আসন্ন কর্নাটক নির্বাচন: কংগ্রেস এমন অনুকূল পরিস্থিতি আর পাবে না

সোমেন বসু

 



রাজনৈতিক পর্যবেক্ষক

 

 

 

বিজেপি যেমন যথারীতি ধর্ম, জাতপাতের মেরুকরণ করতে চাইছে, কংগ্রেস অন্যদিকে নিজেদের প্রচার কেন্দ্রীভূত করেছে দরিদ্র জনসাধারণের মধ্যে। ফলে সমীক্ষাগুলিতে পরিষ্কারভাবেই দেখা গেছে জাতপাত বা ধর্মীয় বিভাজনের চাইতে এবারের ভোটে অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু হিসেবে উঠে আসতে চলেছে বেকারত্ব, দুর্নীতি এবং মূল্যবৃদ্ধির মতো বিষয়গুলি। এবং এই সব বিষয়গুলিরই সুফল পেতে চলেছে কংগ্রেস

 

দিল্লিতে কৃষকদের ঐতিহাসিক আন্দোলনে কর্নাটকের যে কৃষকরা গিয়ে যোগ দিয়েছিলেন তাঁদের হাতে ছিল নরকরোটি। প্রতীকী। ওই কৃষকদের যে সব শ্রেণিভাইরা বিগত দিনে আত্মহত্যা করেছেন করোটিগুলো ছিল তাঁদের প্রতীক। মনে রাখা যাক, মহারাষ্ট্রের পরেই কৃষক আত্মহত্যার সংখ্যায় কর্নাটক ভারতের সবচেয়ে অগ্রগামী রাজ্য।

আগামী ১০ মে হতে চলা কর্নাটকের বিধানসভা ভোট এবার নানা কারণে গুরুত্বপূর্ণ। ২০২৪-এর লোকসভা ভোটের ড্রেস রিহার্সাল হিসেবে এই রাজ্যের ভোটই অনেক কিছু ইঙ্গিত দিয়ে যেতে চলেছে। যদি বিজেপি এখানে জিতে যায়, তবে তীব্র নিনাদে কাড়ানাকাড়া বাজতে থাকবে মোদি-শাহের নামে, জয়ধ্বনি উঠবে তথাকথিত গুজরাত মডেলের, এবং পরবর্তীতে পরপর আসতে থাকা ছত্তিশগড়-মধ্যপ্রদেশ-রাজস্থান-তেলেঙ্গানার ভোটেও, এবং সর্বোপরি ২০২৪-এর লোকসভা ভোটেও প্রযুক্ত হবে এই মডেল। আর যদি বিজেপি এখানে হারে, যার সম্ভাবনাই বেশি বলে প্রায় সমস্ত ভোটপূর্ব সমীক্ষা জানাচ্ছে, তবে প্রমাণ হবে মোদি-শাহের জয়রথ অপরাজেয় কিছু নয়, বিরোধী ঐক্যের সম্ভাবনায় আরও জোরেসোরে বাতাস লাগবে, যে প্রশ্নগুলো বিরোধীরা ওঠাচ্ছেন বেশ কিছুদিন ধরে— যেমন, মোদি-আদানি সখ্য, দেশজুড়ে গণতন্ত্র হত্যা, ইডি-সিবিআইয়ের মতো সরকারি এজেন্সিগুলোকে ব্যবহার করে রাজনৈতিক স্বার্থ এবং প্রতিহিংসা চরিতার্থ করা— এই সব অভিযোগই তীব্রতর হয়ে উঠবে। আগামী একবছর দেশের রাজনৈতিক চালচিত্রে তীব্র গতি আসতে চলেছে নিঃসন্দেহে। পটবদলও ঘটবে প্রচুর। সেই সবকিছুরই অভিমুখ নির্দেশ করে দেবে কর্নাটক বিধানসভা ভোট।

