বাংলা বইয়ের প্রকাশনা ও বিপণন: একটি ব্যক্তিগত যাত্রা

সংযুক্তা রায় ও জয়দীপ মিত্র

 


একটা বিষয় বরাবরই অত্যন্ত দুঃখের সঙ্গে অনুধাবন করেছি যে পাঠকদের মধ্যে স্কুলে পড়া শিশু-কিশোর পাঠকের সংখ্যা অত্যন্ত কম। বহু মানুষ বর্তমানে বই পড়ছেন, কিন্তু বর্তমান প্রজন্ম কি বই পড়ছে আদৌ? নতুন প্রজন্ম এখন যদি বলে আমরা ডিজিটালভাবেই সব জানছি, তাদের বোঝাতে হবে বই পড়লে আমাদের একটা কল্পনার জগৎ তৈরি হয়, চিন্তা করার ক্ষমতা, বোঝার ক্ষমতা, শব্দভাণ্ডার আয়ত্তে আসে, স্মৃতিশক্তি বাড়ে, লেখার দক্ষতা বাড়ে। ডিজিটাল মাধ্যম থেকে তথ্য পাওয়া গেলেও সে-মাধ্যমের স্বভাবসিদ্ধ চাপল্য শিশুর মনঃসংযোগের ক্ষমতা বাড়াতে পারবে না

 

মানুষের প্রতিটা স্বপ্নের ভেতর একটা আশা লুকিয়ে থাকে। আবার স্বপ্ন সত্যি হলেও কখনও সে আশাহত হতে পারে। এরকম নেতিবাচক ইঙ্গিতে লেখা শুরু করলাম কেন? তার কারণ আজ যা লিখছি তা যেমন জয়ের কথা, তেমনই একইসঙ্গে বিপর্যয়ের কথাও।

শুরু করি নিজেদের কথা দিয়ে। নিজেদের কথা বলার কারণ আত্মপ্রচার নয়, বরং প্রকাশনাজগতে আমাদের মতো নবীনদের যাত্রা শুরু ও পথচলার অভিজ্ঞতা সকলের সঙ্গে ভাগ করে নিলে, বাংলা প্রকাশনার ছবি কিছুটা স্পষ্ট হয়ে উঠবে বলেই আমাদের বিশ্বাস।

‘পাপাঙ্গুলের ঘর’— অন্য ধারার বইয়ের বিপণি হিসেবে আমাদের যাত্রা শুরু হয় সেই সালে যা ইতিহাসের পাতায় কোভিড-বর্ষ নামে চিহ্নিত থাকবে। ২০২০ সালের জানুয়ারি মাসে পানিহাটির সোদপুর এলাকায় একটা পাঁচ ফুট বাই ছয় ফুটের গুমটি দোকান আর কিছু নতুন লেখকদের অফবিট বাংলা বইয়ের সংগ্রহকে আশ্রয় করে শুরু হয় আমাদের চলা। ক্যাচলাইন রেখেছিলাম, ‘পাপাঙ্গুলের ঘর, বইয়ের কোনও বিকল্প হয় না’। হ্যাঁ, শুরু থেকেই আমাদের বিশ্বাস ছিল, সত্যিই, জ্ঞান ও আনন্দ আহরণের জন্য বইয়ের কোনও বিকল্প হয় না। আমাদের উদ্দেশ্য ছিল নতুন লেখকদের ভাল কাজকে পাঠকদের নজর ও হাত অবধি পৌঁছে দেওয়া। আর সে কাজে সোশাল মিডিয়া, মূলত ফেসবুক, বরাবরই এক অপরিহার্য মাধ্যম।

 

