ নট টু বি ডান তো লেখেননি। অতএব, রাজ্যের লেনিনপন্থীরা ‘নো ভোট টু বিজেপি’ বলবেন না। বলবেন ভোট টু লেফ্ট।” সেই বিচিত্র মন্তব্য আবার আজিজুলের রাস্তায় হেঁটে চলা একটি ছবি দিয়ে সোশাল মিডিয়ায় ‘পোস্ট’-ও করা হল। সেই পোস্টে এই প্রতিবেদকের মন্তব্য ছিল, “ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে লড়তে হলে লেনিনিস্ট হতেই হবে, কে বলেছে!”
‘নো ভোট টু বিজেপি’-র অন্যতম প্রবক্তা কস্তুরী বসু যথার্থই বলেছেন, “আমরা কেবল বিজেপিকে ভোট না-দেওয়ার কথাই বলেছিলাম। কিন্তু ওরা (সিপিআইএম) যেভাবে আমাদের ‘ট্রল’ করতে শুরু করল, সেটাও মানুষ দেখেছে। এখন সিপিএমের কী পরিণতি হল!” এই যে সিপিআইএম-এর খপ্পরে পড়েনি বাংলার জাগ্রত চেতনা, এটাই আমাদের বিজেপির হাতে পড়া থেকে রক্ষা করল। অন্তত এই নির্বাচনের নিরিখে। এটি সত্যই একটি মেরুকৃত ভোট। বাংলা তার সেই ঐতিহ্য কখনও হারায়নি। ভোটের ফলে ২৮০টি আসনে আব্বাস-বাম-কংগ্রেস জোট এসেছে তিন নম্বরে। দেখা যাচ্ছে, মানুষ হয় বিজেপি-কে ভোট দিয়েছে, না-হলে তৃণমূলকে। হিন্দু ভোটের ‘পোলারাইজেশন’ নয়, মেরুকরণ হয়েছে বিজেপি-বিরোধী ভোটের।
বাছাইয়ের ক্ষেত্রে চয়নের সুযোগ ছিল ‘বিজেপি’ এবং ‘কোনও-অবস্থাতেই-বিজেপি-নয়’— এই দুইয়ের মধ্যে যে কোনও একটির। বাঙালি সঠিকটিই বেছে নিয়েছেন। বাংলা হল নব্য ফ্যাসিবাদীদের স্তালিনগ্রাদ। আশা করি ভারতের বাকি অংশও উপযুক্ত মুহূর্তে জেগে উঠবে। অনেকেই মনে করছেন, একটা ভারী পাথর যেন বুকের ওপর থেকে নেমে গেল। ফিরে পেলেন স্বাধীনতার স্বাদ। কেউ কেউ অকপটে বলছেন, অসাম্প্রদায়িক, মানবিক ও সংস্কৃতিপরায়ণ বাঙালিয়ানার জয়। বাংলার জয়। বাঙালির জয়। বাংলার মানুষের জয়। আর যাঁরা আরও বেশি সচেতন, তাঁরা স্পষ্ট ঘোষণা করছেন, “বিজেপি এগোতে পারে, পিছিয়েও যায়, কিন্তু আরএসএস স্লো বাট স্টেডি। অতএব, সামলে সাথী।” হ্যাঁ, নয়া ফ্যাসিবাদীদের স্তালিনগ্রাদ বাংলাকে ছড়াতে হবে দেশজুড়ে। তবেই আদানি-অম্বানির পোষা রাজনৈতিক নেতারা তাদের থিঙ্ক ট্যাঙ্কের সাহায্যে আর ফুলে ফেঁপে উঠতে পারবে না। নাগপুরের শ্যামের বাঁশি আর বাজবে না।
এতক্ষণ যে আলোচনা করা গেল, তা দুই বামপন্থী লাইনের। এর মধ্যে সুবিধাবাদ কোথায় কতটা সক্রিয়, তা দীক্ষিত পাঠকমাত্রই বুঝে নেবেন। এর পাশাপাশি বামপন্থীদের তীব্র শ্লেষ। অথচ আমাদের এখানে ভর্তুকিযুক্ত রেশন ব্যবস্থা চালু করার লক্ষ্যে বামপন্থীদের লড়াইয়ের গল্প ১৯৭৭ সালেও গাল ফুলিয়ে বলতেন আমাদের বাম নেতারা। আর আজ যখন