কর্নাটকে বিজেপি কয়েকবার সরকার গড়লেও না এককভাবে, না জোটবদ্ধভাবে কখনওই ভোটে সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করেনি। ভোট শতাংশের বিচারে তাদের সবচেয়ে ভাল ফল এই শেষ বিধানসভা নির্বাচনেই, ২০১৮ সালে, ৩৬.২২ শতাংশ ভোট পেয়ে। আসন অবশ্য ছিল ১০৪, যা ২২৪ আসনবিশিষ্ট কর্নাটক বিধানসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠতার ৯টি কম। সর্বোচ্চ আসন বিজেপি পেয়েছিল ২০০৮ সালের ভোটে— ১১০টি— কিন্তু সেবার ভোট পাওয়ার হার ছিল ৩৩.৮৬ শতাংশ। এ-রাজ্যে বিজেপির সরকার গড়া প্রতিবারই তাদের স্বভাবসিদ্ধ নোংরা খেলা, অর্থাৎ ঘোড়া কেনাবেচার মাধ্যমে।

তবে ঘোড়া কেনাবেচার খেলা বিজেপির শেষ অস্ত্র। মসনদ একান্তই হাতছাড়া হয়ে যাচ্ছে দেখলে তারা এই অস্ত্র প্রয়োগ করে থাকে। তার আগে, বলা ভাল বছরের সমস্তটা সময় ধরেই, চলতে থাকে অন্য খেলা। গোয়েবলসীয় কায়দায় মিথ্যা-অর্ধসত্য প্রচার করে করে সেগুলি টার্গেট-জনমানসে ঢুকিয়ে দেওয়া, ঘৃণার বেসাতি করে চূড়ান্ত মেরুকরণ ঘটানো, সুযোগ বুঝে ইতিউতি দাঙ্গা লাগানো, উগ্র জাতীয়তাবাদের জিগির তোলা, এবং তারপরে এইসব অস্ত্র কাজে লাগিয়ে ভোট বৈতরণী পার হওয়া। পার হয়েই আবার শুরু হয়ে যায় একই কার্যক্রম, আরও গতিতে। আবারও সুসংহত হতে থাকে ভোটব্যাঙ্ক, এবং পূর্ণ হতে থাকে সংঘ পরিবারের অ্যাজেন্ডাসমূহ। এই ভিশাস সার্জেলের সঙ্গে আমরা, ভারতবাসী, বর্তমানে অভ্যস্ত হয়ে পড়েছি প্রায়।

কর্নাটক নিয়ে এবার বিজেপি বেশ চাপে। ভোটপূর্ব সমীক্ষার কথা বললাম আগেই। কিন্তু জিততে মরিয়া বিজেপি এবার এই দক্ষিণি রাজ্যে তাদের তথাকথিত গুজরাত মডেল রপ্তানি করার চেষ্টা করল প্রথমে। কর্নাটকের দুগ্ধ শিল্প খুবই সমৃদ্ধ। এদের ব্র্যান্ড নন্দিনী দুধ গুণমানের দিক দিয়ে আমুলের সমমানের এবং দামও অনেক কম। এই দুগ্ধ শিল্প যারা নিয়ন্ত্রণ করে তাদের বিস্তার এবং ক্ষমতা দুইই যথেষ্ট। বস্তুত, এই ধরনের কৃষিলবিগুলি, যারা সাধারণভাবে রাজ্যস্তরে কো-অপারেটিভের মাধ্যমে কাজ করে থাকে, তাদের ক্ষমতা কতটা হয় তা গুজরাতের দুগ্ধ লবি বা মহারাষ্ট্রের চিনি লবির কথা ভাবলেই বোঝা যাবে। মারাঠা স্ট্রংম্যান বলে পরিচিত শরদ পাওয়ারের মূল ক্ষমতার জায়গাটাই হল সুগার কো-অপারেটিভ, এবং, আরও একটি ছোট তথ্য, কেন্দ্র সরকার কো-অপারেশন মন্ত্রক বলে একটি আলাদা মন্ত্রকই তৈরি করেছে এই ২০২১ সালে দেশের বিভিন্ন রাজ্যের কো-অপারেটিভগুলিকে নিজেদের তাঁবে নিয়ে আসার লক্ষ্যে। আর দেশের প্রথম কো-অপারেশন মন্ত্রী হয়েছেন শ্রীযুক্ত অমিত শাহ মশাই।