শুরুতে ‘পাপাঙ্গুলের ঘর’ বই-বিপণি ও অনলাইন পুস্তক-বিক্রেতা হিসেবে আত্মপ্রকাশ করলেও আমাদের স্বপ্নের উৎস নিজস্ব সাহিত্যচর্চা ও লেখালেখির মধ্যেই অন্তর্নিহিত ছিল। নিজস্ব প্রকাশনা ও পত্রিকা করার ইচ্ছে ছিল প্রবল। শুরু থেকেই নামের ওপরে ছিল একটা ব্র্যান্ড মার্ক। ‘শুরু’ শব্দটা বারবার চলে আসছে। আসলে ‘শুরু’-র কথা আমরা ভুলতে পারি না। যেকোনও গল্পের শুরুর দিকটা একটু অন্যরকমই হয়ে থাকে। তা সে জলের মতো সরল হোক বা ইস্পাতের মতো কঠিন। শুরুতে আলাদাই স্বপ্নময়তা থাকে। কোভিডকাল মানুষের গতি স্তব্ধ করে দিলেও বাংলা বই বিপণনের গতি বৃদ্ধি করেছে এতে কোনও দ্বিমত নেই। তাই শুরুর পথটা অমসৃণ হলেও গাড়ির বেগ ভাল থাকায় ভালই পেরিয়ে গেছে। খুব কম সময়েই কলেজ স্ট্রিট বইপাড়া থেকে বিচ্ছিন্ন সোদপুরের একটি ক্ষুদ্র বই-বিপণি ও ফেসবুক পেজের ওপর ভর করে ‘পাপাঙ্গুলের ঘর’ পাঠকমহলে পরিচিতি লাভ করে। প্রচুর মানুষের ভালবাসা ও সহমর্মিতা আমাদের ইচ্ছেপুরণের সাহস জোগায়। কিছু জেলা বইমেলায় অংশগ্রহণ করে বেশ ইতিবাচক অভিজ্ঞতা হয়। দেখেছি, জেলায় জেলায় প্রচুর মানুষ বই পড়েন, বই কেনেন, পছন্দের বই খুঁজে বেড়ান। একটা বই কেনার জন্য মানুষ এখনও একশো কিলোমিটার পথ অতিক্রম করেও বই-বিপণিতে আসেন। জেলায় বইমেলা করতে গিয়ে আমাদের যেমন পাঠকমহলে পরিচিতি বৃদ্ধি পেয়েছে, তেমনই আমরা এমন অনেক নতুন পাঠকদের পেয়েছি যারা পরবর্তীতে আমাদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রেখেছেন, আমাদের থেকে অনলাইনে বই সংগ্রহ করেছেন, আমাদের বইঘরেও এসেছেন। এমনকি এমনও কিছু মানুষ আছেন, যাদের সাথে বইমেলায় আলাপ হয়ে পরবর্তীতে তা থেকে একটা আত্মীয়তার সম্পর্ক তৈরি হয়েছে।

পাশাপাশি, কিছু জেলা বইমেলায় অংশ নিয়ে খুব খারাপ অভিজ্ঞতাও হয়েছে। দেখেছি, বইমেলা শুরুর দুইদিন পরেও স্টল ঠিকভাবে তৈরি হয়নি। বৃষ্টি হয়ে বই ভিজলে বইমেলা কমিটি দায়িত্ব নেয়নি। বইমেলার মাঝে ভিড় করে আঁচার, পাঁপড়, পিঠের স্টল, তাতেই পথ হারিয়ে ফেলছেন বইমেলার পাঠক। সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বেজে চলেছে চটুল হিন্দি গানের সঙ্গে নাচগান যা একেবারেই বইয়ের উপযুক্ত পরিবেশ নয়। বহু বইমেলা কমিটির কোনও প্রচার নেই। কিছু পাঠক হঠাৎই কোনও কাজে পাশ দিয়ে যেতে যেতে দেখে বুঝেছেন এখানে বইমেলা হচ্ছে। তারা আগে থেকে কিছু জানতেনই না। একটি এলাকায় যে বইমেলা হচ্ছে সেটা বইমেলা কমিটির প্রচার করার দায়িত্ব। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই কর্তৃপক্ষ সে দায়িত্ব পালন করেননি, বা করলেও খুব দায়সারাভাবে করেছেন।