দেখি সরকারি-সাহায্য-প্রকল্পকে ‘ডোল’ বলে, ‘ভিক্ষে’ বলে বিদ্রুপ করেন বামপন্থী নেতারা বা তাঁদের শুভানুধ্যায়ী বিশেষজ্ঞরা, খুব খারাপ লাগে। চাকরির দাবি নিশ্চয়ই ন্যায়সঙ্গত। কিন্তু সবাই কি চাকরি পাবে? বাম আমলেও পেয়েছে? তা হলে গরিব মানুষদের ন্যায্য প্রাপ্য এই সাহায্য প্রকল্পগুলো নিয়ে এই ‘বড়লোকি’ বিদ্রুপ কেন? আরও হতাশ লাগে এটা দেখলে যে, এইসব অন্যায়, অসভ্য, অসহিষ্ণু প্রচারের একটা বড় অংশই সোশাল মিডিয়ায় আসছে সেই তরুণ বামপন্থী কর্মীদের কাছ থেকে, যারা নাকি দলের ‘ভবিষ্যৎ’ বলে ভাবছেন কেউ কেউ। আর এই ভাবনা থেকেই, এঁদের প্রার্থী করা হচ্ছে। এর মধ্যে এমন মনভোলানো তরুণ আছেন, যিনি ইতোমধ্যে পরাজয়ে হ্যাটট্রিক করে ফেলেছেন৷ মনে রাখবেন, কমিউনিস্ট পার্টি কোনও এনজিও নয়। জেএনইউ, যাদবপুর বা প্রেসিডেন্সি-ফেরত উজ্জ্বল তরুণ-তরুণী, নেতা-নেত্রীদের ফ্যান ক্লাবও নয়। চে-র ছবি দেওয়া টি-শার্ট বা হাতে ট্যাটু করাটাই কমিউনিস্টদের অভিজ্ঞান হতে পারে না। এই মূল্যবোধের চর্চা করলে কোনও আবেগে সুড়সুড়ি লাগতে পারে, স্খলনও হতে পারে, কিন্তু বামপন্থার অনুশীলন হয় না।
তা-ই, আবার বলি, বামপন্থা হারেনি। সিপিএম হেরেছে। ৩৪ বছর বামশাসন চালানো বামেরা হেরেছে। সেই বামেরা, যাঁরা সরকারে থাকার সময়েই শিক্ষা, স্বাস্থ্যের বেসরকারিকরণ শুরু করেছিলেন। সেই বামেরা, যাঁরা ক্ষমতায় থাকাকালীন কৃষকের জমি নিয়ে স্পেশাল ইকনমিক জোনের (এসইজেড) পরিকল্পনায় সায় দিয়েছিলেন। সেই বামেরা, যাঁরা পুঁজির রং দেখতে অস্বীকার করে ‘টাটাবাবু’ কিংবা ‘সলিমসাহেবের’ দালালি করতে মেতে উঠেছিলেন। সেই বামেরা, যাঁরা মরিচঝাঁপির গণহত্যা চালাতে কেঁপে ওঠেননি। হার হয়েছে সেই বামেদের, যাঁরা আন্দোলনরত কৃষকদের ওপর গুলি চালাতে দ্বিধা করেননি। হার হয়েছে সেই বামেদের, যাঁদের শাসনকালে একের পর এক কারখানা বন্ধ হয়েছে, শ্রমিকরা ভিখারি হয়েছে অথচ সেই কারখানার মালিকরা সরকারের পৃষ্ঠপোষণে অন্য জায়গায় বেশি মুনাফার ব্যবসা ফেঁদেছে। হার হয়েছে সেই বামপন্থার, যা শ্রমিকদের সঙ্গে বিশ্বাঘাতকতা করেছে লাল ঝান্ডা কাঁধে নিয়ে। সেই বামপন্থার, যা শ্রেণিসংগ্রামের বন্ধুর পথ ছেড়ে বেছে নিয়েছিল শ্রেণিসমঝোতার লাইন। বিধানসভায় শূন্য হয়েছেন সেই বামেরা, যাঁরা ক্ষমতায় থাকাকালীন রেশন-দুর্নীতি, চাকরিতে কর্মীনিয়োগে দুর্নীতি করে খেটেখাওয়া মানুষকে বুড়ো আঙুল দেখিয়েছেন বারবার। হার হয়েছে সেই বামপন্থার, যার শাসনকালে সবকিছু দলতান্ত্রিকতায় চালিত হত, এমনকী, দলবিরোধী হলে কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীদের ওপর পুলিশ লেলিয়ে দিতে পিছপা হত না। হার হয়েছে সেই বামেদের, যাঁরা লাল ঝান্ডার নামে সাধারণ মানুষকে বারবার প্রতারণা করেছেন।