কর্নাটকের গ্রামীণ এলাকায় বিজেপির ভিত্তি বেশ দুর্বল। তাদের মূল জোরের জায়গা শহরাঞ্চলগুলি। কিন্তু গ্রামীণ কর্নাটকে প্রায় ১৫৪টি আসন আছে। ফলে এখানে নিজেদের ভিত্তি না বাড়াতে পারলে ক্ষমতা দখল যে সম্ভব নয় তা পরিষ্কার। আর তার জন্য দরকার এই দুগ্ধ লবিতে নিজেদের প্রভাব বাড়ানো। ফলে বিজেপি চেষ্টা করল আমুল-কে কর্নাটকে নিয়ে আসার। কিন্তু ফল হল উল্টো। আমুল-কে কর্নাটকের দুগ্ধ লবি নন্দিনী-র প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে দেখল। আরও একটি সমস্যা তৈরি হয়েছে গুজরাতের লাল লঙ্কা নিয়ে। এই বিষয়গুলো নিয়ে বিস্তারে যাচ্ছি না এখন, আসলে এ নিয়ে একটা আলাদা লেখাই হওয়া সম্ভব। মোদ্দা কথায় বিজেপি-শাসনে কর্নাটকে কৃষক জনতা ভাল নেই। শুরুর ঘটনা এবং তথ্যের উল্লেখ সে-কারণেই। এখন ভোটের মুখে সেই ক্ষত মেরামত করার জন্য বিজেপি যা চেষ্টাচরিত্র করছে, তাতে এখন অব্দি উল্টো ফলই ফলেছে।

দ্বিতীয় চেষ্টা করা হয়েছে প্রার্থীতালিকায় ব্যাপক রদবদল করে। এ এক পুরনো কৌশল। মন্ত্রী-বিধায়কদের বিরুদ্ধে গণক্ষোভ তৈরি হচ্ছে বুঝলে বা অ্যান্টি-ইনকাম্বেন্সি ফ্যাক্টরকে মিনিমাইজ করার জন্য সব রাজনৈতিক দলই এটা করে থাকে। কিন্তু এক্ষেত্রেও খুব একটা সুবিধে হয়নি। যাদের টিকিট দেওয়া হয়নি, তাদের বা তাদের অনুগামীদের ক্ষোভবিক্ষোভ এমন পর্যায়ে পৌঁছেছিল যে বিজেপির ইতিহাসে সম্ভবত প্রথম মোদি-শাহ জুটি যাকে প্রথমে টিকিট দেয়নি, তাকেই আবার পরে টিকিট দিতে বাধ্য হয়েছে। এখানে বলে রাখা দরকার, এইসব টিকিট না দেওয়ার জন্য যে যুক্তিটা সাধারণভাবে দেওয়া হয় এবং বিজেপিও এক্ষেত্রে দিয়েছিল, সেই দুর্নীতির বিরুদ্ধে পদক্ষেপের কথাটা নেহাতই কথার কথা। দুর্নীতির বিরুদ্ধে মোদি-শাহের যদি অসূয়া থেকে থাকে তবে জনার্দন রেড্ডির মতো লোকেরা টিকিট পায় না, এমনকি বাসবরাজ বোম্মাইও মুখ্যমন্ত্রী থাকেন না, বা পুনরায় মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী হতে পারেন না। কন্নড় আউটলেট ইদিনা ডট কম যে ভোটপূর্ব সমীক্ষা করেছে তাতে দেখা যাচ্ছে ৩৬ শতাংশ কর্নাটকবাসী মনে করেন যে রাজ্যে সাম্প্রতিক সরকারগুলির মধ্যে বোম্মাই সরকারই সবচেয়ে দুর্নীতিগ্রস্ত।