আমাদের মতো তরুণ দম্পতিকে একসঙ্গে বই নিয়ে কাজ করতে দেখে বহু মানুষ আমাদের শুভাকাঙ্খী হিসেবে পাশে থেকেছেন। বহু মানুষের স্নেহ-ভালবাসা-আশীর্বাদে ‘পাপাঙ্গুলের ঘর’ সময়ের সঙ্গে সঙ্গে পুস্তকবিক্রেতা হিসেবে শ্রীবৃদ্ধি লাভ করছে। আমাদের প্রকাশনা হিসেবে আত্মপ্রকাশ করার সাহস তৈরি হয় ২০২১ সালে, যা দৃঢ় হয় ২০২২ সালের জানুয়ারিতে। ২০২২ সালের জানুয়ারি আমাদের প্রথম ISBN-সহ বই প্রকাশিত হয়। আবারও বলছি, প্রকাশক বা বইকর্মী হিসেবে শুরু থেকেই আমাদের একটাই উদ্দেশ্য ছিল, নতুন লেখকদের ভাল কাজকে পাঠকদের নজর ও হাত অবধি পৌঁছে দেওয়া। এখনও অবধি সেই কাজে আমরা সফল হয়েছি। পাঠকরা অতি সমাদরে নতুন প্রাবন্ধিক ও গল্পকারদের লেখা গ্রহণ করেছেন। লেখকের মান বিচার করেছে লেখনীর মানের সাপেক্ষে। আজ আমাদের প্রকাশনা থেকে এক এক করে প্রবন্ধ, গল্প, অনুগল্প, উপন্যাস, পত্র-উপন্যাস, মুক্তগদ্য, স্মৃতিকথন, ডকুফিকশন, সাইন্স ফিকশন নিয়ে মোট চোদ্দটি বই প্রকাশিত হয়েছে যার অধিকাংশই নতুন লেখকদের লেখা।

এসব তো হল সাফল্যের কথা। এবার একটু বিপর্যয়ের কথায় আসি। ২০২৩ সালের ৫ জুন আমাদের দোকানের পিছনে রথীন্দ্র সিনেমা হলটি নবকলেবরে মাল্টিপ্লেক্স হবে বলে বিনা নোটিসে একদিন আমাদের বৈধ দোকানটি গায়েব করে দেওয়া হয়। তদ্বির করেও মার্কেট কমিটি বা কাউন্সিলরের কাছ থেকে কোনওরকম সাহায্য পাওয়া যায়নি। দোকানের ভিতর বেশ কিছু বই ছিল যা আজও পাওয়া যায়নি এবং কোনও আর্থিক সাহায্যও পাওয়া যায়নি। বিনা নোটিসে যখন একটি ছোট্ট বইয়ের দোকান গায়েব হয়ে যায় ও কারও কাছ থেকেই কোনও সাহায্য পাওয়া যায় না, তখন মনে হয় আসলে সব সাহায্যই হয়তো পুঁজিপতিদের ও শাসকদের হস্তগত, আর দাবি ন্যায্য হলেও তাদের সঙ্গে লড়াইয়ে আমাদের মতো চুনোপুঁটিদের কোনও মূল্য নেই। আকস্মিক প্রতিবন্ধকতাকে অতিক্রম করতে আমাদের সময় লেগে যায় পাঁচ মাস। অবশেষে ২০২৩ সালের ৫ নভেম্বর আয়তনে আগের চেয়ে চারগুণ বড় জায়গায় একটি পাকা দোকানঘর নিয়ে ফিনিক্স পাখির মতো ‘পাপাঙ্গুলের ঘর’-এর যাত্রা পুনরায় শুরু করে আমাদের বর্তমান ঠিকানায়।

 