শুধু তা-ই নয়, পরাজয় হয়েছে সেই বামেদের, যাঁরা এলিটিস্ট মানসিকতা থেকে বিধানসভায় বিরোধী আসনে বসে, মুখ্যমন্ত্রীকে ‘কল-পাড়’, ‘হাওয়াই চটি’ এবং আরও নানান পুরুষতান্ত্রিক গালাগাল দেওয়া ছাড়া শাসকের বিরুদ্ধে গত দশ বছরে কোনও গণআন্দোলন গড়ে তুলতে পারেননি। উপরন্তু কলোনিসুলভ মানসিকতা থেকে মুখ্যমন্ত্রীর ইংরেজি উচ্চারণ নিয়ে টিভি-চ্যানেলের চণ্ডীমণ্ডপে তীব্র ব্যঙ্গ-বিদ্রুপ করেছেন। হার হয়েছে সেই বামপন্থার, যা ভোটভুবনে বিচরণ করতে করতে ফ্যাসিবাদী আগ্রাসনের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ার যুক্তফ্রন্ট নিয়ে ভাবতে পারেননি। উলটো দিকে নিজেদের প্রায়োন্মাদ দম্ভে বিভিন্ন বামপন্থী আন্দোলনের কর্মীদের বিরুদ্ধে প্রচার চালানোকে অনেক বেশি জরুরি মনে করেছেন। হার হয়েছে সেই বামেদের, যাঁরা নিজেদের কৃতকর্মের শুধু সাফাই গেয়েছেন, প্রকাশ্যে কোনও ভুলের ক্ষমা চাননি। হার হয়েছে সেই বামপন্থার, যা শ্রেণি দিয়ে মানুষকে বিচার না-করে স্রেফ একটি ভোট ভেবে এসেছে।
মনে রাখতে হবে, বামপন্থা মানে শুধু ‘শ্রমজীবী ক্যান্টিন’ চালানো নয়, সুলভে বা বিনামূল্যে বাজারের আয়োজন নয়, ঘূর্ণিঝড়ে বিপন্ন মানুষদের পাশে ত্রাণসামগ্রী বিতরণ বা দুর্গত মানুষদের সাহায্য করাই নয়, করোনাক্রান্ত মানুষের কাছে অক্সিজেন সিলিন্ডার পৌঁছে দেওয়া, ওষুধ, রক্ত নিয়ে দাঁড়ানো, হাসপাতালে বেড পেতে সাহায্য করাও নয়। এগুলো নিঃসন্দেহে ভালো কাজ। সময়ের দাবি মেনে, মানবিক কর্তব্য পালন। কিন্তু এই সবই সমাজসেবামূলক কাজ। দৈনন্দিন রাজনীতির অংশ, কিন্তু রাজনীতির দিশা নয়। এনজিও-নীতি, অন্তত ‘বামপন্থী’ রাজনৈতিক মতাদর্শের অঙ্গ নয়। মনে রাখতে হবে, এই কাজগুলো বামপন্থা জন্মাবার অনেক আগে থেকেই মানুষ করে আসছে। খ্রিস্টান মিশনারিরা এ-কাজের উজ্জ্বল উদাহরণ। আমাদের দেশে রামকৃষ্ণ মিশন, ভারত সেবাশ্রম সংঘ অনেক আগে থেকেই এ-কাজ করে আসছে। বিপন্ন মানুষের পাশে দাঁড়ানোটাই যদি বামপন্থা হত, তবে শ্রেষ্ঠ বামপন্থী মথি-কথিত গুড সামারিটান। শ্রেষ্ঠ বামপন্থী রমণী হতেন ফ্লোরেন্স নাইটিঙ্গেল।