বিজেপি-সুলভ নোংরা খেলাগুলিও চালু হয়েছে। মুসলিমদের জন্য ৪ শতাংশ সংরক্ষণ ছিল রাজ্যে। গত ২৫ মার্চ মুখ্যমন্ত্রী বাসবরাজ বোম্মাই সেই সংরক্ষণ বাতিল করে ওই ৪ শতাংশ রাজ্যের দুই সংখ্যাগরিষ্ঠ জাত লিঙ্গায়েত এবং ভোক্কালিগাদের মধ্যে ভাগ করে দিয়েছেন। এর ফলে লিঙ্গায়েতরা এখন রাজ্যে ৫ শতাংশ এবং ভোক্কালিগারা ৭ শতাংশ সংরক্ষণের অধিকারী হলেন। অমিত শাহ এসে এই সিদ্ধান্তকে দু হাত তুলে সমর্থন জানিয়ে গেছেন। মুসলিমদের ঠেলে দেওয়া হয়েছে অর্থনৈতিকভাবে অনগ্রসর-দের মধ্যে, রাজ্যে যাদের জন্য ১০ শতাংশ সংরক্ষণ আছে। মুসলিমরা এখন ব্রাহ্মণ এবং জৈনদের সঙ্গে এই ১০ শতাংশের ভাগীদার হলেন।

ভোটার লিস্ট নিয়েও নানা কারিকুরি চলছে। বেঙ্গালুরুর শিবাজিনগর কেন্দ্র থেকে ২৬০০০ ভোটারের নাম বাদ দেওয়ার জন্য আবেদন করেছিল বিজেপি কর্মীরা গত বছর অক্টোবর মাসে, এবং তার ভিত্তিতে নির্বাচন কমিশন তাদের মধ্যে ৯১৫৯ জনকে নোটিসও ধরিয়ে দেয়। এইরকম গোপন তথ্য সাধারণ বিজেপি কর্মীদের হাতে গেল কী করে সেটাই মূল প্রশ্ন হওয়া উচিত ছিল এখানে। স্বাভাবিকভাবেই এই ২৬০০০ জনের অধিকাংশই মুসলিম এবং দলিত জনগণ। এবং এটাও একটা স্বাভাবিক তথ্য যে শিবাজিনগর কেন্দ্রটি ২০০৮ সাল থেকে কংগ্রেসের দখলে রয়েছে। শুধু এই বিজেপি কর্মীরাই নয়, ভোটারদের গোপন ব্যক্তিগত তথ্য আরও অন্তত দুটি বেসরকারি সংস্থার কাছে রয়েছে বলে খবর প্রকাশ্যে এসেছে এর মধ্যে। তাদের মধ্যে একটি কোম্পানি তো নিজেদের ওয়েবসাইটে প্রকাশ্যে বিজ্ঞাপন দিয়েও জানিয়েছে যে প্রার্থীদের কাছে তারা সেই তথ্য বিক্রি করতে আগ্রহী। প্রদেশ কংগ্রেস এইসব ঘটনাগুলিকে ইলেকটোরাল ডেটা চুরি করানো হয়েছে বলে বোম্মাইয়ের পদত্যাগ চেয়েছে। বোঝাই যাচ্ছে, বিজেপি তাদের সবরকম অস্ত্র ব্যবহারই শুরু করেছে ভোটের জন্য, এবং আরও করবে।

অন্যদিকে, কর্নাটক ভোট কংগ্রেসের কাছেও একটা গুরুতর পরীক্ষা হতে চলেছে। আর এই পরীক্ষায় নামার জন্য এর চাইতে অনুকূল পরিবেশ তারা আর পাবেও না বোধ হয়। একে তো বিজেপি প্রবল চাপে, আর দ্বিতীয়ত বিরোধী হিসেবে রাজ্যে তারাই প্রধান। দেবগৌড়া-পুত্র কুমারস্বামীর নেতৃত্বাধীন জনতা দল (সেকুলার)-এর শক্তি কংগ্রেসের তুলনায় অনেকটাই কম। তার ওপর এ-রাজ্যে তৃণমূল কংগ্রেস বা আপ-এর মতো কোনও সন্দেহজনক বিরোধীর উৎপাতও নেই। অর্থাৎ সবটাই কংগ্রেসের নিজেদের হাতে। জেতা ম্যাচ হারলে তাদের দোষেই হারবে। যদিও ভোটপূর্ব সমীক্ষাগুলি সে-সম্ভাবনা প্রায় দেখছেই না। ইদিনার সমীক্ষায় বলছে কংগ্রেস নির্বাচনে ১৩২ থেকে ১৪০টির মধ্যে আসন পেতে চলেছে এবং তাদের ভোট শতাংশ হতে চলেছে ৪৩ শতাংশ। এবিপি-সি ভোটারের একটি সমীক্ষাও সম্প্রতি প্রকাশিত হয়েছে। তাতে কংগ্রেস ৪০ শতাংশ ভোট পেয়ে ১০৭ থেকে ১১৯টি আসন জিতবে বলে ভবিষ্যদ্বাণী করা হয়েছে। ইদিনার সমীক্ষা অনুযায়ী তো কংগ্রেসের কোনও জোটসঙ্গীর দরকারই পড়ছে না সরকার গড়তে। এবিপি-সি ভোটারের সমীক্ষা অনুযায়ী জনতা দল (সেকুলার)-এর ভাগ্যে জুটতে চলেছে ২৫ থেকে ৩০টি আসন। ফলে কংগ্রেস-জেডি(এস) জোট করেও সরকার গড়তে অসুবিধা হওয়ার কথা নয়।