পরিশেষে একটা কথা বলা দরকার, বইকর্মী হিসেবে যাত্রা শুরু করার পর থেকেই একটা কথা বহুবার বহু মানুষের মুখে শুনে এসেছি “এখন আর কয়জন বই পড়ে! সব তো ওই মোবাইলেই…।” শুরুতে এই উক্তিটা শুনলে হেসে উড়িয়ে দিতাম, কখনও আবার বিরক্ত হতাম, রেগেও যেতাম মাঝে মধ্যে। একদিকে দেখছি এত মানুষ বই কিনছে— অনলাইনে ভারতের দূর-দূরান্ত থেকে বইয়ের অর্ডার আসছে, তিনটে জেলা পার করে আমাদের বইঘরে আসছেন কোনও পাঠক, বইমেলায় এসে ব্যাগ ভর্তি বই কিনছেন। এই পাঠক তো আমাদের পরমাত্মীয়।

অপরদিকে, আরেকটা বিষয় বরাবরই অত্যন্ত দুঃখের সঙ্গে অনুধাবন করেছি যে এসব পাঠকদের মধ্যে স্কুলে পড়া শিশু-কিশোর পাঠকের সংখ্যা অত্যন্ত কম, এতই কম যে তা অগ্রাহ্য করার মতো বিষয় নয়। বরং গুরুত্ব সহকারে ভাববার মতো বিষয়। বহু মানুষ বর্তমানে বই পড়ছেন, কিন্তু বর্তমান প্রজন্ম কি বই পড়ছে আদৌ? এতে অবাক হওয়ার মতো কী-ই বা আছে! যে প্রজন্মকে ডিজিটাল স্ক্রিনে অডিও ভিসুয়াল কার্টুন দেখিয়ে খাবার খাওয়ার অভ্যাস করানো হয়েছে, সেই প্রজন্মের বই পড়ার প্রতি আগ্রহ নিজে থেকে তৈরি হবে— এমন আশা করাটা নিতান্তই ছেলেমানুষি নয় কি? এই যে একটা গোটা প্রজন্মের কাছে আজ বইয়ের চেয়ে ডিজিটাল মাধ্যম বেশি আকর্ষণীয় ও গ্রহণযোগ্য হয়ে উঠছে তার ফলস্বরূপ সুদূর ভবিষ্যতে কোনও এক সময়ে বই-বাজারে আকস্মিকভাবে পাঠকের আকাল পড়ার তীব্র সম্ভাবনা আছে। সামগ্রিকভাবে বই ও বই-ব্যবসাকে কেন্দ্র করে অন্ধকার সময় ঘনিয়ে আসবে তখন। বই-বিক্রি বা প্রকাশনাকে মুখ্য জীবিকা হিসেবে বেছে নেওয়ার মতো পরিস্থিতি হয়তো তখন আর থাকবে না। আমরা অবশ্যই চাই না এমন দিন আসুক। এমত অবস্থায় সরকারি পদক্ষেপ নিয়ে প্রতিটা স্কুলে বাধ্যতামূলকভাবে লাইব্রেরি ক্লাস শুরু করা উচিত, লাইব্রেরি ক্লাসকে অন্যান্য ক্লাসের মতোই প্রাধান্য দিয়ে শিক্ষার্থীদের মধ্যে বই পড়ার অভ্যাস তৈরি করা উচিত। প্রতিটি স্কুলে একটি ক্লাস রাখা উচিত ‘গল্প শোনার ও বলার’, যেখানে ক্লাসের প্রতিটি শিক্ষার্থী একেকদিন একেকজন গল্প বলে বন্ধুদের শোনাবে। এতে তাদের উচ্চারণ পরিষ্কার হবে ও কথা বলার আগ্রহ বাড়বে। এখন বহু বাচ্চাকেই দেখি তারা খুব কম কথা বলে। বড় প্রকাশনাগুলির উচিত লেখকদের সঙ্গে নিয়ে বাচ্চাদের মধ্যে গিয়ে আরও বেশি করে লেখালেখির ওয়ার্কশপ করানো, বইপড়াকে আরও জনপ্রিয় করে তোলা। অভিভাবকদের এই নিয়ে ভাবা দরকার। এবং নার্সারি ক্লাস থেকেই শিক্ষক-শিক্ষিকারা ছোট ছোট বাচ্চাদের গল্প বলে পড়ে শোনাবে। ছোট থেকেই বিভিন্ন উপায়ে বিভিন্ন আকর্ষণীয় অনুশীলনীর মাধ্যমে এভাবেই আগ্রহ বাড়বে। এছাড়া আর কোনও উপায় নেই। শুরুতেই অভিভাবকদের কাছে কিছু আশা করা বৃথা। তারা বিষয়টাকে তখনই গুরুত্ব দেবেন যখন স্কুল থেকে গুরুত্ব দেওয়া হবে। এখন বহু অভিভাবক দুজনেই কর্মরত। তারা সন্তানকে সময় দিতে পারেন না বলে খুব ছোট বয়স থেকে ফোন বা ট্যাব হাতে ধরিয়ে দেন। একটা ফোন বা ট্যাব দেওয়ার বদলে যদি একটা গল্পের বই বা রং করার বই দিতে থাকেন তবে ভবিষ্যতে আফশোস করতে হবে না। প্রতিটা স্কুলে বার্ষিক বইমেলা আয়োজন করা প্রয়োজন। বই-বিক্রির আশায় বহু বইকর্মী আজীবন খেটে যান, বিনিয়োগকৃত টাকা উঠে অল্প লাভ উঠে এলেও, একজন বইকর্মী তার ‘লেবার চার্জ’ হিসেব করে না কোনওদিন। এই কাজ তার কাছে ‘লেবার অফ লাভ’, সে ভালবাসার টানে গতর খাটায়, তার দাম ধরে না। বর্তমানে স্কুলে স্কুলে বইমেলা আয়োজন করা হলেও, কত কী বিক্রি হবে সে বিষয়ে সংশয় থাকলেও, ভবিষ্যতের ভিত তৈরি করতে বইকর্মীদের অংশগ্রহণ করতে হবে। সেখানে বই-বিক্রি যেন মূল উদ্দেশ্য না হয়, এটাই মাথায় রাখতে হবে।