আসলে বামপন্থা অন্যকিছু। অন্য তার রং। তাই বলছি, এই ভোটের ফলে বামশূন্য সপ্তদশ বিধানসভা হলেও বাংলায় বামপন্থা হারেনি। বাংলায় আজও বহু সংগঠন, বহু মানুষ লাল পতাকা নিয়ে হাঁটেন। আজও বহু খেটেখাওয়া মানুষ সমাজবদলের স্বপ্নে শ্রেণিসংগ্রাম করেন। শাসকের বিরুদ্ধে আন্দোলন করতে গিয়ে মার খেয়ে, জেলে গিয়েও রাস্তায় লড়াই করেন, করছেন, করবেন। আজও মইদুল মরেন। ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধেও আপসহীন লড়াইয়ে তাঁদেরই পাবেন। তাই সিপিএম ও তার কাজকর্মকে বামপন্থার সমার্থক ভাবাটা কোনও মার্কসবাদী দৃষ্টিভঙ্গি নয়। আর সেটা থাকলেই বুঝতে পারা যাবে, বাংলার নির্বাচকমণ্ডলী যথেষ্ট পরিণতমনস্ক। মানুষ মনে করেছে বিজেপিই আসল বিপদ। আপাতত তাই কোনও স্লোগানে প্রলোভিত হয়ে পরীক্ষানিরীক্ষায় যায়নি। বর্তমানে এ রাজ্যে বামরা দুর্বল। ফলে আগে তৃণমূলকে জিতিয়ে বিজেপিকে তো ঠেকাই, তারপর দেখা যাবে। এই বোধ থেকে মোদিদের ‘বাপি বাড়ি যা’ লাইনে জবাব দিয়েছে। কিন্তু তার মানে এই নয় যে, তারা বামদের প্রতি বিমুখ।
তাই আবার বলছি, সিপিএম হেরেছে, ‘বামপন্থা’ হারেনি। জনগণ সিপিএম-টেমকে প্রত্যাখ্যান করেছেন, ‘বামপন্থা’কে নয়। শ্রেণি ও তার সংগ্রামকে না-বুঝলে সিপিএম হওয়া যায়, রাষ্ট্রীয় পীড়নের বিরুদ্ধে দীর্ঘস্থায়ী সংগ্রামের সৈনিক হওয়া যায় না। প্রাইভেট বামপন্থী বা মার্কসিস্ট হয়ে অফ বিট সিনেমা বানানো যায়, মঞ্চে নাটক নামানো যায়, জনসভায় গান গাওয়া যায়, কিন্তু পণ্যের ভূত ঘাড় থেকে নামানোর কোনও ভবিষ্যৎ রচনা করা যায় না। তাই, জনগণ কোন কোন ইস্যুতে রিঅ্যাক্ট করল, আর কতটা ম্যাচুরিটির পরিচয় দিল সেটাই এখন বোঝা জরুরি। জনগণ তৃণমূলের পক্ষে ভোট দিল, না বিজেপি-বিরোধী মানসিকতা থেকে দিল সেটাও বোঝা দরকার। কারণ বিজেপি অনেকভাবে পীড়ন নামিয়ে আনছে। আমাদের স্বাভাবিক মূল্যবোধকে ধ্বংস করছে। মানবিক গুণ ও বোধকে লঙ্ঘন করছে। এই ফ্যাসিবাদী প্রবণতার বিরুদ্ধে বাংলার মানুষ রায় দিয়েছেন। তৃণমূল নির্বাচনে জিতে এই ফ্যাসিস্ট শক্তিকে আটকাতে পারবে এমন বিশ্বাস আমার নেই। সে লড়াই আসলে গণতন্ত্র যাদের দরকার সেই শ্রমিক, মেহনতি, র্যাডিক্যাল বুদ্ধিজীবীদের লড়তে হবে। তাই আমার বিচারে, তৃতীয় মমতা সরকারের সময় বামপন্থার প্রাসঙ্গিকতা বরং আরও বেড়েছে। ফ্যাসিস্টদের মোকাবিলার জন্য বামপন্থা ছাড়া, বামপন্থীদের ছাড়া আর আছেটা কী, কারা আছেন? অতএব টিভি চ্যানেলে রাজনৈতিক চর্চা না-করে আর ওই ওপেন টেক্সটের বকলমে টিভিজীবী না-হয়ে শ্রেণি-রাজনীতির দার্শনিক তত্ত্বকে ভিত্তি করে বিকল্প রাজনৈতিক ভাষ্য নির্মাণই আশু বামপন্থী কাজ।