বস্তুত রাহুল গান্ধির নেতৃত্বে কংগ্রেসকে ইদানিং অনেক পরিণত লাগছে। কিছুদিন আগেই নীতীশ কুমারকে নিজেদের দিকে নিয়ে আসতে সক্ষম হয়েছে তারা। বার্তা পরিষ্কার— বিজেপির বিরুদ্ধে একটা সত্যিকারের বিশ্বাসযোগ্য জোট গড়ে তুলতে কংগ্রেস প্রকৃতপক্ষেই আগ্রহী, এবং এই প্রসঙ্গে তারা যে কোনওরকম অহং বলিদান দিতে রাজি আছে। কুমারস্বামীর কাছে সে-বার্তা না পৌঁছনোর কোনও কারণ নেই। দলের সভাপতির পদে নিজের দাবি ছেড়ে দিয়ে মল্লিকার্জুন খড়্গেকে সভাপতি করে রাহুল যে বার্তা দিয়েছিলেন যে তিনি পদের জন্য লালায়িত নন, ভবিষ্যতে জোটের প্রধানমন্ত্রী পদের দাবিদার হিসেবেও তাঁর সেই বার্তা গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠবে।

ভোটের প্রচারেও কংগ্রেসের অনেক সুসংহত রূপ দেখা যাচ্ছে। বিজেপি যেমন যথারীতি ধর্ম, জাতপাতের তাস খেলে মেরুকরণ করতে চাইছে, কংগ্রেস একদিকে সেগুলির প্রকৃত উদ্দেশ্য ফাঁস করছে, অন্যদিকে নিজেদের প্রচার কেন্দ্রীভূত করেছে দরিদ্র জনসাধারণের মধ্যে। ফলে ইদিনার সমীক্ষায় পরিষ্কারভাবেই দেখা গেছে জাতপাত বা ধর্মীয় বিভাজনের চাইতে এবারের ভোটে অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু হিসেবে উঠে আসতে চলেছে বেকারত্ব, দুর্নীতি এবং মূল্যবৃদ্ধির মতো বিষয়গুলি। এবং এই সব বিষয়গুলিরই সুফল পেতে চলেছে কংগ্রেস।

সব মিলিয়ে, অপেক্ষা এখন ১৩ মে-র। ১০ মে অনুষ্ঠিতব্য কর্নাটক বিধানসভা ভোটের ফল ওইদিনই জানা যাবে।

 

About চার নম্বর প্ল্যাটফর্ম 4666 Articles
ইন্টারনেটের নতুন কাগজ

3 Comments

  1. বোঝা যাচ্ছে লেখক কর্ণাটকএর সাম্প্রতিক ঘটনাবলী সম্পর্কে যথেষ্ট ওয়াকিবহাল যা আমার পড়া অন্যান্য সমীক্ষাগুলিতে পাইনি। বোঝাই যাচ্ছে হাওয়া এখন কংগ্রেসের পালে।কিন্তু বিজেপিকে বিশ্বাস নেই, যেমন বিশ্বাস নেই জেডিএসকে। ফ্যাসিস্ট বিজেপির ধর্মই হ’ল যেনতেনপ্রকারে ক্ষমতা দখল। তার জন্য তারা যা খুশি করতে পারে।
    সোমেন বসুকে অভিনন্দন একটি ভাল লেখা উপহার দেওয়ার জন্য।

Leave a Reply to Bratati Chakraborty Cancel reply