ভাল বই বড়দের হাতে তুলে দেওয়ার পাশাপাশি আমাদের ছোটদের বইমুখী করাই আমাদের বইকর্মীদের উদ্দেশ্য হওয়া উচিত। ভবিষ্যত প্রজন্ম প্রযুক্তিগতভাবে উন্নত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে যেন যুক্তিগতভাবেও উন্নত হয়। নতুন প্রজন্ম এখন যদি বলে আমরা ডিজিটালভাবেই সব জানছি, তাদের বোঝাতে হবে বই পড়লে আমাদের একটা কল্পনার জগৎ তৈরি হয়, চিন্তা করার ক্ষমতা, বোঝার ক্ষমতা, শব্দভাণ্ডার আয়ত্তে আসে, স্মৃতিশক্তি বাড়ে, লেখার দক্ষতা বাড়ে। ডিজিটাল মাধ্যম থেকে তথ্য পাওয়া গেলেও সে-মাধ্যমের স্বভাবসিদ্ধ চাপল্য শিশুর মনঃসংযোগের ক্ষমতা বাড়াতে পারবে না। জন্মদিন বা বিভিন্ন অনুষ্ঠান-পার্বণে উপহার হিসেবে, স্কুলে বা স্কুলের বাইরে কোনও প্রতিযোগিতায় পুরস্কার হিসেবে বই দিতে হবে। ছোটদের মধ্যে পড়ার প্রতি আগ্রহ বৃদ্ধি করতে হবে, এটা আমাদের অর্থাৎ অগ্রজদের দায়িত্ব। আজ থেকে দশ বছর পর আরও বেশি ডিজিটালি উন্নত পৃথিবীতেও যেন ‘পাপাঙ্গুলের ঘর’ নামটার পাশে এই ট্যাগলাইনটা জ্বলজ্বল করে যে ‘বইয়ের কোনও বিকল্প হয় না।’

 

 

About চার নম্বর প্ল্যাটফর্ম 4662 Articles
ইন্টারনেটের নতুন কাগজ

Be the first to comment

আপনার মতামত...